গল্প বই, শিক্ষনীয় গল্পের বই story books bangla
গল্প বই, অনেক সুন্দর এবং মজাদার শিখনীয় গল্প পাবেন এই গল্পগুলো পড়লে হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা হয়ে যেতে পারে এত মজার গল্প
Table of Contents
ইতি-মিতি দুই বোন
গল্প বই,
দুই বোন ইতি-মিতি
ছোট দু’টি পাখি
দুই পায়ে বাঁধা আছে
লাল রঙা রাখি ।
বনে-বনে এক সাথে
কতো গান গায়
সেই গানে মানুষেরা
প্রাণ ফিরে পায়।
ইতি-মিতি গান গায়
নাচে হেলে দুলে
ভালো লাগে কথা বলে
হাত দু’টি তুলে ।
কতো কথা দুই বোন
চুপিচুপি বলে
শীত-রাতে কুয়াশায়
উড়ে যায় চলে ।
আজব শহর
আজব শহর ঢাকা শহর
ব্যস্ত মানুষ জন
সকাল থেকে রাত অবধি
ঘোরে যে ভনভন ।
গাড়ির চাকায় ছুটে চলে
মানুষ দলে দলে
ব্যস্ত আছি নেই যে সময়
মুখে সবাই বলে ।
রিক্সা নিয়ে ছুটছে কেউ
গাইছে কেউ গান
পথের ধারে চায়ের দোকান
কেউবা বেচে পান ।
রাতে-দিনে বাসে-ট্রাকে
কালো ধোঁয়া ছাড়ে
পেছন হ’তে ঠেলাওয়ালা
উঠতে পারে ঘাড়ে ।
ঢাকা শহর গরম শহর
আকাশ সমান ঘর
জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত মানুষ
কোটি নারী-নর ।
এমন আজব ব্যস্ত শহর
ভণ্ডামিতে ভরা
সব বিষয়ে ঘাটতি আছে
দুর্নীতিতে কড়া ।
গল্প বই
দু’টি বেজি
ঢেঁকি শাকে মুখ ঢেকে
নাচে দু’টি বেজি
চান্স পেলে চাল খাবে
প্রায় এক কেজি ।
ছোট-ছোট চোখ দিয়ে
ইতিউতি চায়
দিনভর ছুটাছুটি
তিড়িবিড়ি পায় ।
লেজ নেড়ে চুপিচুপি
কত কথা বলে
সারাবেলা করে খেলা
বনপথে চলে ।
বেজি দু’টি হেসে খেলে
পার করে দিন
মন আজ উসখুস
করে চিনচিন ।
ফার্ন বনে বেজিদের
ছিলো মাখামাখি
সেই সব দিনগুলি
করে ডাকাডাকি
গল্প বই
রুবা
রুবা তোমার জন্মদিনে
লিখেছিলাম ছড়া
ছড়াটিতে ছিলো শুধু
তোমার কথা ভরা।
লিখেছিলাম মেয়েবেলায়
প্রথম আমার ছড়া
সেই সে স্মৃতি বিজন মনে
এখনো আনকোরা ।
কোথায় আছো ভুলেই গেছো
অনেক দিনের পরে
এ ছড়াটি লিখতে বসে
মনটা কেমন করে ।
মনের ঘরে
ফাগুন এলে গাছের ডালে
ফুটবে হাজার ফুল
শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া
নাচবে দোদুল দোল ।
পথের ভিড়ে মিহিন স্বরে
করুণ সেই কথা
মনের ভিতর ঘুঙুর বাজে
শহীদ স্মৃতির ব্যথা ।
একুশ এলে বাগানজুড়ে
প্রজাপতির মেলা
মেঘে-মেঘে দিন কেটে যায়
কষ্টে বাড়ে বেলা ।
মনের ঘরে জমা স্মৃতি
ফেলে আসা দিন
একুশ আছে জ্বলজ্বলে
থাকবে অমলিন ।
স্বজন
নানা-নানী স্নেহ মেখে
দেয় দুধ-ভাত
মেনে নেয় মামা-মামী
সব উৎপাত ।
চাচা-চাচী কড়া হয়
গোসা করে খুব
মাঝে মঝে খালা-খালু
দিয়ে দেয় ডুব।
বাবা-মা সব সেরা
তুলনা যে নাই
মায়া ভরা দাদা-দাদী
মন খুশি ভাই ।
গল্প বই
সে ছেলেটি
যে ছেলেটি পড়া রেখে চালায় গাড়ি ঠেলা
সে ছেলেটি হেসে খেলে কাটিয়ে দেয় বেলা ।
শরীর থেকে গন্ধ ঝরে বিড়িও সে খায়
অল্পদিনেই সে ছেলেটি কেমনে বখে যায় ।
শিস দিয়ে হিন্দি সুর তোলে কাজের ফাকে
মুখ-খিস্তি পচা কথায় আজে বাজে হাকে ।
খাবার খেতে পায় না বলে নষ্ট হয়ে গেলো
বলো মাগো জীবনটা ওর কেনো এলোমেলো ।
লোকটার
দশ-বার বাড়ি আছে গাড়ি গোটা বিশ
চুপচাপ থাকে সে কথা ফিসফিস
ব্যাংকভরা টাকাকড়ি সোনা দলা-দলা
ধন আর জন নিয়ে তার পথ চলা ।
ছেলে-মেয়ে গোটা বিশ বউ তাও দশ
টাকা দিয়ে লোকজন করে রাখে বশ
কিম্ভূতকিমাকার মাথা ইয়া বড়
চোখগুলি পিটপিট করে নড়চড়।
সারাদিন ঘুম যায় কাজ করে রাতে
বড় মাছ গোস্ত দই চাই তার পাতে
লোকে বলে লোকটার আছে বাজে নেশা
ভেজাল মেশানো তার একটাই পেশা ।
বুয়া
ভোর না হতে ভাঙ্গে ঘুম মনটা হয় ভার
নাস্তা পানি হাজার কাজ ভাল্লাগে না তার
সাহের বিবি অফিস যায় খাবার রেডি চাই
স্কুলের টিফিন দিতে হয় খুকুমণির ভাই ।
সবাই গেলে ফাঁকা ঘর কাজের শেষ নাই
বুয়া মাথায় দিয়ে হাত একলা ভাবে তাই
কোনটা ছেড়ে কোনটা কাজ চোখটা হয় লাল
হাজার রকম করেছে কাজ খাচ্ছে তবু গাল ।
রঙিন মাছ
কাঁচ-বাক্সে রঙিন মাছ
সারাদিন করে নাচ
লাল-নীল পাখা মেলে
অবিরাম শুধু খেলে ।
খানা খায় দানা-গুড়া
তারপর ঘুরাফেরা
মাছ খুব চুপিসারে
দৌড়ায় বারেবারে ।
ডুবু জলে ঘুম যায়
হেলে-দুলে গান গায়
মাছ করে নাচা-নাচি
তাই থাকি কাছাকাছি।
ছিনতাইকারী
বন্ধুর মতো সে যে চুপচাপ কাছে এসে
বুক-পিঠে চাকু ধরে জান বুঝি যাবে শেষে
চটপট ঝটপট বডিটাকে সার্চ করে
সোনা-দানা হাতঘড়ি নিয়ে নেয় নিজ ঘরে ।
টান মারে সেলফোন মানিব্যাগ টাকাকড়ি
আপনার করে নিয়ে পকেটেতে রাখে ভরি
মলম ও মরিচের গুড়া মেখে এক সাথে
জোর করে চোখ খুলে মেখে দেয় কালোহাতে ।
ছিনতাইকারী হায় নিয়ে নেয় সব কিছু
একদম চুপ থাক ফুটো হবি নিলে পিছু
বিদায়ের সময় সে কানে-কানে দেয় বলে
মিয়াভাই আংকেল দেখা হবে যাই চলে ।
মামাবাড়ি
মামাবাড়ি ঘুরে আসি
স্কুলে ছুটি হলে
পড়াশুনা থাকে নাতো
সাঁতার কাটি জলে ।
আম গাছে লুকিয়ে থাকা
বহু দিনের শখ
মিলেমিশে খেতে মজা
কাঁচা মিঠা টক ।
মামী বানায় আমের ভর্তা
খেতে বেশ ঝাল
পাকা আম দুধে দিয়ে
লোভে চোখ লাল ।
গ্রীষ্মে
গ্রীষ্মের দুপুরে
আগুনের ফুলকি
পথ ঘাট শুকনো
দেখছি ভুল কি?
ঝরঝর ঘাম ঝরে
অবিরাম বৃষ্টি
পচা পচা গন্ধ
এ কী অনাসৃষ্টি।
ঘুম নেই দুই চোখে
জান চলে যায়
বিদ্যুৎ চলে গেলে
করি হায় হায় ।
গরমের কষ্টের
কোনো সীমা নাই
এতোটুকু শান্তি
কোথা পাবো ভাই ।
মশা
কী-যে পাজি কালো মশা
লুকিয়ে সে থাকে
কুট করে হাতে-পায়ে
দাঁতে-দাঁতে আঁকে ।
জ্বলে শুধু সাড়া গা
দেয় নাতো ধরা
উড়ে যায় মশাগুলো
কী-যে যায় করা।
মাঝে মাঝে গুনগুন
গান গেয়ে যায়
কই গেলো পাজি মশা
করি হায় হায় ।
চোর ডাকু ধরা সোজা
জেলে নেয়া যায়
কুটকুট মশাটা-কে
ধরা হলো দায় ।
খোল মনের খিল
আকাশজুড়ে নীল
উড়ছে বিশ চিল
আজকে খুশি দিল
দেবো খুব ঢিল ।
খাবি খুকু কিল
আলো ঝিলমিল
খোকার চোখে তিল
মার সাথে মিল ।
হাসছে খিলখিল
শাপলা ফোটা বিল
মাছের কিলবিল
খোল মনের খিল ।
গল্প বই
টমি বাবু
খোকার আছে কুকুরছানা
মিটমিটে তার চোখটা টানা
চুপিচুপি ভাতগুলো খায়
লেজ নাড়ে আর মৃদু তাকায় ।
কুকুরছানার নামটা যে কী
খোকা হাসে হাহ্-হি-হি
নাম দিয়েছি টমি বাবু
খিদে পেলেই হয় সে কাবু ।
টমি বাবু দারুণ খুশি
বন্ধু যে তার ছোট্ট পুষি
হেসে খেলে কাটায় দিন
তা-ধিনতা না-ধিন-ধিন ।
গল্প বই
ভূত
নাকি থাকে ঐ
বুড়ো বট গাছে
রাত হলে ঘুম যায়
বাবা-মার কাছে।
দিন হলে চলে যায়
দূরে বহু দূরে
উড়ে উড়ে নেচে-নেচে
গায় নাকি সুরে ।
ভূত তুমি ঘোর বুঝি
আসমানে উড়ে
আজকাল চুপিচাপি
থাকো বহুদূরে।
পাই নাতো ভয় আমি
মাঝরাতে একা
ঘুম-ঘোরে তোমাকে
যদি পাই দেখা ।
Read More: গল্পের বই