Table of Contents
দাঁতের প্রয়োজনীয়তা
দাঁতের প্রয়োজনীয়তা, দাঁত ও মুখ মানবদেহের একটি অন্যতম জরুরী অঙ্গ। আমাদের যাবতীয় খাদ্য দ্রব্যের প্রবেশদ্বার হচ্ছে মুখ। খাদ্য দ্রব্যের হজম প্রক্রিয়াও শুরু হয় মুখ থেকে দাঁত দ্বারা চিবানোর মাধ্যমে।
এছাড়া মুখমন্ডলের সৌন্দর্য ও সঠিক উচ্চারনে কথা বলার জন্য দাঁতের গুরুত্ব অপরিসীম। দাঁত অসুস্থ থাকলে প্রতিনিয়ত জীবানু সংক্রমন হয়। ফলে চিরতরে দাঁত হারানো সহ অন্যান্য মারাত্মক রোগ হতে পারে।
দাঁত ও মুখের রোগ এবং প্রতিরোধ সম্মন্ধে জানতে হলে প্রথমে মুখ ও দাঁতের গঠন, প্রকার, সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে একটু ধারণা থাকলে ভালো হয়।
দাঁতের প্রয়োজনীয়তা
দাঁতের মুকুটের বাইরের শক্ত আবরণটির নাম এনামেল (Enamel)। এটা শরীরের সবচেয়ে শক্ত অংশ। শরীরের ভিতর থেকে এটার কোন ক্ষয় বা ক্ষয়-পূরণ (Tum over) হয় না। যার ফলে ক্যালসিয়াম খেলে এর কোন লাভ হয় না।
এ ছাড়া এই অংশটিরই কোন সংবেদনশীলতা (Sensitivity) নাই। দাঁতের মুকুটের উপরিভাগ (খাওয়ার তল, Occlusal Surface) এবড়ো-খেবড়ো নীচু থাকে (Pits and Fissures)। কারো কারো এবড়ো-খেবড়ো বেশ গভীর হয়।
এর পরের স্তর হলো ডেন্টিন (Dentin)। এটা হাড়ের মতই শক্ত। এরপরের সবচেয়ে ভিতরের নরম অংশটিকে দন্ত-মজ্জা বা Dental Pulp বলে। সাধারণেরা অনেকেই এই নরম অংশকে দাঁতের নার্ভ বলে। দন্ত-মজ্জা রক্তবাহী নালী, স্নায়ু বা নার্ভ ও নানা রকমের কোষ দ্বারা গঠিত।
মাড়ি ও হাড় দিয়ে ঢাকা দাঁতের মূল
মাড়ি ও হাড় দিয়ে ঢাকা দাঁতের মূল বা গোড়ার সবচেয়ে বাইরে থাকে সিমেন্টাম (Cementum), এনামেলের বদলে। এই সিমেন্টাম পেরিওডন্টাল লিগামেন্ট (Periodontal Ligament) দ্বারা চোয়ালের হাড়ের (Alveolar Bone) সাথে আটকানো থাকে।
এই পেরিওডন্টাল লিগামেন্ট নষ্ট হলেই দাঁত নড়তে থাকে। দাঁতের মুকুটের মতই সিমেন্টামের ভিতরের অংশ ডেন্টিন এবং সবচেয়ে ভিতরের নরম অংশ দন্ত-মজ্জা।
দাঁতের গ্রীবা অংশে এনামেল
দাঁতের গ্রীবা অংশে এনামেল শেষ হয়ে সিমেন্টাম আরম্ভ হয়। এই অংশটি দাঁতের মাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকে। পিংক রং-এর দাঁতের মাড়ি লাল রং-এর মুখের ঝিল্লির (Mucus Membrane) অবিচ্ছিন্ন (Continuous) অংশ।
তবে মুখের ঝিল্লির গঠন থেকে মাড়ির গঠন একটু আলাদা। এটা একটু শক্ত (keratinized)।
যার ফলে খাদ্যকনার আঘাত বা ঘর্ষণ দাঁতের মাড়ি ভালোই সহ্য করতে পারে। দাঁতের মাড়ি আবার হাড়ের সাথে এবং লিগামেন্টের সাথে শক্ত ভাবে লেগে থাকে। কিন্তু দাঁতের সাথে লেগে থাকে হালকা ভাবে (Epithelial Attachment)।
এই পথ দিয়েই জীবানু নিঃসৃত ক্ষতিকর পদার্থ দাঁতের মাড়ির রোগ আরম্ভ করে। মাড়ির প্রান্ত (Gingival Margin) দাঁতের সাথে আলগা ভাবে লেগে থাকে এবং এতে একটু ফাকা জায়গা তৈরী হয়।
এই ফাকা জায়গাকে বলে Gingival Crevix বা Gingival Sulcus। এইখানেই সহজে ডেন্টাল প্লাক জমা হয়।
তা হলে দাঁতের দুটি অংশের বিশেষ যত্ন ও খেয়াল রাখতে হবে।
১। একটি হলো দাঁতের ভিতরের নরম অংশ (Dental Pulp) যা কোন ভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
২। অপরটি হলো দাঁতের মাড়ি- কারণ এই পথ দিয়েই দাঁতের চারিপাশের হাড় ও লিগামেন্টের রোগ হয়ে দাঁতকে নাড়িয়ে (Loose) দেয়।
Read More On Website: Online Learning