দোয়ার বই | বিশ্বনবী (সঃ)_এর দোয়ার ভান্ডার পার্ট 3

দোয়ার বই – বিশ্বনবী (সঃ)_এর দোয়ার ভান্ডার

দোয়ার বই, বিশ্বনবী (সঃ)_এর দোয়ার ভান্ডার

দোয়ার বই

উচ্চারণ: মিলআস্ সামাওয়াতি ওয়া মিলআল আরদ্বি, ওয়ামা বাইনাহুমা ওয়া মিলআ মাশি’তা মিন শাই’ইন, বা’দু আহলাছ ছানাই ওয়াল মাজদি, আহাক্বক্ব মা ক্বালাল্ আবদু ওয়াকুল্লুনা লাকা ‘আবদু। আল্লাহুম্মা লামানি’আ লিমান আ’ত্বাইতা ওয়ালা মু’ত্বি ইয়া লিমা মানা’তা ওয়ালা ইয়ানফা’উ যাল্ জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থ: আল্লাহ তা’য়ালা! তোমার জন্য ঐ পরিমাণ প্রশংসা যা আকাশ পূর্ণ করে দেয়, যা পৃথিবী পূর্ণ করে দেয় এবং যা এই দুই এর মধ্যবর্তী মহাশূন্যকে পূর্ণ করে দেয় এবং এসব ব্যতীত তুমি অন্য যা কিছু চাও তা পূর্ণ করে দেয়।

হে প্রশংসা ও প্রশস্তি এবং মহাত্ম ও বুযুর্গীর অধিকারী আল্লাহ তা’য়ালা! তোমার প্রশংসার শানে যে কোনো বান্দা যা কিছু বলে তুমি তার থেকেও অধিক প্রশংসার অধিকারী। আমরা সকলেই তোমার বান্দা। হে আল্লাহ তা’য়ালা!

তুমি যা দাও তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর তুমি যা বন্ধ করে দাও তা দেয়ার মতো কেউ নেই। তোমার গযব থেকে কোনো বিত্তশালী ও পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারেনা। (মুসলিম)

সিজদা গিয়ে নিচের দোয়াগুলো পাঠ করুন
مية لا اله سُبْحَانَ رَبِّي الأعلى – مما انقطاع الفن

উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।

অর্থ: আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার।) (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্, আহমদ)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাযে সিজদায় নিম্নের দোয়াসমূহও পাঠ করতেন। ل المجني لمرية ١٢
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্ মাগফিরলী।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাদের প্রভু! তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করি তোমার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও। (বোখারী, মুসলিম)

رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ سبوح قدوس رب

উচ্চারণ: সুব্‌হুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালা ইকাতি ওয়াররূহ্।

অর্থ: ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্‌স (জিবরাঈল)-এর প্রভু প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুণাবলীতে পবিত্র। (মুসলিম)

سلالة العصر
اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدَتْ وَبَكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ للَّذِي خَلَقَهُ – وَصَوَّرَهُ – وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ – تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজ হিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়াসাউওয়ারাহু, ওয়া শাক্বক্বা সাম’আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ তা’য়ালা! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন নিজেকে সপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল, আমার সমগ্র দেহ সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং এর কর্ণ ও তার চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহামহিমান্বিত আল্লাহ তা’য়ালা সর্বোত্তম স্রস্টা। (আবু দাউদ, তিরমিযী, মুসলিম, নাসায়ী)

سُبْحَانَ ذِي الْجَبْرُوْتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ –

উচ্চারণ: আল্লাহুম্ মাগফিরলী যাম্বী কুল্লুহু, দিক্বক্বাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আউওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু ওয়া ‘আলা নিয়‍্যাতুহু ওয়া সিররাহ্।

অর্থ: পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী।
(আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমদ)

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لي ذنبى كُلَّه ، دقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
وَعَلَانِيَّتَهُ وَسَرَّهُ

হে আমার মালিক! আমার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দাও, ছোটো গোনাহ, পরের গোনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গোনাহ। (মুসলিম)

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ م مقلة رجالا أنْتَ كَمَا أَثْنَبْتَ عَلَى نَفْسِكَ
خالفا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদ্বাকা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বি মু’আফাতিকা মিন ‘উক্ববাতিকা ওয়া আউ’যুবিকা মিন্কা, লা উহসি ছানাআ ‘আলাইকা আন্তা কামা আছনাইতা ‘আলা নাসিকা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, আর আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই তোমার গযব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছো। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্)

وَبَصَرَهُ بحوله سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِي خَلَقَهُ – وَشَقَّ سَمْعَـ
وَقُوَّته – فَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ

উচ্চারণ: সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়াশাক্বক্বা সাম্‌আহু ওয়া বাসারাহু, ওয়া বিহাওলিহী ওয়া কুউওয়াতিহী ফাতাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বীনা।

অর্থ: আমার মুখ-মণ্ডলসহ আমার সমগ্র দেহ সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং এর কর্ণ ও তার চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন স্বীয় ইচ্ছা ও শক্তিতে, মহামহিমান্বিত আল্লাহ তা’য়ালা সর্বোত্তম স্রষ্টা। (তিরমিযী, আহমদ, হাকেম)

اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا وَضَعَ عَنِّى بِهَا وِزْرا وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا وَتَقَبَّلَهَا مِنِّي كَمَا
تَقَبَّلَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্ মাকতুবলী বিহা ‘ইন্দাকা আজরান, ওয়াদ্বা ‘আন্নী বিহা ওয়িযরান, ওয়াজ ‘আল্হা লী ‘ইন্দাকা যুখরান, ওয়াতাক্বাব্‌ বাল্হা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন ‘আবদিকা দাউদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ তা’য়ালা! এর দ্বারা তোমার কাছে আমার জন্য নেকী লিখো রাখো, আর এর দ্বারা আমার গোনাহ দূর করে দাও, এটাকে আমার জন্য গচ্ছিত মাল হিসাবে জমা করে রাখো আর একে আমার কাছ থেকে কবুল করো যেমন কবুল করেছো তোমার বান্দা দাউদ আলাইহিস্ সালাম থেকে হতে। (তিরমিযী, হাকেম)

দুই সিজদার মাঝে এই দোয়া পাঠ করুন
رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي

উচ্চারণ: রাব্বিগ্ ফিরলি রাব্বিগ্ ফিরলি।

অর্থঃ হে আমার রব! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, হে আমার রব! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্)
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَاجْبُرْنِي وَعَافِنِي – وَارْزُقْنِي وَارْفَعْنِي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্ মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়াহদিনী ওয়াজবুরনী ওয়া’আফিনী ওয়ারযুক্বনী ওয়ারফা’নী।

অর্থঃ হে আল্লাহ তা’য়ালা! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, তুমি আমার প্রতি রহম করো, তুমি আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করো, তুমি আমার জীবনের সমস্ত ক্ষতির পূরণ করে দাও, তুমি আমাকে নিরাপত্তা দান করো এবং তুমি আমাকে রিযিক দান করো ও আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও। (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্)

সালাম ফিরানোর পূর্বে এই দোয়া পাঠ করুন
নামাযে শেষের বৈঠকে দোয়া মাসুরা পাঠ করার পরে সালাম ফিরানোর পূর্বে নিচের দোয়াসমূহও পাঠ করুন।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ – وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

উচ্চারণ : আল্লাহুমা ইন্নী আউযুবিকা মিন ‘আযা-বিল কাবরি, ওয়া মিন আযাবি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিত্নাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন শাররি ফিত্নাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জাল।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি তোমার আশ্রয় চাই কবর আযাব থেকে এবং দোযখের আযাব হতে, জীবন মৃত্যের ফিৎনা থেকে এবং মাসীহে দাজ্জালের ফিৎনা হতে। (বোখারী, মুসলিম)

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আউ’যুবিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, ওয়া আউ’যুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল, ওয়া আউ’যুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামাত, আল্লাহুম্মা ইন্নী আউ’যুবিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি তোমার আশ্রয় চাই কবর আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা থেকে, আশ্রয় চাই জীবন মৃত্যুর ফিৎনা থেকে, হে আল্লাহ তা’য়ালা! আমি তোমার আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণভার হতে। (বোখারী, মুসলিম)

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا – وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসী, জুলমানকাছিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরু জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগ ফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নকাআন্তাল গাফুরুর রাহীম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক বেশী যুলুম করেছি, আর তুমি ব্যতীত গোনাহসমূহ কেউ-ই ক্ষমা করতে পারেনা, সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুণে আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম করো, তুমিই ক্ষমাকারী দয়ালু। (বোখারী, মুসলিম)

সালাম ফিরানোর পরে এই দোয়াগুলো পাঠ করুন
اسْتَغْفِرُ اللهَ أَسْتَغْفِرُ اللهَ أَسْتَغْفِرُ اللهَ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلامُ وَمِنْكَ السَّلامُ – تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالإِكْرَام
ِ
উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লাহা (তিনবার) আল্লাহুম্মা আন্তাস্ সালামু, ওয়া মিনকাস সালামু তাবারাকা ইয়া যাল্কালালি ওয়াল ইকরাম।

অর্থঃ আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি (তিনবার) হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময় আর তোমার কাছে থেকেই শান্তির আগমন, তুমি কল্যাণময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময় তুমি। (মুসলিম)

لا إِلَهَ إِلَّا وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ – لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ على كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرِ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَا لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَالْجَدَّ مِنْكَ الْجَدُّ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া’আলা কুল্লিা শাই’ইন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি’আ লিমা আ’ত্বাইতা ওয়ালা মু’ত্বিয়া লিমা মানা’তা, ওয়ালা ইয়ানফা’উ যাল্ জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থ: আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ তা’য়ালা!

তুমি যা প্রদান করো তা বাধা দেয়ার কেউ-ই নেই, আর তুমি যা দিবে না তা দেয়ার মতো কেউ-ই নেই। তোমার গযব থেকে কোনো বিত্তশীল বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারে না। (বোখারী, মুসলিম)

لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لأَشَرِيكَ لَهُ – لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَاحَوْلَ وَلَا قَوَّةَ إِلا بالله لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ – وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النَّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ – لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ
كَرِهَ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলাকুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লাহাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না’বুদু ইল্লা ইয়‍্যাহু লাহুন নি’মাতু ওয়া লাহুল ফাদ্বলু ওয়া লাহুছ ছানাউল হাসানু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ্‌ দ্বীনা ওয়া লাও কারিহাল কাফিরিন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি প্রত্যেক বিষয়েই শক্তিশালী। কোনো পাপকাজ ও রোগ, শোক বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই আর সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই আল্লাহ ব্যতীত।

আল্লাহ তা’য়ালা তুমি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, আমরা একমাত্র তারই দাসত্ব করি, নেয়ামত সমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেরদের কাছে তা অপ্রীতিকর। (মুসলিম)

তাহাজ্জুদ নামাযে দাঁড়িয়ে এই দোয়া পড়ুন
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাযে দাঁড়াতেন তখন এই দোয়া পড়তেন-

اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ
وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمواتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ
فيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَكَ
الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ وَلَقَاؤُكَ
الْحَقُّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ
وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَعَلَيْكَ
تَوَكَّلْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ
حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا
أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدَّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا
أَنْتَ أَنْتَ إِلهِي لَا إِلَهَ إِلا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আন্তা নূরুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হাম্দু আন্তা কায়্যিমুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামান ফী হিন্না। ওয়ালাকাল হামদু আন্তা রাব্বুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামান ফী হিন্না।

ওয়ালাকাল হাম্দু লাকা মুলকুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া মান ফী হিন্না। ওয়ালাকাল হাম্দু আন্তা মালিকুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া লাকাল হামদু আন্তাল হাক্বকু, ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্বকু, ওয়া ক্বাওলুকাল হাক্বকু, ওয়া লিকা উকাল হাক্বকু,

ওয়াল জান্নাতু হাক্বকুন, ওয়ান্ না-রু হাক্বকুন, ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্বকুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্বকুন, ওয়াস্ সা’আতু হাক্বকুন। আল্লাহুম্মা লাকা আস্লামতু, ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াবিকা আমান্‌নু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খাসা ওয়া ইলাইকা হাকামতু,

ফাগফিরলী মা কাদ্দামতু, ওয়া মা আখখারতু, ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লানতু। আনতাল মুকাদ্দামু, ওয়া আন্তাল্ মুআখখিরু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা, আন্তা ইলাহী লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা, আন্তা ইলাহী লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তোমারই জন্য, আকাশ ও পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে তুমি এসবের নূর এবং প্রশংসা মাত্রই তোমার জন্য। আকাশ ও পৃথিবী এবং যা কিছু এসবের মাঝে আছে তুমিই এসবের অধিকর্তা।

প্রশংসা মাত্রই তোমার জন্য। আকাশ ও পৃথিবী এবং যা কিছু এর মাঝে আছে তুমিই এসবের প্রভু। আর প্রশংসা মাত্রই তোমার জন্য, আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তোমারই। আর সকল গুণকীর্তন তোমারই জন্য।

তুমি সত্য, তোমার অঙ্গীকার সত্য, তোমার বাণী সত্য, তোমার দর্শন লাভ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য এবং কিয়ামত সত্য। হে আমার মালিক!

তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম, তোমারই ওপর নির্ভরশীল হলাম, তোমারই ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলাম, তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হলাম এবং তোমারই সাহায্যের প্রত্যাশায় শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলাম আর তোমাকেই বিচারক নির্ধারণ করলাম।

আমার পূর্বের ও পরের গোপনীয় এবং প্রকাশ্য দুষ্কর্মসমূহ মাফ করে দাও। তুমিই যা চাও আগে করো এবং তুমিই যা চাও পরে করো, একমাত্র তুমি ব্যতীত দাসত্বের লাভের যোগ্য কোনো ইলাহ নেই। তুমিই একমাত্র মাবুদ তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোনো ইলাহ্ নেই। (বোখারী ফতহুলবারী)

মাগরিব ও ফজরের নামাযের পরে এই দোয়া পাঠ করুন
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لأَشَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ كُلِّ شَيْءٍ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ইউহয়ি ওয়া ইউমিত। ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদির।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো ইলাহ্ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (মাগরিব ও ফযরের পর ১০ বার করে পড়ুন।) (তিরমিযী, আহমদ)

বিতর নামাযের পরে এই দোয়াগুলো পড়ুন
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামাযে সূরা আ’লা এবং সূরা কাফেরুন ও সূরা ইখলাস পড়তেন। এরপর যখন সালাম ফিরাতেন তিনবার বলতেন- سُبْحَانَ الْمَلَكَ الْقُدُّوسِ ছুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস। এবং তৃতীয়বারে স্বশব্দে আওয়াজ দীর্ঘ করে বলতেন-رَبِّ الْمَلَائِكَة والروح রাব্বিল মালা-ইকাতি ওয়ার রুহ্ (নাসায়ী)

দোয়া ও নামায কবুল হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে এই কালেমা ও আয়াত সমূহ তিলাওয়াত করে-
لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ
للهِ – وَلَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ – وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ العَلِيِّ الْعَظِيمِ رَبِّ اغْفِرْ لِي –

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহহি ওয়ালা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আব্বার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগ ফিরলী।

অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব ও সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য এবং তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য নিবেদিত। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ ব্যতীত কারো কোনো শক্তি সামর্থ নেই।

(الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَى
رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذكره –

উচ্চারণ : আল্লহামদু লিল্লাহিল্লাযী আফানী ফী জাসাদী ওয়ারাদ্দা আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিক্সিহ্।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমার শরীরকে ক্ষতি ও রোগ থেকে সুস্থ রেখেছেন, আমার আত্মা আমার কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিকির করার সুযোগ দিয়েছেন। (তিরমিযী)

إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّهَارِ لأيت لأُولى الأَلْبَابِ الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيمًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ رَبَّنَا إِنَّكَ

১৪৯
مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَ مَا لِلظَّلِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ ١٩٢ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَأَمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ١٩٣ رَبَّنَا وَاتِنَا مَا وَعَدْتَنَا . عَلَى رُسُلِكَ وَ لَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيمَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ ١٩۴ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّي لَا أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ فَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَ أُوذُوا فِي سَبِيلِي وَ قُتَلُوا وَ قُتِلُوا لَا كَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيَأْتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهُرُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللَّهِ وَ اللَّهُ عِنْدَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ ١٩٥ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي

الْبِلَادِ مَتَاعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوَلَهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ، لَكِنِ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهُرُ خُلِدِينَ فِيهَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللَّهِ وَ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِلْأَبْرَارِ ١٩٨ وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَشِعِينَ لِلَّهِ لَا يَشْتَرُونَ بِأَيْتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أُولَئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ ١٩٩
يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَ اتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ
تُفْلِحُونَ ۲۰۰

উচ্চারণ: ইন্না ফী খালক্বিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি ওয়াখতিলা-ফিল্ লাইলি ওয়ান্ নাহা-রি লাআ-য়া-তিল্ লিউলিল আলবা-ব। ১৯১। আল্লাযীনা ইয়াযকুবুনাল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ ওয়া কু’উদাওঁ ওয়া’আলা- জুনূবিহিম ওয়া ইয়াতাফাক্কাবূনা ফী খালক্বিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আবৃদ্ধি, রাব্বানা- মা-খালাক্বতা হা-যা- বা-ত্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা- ‘আয়া-বান্ না-র।

১৯২। রাব্বানা-ইন্নাকা মান তুদখিলিন না-রা ফাক্বাদ আখ্যাইতাহ; ওয়ামা- লিজ্জা-লিমীনা মিন আনছ্বা-র। ১৯৩। রাব্বানা-ইন্নানা- সামি’না- মুনা-দিআই ইউনা-দী লিল্ ঈমা-নি আন আ-মিনূ বিরাব্বিকুম ফাআ-মান্না-; রাব্বানা- ফাগফিরলানা- যুনুবানা- ওয়াকাফির ‘আন্না- সাইয়্যিআ-তিনা- ওয়াতাওয়াফ্ফানা- মা’আল আব্রা-র।

১৯৪। রাব্বানা- ওয়া আ- তিনা- মা- ওয়া’আত্তানা- ‘আলা- রুসুলিকা ওয়ালা- তুখযিনা- ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাতি ; ইন্নাকা লা- তুখলিফুল মী’আ-দ। ১৯৫। ফাস্তাজ্বা-বা লাহুম রাব্বুহুম আন্নী লা-উদ্বী’উ ‘আমালা ‘আ-মিলিম্ মিনকুম মিন যাকারিন আও উন্‌ছা-,

বা’দ্বুকুম মিম্ বা’দ্বিন, ফাল্লাযীনা হা-জ্বাবূ ওয়া উখরিজূ মিন্ দিয়া-রিহিম ওয়া উযূ ফী সাবীলী ওয়া ক্বা-তালূ ওয়া ক্বতিলূ লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সাইয়্যিআ-তিহিম ওয়ালা উদখিলান্নাহুম জ্বান্না-তিন তাজ্বরী মিন্ তাহ্বতিহাল আন্‌হা-রু, ছাওয়া-বাম্ মিন ইন্দিল্লা-হি; ওয়াল্লা-হু ‘ইন্দাহূ হুসনুছ ছাওয়া-ব।

১৯৬। লা-ইয়াগুররান্নাকা তাক্বাললুবুল্ লাযীনা কাফারূ ফিল বিলা-দ। ১৯৭। মাতা-‘উন ক্বালীলুন; ছুম্মা মাওয়া-হুম জ্বাহান্নামু; ওয়া বি’সাল মিহা-দ। ১৯৮। লা-কিনিল্ লাযীনাত তাক্বাও রাব্বাহুম লাহুম জ্বান্না-তুন তাজ্বরী মিন তাহ্বতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- নুযুলাম্ মিন ‘ইন্দাল্লা-হি; ওয়ামা- ‘ইন্দাল্লা-হি খাইরুল লিল আবরা-র।

১৯৯। ওয়া ইন্না মিন আহলিল কিতা-বি লামাই ইউ’মিনু বিল্লা-হি ওয়ামা-উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা-উনযিলা ইলাইহিম খা-শি’ঈনা লিল্লা-হি লা-ইয়াশতারুনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি ছামানান ক্বালীলান; উলা-ইকা লাহুম আজ্বরুহুম ‘ইন্দা রাব্বিহিম; ইন্নাল্লা-হা সারী’উল হিসা-ব। ২০০। ইয়া~আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানুছ্ব বিরূ ওয়া ছ্বা-বিবৃ ওয়া রা-বিত্ব; ওয়াত্তাকুল্লা-হা লা’আল্লাকুম তুফলিহুন।

অর্থ: নিশ্চয় আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। ১৯১। যারা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে ও আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সম্পর্কে চিন্তা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রভু!

তুমি এ বিনা প্রয়োজনে সৃষ্টি করনি, তুমি পবিত্র, তুমি আমাদের আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করো। ১৯২। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি যাকে আগুনে প্রবেশ করাও তাকে তুমি হেয় করলে, এবং জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই;

১৯৩। হে আমাদের প্রভু! আমরা এক আহবানকারীকে সত্যের দিকে ডাকতে শুনেছি; তোমরা প্রভুর প্রতি বিশ্বাস করো। সুতরাং আমরা ঈমান এনেছি হে আমাদের প্রভু! তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করো, মন্দ কাজগুলো দূর করো, এবং সৎকর্মশীলদের মতো মৃত্যু দাও;

১৯৪। হে আমাদের রব! তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের যা দিতে ওয়াদা দিয়েছ তা আমাদের দাও এবং পরকালে অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করো না।

১৯৫। অতঃপর তাদের প্রভু তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষ অথবা নারীর কর্ম নষ্ট করি না, তোমরা পরস্পর সমান। সুতরাং যারা দেশত্যাগ করে মুহাজির হয়েছে, নিজ ঘর থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে,

আমার পথে অত্যাচারিত হয়েছে এবং জিহাদ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের মন্দ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদের বেহেশত প্রদান করব, যার তলদেশে ঝর্না প্রবাহিত। তা আল্লাহ্র দেয়া পুরস্কার, বস্তুত আল্লাহর কাছেই উত্তম পুরস্কার রয়েছে।

১৯৬। যারা অবিশ্বাস করে দেশে-বিদেশে অবাধে চলাচল করে বেড়ায়, তারা যেন তোমাকে ভ্রান্তিতে না ফেলে। ১৯৭। এ সামান্য ভোগ মাত্র, অতঃপর দোযখ তাদের বাসস্থান, আর তা কত নিকৃষ্ট স্থান।

১৯৮। কিন্তু যারা তাদের আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে বেহেশত যার নিচে ঝর্নাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে এ আল্লাহ্ তরফ থেকে আতিথেয়তা; আল্লাহ্ কাছে যা আছে তা সৎকর্মশীলদের জন্য উত্তম।

১৯৯। নিশ্চয় কিতাবধারীদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, এবং আল্লাহ্ আয়াত কম মূল্যে বিক্রয় করে না; এরাই তো সেই সকল লোক যাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে পুরস্কার বিদ্যমান।

নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। ২০০। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য অবলম্বন করো! ধৈর্য অবলম্বনে প্রতিযোগিতা করো এবং সব সময় প্রস্তুত থাক; আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে সফলকাম হতে পার। (সূরা আলে ইমরান: ১৯০-২০০)

তারপর এই বলে দোয়া করে- হে আমার মালিক! আমাকে ক্ষমা করো। তাকে তখন ক্ষমা করা হয়। বর্ণণাকারী বলেছেন, দোয়া করলে দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি সে যথাযথ ওযু করে নামায আদায় করে, তবে তার নামাজ কবুল হবে। (বোখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ ও ফতহুলবারী)

সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য এভাবে ইসদেথারাহ করুন রাসূল সবাইকে ইস্তেখারার দু’আ শিক্ষা দিতেন যেমন করে তিনি
কুরআনের আয়াত শিখাতেন।

সহীহ বুখারীতে হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম ইরশাদ করেন: তোমাদের কেউ যখন কোন কাজের ইরাদা করবে, তখন দু’রাকা’আত নফল নামায আদায় করে এই দু’আ পড়বে (দু’আ র প্রথম অংশ)

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَاسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَ لا أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ
الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هُذَا الْأَمْرَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্তাখীরুকা বি ইলমিকা ওয়া আস্তাক-দিরুকা বিকুদ্রাতিকা ওয়া আলুকা মিন ফাদলিকাল্ ‘আজীম ফাইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু ওয়া আন্তা ‘আল্লামুল গুইউব আল্লাহুম্মা ইনকুনতা তা’লামু আন্না হাযাল আমর।

এখানে নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে…. (দু’আর শেষ অংশ)

خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي وَعَاجِلِ أَمْرِي وَاجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرُهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هُذَا الْأَمْرَشَرٌّ فِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي وَعَاجِلِ أَمْرِي وَاجِلِهِ فَأَسْرِفُهُ عَنِّى وَاصْرِ فَنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ
أَرْضِنِي بِه .

উচ্চারণ : খাইরুল লী ফী দ্বীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া আ’-ক্বিবাতু আম্মী আও ‘আযিলি আমরী ওয়া আযিলিহী ফাকুদুরহু লী ওয়া ইয়াসিরহু লী সুম্মা বারিক লী ফীহি ওয়া ইনকুন্তা তা’লামু আন্না হাযাল্ আম্মা শারুল লী ফী দ্বীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া ‘আকিবাতি আস্ত্রী আও ‘আযিলি আমরী ওয়া আযিলিহী ফাস্স্রিষ্ণু ‘আনহু ওয়াদুর লীয়াল, খাইরা হাইসু কানা সুম্মাদিনী বিহ্।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার ইলমের বদৌলতে কল্যাণ চাচ্ছি এবং তোমার কুদরতের সাহায্যে শক্তি চাচ্ছি। আর তোমার কাছে তোমার মহান অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি; এ কারণে যে, তুমি শক্তিমান আর আমার কাছে শক্তি নেই; তুমি জ্ঞানবান আর আমার কাছে জ্ঞান নেই।

আর তুমি সমস্ত গোপন রহস্য অবহিত। হে আল্লাহ! যদি তোমার জ্ঞানমতে একাজটি দীন ও দুনিয়া এবং পরিণতির দৃষ্টিতে অথবা ইহজীবন ও পরজীবনে আমার জন্যে উত্তম হয়, তাহলে সেটিকে আমার জন্যে স্থির করে দাও, আমার জন্যে সহজ করে দাও এবং আমার জন্য বরকতময় করে দাও।

আর যদি তোমার জ্ঞান মতে কাজটি দীন ও দুনিয়া এবং পরিণতির দৃষ্টিতে অথবা ইহজীবন ও পরজীবনে আমার জন্যে মন্দ হয়, তাহলে সেটিকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখ এবং আমাকেও তা থেকে বিরত রাখ। আর আমার জন্যে যা কল্যাণ, তা স্থির করে দাও এবং তার উপর আমাকে সন্তুষ্ট ও স্থিরচিত্ত করে দাও। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)

কাপড় পরার সময় এই দোয়া পড়ুন
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هُذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّي وَلَا قُوَّةٍ

উচ্চারণ : আল-হামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী হাযাছ ছাওবা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুউয়াতা।

অর্থ: আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও শোকর আদায় করছি যে, তিনি আমার কোনই শক্তি সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে এ কাপড়ের ব্যবস্থা করেছেন ও পরিধান করিয়েছেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

নতুন কাপড় পরার সময় এই দোয়া পড়ুন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লুঙ্গি বা কাপড় পরিধান করতেন তখন পোশাকের নাম নিয়ে এ দু’আ পড়তেন।

اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ
لَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ، وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ .

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লাকাল ‘হামদু, আনতা কাসাওতানীহি। আসআলুকা মিন খাইরিহি ওয়া খাইরি মা সুনি’আ লাহ্, ওয়া আ’উযু বিকা মিন শাররিহী ওয়া শাররি মা স্বুনি’আ লাহ্।

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনারই সকল প্রশংসা। আপনি আমাকে এইটি পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি এর কল্যাণ এবং এর উৎপাদনের কল্যাণ। আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি এর অকল্যাণ এবং এর উৎপাদনের অকল্যাণ থেকে।
কিয়াম(আবু দাউদ, তিরমিযী)

পয়খানায় প্রবেশ করার সময় এই দোয়া পড়ুন
হযরত আনাস (রা.) বলেন রাসূলুল্লাহ পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে এই দু’আ পড়তেন-

بِسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ

উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি, আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আ’উযু বিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবা-ইসি।

অর্থ: “আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি- অপবিত্র, অকল্যাণ, খারাপ কর্ম থেকে বা পুরুষ ও নারী শয়তান থেকে।” (মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ-৫)

পয়খানায় থেকে বের হওয়ার সময় বলুন
ডান পা দিয়ে বের হওয়া। বাইরে এসে এই দু’আ পড়া:
غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَفَانِي

উচ্চারণ: গোফরানাকা আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আযহাবা আন্নিল আযা ওয়া আফানী।

অর্থ: হে আল্লাহ আপনারই নিকট ক্ষমা চাই। সব প্রশংসা ঐ মহান আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি আমা হতে নাপাকী বের করেছেন এবং আমাকে সুস্থ করেছেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পড়ুন
বাড়ির হতে বের হলেই শয়তান তার পিছনে লাগে। ঐ সাথে আল্লাহর অগণিত ফেরেশতাদের মধ্যে ফেরেশতারাও সাথী হয়। যদি সে ব্যক্তি নিম্নের দু’আটি পড়ে নেয়, তখন শয়তান সরে পড়ে এবং ফেরেশতারা তার সঙ্গী হন। বিসমিল্লাহ বলে দরজা খোলা। বাম পা দিযে ঘর থেকে বের হওয়া এবং বের হওয়ার সময় নিম্নের দু’আ পড়া। (তুহফাতুস সুনান)

بِسْمِ اللهِ ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ.

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহর নামে বের হচ্ছি। আল্লাহর উপরে আমার ভরসা। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ছাড়া কোন ভাল কাজ সম্পাদন করে কোন মন্দ কাজ পরিহার করার সামর্থ্য কারও নেই। এতে আল্লাহ পাক স্বয়ং তার জিম্মাদার হয়ে যাবেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

বাড়িতে প্রবেশ করার সময় এই দোয়া পড়ুন
যখন ঘরে প্রবেশ করবে তখন নিম্নের দু’আ পড়ে সালাম দিবে- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَالْجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللهِ رَبَّنَا تَوَكَّلْنَا .

উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা ইন্নী-আসআলুকা খায়রাল মাওলাজি ওয়া খায়রাল মাখরাজি, বিসমিল্লা-হি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লা-হি খারাজনা ওয়া আলাল্লাহি রাব্বানা-তাওয়াক্কালনা।”

অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ভিতরে প্রবেশ করার এবং বের হবার মঙ্গল কামনা করছি। আমি আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং তার নামেই বের হওয়া এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।(আবু দাউদ)

যাবতীয় গোনাহ মাফ চাওয়ার জন্য
এভাবে দোয়া করুন
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا
أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ .

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু, ওয়ামা- আখারতু ওয়ামা আসরারতু, ওয়ামা আ’লানতা ওয়ামা আসরাফতু, ওয়ামা আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী, আনতাল মুকাদ্দিমু, ওয়া আনতাল মু’আখখিরু লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি যেসব গোনাহ অতীতে করেছি এবং যা পরে করেছি এর সমস্তই তুমি ক্ষমা করে দাও, ক্ষমা করো সেই গোনাহসমূহ যা আমি গোপনে করেছি আর যা প্রকাশ্যে করেছি, ক্ষমা করো আমার সীমালঙ্ঘন জনিত গোনাহসমূহ এবং সেইসব গোনাহ যে গোনাহ সম্বন্ধে তুমি আমার থেকেও অধিক বেশি জানো।

তুমি যা চাও আগে কারো এবং তুমি যা চাও পরে কারো। আর তুমি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। (মুসলিম)

সঠিকভাবে আল্লাহর গোলামী করার জন্য এভাবে বলুন
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম একদা হযরত মুয়াজ (রাঃ)-এর হাত ধরে বললেনঃ হে মুয়াজ!

আল্লাহ্র কসম, আমি তোমায় ভালবাসি। তারপর বললেন: হে মুয়াজ! আমি তোমায় অসিয়ত করছি, প্রত্যেক নামাজের পর তুমি নিম্নোক্ত কালামসমূহ পড়:

اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكُرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ’ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিক।

অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার যিকর, শুক্র ও সুন্দর ইবাদাতের ব্যাপারে তুমি আমায় সহায়তা কর।

কৃপণতা, কাপুরুষতা ও বার্ধক্যের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার পড়বে সে সমস্ত মাখলুকের অনিষ্ট থেকে হিফাজতে থাকবে।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ البُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا.
وَعَذَابِ القَبْرِ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ’উযুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আ’উযুবিকা মিন আর যালিল ‘উমুরি, ওয়া আ’উযুবিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ওা ‘আযাবিল কাবরি।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পানাহ্ চাচ্ছি শেষ জীবনের বার্ধক্য থেকে যাতে ততদিন বাঁচি যতদিন মানুষের উপর বোঝা হয়ে না যাই, আরও আশ্রয় চাচ্ছি ভীরুতা ও কৃপণতা থেকে এবং দুনিয়ার ফিতনা এবং কবরের আযাব থেকে। (বুখারী)

জাহান্নাম থেকে এভাবে পানাহ চান হার
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَ أَسْتَجِيرُ بِكَ مِنَ النَّارِ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা জান্নাতা ওয়া আসতাজিরু বিকা মিনান নার।

খ. ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে চাই বেহেশত এবং আগুন থেকে তোমার কাছে পরিত্রাণ চাই’ (এ দু’আটি ৩ বার পড়া সুন্নাত)।
(তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

আল্লাহর নিকট এভাবে জান্নাত চান
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ .
الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاتِ وَالْأَرْضِ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي
اسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদা লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা-শারীকালাকাল মান্না-নু বাদীউস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি যুলজালালি ওয়াল ইকরামি ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়ূমু, ইন্নী আস্ আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আউ’যুবিকা মিনান্না-রি।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি এই ওসীলায় প্রার্থনা করি যে, সকল প্রশংসা তোমারই, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তুমি একক, তোমার কোন শরীক নেই। তুমিই দাতা, হে আকাশসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকারী। হে মাহাত্ম্য ও সম্মানের অধিকারী, হে চিরজীবী, চিরস্থায়ী। (আবূ দাউদ, তিরমিযী, রূহুল মাআনী: পারা ২৭, পৃ. ১১০)

হালাল জীবিকার জন্য এভাবে দোয়া করুন
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا – وَعَمَلًا مُتَقَبَّلاً .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আছআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়ারিজক্বান ত্বায়্যিবান ওয়াআমালান মুতাক্বাব্বালান।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি উপকারী ইলম ও প্রশস্ত রিযিক এবং সবধরনের রোগ-ব্যধি থেকে। (আলমগীরী)

দেহে কোথাও ব্যথা হলে এই দোয়া পড়ুন
নবী করীম বলেন, তোমার দেহের যে স্থানে তুমি ব্যথা অনুভব করছো সেখানে তোমার হাত রেখে তারপর তিনবার বিসমিল্লাহ বলো এবং সাতবার নিম্নের দোয়া পড়ো-

أَعُوذُ بِا اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَاحَاذِزُ .
উচ্চারণ : আউযু বিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া আহাযিযু।

অর্থ: যে ক্ষতি আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি তা থেকে আমি আল্লাহর মর্যাদা ও তাঁর কুদরতের মাধ্যমে তার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)

সারাদিন প্রশান্তির সাথে কাটানোর দোয়া
أَصْبَحْنَل وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ – لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْتَلْكَ خَيْرَ مَا فِي هُذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ
مَا بَعْدَهُ – رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكَسَلِ – وَسُوءِ الْكَبْرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ
عَذَابِ فِي النَّارِ وَعَذَابِ فِي الْقَبْرِ.

উচ্চারণ : আসবাহনা ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহী ওয়াল হামদু লিল্লাহী লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর।

রাব্বি আসআলুকা খাইরা মা ফী হাযাল ইয়াওমি ওয়া শাররি মা বা’দাহু আউযুবিকা মিন শাররি মা ফী হাযাল ইয়ামা ওয়া শাররি মা বা’দাহু। রাব্বি আউযুবিকা মিন কাসলি, ওয়া সুইল কিবারি, রাব্বি আউযুবিকা মিন ‘আযাবিন ফিন নারি ওয়া আযাবিন ফিল ক্বাবরি।

অর্থ: আমরা এবং জগত আল্লাহর ইবাদাত ও আনুগত্যের জন্য সকালে উপনীত হয়েছি, আর সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতিত কোনো মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। তাঁরই রাজত্ব, তারই প্রশংসা তিনি সব জিনিসের উপর শক্তিবান।
হে আমার রব! এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু মঙ্গল নিহিত আছে আমি তোমার কাছে তার প্রার্থনা করছি। আর এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অমঙ্গল নিহিত আছে তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।

হে আমার মালিক! আলস্য এবং বার্ধক্যের কষ্ট থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ! জাহান্নামের আযাব থেকে এবং কবরের আযাব থেকে তোমার আশ্রয় কামনা করি। (মুসলিম, মিশকাত)

اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَكُوتُ وَإِلَيْكَ
النُّشُورُ.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা ওয়া বিকা আমসাইনা ওয়া বিকা নাহইয়া ওয়া বিকা নামতু ওয়া ইলাইকান নুশুর।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমরই অনুগ্রহে প্রত্যুষে উপনীত হই এবং তোমারই অনুগ্রহে সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার মর্জিতে আমরা জীবিত রয়েছে। তোমারই ইচ্ছায় আমরা মৃত্যুবরণ করবো, আর তোমারই দিকে কিয়ামত দিবসে উত্থিত হয়ে সমবেত হবো।

যাবতীয় কল্যাণ চেয়ে এভাবে দোয়া করুন
اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ، وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ، أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي اللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ. وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى، وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لَا يَنْفَدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ، وَأَسْأَلُكَ الرِّضَاءَ بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ، وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اللَّهُمَّ زَيِّنَا بِزِينَةِ الْإِيمَانِ، وَاجْعَلْنَا
هُدَاةً مُهْتَدِينَ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিই’লমিকাল গাইবা ওয়া কুদরাতিকা ‘আলাল খালক্বি আহয়িনী মা ‘আলিমতাল হা ইয়াতা খাইলাল্লী ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা ‘আলিমতাল ওয়াফাতা খাইরাল্লী। আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা খাশইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ শাহাদাহ।

ওয়া আস’আলুকা কালিমাতাল হাক্বক্বি ফির রিদ্বা ওয়াল গাদ্বাব, ওয়া আস’আলুকা ক্বাসদা ফিল গিনাই ওয়া ফাকরি। ওয়া আসআলুকা না’ঈমান লা ইয়ানফাদু, ওয়া আস’আলুকা কুররাতা ‘আইনিন লা তানকাতিউ,

ওয়া আস’আলুকা রাদ্বা বা’দাল কাদ্বায়ি ওয়া আস’আলুকা বারদাল আইশি বাদাল মাউতি ওয়া আস’আলুকা লাযযাতাল নাযরি ইলা ওয়াজকিা ওয়াশ শাওক্বা ইলা লিক্বা ইকা ফীগাইরি দ্বাররা’আ মুদ্বিররাতিন ওয়ালা ফিতনাতিম মুদ্বিল্লাহ। আল্লাহুম্মা যাইয়্যান্না বিযীনাতিল ঈমানি ওয়াজ ‘আলনা হুদাতাম মুহতাদীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি প্রার্থনা জানাচ্ছি তোমার জ্ঞান এবং সকল সৃষ্টির ওপর তোমার সার্বভৌম ক্ষমতার মাধ্যমে, আমাকে তুমি জীবিত রাখো ততোদিন পর্যন্ত যতোদিন তুমি জনো যে, আমার জীবিত থাকা আমার জন্য শ্রেয় এবং আমাকে তুমি মৃত্যু দাও সেই সময় যখন তুমি জানো যে, মৃত্যু আমার জন্য শ্রেয়।

হে আমার মালিক! আমি তোমার কাছে চাই আমার হৃদয়ে তোমার ভয়- ভীতি গোপনে লোক চক্ষুর অগোচরে এবং প্রকাশ্যে। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফীক, খুশির সময়ে এবং ক্রোধের অবস্থাতে,

আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি মধ্যপথ গ্রহণের দরিদ্রে এবং ঐশ্বর্যে, আমি তোমার কাছে এমন বস্তু চাই যা নয়নাভিরাম যা কখনও আমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। আমি তোমার কাছে চাই তকদীরের প্রতি সন্তোষ। আমি তোমার কাছে চাই মৃত্যুর পর সুখ-সমৃদ্ধ জীবন।

আমি তোমার কাছে কামনা করি তোমার পতি দৃষ্টিপাতের মাধুর্য, আমি কামনা করি তোমার সাথে সাক্ষাত লাভের আগ্রহ ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোনো অনিষ্ট, আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোনো ফিৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে।

হে আমার মালিক! তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা সজ্জিত করো এবং আমাদেরকে তুমি করো পথপ্রদর্থক এবং হিদায়েতের পথিক। (নাসায়ী, আহমদ)

দুষ্ট জ্বীনের প্রভাব দূর করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন
কোনো ব্যক্তির ওপর জ্বিন প্রভাব বিস্তার করলে তাকে সামনে বসিয়ে পবিত্র কোরআনের নিম্নলিখিত আয়াত ও সূরাসমূহ তিলাওয়াত করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ জ্বিনের প্রভাব দূর হয়ে যাবে।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعُلَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مُلِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ { غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا
الضَّالِّينَ

উচ্চারণ: আল্ হাম্দু লিল্লা-হি রব্বিল্’আ-লামিন্। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়‍্যা-কানা’বুদু ওয়া ইয়‍্যাকা নাস্তাঈ’ন। ইহদিনাহ্ ছিরা-ত্বোয়াল্ মুস্তাকীম। ছিরা-ত্বোয়াল্ লাযীনা আন্ ‘আমতা ‘আলাইহিম্ গাইরিল মাগ্দূবি ‘আলাইহিম্। ওয়া লাদ্বোয়াল্লীন্। আ-মীন

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা বিশ্বরব আল্লাহ্ তায়ালারই জন্য। যিনি পরম করুণাময় ও দয়ালু। যিনি শেষ বিচারের দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই দাসত্ব করি এবং তোমারই সাহায্য কামনা করি। আমাদেরকে সর্বদা সরল সঠিক পথে পরিচালিত কর। তাঁদের পথে, যাদেরকে তুমি পুরস্কৃত করেছ। তাদের পথে নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথ ভ্রষ্ট।

ফযিলত ও বৈশিষ্ট্য: সূরা আল-ফাতিহা কোরআন শরীফের একটি বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরা দ্বারাই পবিত্র কোরআন আরম্ভ হয়েছে এবং এই সূরা দিয়েই মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত নামায আরম্ভ করতে হয়। আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে সূরা ফতিহাকে নাযিল করেছেন।

সূরা আ’লা, মুজাম্মিল ও সূরা মুদ্দাছছিরের কয়েকটি আয়াত অবশ্য এর আগে নাযিল হয়। যে সব সাহাবী (রাঃ) সূরা আল-ফাতিহা সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের সে বক্তব্যের অর্থ বোধ হয় এই, পরিপূর্ণ সূরা হিসাবে সূরা ফাতিহার পূর্বে আর কোন সূরা নাযিল হয় নাই।

এই জন্যেই এই সূরার নাম ফাতিহাতুল কিতাব বা কোরআনের ভূমিকা বলা হয়েছে। সূরা ফাতিহা সমস্ত কোরআনের সারসংক্ষেপ। এ সূরায় সমস্ত কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্ত করে বলা হয়েছে। কোরআনের অবশিষ্ট সূরাগুলো প্রকৃতপক্ষে সূরা ফাতিহার বিস্তৃত ব্যাখ্যা।

কারণ সমস্ত কোরআন প্রধানতঃ ঈমান এবং নেক আমলের আলোচনাতেই কেন্দ্রীভূত। আর এ দুটি মূলনীতিই এই সূরায় সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হয়েছে। সহীহ হাদীস সমূহে এই সূরাকে উম্মুল কোরআন, উম্মুল কিতাব, কোরআনে আযীম বলে অভিহিত করা হয়েছে।

যে কোরআন তেলাওয়াত করবে তার জন্যে এই মর্মে নির্দেশ জারী করা হয়েছে যে, সে যেন প্রথমে পূর্বঘোষিত যাবতীয় ধ্যানধারণা অন্তর থেকে দূরীভূত করে একমাত্র সত্য ও সঠিক পথের সন্ধানের উদ্দেশ্যে এই কিতাব তেলাওয়াত আরম্ভ করে এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে যে, তিনি যেন তাকে সিরাতুল মুস্তাক্কিমের হেদায়াত দান করেন।

سبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
(আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি যিনি পরম করুণাময় মহান দয়ালু)

হিসনে হাসীন বা দোয়ার ভাণ্ডার
ذلِكَ الْكِتَبُ لَا رَيْبَ فِيْهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ – الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلوةَ وَ مِمَّا رَزَقْتُهُمْ يُنْفِقُونَ – وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَ بِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ – أُولَبِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَّبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ .

উচ্চারণ: আলিফ লা্-ম মী ম্। যা-লিকাল কিতা-বু লা-রাইবা ফীহ্; হুদাল্ লিলমুত্তাক্বীন। আল্লাযীনা ইয়ু’মিনূনা বিল্ গাইবি অ ইয়ুক্বীমূনাছ ছোয়ালা- তা অমিম্মা-রাযাক্ব না-হুম ইয়ুনফিক্বন্।

অল্লাযীনা ইয়ু’মিনূনা বিমা-উনযিলা ইলাইকা অমা-উনযিলা মিন্ ক্বাবলিকা অবিল্ আ-খিরাতি হুম্ ইয়ূক্বিনূন্। উলা- ইকা আ’লা-হুদাম্ মির্ রাব্বিহিম অ উলা- ইকা হুমুল মুফ্লিহুন।

অর্থ: এ সেই কিতাব, যা সন্দেহের অতীত। সে সকল মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক, যারা অদৃশ্যে আস্থাশীল, সালাত কায়েম করে, যে জীবিকা আমি দিয়েছি তা’ থেকে তারা ব্যয় করে; এবং তোমার প্রতি ও তোমার পূর্বে নাযিলকৃত (কিতাবে) যারা ঈমান আনে আর আখিরাতে যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখে। এরাই তাদের রবের নির্দেশিত পথে; এরাই সফলকাম। (সূরা বাক্বারা: ২-৫)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি যিনি পরম করুণাময় মহান দয়ালু)
وَالَهُكُمْ إِلَهُ وَاحِدٌ لا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ : ওয়া ইলা-হুকুম্ ইলা-হুওঁ ওয়া-হ্বিদুন, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়ার রাহ্বমা-নুর রাহ্বীম্।

অর্থ: আর তোমাদের আল্লাহ্ এক, তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি করুণাময়, পরম দয়ালু।
(সূরা বাক্বারা: ১৬৩)

اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَ لا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَواتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَالَّذِي
يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ – يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ – وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَا يَؤُدُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ: আয়ুযুবিল্লা হিমিনাশ শাইত্বানির রাজিম। আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম। লা তা’খুযুহু সিনাতাওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মাফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মাফিল আরদ্বি, মান যাল্লাযি ইয়াশ্ ফাউ’ ই’নদাহু ইল্লা বিইযনিহি।

ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম। ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ই’লমিহি ইল্লা বিমা শাআ। ওয়া সিআ’ কুরসিই ইউহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফ যুহুমা ওয়া হুওয়াল আ’লিই উল আ’যিম।

অর্থ: মহান আল্লাহ তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ইলাহ নাই। তিনি চিরজীব পরাক্রমশালী সত্ত্বা। ঘুম তো দূরের কথা সামান্য তন্দ্রাও তাকে আচ্ছন্ন করে না, আকাশসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তার সব কিছুরই একচ্ছত্র মালিকানা তাঁর।

কে এমন আছে যে তাঁর দরবারে বিনা অনুমতিতে কিছু সুপারিশ পেশ করবে? তাদের বর্তমান ভবিষ্যতের সব কিছুই তিনি জানেন, তাঁর জানা বিষয়সমূহের কোনো কিছুই তাঁর সৃষ্টির কারো জ্ঞানের সীমা পরিসীমার আয়ত্বাধীন হতে পারে না,

তবে কিছু জ্ঞান যদি তিনি কাউকে দান করে থাকেন তবে তা ভিন্ন কথা, তার বিশাল ক্ষমতা আসমান যমীনের সব কিছুই পরিবেষ্টন করে আছে। এ উভয়টির হেফাযত করার কাজ কখনো তাকে পরিশ্রান্ত করে না তিনি পরাক্রমশালী ও অসীম মর্যাদাবান। (সূরা বাকারা-২৫৫)

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

বিস্মিল্লাহির রাহমানর রাহীম
للهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا
مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللهِ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ – آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ – كُلُّ آمَنَ بِاللهِ وَمَلَئِكَتِهِ وَكُتُبه د مِّنْ رُّسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَرُسُلِهِ لا نُفَرِّقُ بَيْنَ أحَدٍ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ – لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا – رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا ما لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ – وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا – أَنْتَ مَوْلُنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ: লিল্লাহি মাফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মাফিল আরদ্। ওয়া ইনতুব্‌দু মাফি আনফুসিকুম আও তুখফুহু ইউহাসিব কুম বিহিল্লাহ্। ফাইয়াগ্ ফিরু লিমাই ইয়াশাউ, ওয়া ইউআ’যযিবু মাই ইয়াশাউ। ওয়াল্লাহু আ’লা কুল্লি শাইইন কাদির।

আমানার রাসূলু বিমা উন্‌যিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনুন, কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়ামালা ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ্। লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ। ওয়া ক্বালূ সামি’না ওয়াআত্বা’না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

লা-ইয়ূকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস্’আহা লাহামা কাসাবাত ওয়া’আলাইহা মাক্কাসাবাত, রাব্বানা লাতু আখিযনা ইন্নাসীনা আউ আকত্বা’না, রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা, রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মালাত্বাক্বাতা লানাবিহী, ওয়া’ফু ‘আন্না, ওয়াগফির লানা ওয়ার হামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কা’ফিরীন।

অর্থ: আকাশ ও পৃথিবীর যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর জন্যে, তোমরা তোমাদের ভেতরকার সব কথা বলো আর না বলো- আল্লাহ একদিন তোমাদের কাছ থেকে এর পুরোপুরি হিসাব গ্রহণ করবেন। এরপর তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে মাফ করে দেবেন আবার যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি শাস্তি দেবেন।

আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর রাসূল সেই বিষয়ের ওপর ঈমান এনেছে, যা তার ওপর তার মালিকের পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে, আর যারা সে রসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে- তারাও সেই একই বিষয়ের ওপর ঈমান এনেছে।

এরা সবাই ঈমান এনেছে আল্লাহর ওপর, তার ফেরেস্তাদের ওপর, তার কিতাবের ওপর, তার রাসূলদের ওপর। আমরা তার পাঠানো নবী রাসূলদের মাঝে কোনো রকম পার্থক্য করি না, আমরা তো আল্লাহর নির্দেশ শুনেছি এবং জীবনে তা মেনেও নিয়েছি।

হে আমাদের মালিক, আমরা তোমার ক্ষমা চাই, আমরা জানি আমাদের একদিন তোমার কাছেই ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ কখনো কোনো প্রাণীর ওপর তার শক্তি সামর্থের বাইরে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না-

সে ব্যক্তির জন্যে ততোটুকুই বিনিময় রয়েছে যতোটুকু সে এ দুনিয়ায় সম্পন্ন করবে, আবার পাপ কাজের শাস্তিও তার ওপর ততোটুকু পড়বে, যতোটুকু পরিমাণ সে এই দুনিয়ায় করে আসবে। অতএব, হে মুমিন ব্যক্তিরা! তোমরা এই বলে দোয়া করে, হে আমাদের মালিক!

যদি আমরা কিছু ভুলে যাই, কোথাও যদি আমরা কোনো ভুল করে বসি, তার জন্যে তুমি আমাদের পাকড়াও করো না, হে আমাদের মালিক, আমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ওপর যে ধরনের বোঝা তুমি চাপিয়েছিলে, তা আমাদের ওপর চাপিয়ো না, হে আমাদের মালিক!

যে বোঝা বইবার সামর্থ আমাদের নেই, তা তুমি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না, তুমি আমাদের ওপর মেহেরবানী করো, তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের ওপর তুমি দয়া করো, তুমিই আমাদের একমাত্র আশ্রয়দাতা বন্ধু, অতএব কাফেরদের মোকাবেলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিস্মিল্লাহির রাহমানর রাহীম
شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لا إِلهَ إِلا هُوَ وَالْمَلِئِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بالقسط لا اله الا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيم

উচ্চারণ: শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু। ওয়াল মালায়িকাতু ওয়া উলুল ইলমি ক্বায়িমা বিলক্বিস্ত্বি লা-ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল আযীযুল হাক্বীম।

অর্থ: মহান আল্লাহ সাক্ষ্য প্রদান করছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই। ফেরেস্তাগণ এবং ন্যায়-নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য প্রদান করেছেন যে, তিনি ব্যতীত আর কোনো পালনকর্তা নেই, তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিস্মিল্লাহির রাহমানর রাহীম

إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّة أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي الَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتِ بِأَمْرِهِ رَبُّ الْعَالَمِينَ الا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ – تَبرَكَ اللهُ

উচ্চারণ: ইন্না রাব্বা কুমুল্লাহুল্লাযি খালাক্বাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ফি সিত্তাতি আইয়াম। সুম্মাস্ তাওয়া আ’লাল আ’রশি ইউগশিল লাইলান্ নাহারা ইয়াত্ব লুবুহু হাছিছাঁও ওয়াশ্ শাম্সা ওয়াল ক্বামারা ওয়ান্ নুজুমা মুসাখ্ খারাতি বিআমরিহ্। আলা লাহুল খাল্কু ওয়াল আমরু। তাবারাকাল্লাহু রাব্বুল আ’লামিন।

অর্থ: বস্তুত তোমাদের পালনকর্তা সেই আল্লাহ, যিনি আকাশ ও যমীনকে ছয়টি স্তরে সৃষ্টি করেছেন, এরপর স্বীয় সিংহাসনের ওপর আসীন হন, যিনি রাতকে দিনের ওপর বিস্তার করে দেন, এরপর দিন রাতের পেছনে দৌড়াতে থাকে।

যিনি চন্দ্র-সূর্য ও তারকাসমূহ সৃষ্টি করেছেন, সবই তাঁর বিধানের অধীনে বন্দী, সাবধান! সৃষ্টি তাঁরই এবং সার্বভৌমত্বও তাঁরই অপরিসীম বরকতপূর্ণ, আল্লাহ সমগ্র জাহানের মালিক ও লালন-পালনকারী। (সূরা আল আ’রাফ-৫৪-৫৫)

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিস্মিল্লাহির রাহমানর রাহীম

ن فَتَعَالَى اللهُ الملكُ الْحَقُّ – لا اله الا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلهَ آخَرَ لَأَبُرْهَانُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّه لا يُفْلِحُ له به فَإِنَّمَا حِسابه ن الْكَافِرُونَ وَقُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرٌ
الرَّحِمِينَ

উচ্চারণ: ফাতায়ালাল্লাহুল মালিকুল হাক্কু, লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারীম। ওয়া মাই ইয়াদউ মায়াল্লাহি ইলাহান আখারা-লা বুরহানা লাহু বিহী ফাইন্নামা হিসাবুহু ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহু লা-ইউফলিহুল কাফিরুন। ওয়া কুর রাব্বিগ্ ফির ওয়ারহাম্ ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

অর্থ: অতএব মহিমাময় মহান আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের মালিক।

যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য কেনো উপাস্যকে ডাকে, তার নিকট যার সনদ নেই, তার হিসেব তদার পালনকর্তার নিকট আছে। নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হবে না। হে নবী, আপনি বলুন! হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা করুন ও রহমত করুন এবং রহমতকারীদের মধ্যে আপনি শ্রেষ্ঠ রহমতকারী।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিস্মিল্লাহির রাহমানর রাহীম

والصفت صفا – فالزاجرات زَجْراً فَالتَّليت ذِكْرًا إِنَّ الهُكُمْ لَوَاحِدٌ – رَبِّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا
بَيْنَهُمْ وَرَبُّ الْمَشْرِقِ إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةِ الكواكب وحفظا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ – لَا يَسْمَعُونَ إِلَى الْمَلَا الْأَعْلَى وَيُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِب – دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَأَصِبٌ إِلا مَنْ خَطَفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمْ مَنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَهُمْ مِّنْ طِينٍ
لأزب

উচ্চারণ : ওয়াস্ সাফ্ফাতি সাফফা। ফাযযাজিরাতি যাজরা। ফাত্তালিইয়াতি যিকরা। ইন্নাল মাশরিক। ইন্না যাই-ইয়ান্নাস্ সামাআদ্‌ দুনইয়া বিযনিতিল কাওয়াকিব। ওয়া হিফযাম্ মিন কুল্লি শাইত্বানিম মারিদ।

আল ইয়াস্ সাম্মাউ’না ইলাল মালাল আ’লা ওয়া ইউফ্ যাফুনা মিন কুল্লি জানিব। দুহুরাওঁ ওয়া লাহুম আ’যাবুওঁ ওয়াসিব। ইল্লা মিন খাত্বিফাল খাত্বফাতা ফাআত্ বাআ’হু শিহাবুন ছাকিব। ফাস্ তাফতিহিম আহুম আশাদ্দুন খালকান আম মান খালাকনা। ইন্না খালাকনা হুম মিন ত্বিনিল লাযিব।

অর্থ: শপথ সারিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরেস্তাদের, সজোরে ধমক দেয় যেসব ফেরেশতাদের, শপথ সদা আল্লাহর যিকিরের তিলাওয়াতকারী ফেরেশতাদের, অবশ্যই তোমাদের ইলাহ্ হচ্ছেন একজন।

তিনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝখানে অবস্থিত সবকিছুরও মালিক, তিনি আরো মালিক সূর্যোদয়ের স্থান পূর্বাচলের, আমি তোমাদের নিকটবর্তী আসমানকে নয়নাভিরাম নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুসজ্জিত করে রেখেছি, তাকে আমি হেফাযত করেছি প্রত্যেক না-ফরমান শয়তান থেকে, ফলে তারা ঊর্ধজগতের কথাবার্তার কিছুই শুনতে পায় না,

কিছু শুনতে চাইলেই প্রত্যেক দিক থেকে তাদের ওপর উল্কা নিক্ষিপ্ত হয়, এই তাড়িয়ে দেয়াই শেষ নয়- তাদের জন্যে অবিরাম শাস্তিও রয়েছে, তা সত্ত্বেও যদি কোনো শয়তান গোপনে হঠাৎ করে কিছু শুনে ফেলতে চায়, তখন জ্বলন্ত উল্কা-পিন্ড সাথে সাথেই তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

হে নবী! তুমি এদের কাছে জিজ্ঞাসা করো, তাদেরকে সৃষ্টি করা বেশী কঠিন- না আসমান যমীনসহ অন্যসব কিছু- যা আমি পয়দা করেছি তার সৃষ্টি বেশী কঠিন! এই মানুষদের তো আমি সামান্য কতোটুকু আঠাল মাঠি দিয়ে পয়দা করেছি।

Read More: নেক আমল বই

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top