দোয়ার ভান্ডার বই | বিশ্বনবী (সঃ)_এর দোয়ার ভান্ডার পার্ট 2

বিশ্বনবী (সঃ)_এর দোয়ার ভান্ডার – দোয়ার ভান্ডার বই

দোয়ার ভান্ডার বই

দোয়ার ভান্ডার বই

ঘুম কম হলে করণীয়
إِنَّ اللَّهَ وَمَلْئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا .

উচ্চারণ: ইন্নাল্লাহা ওয়ামালা ইকাতাহু ইউছাল্লূনা ‘আলান্নাবিয়্যি ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানু ছাল্লু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লিমূ তাসলীমান।

এ ছাড়া আরও উল্লেখ আছে যে, যদি ঘুম না আসে তাহলে শোয়া অবস্থায় মনে মনে يَاحَيُّ يَا قَيُّومُ )ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু) পড়তে থাকবে। (গানজিনায়ে আসরার)

নিয়ম: যদি কোন লোকের ঘুম কম হয় তাহলে সে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে বেশি বেশি করে মাথায় তেল ব্যবহার করবে। আর তা না হলে উল্লেখিত আয়াতে কারীমাটি এগারবার করে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সহজেই ঘুম আসবে।

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার দোয়া
নিয়ম: নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হবার ইচ্ছা করলে ঘুমানোর আগে তিনবার করে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করবে এবং মনে মনে আল্লাহ্ নিকট দোয়া মুনাজাত করে সময়ের কথা স্মরণ করে ঘুমিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্ যথাসময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে যাবে।

اللَّهُمَّ لأَتُو مِنَّا مَتْرَكَ وَلَا تُنْسِنَا ذِكْرَكَ وَلَا تَهْتِكَ عَنَّا سِتْرَكَ وَلَا تَجْعَلْنَا مِنَ الْغَافِلِينَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তু’মিন্না মাকরাকা ওয়ালা তুনসিনা যিকরাকা ওয়ালা তাহতিকা ‘আন্না সিতরাকা ওয়ালা তাজ’আলনা মিনাল গাফিলীনা।

মোরগের ডাক শুনে পড়ার দোয়া
اسْئَلُ اللهَ مِنْ فَضْلِهِ .

উচ্চারণ: আসআলুল্লাহা মিন ফাদ্বলিহী।
ফযীলতঃ মোরগের ডাক শুনলে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করা উচিত।

কুকুরের কান্না শুনে পড়ার দোয়া
اعُوْذُبِاللَّهِ مَنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ .

উচ্চারণ: আ’উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।
ফযীলতঃ গাধা বা কুকুরের কান্না শুনলে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করবে।

কোরআনের শরীফের সূরাসমূহের আমল ও ফযিলত

বিস্মিল্লাহর ফযিলত

বর্ণনা করা আছে যে, যখন বিস্মিল্লাহ নাযিল হল তখন এর ভয়ে পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, যেই ব্যক্তি দোযখের দায়িত্বশীল উনিশজন ফেরেশতাগণের আযাব হতে নাজাত চায়, সে যেন বিস্মিল্লাহ পাঠ করে।

কারণ বিসমিল্লাহ্ এর মাঝে উনিশটি হরফ আছে, এই উনিশটি হরফের বিনিময়ে একজন করে ফেরেশতার আযাব হতে মুক্তি পাবে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, বিসমিল্লাহ যখন হযরত আদম (আঃ)-এর উপর নাযিল হয়েছিল, তখন আকাশের সম্পূর্ণ মেঘ পূর্ব দিকে চলে যায় এবং ঝড় হওয়া থেমে যায়।

আর নদীর স্রোত বন্ধ হয়ে যায়, পশু বাধ্যগত হয়, শয়তানকে আসমান হতে বাহির করিয়া দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন, “আমার সম্মান ও মর্যাদার- কস্ম, যে ব্যক্তি একনিষ্ঠ মনে যে কোন রকমের অসুখে আমার নাম নিবে আমি তাকে বরকত দান করিব”।

উলামাগণ বলেছেন যে, যে-কোন সমস্যায় পড়লে দৈনিক ৭৮৬ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করলে সমস্যা কেটে যাবে এবং মনের আশা-আকাঙক্ষাপূর্ণ হবে। ফজরের নামাযের পর যে ব্যক্তি যে-কোন সৎ উদ্দেশ্যে ১,৫০০ বার বিসমিল্লাহ্ পাঠ করলে তার সেই সৎ উদ্দেশ্য সফল হবে।

রুযি বৃদ্ধির জন্য ফজরের নামাযের পরে নদীর কিনারাতে বসে ১২,০০০ বার ও মাগরিব নামাযের পরে ১২,০০০ বার বিস্মিল্লাহ পাঠ করবে। এই আমলের আগে গোশত খাওয়া পরিত্যাগ করা জরুরী। বৃহস্পতিবার রোযা রেখে খোরমা দ্বারা ইফতার করবে।

এরপর মাগরিব নামাযের পরে ১২১ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। অতঃপর ইশার নামাযের পর রোযার নিয়্যতে নিদ্রা যাবে, এর ফলে শাসকের সন্তোষ লাভ, সম্পদ বৃদ্ধি, পদ মর্যাদা লাভ হবে।

সকাল হয়ে গেলে অর্থাৎ শুক্রবারের ফজরের নামাযের পরে ১২১ বার বিস্মিল্লাহ পড়িবে। জাফরান গোলাপ পানি আম্বর দিয়ে নিচের নিয়মে বিসমিল্লাহ লিখবে।

المحب س م ال ه ا ل ر ح م ا ن ا ل ر ح ی من
এই আমল যেই পুরুষ বা মহিলা করবে, সেই ব্যক্তি মানুষের দৃষ্টিতে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে এবং সকলের অন্তরে তার প্রতি সম্মান জাগিবে। আলেমগণ বলেছেন ১০১ বার বিসমিল্লাহ লিখে ফসলের ক্ষেত বা বাগানে পুতে রাখলে সেই ক্ষেত বা বাগান সবুজ শ্যামল থাকিবে এবং প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদিত হবে।

কাগজে যদি الرحمن নামটি ৫০০ বার লিখে ১৫০ বার বিসমিল্লাহ পড়ে তাতে ফুক দেয়, এরপর তা নিজের নিকটে রাখে, তাহলে মানুষের নিকট সম্মানিত হবে আর এই কারণে শাসক তাকে পূর্ণ মর্যাদা দিবেন। যে-কোন ধরনের বিপদাপদ হতে নিরাপদ থাকিবে।

যেই ব্যক্তি এই الرحيم নামটি কাগজে ১৯০ বার লিখে তাহার সাথে রাখবে, যদি সে কিছুটা সতর্ক থাকে তাহলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে গুলি ও তলোয়ারে আঘাত হতে নিরাপদ থাকবে।

কোন জালিম শাসকের সামনে ৫০ বার বিস্মিল্লাহ পড়ে শাসকের উপর ফুঁক দিলে জালিম নরম দিল হবে, তার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাকে সম্মান করবে।

কোন জালিম শাসকের নিকটে যাওয়ার আগে কলমের কালি দিয়ে নিজের কপালে বিসমিল্লাহ লিখিলে শাসক তার সঙ্গে খুব সম্মানের ব্যবহার করবে।

সূরা ফাতিহার আমল ও ফযিলত
সূরা ফাতিহার খুবই ফযিলত ও মর্যাদা রহিয়াছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, “যে সূরা ফাতিহাসহ, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস নিদ্রা যাইবার আগে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির মৃত্যু ব্যতীত সাধারণ বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকিবে”। তিনি অন্যত্র আরও বলেছে যে, “উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) সব ধরনের ব্যথা ও রোগের শেফা স্বরূপ”। আর আলেমগণ বলেছেন যে যদি কেউ অসুস্থ্য তাহলে সেই অসুস্থ্য ব্যক্তির গায়ে হাত রাখিয়া সূরা ফাতিহা ১ বার এবং নীম্নের দোয়াটি ৭ বার পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ্ মেহেরবানীতে খুব তাড়াতাড়ি সেই ব্যক্তি সুস্থ্য হবে। দোয়াটি হল এইঃ

اللهم اذهب مني سوء ها اجـد وفـحـشــه بـدعـوة
المليك المبارك كلمين عندك .

যখনই কোন সমস্যা দেখা দিবে তখন গোসল করবে। এরপর পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি মাখিবে। জায়নামাযে বসিয়া আয়াতুল কুরসি, আমানার রসুলু এবং তিনবার করে চার কুল সূরা পড়ে নিজের শরীরে ফুক দিবে। এরপর নীচে উল্লেখিত নিয়মে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।

রবিবার بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب fala العالمين ৫৮২ বার,
সোমবার حان الرحمن الرحيم C ৬১৮ বার,
মঙ্গলবার يوم الدين 11 مالك ২৪২ বার,
বুধবার اياك نعبد واياك نستعين ২৩৬ বার,
বৃহস্পতিবার اهدنا الصراط المستقين ১০৭৩ বার,
শুক্রবার ٢٥٩ صراط الذين انـعـمـت عـل৮৭ বার,
শনিবার غير المغضوب عليهم ولا الضالين ১৩০৪ বার,

এই ৭ দিনের মধ্যেই মনের উদ্দেশ্য সফলতা লাভ করবে।

সূরা ফাতিহার দ্বারা কোন ব্যক্তিকে বশীভূত করার পদ্ধতি হল:
নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামের অক্ষর সমূহের সঙ্গে অগ্নিজ অক্ষরগুলিকে মিশ্রিত করবে। অগ্নিজ অক্ষরগুলি হল شد। اطف মিশ্রিত করার পদ্ধতি হল একটি অগ্নিজ অক্ষর নিবে, আর নামের একটি অক্ষর নিবে।

এইভাবে প্রত্যেকটি হতে একটি করে অক্ষর নিতে থাকিবে। কিন্তু শর্ত থাকে যে, প্রথম ও শেষে অগ্নিজ অক্ষর হতে হবে। এক রকমের অক্ষরগুলি ২১টি কাগজের টুকরায় লিখে প্রতিটি টুকরায় সঙ্গে ১টি করে পাথরের টুকরা বেঁধে অল্প কিছু আসপন্দে ভিজিয়ে রেখে টুকরাগুলিকে আগুনে ফেলে দিবে।

এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করতে থাকবে। ধোঁয়া যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ না হবে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত সূরা ফাতিহা পাঠ করিতে থাকবে। এরপর নীচে উল্লেখিত শব্দগুলো পড়বে।

توكلوا ياخذام الاحرف النارية بقضائ حاجتي من فلان والقاء محبتى وموداتي ومحبة
فلان في قلبه بحق ماتلوته عليكم . হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলিয়াছে, যেই ব্যক্তি নিদ্রা যাবার সময় সূরা ফাতিহা আয়াতুল কুরসী
ان ربكم الله المحسنين ,পর্যন্ত পড়বে, সূরা ইখলাস, মুয়াবেযাতাইনী (ফালাক, নাস) পাঠ করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার জন্য দু’জন ফেরেশতাকে এই কথা বলে নিযুক্ত করান যে, আমার এই বান্দাকে সারারাত হেফাযত করবে। যদি সে রাতে সেই লোক মারা যায় তাহলে তাকে ক্ষমা করিয়া দেওয়া হয়।

সূরা বাকারাহর ফযিলত

সূরা বাকারাহ প্রতিদিন ৭ বার পাঠ করলে পাগলামী, মৃগী, কুষ্ঠরোগ ও জ্বীন-ভূতের প্রভাব প্রভৃতি হতে নিরাপদে থাকবে। যেই ব্যক্তি ১৩ বার আয়াতুল কুরসি পড়িবে তার সবধরনের আশা পূরণ হবে এবং স্বৈরাচারী হাকিম দয়ালু হবেন। পাগল ব্যক্তির উপর ১১ বার আয়াতুল কুরসি পড়ে ফুঁক দিলে তার অসুস্থতা দূর হয়ে থাকে।রে।

সূরা ইমরানের ফযিলত
যেই ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে দৈনিক ১৩ বার সূরা আল-ইমরান পাঠ করলে ঋণ হতে মুক্তি পাবে।
الم الله لا اله الا هو الحى القيو হতে انزل الفرقان পর্যন্ত কাগজের উপর মেশক জাফরান ও গোলাপ পানি মাধ্যমে লিখে একটি নারকেলের মধ্যে রাখবে।

কিন্তু নারকেলটি সূর্যোদয়ের আগে কাটিয়া মোম দিয়ে বন্ধ করিয়া শিশুর গলায় বাঁধিয়া দিলে উন্মুস সিবরান নামের পেত্নী হতে নিরাপদ থাকিবে, আর যে ব্যক্তি হরিণের চামড়ার উপর আয়াতটি লিখে আংটির পাথরের নীচে রাখিয়া ব্যবহার করবে সে দরিদ্র হলে ধণী হয়ে যাবে এবং প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক হবে।

যেই ব্যক্তি قل اللهم مالك الملك পাঠ করবে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাকে হালাল রুযী দিবেন। যদি শাসক এই আয়াত পাঠ করেন তবে তাঁর রাজ্য প্রসারিত হবে। এই সূরার নকশটা লিখে সঙ্গে রাখলে সে কখনও পরমুখাপেক্ষী হবে না।

সূরা নিসার ফযিলত ও আমল
কারও যদি স্ত্রী খারাপ চরিত্রের হয় অথবা স্বামী-স্ত্রী মাঝে মিল না হয় তবে সূরা নিসা সূরা ৭ বার পড়ে পানির উপর ফুঁক দিবে এরপর স্ত্রীকে পান করাবে। এর ফলে স্ত্রী পবিত্র হয়ে যাবে। স্বামী স্ত্রীকে পান করলে দু’জনের মাঝে মিল মহব্বাত হবে।

জাফরান ও গোলাপ পানি দিয়ে লিখে ধুয়ে পান করালে মনের ভয়-ভীতি দূর হবে।

সূরা মায়িদাহর ফযিলত
সূরা মায়িদাহ যে ব্যক্তি ৪১ বার পড়বে সে দরিদ্রতা হতে দূরে থাকবে। পানির উপর পড়ে ফুঁক দিয়ে রোগীকে পান করালে সে সুস্থ্য হবে।

সূরা আনয়ামের ফযিলত ও আমল
এই সূরা ৪১ বার পাঠ করলে মনোবাসনা পূর্ণ ও সমস্যা দূরীভূত হবে। এই সূরা লিখে বাহন হিসেবে ব্যবহৃত পশুর গলায় ঝুলায়ে দিলে সব ধরণের অসুস্থতা ও বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকবে।

সূরা আ’রাফের ফযিলত ও আমল
তিনবার এই সূরা পাঠ করে কোন ব্যক্তি জালিম শাসকের নিকট গেলে সে তাঁর প্রতি দয়াশীল হবে এবং সকল রকমের বিপদাপদ হতে নিরাপদ থাকতে পারবে। এই সূরার নকশা লিখে সাথে রাখলে খুব শান্তির সহিত জীবন-যাপন করতে পারবে।

সূরা আনফালের ফযিলত ও আমল
সাতবার সূরা আনফাল পাঠ করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। যেই ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে সে উক্ত আমল করলে কয়েদ হতে মুক্তি লাভ করবে।

সূরা তওবার ফযিলত ও আমল
এই সূরা পাঠ করে যে ব্যক্তি শাসকের নিকট যাবে, শাসক তার প্রতি নমনীয় ও অনুগতও হবে।

সূরা ইউনুসের ফযিলত
দুশমনের উপর জয়ী হতে হলে সূরা ইউনুস ২১ বার পাঠ করবে। আর যদি জাফরান, মেশক ও গোলাপ পানিতে লিখে জ্বিনের আছর গ্রন্থ ব্যক্তিকে পান করায়, তাহলে সে সুস্থ্য হবে। যদি কোন বিপদাপদ দেখা দেয় তাহলে এই সূরা ১৩ বার পাঠ করবে।

সূরা হুদের ফযিলত ও আমল
সূরা হুদ ১৩ বার পাঠ করলে সমস্যার সমাধান হবে। হরিণের চামড়াতে এই সূরা লিখে সাথে রাখলে শত্রুর উপর সফলতা লাভ করবে।

সূরা ইউসুফের ফযিলত ও আমল
যদি কোন শাসক কোন বিপদের সম্মুখীন হয় তাহলে ১৬ বার সূরা ইউসুফ পাঠ করলে তার সে বিপদ কেটে যাবে। চাকরি থেকে সে বরখাস্ত হলে এই সূরা পাঠ করলে সে আবার সেই চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন। অভাবী ব্যক্তি এই সূরা লিখে পানিতে ধুয়ে পান করলে এবং পান করার সময় দোয়া করলে কিছু দিনের মাঝে সে ধনী হয়ে যাবে।

সূরা রাদ্রে ফযিলত ও আমল
কোন শিশু যদি খুব বেশি কান্নাকাটি করে, তাহলে ১৯ বার সূরা রাদ পড়ে শিশুটিকে ফুঁক দিলে সব সময় হাসিখুশি থাকিবে। আর কোন দেশের শাসক যদি স্বৈরাচারী হয় এবং অন্যায়ভাবে জুলুম করে তাহলে এই সূরাটি কাগজে লিখে বৃষ্টির পানিতে ধূয়ে শাসকের ঘরে ফেলিবে।

এর ফলে সেই শাসক পদচ্যুত হবে। তবে যদি মেঘের গর্জন ও বজ্রপাতের সময় লিখা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যাবে। সাইদিপালী চাকেজ সেজান তোমা মা

সূরা ইবরাহীমের ফযিলত ও আমল

যাদুর প্রভাবে যদি কোন ব্যক্তি পুরুষত্বহীন হয়ে যায়, তাহলে দৈনিক তিনবার সূরা ইবরাহীম পাঠ করলে সুস্থ্য হবে। মেশক, জাফরান দিয়ে লিখে পানিতে মিশিয়ে পান করলে প্রকৃত মানবিক শক্তিগলি বৃদ্ধি পায়।

সূরা হিজরের ফযিলত ও আমল
ক্রয়-বিক্রয় করার সময় সূরা হিজর পড়ে ফুঁক দিলে তাতে বরকত হয়। জাফরান দিয়ে এই সূরা লিখে স্ত্রী লোককে পান করালে তার বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়।

সূরা নহলের ফযিলত ও আমল
এক বা একাধিক ব্যক্তি বসিয়া সূরা নহল ১০৮ বার পাঠ করলে দুশমন বাধ্যগত হবে অথবা দুশমন উদাসীন ও অস্থির হয়ে উঠবে।

সূরা বনী-ইসরাঈলের ফযিলত ও আমল
কোন সমস্যা যখন সামনে আসে তখন এই সূরা ৭ বার পাঠ করলে তার সমাধান হবে। কোন বালক মেধাহীন বা তোতলা হলে এই সূরা মেশক, জাফরান দিয়ে লিখে পানিতে ধুয়ে বালকটিকে পান করলে সে মেধাবী হবে।

সূরা কাহাফের ফযিলত ও আমল
কোন ব্যক্তি যদি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং ঋণ পরিশোধের কোন উপায় যদি না পাওয়া যায় তাহলে সেই ব্যক্তি জুম্মার নামাযের পর এই সূরা ৩ বার পাঠ করলে আল্লাহ্ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে ঋণমুক্ত করবেন।

সূরা মারইয়ামের ফযিলত ও আমলকী
এই সূরা একাধারে তিনবার পাঠ করলে সকল দুঃখ-কষ্ট দূরভূত হয়ে যাবে। বাগানে ফল না হলে এই সূরা লিখে পানিতে ভিজিয়ে বাগানে ছিটিয়ে দিলে বাগানে প্রচুর ফল-মূল উৎপাদন হবে। এই সূরা লিখে পানিতে ধুয়ে পান করলে সকল রকমের বিপদাপদ দূর হবে।

সূরা ত্বাহার ফযিলত ও আমল
যদি কোন মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে সেই মেয়ে ২১ বার এই সূরাটি পাঠ করবে অথবা সবুজ রেশমে লিখে গলায় বাঁধিবে। ইনশাল্লাহ সৎ ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হবে এবং সৎ সন্তান জন্ম লাভ করবে।

সূরা আম্বিয়ার ফযিলত ও আমল
যদি কোন ব্যক্তির দুঃশ্চিন্তা থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তি প্রতিদিন ৩বার করে এই সূরা পাঠ করবে তাহলে তার সকল দুঃশ্চিন্তা দূর হবে এবং তার অন্তর ঈমানের নূরে আলোকিত হবে।

সূরা হজ্বের ফযিলত ও আমল
এই সূরা তিনবার পাঠ করে নৌকা উঠলে নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌছাবে ও মালামাল সুরক্ষিত থাকবে।

সূরা মু’মিনূনের ফযিলত ও আমল
নামাযের অলসতা এবং ফঅসিকতার অভ্যাস দূর করিতে হলে এই সূরা লিখে সাথে রাখলে এই অভ্যাস দূরীভূত হবে। এই সূরা সাদা কাপড়ে লিখে গলায় বাঁধলে মদ্য পানের নেশা দূর হবে।

সূরা নূরের ফযিলত ও আমল
এই সূরা তিনবার পাঠ করে শরীরে ফুঁক দিলে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস দূর হয়ে যাবে। এই সূরা পাঁচ বার পাঠ করলে শত্রুর মুখ বন্ধ হবে।

সূরা ফুরকানের ফযিলত ও আমল
কোন ব্যক্তি যদি জালিমের কাছে অন্যায়ভাবে যুলুমগ্রস্থ হয় এবং অসহায় হয়ে পড়ে তাহলে ১৬০ বার এই সূরা পাঠ করলে অত্যাচার হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

সূরা শু’আরার আমল ও ফযিলত
এই সূরা ৭ বার পড়লে বা এই সূরা লিখে অবাধ্য দাস-দাসী ও ছেলে মেয়ের গলায় বাঁধলে তারা বাধ্যগত হবে।

সূরা নমলের ফযিলত ও আমল
কোন ব্যক্তি যদি কোন বিপদের সম্মুখীন হয় তাহলে এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক একবার এই সূরা পাঠ করলে তার সমাধান হবে।

সূরা কাসাসের ফযিলত ও আমল
এই সূরা তিনদিন পর্যন্ত পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে পান করলে রোগী ব্যক্তি সুস্থ্য হবে।

সূরা আনকাবুতের ফযিলত ও আমল
এই সূরা সাতবার পড়লে মনের দুঃশ্চিন্তা দূর হবে। আর যদি কারও মনে ভয় থাকে তাহলে মেশক ও জাফরান দিয়ে এই সূরা লিখে পান করাবে।

সূরা রূমের ফযিলত ও আমল
এই সূরা ২১ বার পাঠ করলে ক্ষতির হাত হতে রক্ষা পাবে এবং দুশমনের নিকট জয়ী হতে হলে এই সূরা পাঠ করবে। আর সূরা রূম একটি শিশিতে ভরিয়া ভালভাবে বন্ধ করে সাথে রাখলে দুশমন সকল সময় নত থাকিবে।

আর যদি এই সূরা সব সময় পাঠ করলে স্বামী-স্ত্রীর মিল মহব্বাত বজায় থাকবে।

সূরা লোকমানের ফযিলত ও আমল
এই সূরা পাঠ করলে সব ধরনের রোগ আরোগ্য হয়। কাযী আয়ায তার মাদারেক কিতাবে লিখেছেন-যে ব্যক্তি সূরা লোকমান পাঠ করবে সেই ব্যক্তি কখনও নদীতে ডুববে না।

সূরা সিজদার ফযিলত ও আমল

এই সূরা সিজদা সাতবার পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক দিলে অথবা মেশক জাফরানের কালি দিয়ে লিখে ধুয়ে তাকে পান করালে সে আরোগ্য লাভ করবে।

সূরা আহযাবের ফযিলত ও আমল
এই সূরা পাঠ করলে নির্যাতিত হতে বেঁচে থাকা যায় এবং দুশমন এই সূরা পাঠকারীর ব্যক্তির অনুগত হয়ে থাকবে।

সূরা সাবার ফযিলত ও আমল
এই সূরা ৭ বার পাঠ করলে জালিমের অত্যাচার হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর যদি কাগজে লিখে সাদা কাপড়ে বেঁধে সাথে রাখলে কষ্টদায়ক জীব-জন্তুর ক্ষতি হতে মুক্ত থাকবে।

সূরা ফাতিরের ফযিলত ও আমল
এই সূরা ৭৫ বার পাঠ করে হাকিমের নিকটে যাবে, তাহলে হাকিম পাঠকারীর প্রতি সদয় হবে। যে আবেদন নিজের উদ্দেশ্যে লিখবে তার উপর কালি ছাড়া কলম দিয়ে নিজের উদ্দেশ্যের কথা লিখবে তাহলে উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে।

সূরা ইয়াসীনের ফযিলত ও আমল
সাহাবী আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে “হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন ‘প্রতিটি বস্তুর একটি কলব থাকে, আর সুরা ইয়াসীন হল পবিত্র কোরআনের কল্ব। এই সূরার অনেক ফযিলত ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।

যে কোন উদ্দেশ্যে এ সূরা পাঠ করলে তা পূর্ণ হয়। বন্ধ্যা স্ত্রী লোক এই সূরা পাঠ করলে সে সন্তান লাভ করবে আর অভাবী ব্যক্তি স্বচ্ছলতা অর্জন করবে। এই সূরার দ্বারা যাদু গ্রন্থ ও জিনগ্রস্থ ব্যক্তি সুস্থ্য হবে।

সূরা সফফাতের ফযিলত ও আমল
যে কোন উদ্দেশ্যে এই সূরা ৭ বার পাঠ করলে তার উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। দুররুন নাজীম গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে কোন ঘরে জিন থাকিলে এই সূরা লিখে বাক্সে বন্ধ করিয়া রাখলে জিনের ক্ষতি হতে রক্ষা পাবে।

সূরা সাদের ফযিলত ও আমল
এই সূরা ৭ বার পড়ে ফুঁক দিলে বদনজর দূর হবে।

সূরা জুমারের ফযিলত ও আমল
এই সূরা দৈনিক পাঠ করলে মান-সম্মান বৃদ্ধি করা যায় এবং লিখে বাহুতে বাঁধলে মালের মধ্যে রবকত হবে।

সূরা মুমিনের ফযিলত ও আমল
কোন লোকের যদি ফোঁড়া বাহির হতে থাকে অথবা অন্য কোন রোগ হয় তাহলে সে এই সূরা দৈনিক ১ বার করে পাঠ করে শরীরে ফুঁক দিবে তাহলে রোগ ভাল হবে। এই সূরা লিখে দোকানে টাঙ্গিলে রাখলে প্রচুর ক্রেতা আসিবে ও প্রচুর বিক্রি হবে।

সূরা হামিম আস সিজদার ফযিলত ও আমল
এই সূরা সকাল-বিকাল ১০ বার পাঠ করিয়া হাকিমের সামনে গেলে হাকিম তাহার প্রতি সন্তুষ্ট হবে। আর যদি কারও চোখে রোগ হয় তাহলে এই সূরা লিখে ধুয়ে সেই পানি চোখে লাগাবে অথবা সুরমা মিশ্রিত করে চোখে দিবে।


সূরা শুরার ফযিলত ও আমল
দুশমনের উপর জয়ী হতে হলে দৈনিক একবার করে حم عسق পড়িবে। এই সূরা গলায় ধারণ করলে নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে।


সূরা যুখরূফের ফযিলত ও আমল
সব রকমের দুঃশ্চিন্তা দূর করার জন্য এই সূরা ৭ বার পাঠ করবে, তাহলেই দুঃশ্চিন্তা দূর হবে।


সূরা দুখানের ফযিলত ও আমল
কোন ব্যক্তির যদি কোন সমস্যা সামনে আসে তাহলে এই সূরা ৭ বার পাঠ করবে। পাঠ করার আগে এবং শেষে ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে। আর যদি কোন ব্যক্তির আমাশয় হয় তাহলে এ সূরা লিখে ধূয়ে পান করাবে।


সূরা জাসিয়ার আমল ও ফযিলত
মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সূরা জাসিয়া পড়ে ফুঁক দিলে মৃত্যু যন্ত্র হতে রেহাই পাবে এবং খুব সহজে মৃত্যু হবে। এই সূরা শিশুর গলায় বেঁধে দিলে বালা-মুসিবত হতে মুক্ত থাকিবে।


সূরা আহকাফের আমল ও ফযিলত
ভুত-পেত্নীর আছর হতে রক্ষা পেতে হলে এই সূরা পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে তাকে পান করাবে অথবা তার গলায় লিখে বাঁধলে ভূত-পেত্নীর আছর দূর হবে।

সূরা মুহাম্মাদের আমল ও ফযিলত
উন্নতি ও মর্যাদাবান হতে হলে এই সূরা মেশক জাফরান ও যমযমের পানি দিয়ে লিখে ধূয়ে পান করাবে, তাহলে উন্নতি ও মর্যাদাবান হবে। আর অসুস্থ্য ব্যক্তি পান করালে সুস্থ্য হবে। এই সূরা লিখে সাথে রাখলে দুশমনদের সাথে জয়ী হবে।

সূরা ফাহের আমল ও ফযিলত
যুদ্ধের ময়দানে বিজয় অর্জন করতে হলে এই সূরা ৪১ বার পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে গেলে, ইনশাল্লাহ বিজয়ী হতে পারবে। সারা বছর বিপদাপদ হতে নিরাপদ থাকতে হলে এই সূরা রমযান মাসের চাঁদ দেখে, চাঁদের সামনা সামনি হয়ে তিনবার পাঠ করবে।

সূরা হুজুরাতের আমল ও ফযিলত
এই সূরা ১০ বার পাঠ করলে সব ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাবে। এই সূরা লিখে গর্ভবতীর গলায় পরালে নিরাপদে সন্তান ভুমিষ্ট হবে এবং দুধ দাতা মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে।

সূরা কাফের আমল ও ফযিলত
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য, পেটের ব্যথার জন্য, শিশুর দাঁত উঠতে কষ্ট হলে এই সূরা পাঠ করে তিন বার চোখে ফুঁক দিবে, এই সূরা লিখে বৃষ্টির পানি ধুয়ে পান করাবে আর এই সূরা লিখে ধুয়ে শিশুকে পান করালে সহজে দাঁত উঠবে।

সূরা যারিয়াতের আমল ও ফযিলত
ধন-সম্পদ অর্জন করতে হলে ৭৫ বার এই সূরা পাঠ করিতে হবে। আর যদি কোন শহরে দূর্ভিক্ষ হয় তাহলে ৭০ বার এই সূরা পাঠ করলে তা দূর হয়ে যাবে। স্ত্রী লোক যদি সন্তান প্রসবকালে এই সূরা পাঠ করে তাহলে সন্তান প্রসব খুব সহজ হবে।

সূরা তুরের আমল ও ফযিলত
সূরা তুর পাঠ করলে কুষ্ঠ রোগের ব্যক্তি সুস্থ্য হবে। সমস্যা পীড়িত ব্যক্তি পাঠ করলে সব কিছুর সমাধান হবে। স্বচ্ছলতার জন্য এই সূরাট লিখে সাথে রাখবে।

সূরা নজমের আমল ও ফযিলত
এই সূরাটি ২১ বার পড়লে মনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়। এই সূরা পাঠ করার ফলে দুশমনের উপর জয়ী হওয়া যায়। আর এই সূরা লিখে সাথে রাখলে যে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা তাড়াতাড়ি দূরভীত হয়।

সূরা কামারের আমল ও ফযিলত
এ সূরা জুমার রাতে পাঠ করলে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় এবং দুশমনের উপর সফলতা লাভ করা যায়। এই সূরা লিখে টুপিতে বা কাপড়ের মধ্যে রাখলে সকল প্রকার বিপদাপদ দূর হবে।

সূরা রহমানের ফযিলত ও আমল
সূরা রহমান ১১ বার পাঠ করলে মনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়। এই সূরা লিখে পানিতে ধুয়ে পান করলে প্লীহা রোগ ভাল হয় আর সেই পানি ঘরের দেওয়ালে ছিটিয়ে দিলে কষ্টদায়ক জীব-জন্তু ঘর হতে বাহির হয়ে যায়।

সূরা ওয়াকিয়ার আমল ও ফযিলত
সূরা ওয়াকিয়া ৪১ বার পাঠ করলে সকল প্রকার অভাব মুক্ত হবে। কেউ যদি ধনবান হতে চায় তাহলে এ সূরার আমল করার নিয়ম হল শুক্রবার হতে আরম্ভ করে দৈনিক ফজর নামাযের পরে ২৫ বার সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে।

শুক্রবারের রাতে মাগরিব নামাযের পরে ২৫ বার এবং এশার নামাযের পরে ২৫ বার এই সূরা পাঠ করবে। এরপর ১০০ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে। এরপর হতে দৈনিক সকালে-বিকালে ১ বার করে পাঠ করবে। যে কোন উদ্দেশ্যে এই সূরা আমল করলে উদ্দেশ্য সফল হবে।

সূরা হাদীদের আমল ও ফযিলত
যদি কোন ব্যক্তি অসুস্থ্য হয় তাহলে ৭ বার এই সূরা পাঠ করবে। আর এই সূরা লিখে সাথে রাখলে তলোয়ার প্রভৃতি অস্ত্রের আঘাত হতে রক্ষা পাবে।

সূরা মুজাদালাহর আমল ও ফযিলত
দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সমাধার জন্য এই সূরা ৩ বার পাঠ করবে। আর এই সূরা লিখে বাহুতে বাঁধিয়া যুদ্ধের ময়দানে গেলে নিরাপদ থাকিবে।

সূরা হাশরের আমল ও ফযিলত
উদ্দেশ্য পূরণের জন্য চার রাকাত নামায পড়িবে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা হাশর পাঠ করবে। যদি কারওা স্মরণ শক্তি কম হয় তাহলে চীনা মাটির পাত্রে এই সূরা লিখে বৃষ্টির পানিতে ধূয়ে তাকে পান করাইবে তাহলে তার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।

সূরা মুমতাহিনার আমল ও ফযিলত
যদি কোন মেয়ের বিবাহে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই সূরা ৫ বার পাঠ করলে একজন নেককার পুরুষের সঙ্গে ঐ মেয়ের বিবাহ হবে। আর যদি কোন ব্যক্তির প্লীহা হয় তাহলে চীনা মাটির পাত্রে লিখে ধূয়ে পান করলে সেই ব্যক্তি সুস্থ্য হবে।

সূরা সফের আমল ও ফযিলত
যদি কোন লোকের সন্তান অবাধ্য হয় তাহলে এই সূরাটি ৩ বার পাঠ করিয়া সন্তানের গায়ে ফুঁক দিবে। মুসাফির ব্যক্তি এই সূরা পাঠ করলে নিরাপদে বাড়ি ফিরিবে।

সূরা জুমআর ফযিলত ও আমল
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাল সম্পর্ক না থাকে তাহলে শুক্রবারে এই সূরা ৩ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে পান করাবে। এই সূরা ঝিনুকে লিখে সাথে রাখলে বরকত হবে।

সূরা মুনাফিকুনের আমল ও ফযিলত
কোন ব্যক্তি যদি চোগলখুরীর জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে ১৬০ বার এই সূরা পাঠ করবে। আর কারও চোখে ব্যথা থাকিলে এই সূরা পাঠ করে চোখে ফুঁক দিলে চোখের ব্যথা ভাল হয়ে যাবে।

সূরা তাগাবুনের ফযিলত ও আমল

এই সূরা যেই ব্যক্তি ৩ বার পাঠ করবে তার ধন-সম্পদ বাড়তে থাকবে এবং সে আকস্মিকভাবে মৃত্যু হতে রেহাই পাবে আর এই সূরা লিখে সাথে রাখলে বিপাদাপদ হতে রক্ষা পাবে।

সূরা তালাকের আমল ও ফযিলত
যদি কোন ব্যক্তি দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে তাহলে সেই ব্যক্তি সূরা তালাক পাঠ করবে।

সূরা তাহরীমের ফযিলত ও আমল
দুশমনকে বিপদে ফেলতে হলে বা ঋণ হতে নিজেকে মুক্ত করিতে হয় তবে ২১ বার এই সূরা তাহরীম পাঠ করবে তাহলে দুশমন বন্ধু হবে যাবে।’

সূরা মূলকের আমল ও ফযিলত
যে কোন ব্যক্তি সূরা মূল্ক ৪১ বার পাঠ করলে ঐ ব্যক্তির সকল সমস্যার সমাধান হবে।

সূরা নূনের আমল ও ফযিলত
যদি কোন ব্যক্তি এই সূরা ৭০ বার পাঠ করে তাহলে ঐ ব্যক্তি দুষ্কৃতকারী ও প্রতারণাকারীদের ক্ষতি হতে মুক্ত থাকিবে। কারও মাথায় ব্যথা হলে এই সূরা লিখে তার মাথায় বেঁধে দিবে।

সূরা হাক্কার ফযিলত ও আমল
এই সূরা লিখে ধূয়ে পান করলে মনের দুঃশ্চিন্তা দূর হবে আর শিশুর কান্নাকাটি ও জ্বিনের আছরের সময়েও এই প্রক্রিয়া খুবই কার্যকরী। এই সূরা ৭৫ বার পাঠ করলে মনের যে কোন উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। আর গর্ভবতী মহিলার পেটে বাঁধিয়া দিলে তার গর্ভ নষ্ট হবে না।

সূরা মা’আরিজের ফযিলত ও আমল
যদি কোন ব্যক্তির খুব বেশি স্বপ্ন দোষ হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি এই সূরাটি ৮ বার পড়িবে।

সূরা নূহের ফযিলত ও আমল
কোন শত্রুকে দমন করিতে হলে ১০০ বার এই সূরাটি পাঠ করলে শত্রু ধ্বংস হয়ে যাবে।

সূরা জিনের আমল ও ফযিলত
সূরা জ্বিন ৭০০ বার পাঠ করলে জ্বিন-পরী নিজের আয়ত্বৈ আনা যা।

সূরা মুয্যাম্মিলের আমল ও ফযিলত
দৈনিক যে লোক এই সূরা পাঠ করবে সেই ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দর্শন লাভ করবে। আবার যে-কোন বিপদাপদের সময়ে এই দোয়া পাঠ করলে সমস্যা সমাধান হবে।

সূরা মুদ্দাসসিরের ফযিলত ও আমল
কোন ব্যক্তি অভাবে পড়লে নিয়মিত কোন ব্যক্তি এই সূরা পাঠ করলে সেই ব্যক্তি তার অভাব মোচন করে ধনী হতে পারিবে।

সূরা কিয়ামাহর আমল ও ফযিলত
সব ধরণের মানুষকে অনুগত করতে হলে এই সূরা ৭ বার পাঠ করলে সকল রকমের মানুষকে অনুগত করা যায় আবার এই সূরা লিখে সাথে রাখলে শাসকের মনের মাঝে ভয়-ভীতির সৃষ্টি হয়।

সূরা দাহরের আমল ও ফযিলত
সূরা দাহর ৭৫ বার পড়লে অথবা এ সূরা লিখে সাথে রাখলে রুযি বৃদ্ধি হবে।

সূরা মুরসালাতের আমল ও ফযিলত
যেই লোক দৈনিক সূরা মুরসালাতের আমল করে সেই ব্যক্তি অসুস্থ্য হলে সুস্থ হবে আর মুসাফির হলে নিরাপদে তার গন্তব্য স্থানে এসে পৌছিবে।

সূরা নাবার আমল ও ফযিলত
যদি কারও চোখের জ্যোতি দুর্বল হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি দৈনিক এই সূরা পাঠ করলে তাহার দৃষ্টি শক্তি বাড়বে।

সূরা নাযিয়াতের আমল ও ফযিলত
সূরা নাযিয়াতের আমল করিরে দুশমনের বৈরীতা দূর হয়। ঈমাস াঠক রাখার জন্য এই সূরা লিখে সাথে রাখবে।

সূরা আবাসার আমল ও ফযিলত
সূরা আবাসা ৭৫ বার পড়লে চোখ ব্যথা এবং রাত কানা রোগী আল্লাহ্র রহমতে ভাল হয়। এ সূরার নকশা সাথে রাখলে সকল প্রকার রোগ হতে মুক্ত থাকা যায়।

সূরা তাকভীরের আমল ও ফযিলত
সূরা তাকভীর ২১ বার পাঠ করলে দুশমনের ক্ষতি হতে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

সূরা ইনফিতারের ফযিলত ও আমল
কোন উদ্দেশ্যে পূরণের জন্য এই সূরা ইনফিতার ৭৫ বার পাঠ করলে মনের যে-কোন উদ্দেশ্য পূরণ হবে।

সূরা মুতাফ্রিফিনের আমল ও ফযিলত
কোন শিশু যদি বেশি কান্নাকাটি করে তবে এই সূলা ৭ বার পাঠ করে ফুঁক দিলে সেই শিশুর কান্না থেমে যাবে।

সূরা ইনশিক্বাকের আমল ও ফযিলত
যদি কোন শিশু খুব বেশি কান্নাকাটি করে তবে এই সূরাটি পড়ে শিশুকে ফুঁক দিবে। মহিলাদের সন্তান প্রসবের সময় এই সূরাটি লিখে কোমরে বাঁধলে প্রসব বেদনা কম হবে। প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে আবার তা খুলে ফেলতে হবে।

শ্রীসূরা বুরূজের আমল ও ফযিলত।
এই সূরাটি ৭০ বার পাঠ করলে দুশমনের ক্ষতি হতে মুক্ত থাকা যাবে আবার কারও ফোঁড়া বাহির হলে আসরের নামাযের পরে এই সূরা পাঠ করবে।

সূরা তারিকের আমল ও ফযিলত
জিন ভুতের প্রভাব দূর করার জন্য সূরা তারিক ৩ বার পাঠ করলে জ্বিন-ভূতের প্রভাব দূর হয়ে যায়।

সূরা আ’লার আমল ও ফযিলত
যখন কেউ সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করবে তখন এই সূরা তিনবার পাঠ করিয়া সফরে রওয়ানা দিলে আল্লাহর রহমতে পথের মাঝে কোন রকমের বিপদাপদ হবে না।

সূরা গাশিয়ার ফযিলত ও আমল
গত চি অসুস্থ্য রোগীকে সূরা গাশিয়ার ৩ বার পাঠ করে ফুঁক দেয় তাহলে সে সুস্থ্য হবে। মহামারী দেখা দিলে এই সূরা লিখে সাথে রাখবে।

সূরা ফাজরের আমল ও ফযিলত
দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর করার জন্য সূরা ফাজর ৭০ বার পাঠ করলে মনের দুশ্চিন্তা এবং টেনশন দূর হবে।

সূরা বালাদের ফযিলত ও আমল
যদি কোন ব্যক্তি কোন শহরে প্রবেশের ইচ্ছা করে তখন এই সূরা পাঠ করলে নিরাপদে অবস্থান করবে এবং সেখানকার লোকজন খুব ভাল ব্যবহার করবে।

সূরা শামসের ফযিলত ও আমল
সূরা শাম্স সূর্যোদয়ের সময় ৭ বার পাঠ করলে মনের যে-কোন উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়।

সূরা লাইলের আমল ও ফযিলত
লাপ সূরা লাইল ১৮০ বার পাঠ করলে যে-কোন সমস্যা সমাধান হবে।

সূরা দ্বোহার আমল ও ফযিলত
নিখোঁজ ব্যক্তিকে উপস্থিত করাতে হলে এ সূরা দ্বোহা ২০০০ বার পাঠ করলে নিখোঁজ ব্যক্তিকে হাজির করানো যায়।

সূরা আলাম নাশরাহের আমল ও ফযিলত
সূরা আলাম নাশরাহ যে-কোন মাল ক্রয়ের সময় ৩ বার পাঠ করলে সেই মালে বরকত হবে। কারও বুকে ব্যথা হলে এই সূরা লিখে পানিতে ধূয়ে বুকে মালিশ করবে।

সূরা ত্বীনের আমল ও ফযিলত
নিরুদ্দেশ ব্যক্তিকে হাজির করতে হলে এ সূরা ত্বীন ২০০০ বার পাঠ করলেই নিরুদ্দেশ ব্যক্তি হাজির হবে।

সূরা আলাকের আমল ও ফযিলত
সূরা আলাক ৩ বার পাঠ করে নিজের শরীর ফুঁক দিয়ে কোন হাকিম বা উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকটে হাজির হলে সেই সদয় হবে।

সূরা কদরের ফযিলত ও আমল
সম্মানিত হতে হলে সূরা কদর সকাল-সন্ধ্যা ৩ বার করে পাঠ করবে, তাহলে মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এই সূরা দৈনিক পাঠ করলে সবার নিকট সময় সময় সম্মানী হিসাবে গণ্য থাকিবে।

সূরা বাইয়্যিনাহর আমল ফযিলত
সূরা বাইয়্যিনাহর নিয়মিত পাঠ করলে কুষ্ট ও পাণ্ডু রোগী আল্লাহ্র রহমতে সুস্থ্য হবে।

সূরা যিলযালের আমল ও ফযিলত
সূরা যিলযাল ৭০ বার পাঠ করলে যে-কোন সমস্যার সমাধান হবে।

সূরা আদিয়াতের ফযিলত ও আমল
সূরা আদিয়াত পাঠ করলে বদনজর দূর হবে। এই সূরা লিখে ধুয়ে পান করলে হৃদপিন্ডের ব্যথা দূর হবে।

সূরা কারিয়ার আমল ও ফযিলত
সূরা কারিয়া ১০১ বার পাঠ করলে বদনজর হতে রক্ষা পাবে।

সূরা তাকাসুরের আমল ও ফযিলত
ঋণ পরিশোধের জন্য এই সূরা তাকাসুর ৩০০ বার পাঠ করলে ঋণ পরিশোধ হবে।

সূরা আসরের আমল ও ফযিলত
মুহাব্বাতের জন্য এ সূরা আসর পাঠ করলে মহব্বাত বাড়ে।

সূরা হুমাযার ফযিলত ও আমল
কারো চোখে বেদনা হলে সূরা হুমাযা ৭ বার পাঠ করে ফুঁক দিলে চোখের বেদনা দূরভীত হবে।

সূরা ফীলের ফযিলত ও আমল
শত্রুর বিনাস সাধনের জন্য এ সূরা ফীল ১০০ বার পাঠ করলে শত্রু ধ্বংশ হবে।

সূরা কুরাইশের ফযিলত ও আমল
সূরা কুরাইশ ৭০ বার পাঠ করলে অভাব দূর হয়ে ধনী হবে। যদি কোন ব্যক্তির বদনজর লাগার সন্দেহ হয় তাহলে এই সূরা পড়ে খাবারের উপর ফুক দিবে। দুশমনের ক্ষতি হতে রক্ষা পাবার জন্য ফজরের নামাযের পরে এই সূরা ১০০ বা পাঠ করবে এবং পাঠ করার আগে এবং শেষে ৭ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে।

সূরা মাউনের আমল ও ফযিলত
সূরা মাউন ১০০০ বার পাঠ করলে যে-কোন সমস্যা সমাধান হবে।

সূরা কাউসারের আমল ও ফযিলত
শত্রুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবার জন্য এ সূরা কাওসার ১০০ বার পাঠ করলে শত্রুর ক্ষতি হতে রক্ষা পাবে।

সূরা কাফিরূনের আমল ও ফযিলত
সূরা কাফিরূন ১০০ বার পাঠ করলে যে-কোন বিপদ হতে নিরাপদে থাকবে।

সূরা নসরের আমল ও ফযিলত
সূরা নসর ১০০১ বার পাঠ করলে পেছনের শত্রু দূরে চলে যাবে এবং দুশমন পরাজীত হবে।

সূরা লাহাবের আমল ও ফযিলত
সূরা লাহাব ৩০০০ বার পাঠ করলে জালিমের অত্যাচার হতে নিষ্কৃতি পাবে।

সূরা ইখলাসের আমল ও ফযিলত
সূরা ইখলাস ১০০০ বার পাঠ করলে মনের উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। ইখলাস আমল করার নিয়ম হল, মক্কেলের নামসহ প্রথমে গোশত খাওয়া পরিত্যাগ করবে এবং রোযা রাখবে। এরপর প্রত্যহ ৬০০০ বার করে ১২ দিন পর্যন্ত এই দোয়া পাঠ করবে।

الله الرحمن الرحيم اقسمت عليكم وعزمت عليكم اجب يا جبرائيل يا عزرائيل بحق قل هو الله احد يا ميكائيل ياسرائيل بحق الله الصمد يا اسمائیل یا اسمائیل يا طاطائیل بحق لم يلد ولم يولد اجب يا عزرائيل يا رقتائيل ولم يكن له كفوا احد ط۳۰ ۳۳ ۳۴ 155 المية

সূরা ফালাকের আমল ও ফযিলত
সূরা ফালাক ১০০ বার পাঠ করলে যাদুর ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।

সূরা নাসের আমল ও ফযিলত
সূরা নাস ১০০ বার পাঠ করলে যাদুর ক্রিয়া নষ্ট হবে।

আল কোরআনে দোয়া

যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, প্রতিপালন করছেন, আমাদের সার্বিক প্রয়োজন কেবলমাত্র তিনিই পূরণ করছেন, আমাদের সকল কাজের হিসাব পরিশেষে তাঁরই কাছে দিতে হবে এবং একমাত্র তিনিই আমাদেরকে আমাদের কর্মের বিনিময় দিবেন, সেই আল্লাহ তা’য়ালার কাছে কিভাবে ফরিয়াদ জানাতে হবে, সে ভাষা ও পদ্ধতিও তিনিই শিখিয়ে দিয়েছেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর কাছে কিভাবে কোন্ ভাষায় আবেদন করতে হবে। তাঁর কাছে যেভাবে এবং যে মান বজায় রেখে চাওয়ার প্রয়োজন, বান্দা যেনো সে মান বজায় রেখে চাইতে পারে, এ জন্য সেই করুণাময় আল্লাহ তা’য়ালা শিক্ষা দিয়েছেন।

মহান আল্লাহর দরবারে যে কোনো ভাষাভাষীর অতি সাধারণ মূর্খ লোকও নিজের ভাষায় আকুতি পেশ করে এবং আল্লাহ তা’য়ালা তা শোনেন ও মঞ্জুর করেন। চাকরী প্রার্থনার জন্য মানুষ বিভিন্ন স্থানে নিজ হাতে লিখিত আবেদন পত্র প্রেরণ করে থাকে।

কিন্তু সরকারী বা বেসরকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন পত্র ছাপানো হয়, আবেদনকারী তা পূরণ করে নিচে নিজের নাম দস্তখত করে দেয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ তা’য়ালাও আবেদন পত্র ধরনের দোয়া পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে বান্দাকে দান করেছেন।

বান্দা যদি পবিত্র কোরআনের সেই আবেদনমূলক দোয়াগুলো আল্লাহর কাছে নিবেদন করে, তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা খুবই খুশী হন এবং মঞ্জুর করেন। আমরা পবিত্র কোরআন থেকে দোয়াসমূহের কয়েকটি এখানে উল্লেখ করলাম।

সৎকাজ কবুল হওয়ার দোয়া
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ: রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস্ সামিউ’ল আলিম।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের এই কাজ তুমি কবুল করো, তুমি নিশ্চয়ই সব কিছু শুনতে পাও এবং সব কিছুই জানো। (সূরা বাকারা-১২৭)

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّرِيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَّكَ وَآرِنَا مَنَا سِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ
التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়াজ আ’লনা মুসলিমাইনি লাকা ওয়া মিন যুররিই-ইয়াতিনা উম্মাতাম্ মুসলিমাতাল লাকা, ওয়া আরিনা মানা সিকানা ওয়া তুব্‌ আ’লাইনা, ইন্নাকা আনতাত্ তাও ওয়াবুর রাহীম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমাদের উভয়কেই তুমি তোমার অনুগত মুসলিম বান্দাহ্ বানাও এবং আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্য থেকেও তুমি তোমার একদল অনুগত বান্দা বানিয়ে দাও।

হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের তোমার গোলামী করার পদ্ধতি দেখিয়ে দাও এবং আমাদের প্রতি দয়া করো, কারণ তুমি অত্যন্ত মেহেরবান ও পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা-১২৮)

দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে দোয়াজাল্লাত
فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا ربَّنَا اتنا عَذَابَ النَّارِ –

উচ্চারণ: রাব্বা আতিনা ফিদ্ দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া কিনা আ’যাবান্ নার।
হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই দুনিয়ায় কল্যাণ দান করো এবং পরকালেও কল্যাণ দাও আর জাহান্নামের আযাব হতে আমাদেরকে রক্ষা করো। (সূরা বাকারা-২০১)

দ্বীনের পথে অবিচল থাকার দোয়া
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আফরিগ আ’লাইনা সারাঁও ওয়া ছাবিত আকুদামানা ওয়ান্সুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য দান করো, আমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করো এবং কাফির দলের ওপর আমাদেরকে বিজয় দান করো। (সূরা বাকারা-২৫০)

ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِينَا أَوْ أَخْطَانَا –

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুআখিয্যা ইন্নাসিনা আও আখতা’না।

অর্থঃ হে আমাদের রব! যদি আমরা কিছু ভুলে যাই, যদি আমরা কোনো ভুল করে বসি তার জন্য তুমি আমাদেরকে গ্রেফতার করো না। (সূরা বাকারা-২৮৬)

আল্লাহর গযব থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ
مِنْ قَبْلِنَا –
উচ্চারণ : রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আ’লাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আ’লাল্লাযিনা মিন ক্বাবলিনা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের ওপর সেই ধরনের বোঝা চাপিয়ে দিও না, যেরূপ বোঝা আমাদের পূর্ববর্তী অপরাধী জাতির প্রতি চাপিয়ে দিয়েছিলে। (সূরা বাকারা-২৮৬)

কাফিরদের বিরুদ্ধে সাহায্য চওয়ার দোয়া
رَبَّنَا وَلاَ تُحْمِلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ، وَاعْفُ عَنَّا ، وَغْفِرْ لَنَا ، وَارْحَمْنَا ، أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْ عَلَى الْقَوْمِ
الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মালা ত্বাক্বাতা লানা বিহী, ওয়া’ফু আ’ন্না, ওয়াগফির লানা, ওয়ার হামনা, আনতা মাওলানা ফানসুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থ: হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার শক্তি-ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না। আমাদের প্রতি উদারতা দেখাও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো, আমাদের প্রতি রহমত নাযিল করো, তুমিই আমাদের বন্ধু-আশ্রয়দাতা, কাফিরদের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য করো। (সূরা বাকারা-২৮৬)

ইসলামের পথে মনকে পরিচালিত করার দোয়া
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ . الله

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ্‌ কুলুবানা বা’দা ইব্‌ হাদাইতানা ওয়া হাব্বানা মিল্ লাদুন্কা রাহমাহ্, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হাব।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! একবার যখন তুমি আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছো, তখন আর তুমি আমাদের মনকে বাঁকা করে দিওনা, একান্ত তোমার কাছ থেকে আমাদের প্রতি দয়া করো, কেননা যাবতীয় দয়ার মালিক তো তুমিই। (সূরা আলে ইমরাণ-৮)

কিয়ামতের দিনে হিসাব সহজভাবে নেয়ার দোয়া
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ، إِنَّ اللَّهَ لَا
يُخْلِفُ الْمِيعَادَ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নাকা জামিউ’ন নাসি লিইয়াও মিল লারাইবা ফিহী, ইন্নাল্লাহা লা ইউথ্ লিফুল মিয়া’দ।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি অবশ্যই সমগ্র মানব জাতিকে তোমার সামনে হিসাব-নিকাশের জন্য একদিন একত্রিত করবে, এতে কোনো রকম সন্দেহ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’য়ালা কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। (সূরা আলে ইমরাণ-৯)

শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি চেয়ে দোয়া
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُونَا وَقِنَا عَذَابُ النَّارِ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফির লানা যুনুবানা ওয়া কিনা আ’যাবান্নার।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা অবশ্যই তোমার প্রতি ঈমান এনেছি, এরপর আমাদের থেকে যেসব গোনাহখাতা হয়ে যায় তা তুমি ক্ষমা করে দাও এবং শেষ বিচারের দিনে তুমি আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিয়ো। (সূরা আলে ইমরাণ-১৬)

নিয়ামত প্রাপ্তদের সঙ্গ লাভের দোয়া সায়ামাটি
امَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ رَبَّنَا
الشهدين .

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওয়াত্ তাবা’নার রাসূলা ফাল্গুন্না মাআ’শ্ শাহিদীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি যা কিছু নাযিল করেছো আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং রাসূলের কথাও মেনে নিয়েছি, সুতরাং তুমি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদাতাদের সাথে আমাদের নাম লিখে দাও। (সূরা আলে ইমরাণ-৫৩)

মিথ্যার ওপর বিজয়ী হবার দোয়া
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَفِرِينَ .

উচ্চারণ: রাব্বানাগ্ ফির লানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আমিনা ওয়া ছাববিত আকুদামানা ওয়ান্ সুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের যাবতীয় গোনাহখাতা মাফ করে দাও, আমাদের কাজকর্মের সব বাড়াবাড়ি তুমি ক্ষমা করে দাও এবং বাতিলের মোকাবেলায় তুমি আমাদের কদম মযবুত রাখো, সত্য ও মিথ্যার সাথে যুদ্ধে কাফিরদের ওপর তুমি আমাদের বিজয় দাও। (সূরা আলে ইমরাণ-১৪৭)

সৃষ্টিসমূহ থেকে কল্যাণ লাভের দোয়া
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً ، سُبْحَانَكَ فَقِيْنَا عَذَابَ النَّارِ .

উচ্চারণ: রাব্বানা মা খালাক্কা হাযা বাত্বিলা, সুবহানাকা ফাক্বিনা আ’যাবান্নার।

অর্থঃ হে আমাদের রব! সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুই তুমি অযথা বানিয়ে রাখোনি, তোমার সত্তা সবথেকে পবিত্র, অতএব তুমি আমাদের জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে নিষ্কৃতি দাও। (সূরা আলে ইমরাণ-১৯১)

কিয়ামতের ময়দানে অপমানিত না হবার দোয়া
رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارِ فَقَدْ أَخْدَيْتَهُ، وَمَا لِلظَّلِمِينَ
مِنْ أَنْصَارِ،

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নাকা মান তাদখিলিন্ নারা ফাক্বাদ আখযাইতাহু ওয়া মা লিয যালিমীনা মিন আনসার।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি যাকেই জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে তুমি অপমানিত করবে, আর সেই অপমানের দিনে যালিমদের জন্যে কোনো রকম সাহায্যকারী থাকবে না। (সূরা আলে ইমরাণ-১৯২)

ঈমানের পথে অবিচল থাকার দোয়া
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَامَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفَّرْ عَنَّا سَيِّاتِنَا
وَتَوَافَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিইয়াই ইউনাদি লিল ঈমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফা আমান্না। রাব্বানা ফাগফির লানা যুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আ’ন্না সাইয়িআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআ’ল আব্রার।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা শুনতে পেয়েছি একজন আহ্বানকারী মানুষদেরকে ঈমানের দিকে ডাকছে, সে বলছিলো হে মানুষরা! তোমরা তোমাদের মালিক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো, হে মালিক! সেই আহ্বানকারীর কথায় আমরা ঈমান এনেছি, হে আমাদের মালিক!

তুমি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দাও, হিসাবের খাতা থেকে আমাদের দোষত্রুটি ও গোনাহসমূহ মুছে দাও, সর্বশেষে তোমার নেক বান্দাদের সাথে তুমি আমাদের মৃত্যু দাও। (সূরা আলে ইমরাণ-১৯৩)

কিয়ামতের দিনে নিরাপদ থাকার দোয়া
رَبَّنَا وَاتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيمَةِ، إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ –

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়া আ’ততানা আ’লা রুসুলিকা ওয়া লা তুখযিনা ইয়াও মাল কিইয়ামাহ্, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়া’দ।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি তোমার নবী-রাসূলদের মাধ্যমে যেসব পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছো তা আমাদের পূর্ণ করে দাও এবং কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না, নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করো না। (সূরা আলে ইমরাণ-১৯৪)

হিদায়াত প্রাপ্তদের দলে শামিল হবার দোয়া
لين ان ان رَبَّنَا آمَنَهَا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّهْدِينَ – التي

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না ফাকুবনা মাআ’শ্ শাহিদীন।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদের নাম সত্যের সাক্ষ্যদাতাদের দলে লিখে নাও। (সূরা আল মায়িদা-৮৩)

রিযক বৃদ্ধির জন্য দোয়া
رَبَّنَا اَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيداً لأوَّلَنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّزْقِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আনযিল আ’লাইনা মা-য়িদাতাম মিনাস্ সামা-য়ি তাকুনু লানা ই’দাল লিআও-ওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আ ইয়াতাম মিনকা, ওয়ার রুযনা ওয়া আনতা খাইরুর রাযিকীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের জন্য আকাশ থেকে খাবার সজ্জিত একটি পাত্র পাঠাও, এ হবে আমাদের জন্যে, আমাদের পূর্ববর্তী ও আমাদের পরবর্তীদের জন্য তোমার কাছ থেকে পাঠানো একটি আনন্দোৎসব, সর্বোপরি এটা হবে তোমার কুদরতের নিদর্শন, তুমি আমাদের রিযক দাও, কেননা তুমিই হচ্ছো উত্তম রিস্কদাতা। (সূরা আল মায়িদা-১১৪)

গোনাহ্ মাফ চওয়ার দোয়া
ربَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَأَنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ
مِنَ الْخَسِرَيْنَ

উচ্চারণ: রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন।
অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নিজেদের ওপর যুলুম করেছি, তুমি যদি আমাদের মাফ না করো তাহলে অবশ্যই আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্তদের দলে শামিল হয়ে যাবো। (সূরা আল আ’রাফ-২৩)

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তাআ’লনা মাআ’ল ক্বাওমিথ্ যালিমীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এই যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না। (সূরা আল আ’রাফ-৪৭)

জাতীয় জীবনে শান্তি চেয়ে দোয়া
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَتِحِيْنَ

উচ্চারণ: রাব্বানাফ্ তাহ্ বাইনানা ওয়া বাইনা ক্বাওমিনা বিল হাক্কি ওয়া আনতা খাইরুল ফাতিহীন।
অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমাদের ও আমাদের জাতির লোকদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করে দাও, কেননা তুমিই সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সূরা আল আ’রাফ-৮৯)

কঠিন পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণের দোয়া
رَبَّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আফরিগ্‌ আ’লাইনা সাবরাঁও ওয়া তাওয়াফ্ ফানা মুসলিমীন।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! কঠিন পরীক্ষায় তুমি আমাদের ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দাও এবং সর্বশেষে তোমার অনুগত বান্দা হিসেবে তুমি আমাদের মৃত্যু দিয়ো। (সূরা আল আ’রাফ-১২৬)

অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ –

উচ্চারণ : রাব্বানা লা তাআ’লনা ফিত্নাতাল লিল ক্বাওমিয যালিমীন। ওয়া নাজর্জিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের যালিম সম্প্রদায়ের অত্যাচারের শিকারে পরিণত করো না। এবং তোমার একান্ত রহমত দ্বারা তুমি আমাদের কাফির সম্প্রদায়ের হাত থেকে মুক্তি দাও। (সূরা ইউনুস-৮৫-৮৬)

আল্লাহর অপসন্দনীয় দোয়া।
করা থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْتَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِّنَ الْخَسِرِينَ –

উচ্চারণ: রাব্বি ইন্নি আউ’যুবিকা আন আস্ আলাকা মা লাইসা লী বিহী ই’লমুন, ওয়া ইল্লা তাগফির লী ওয়া তারহা্মনী আকুম মিনাল খাসিরীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! যে বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নেই, সে ব্যাপারে কিছু চাওয়া থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ্ চাই, তুমি যদি আমাকে মাফ না করো এবং আমার ওপর দয়া না করো, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। (সূরা হৃদ-৪৭

কাজকর্মে প্রশান্তি চেয়ে দোয়া
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا –

উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুন্‌কা রাহমাতাঁও ওয়া হাই’লানা মিন আমরিনা রাসাদা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! একান্ত তোমার কাছ থেকে আমাদের ওপর অনুগ্রহ দান করো, আমাদের এই কাজকর্ম আঞ্জাম দেয়ার জন্য তুমি আমাদের সঠিক পথ দেখাও। (সূরা আল কাহাফ-১০)

শত্রুর ভয় থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
ربَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَنْ يَطْغَى –

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নাকা নাখাফু আই ইয়াফরুত্বা আ’লাইনা আও আই ইয়াত্বগা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা ভয় করছি সে আমাদের সাথে বাড়াবাড়ি করবে, অথবা সে আরো বেশী সীমা লংঘন করে বসবে। (সূরা তাহা-৪৫)

জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا –

উচ্চারণ: রাব্বি যিদনী ই’লমা।

অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান ভান্ডার তুমি বৃদ্ধি করে দাও। (সূরা ত্বাহা-১১৪)

মুখের জড়তা দূর করার দোয়া
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسْرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً
مِّنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي

হে আমার মালিক! তুমি আমার জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও, আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও, যাতে করে ওরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা-২৫-২৮)

ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা চাওয়ার দোয়া
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَ أَنْتَ خَيْرُ الرَّحِمِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না ফাগফির লানা ওয়ার হাম্মা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা তোমার ওপর ঈমান এনেছি, অতএব তুমি আমাদের দোষত্রুটিসমূহ মাফ করে দাও, তুমি আমাদের ওপর দয়া করো, তুমি হচ্ছো দয়ালুদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট দয়ালু। (সূরা আল মুমিনুন-১০৯)

জাহান্নাম থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا –

উচ্চারণ: রাব্বানাস্ রিফ্ আ’ন্না আ’যাবা জাহান্নামা ইন্না আ’যাবাহা কানা গারামা।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব দূরে রেখো, কেননা তার আযাব হচ্ছে নিশ্চিত বিনাশ। (সূরা আল ফুরকান-৬৫)

আনন্দিত হবার পরে পড়ার দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ

আল হাম্দু লিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আ’ন্নাল হাযানা, ইন্না রাব্বানা লাগাফুরুন শাকুর।

আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাদের কাছ থেকে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিয়েছেন, অবশ্যই আমাদের মালিক ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (সূরা ফাতির-৩৪)

সৎপথে আগমনকারীর জন্য দোয়া চাকা
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا
وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ –

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া সি’তা কুল্লা শাই-ইর রাহমাতাঁও ওয়া ই’লমান ফাগফির লিল্লাযিনা তাবু ওয়াত্ তাবাউ’ সাবিলাকা ওয়া কিহিম আ’যাবাল জাহিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি তোমার অনুগ্রহ ও জ্ঞানসহ সবকিছুর ওপর ছেয়ে আছো, সুতরাং সেসব লোককে তুমি ক্ষমা করে দাও যারা তওবা করে এবং যারা তোমার দ্বীনের পথে চলে, তুমি তাদের জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও। (সূরা আল মুমিন-৭)

জান্নাতে প্রবেশ করার তাওফীক চেয়ে দোয়া
صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ جَنَّتِ عَدْنٍ نِ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ . رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ .
وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّتِهِمْ – إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ –

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া আদখিলহুম জান্নাতি আ’দনি নিল্লাতি ওয়া আ’ত্ তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবা-য়িহিম ওয়া আযওয়া জিহিম ওয়া যুররিই ইয়াতিহিম, ইন্নাকা আনতাল আ’যিযুল হাকিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি সেই স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করাও যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদের দিয়েছো, তাদের পিতামাতা, তাদের স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যে যারা নেক কাজ করেছে তাদেরও, নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আল মুমিন-৮)

পরিবার-পরিজনের কল্যাণের জন্য দোয়া
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّ يَتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا
للْمَتَّقِينَ آمَامًا

উচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়া জিনা ওয়া যুররিই ইয়াতিনা কুররাতা আ’ই ইউনিও ওয়াজ আ’লনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের নেতা বানিয়ে দাও। (সূরা আল ফুরকান-৭৪)

সন্তান চাওয়ার দোয়া
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَ أَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

উচ্চারণ: রাব্বি লা তাযারনী ফারদাঁও ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমাকে একা নিঃসন্তান রেখে দিয়ো না, তুমিই হচ্ছো উৎকৃষ্ট মালিকানার অধিকারী। (সূরা আল আম্বিয়া-৮৯)

নেক সন্তান চাওয়ার দোয়া
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحَيْنَ

উচ্চারণ: রাব্বি হাবলী মিনাস্ সালিহীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাকে তুমি একজন নেক সন্তান দান করো। (সূরা আস্ সাফ্ফাত-১০০)

সন্তানের কল্যাণের জন্য দোয়া
وَ تَقَبَّلْ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا مقيم الصلوة رَبِّ اجْعَلْنِي
دعاء

উচ্চারণ : রাব্বিজ্ আ’লনী মুক্বিমাস্ সালাতি ওয়া মিন যুররিই ইয়াতি রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুআ’য়ি।
অর্থঃ হে আমার রব! তুমি আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও, আমার সন্তানদের মাঝ থেকেও নামাযী বান্দা বানাও, হে আমাদের মালিক! আমার দোয়া তুমি কবুল করো। (সূরা ইবরাহীম-৪০)

পিতামাতার জন্য দোয়া
رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا –

উচ্চারণ: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমার পিতামাতা উভয়ের প্রতি রহম করুন, যেমন তারা আমাদেরকে শৈশবে অতি মায়া-মমতার সাথে প্রতিপালন করেছেন। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৪)

পিতামাতার গোনাহ মাফের দোয়াী
رَبَّنَا غَفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাই ইয়া ওয়া লিল মু’মিনীনা ইয়াও মা ইয়া কুমুল হিসাব।

হে আমাদের রব! যেদিন চূড়ান্ত হিসাব নিকাশ হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সকল ঈমানদার মানুষদের তোমার অনুগ্রহ দ্বারা ক্ষমা করে দিয়ো। (সূরা ইবরাহীম-৪১)

পথভ্রষ্ট পিতার জন্য দোয়া
المفاعلة وَاغْفِرْ لَأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ

উচ্চারণ: ওয়াল্ফির লিআবি ইন্নাহু কানা মিনাদ্ব দ্বাল্লিন।

অর্থ: আমার পিতাকে হিদায়াতের তাওফীক দিয়ে তুমি মাফ করে দাও, কেননা সে পথভ্রষ্টদের একজন। (সূরা আশ শোয়ারা-৮৬)

নিজের সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দোয়া
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَالْحِقْنِي بِالصَّلِحِينَ وَاجْعَلْ لَي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الآخِرِينَ – وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ
النَّعِيمِ

উচ্চারণ: রাব্বি লী হুকমাঁও ওয়াল হিকনী বিস্ সালিহীন। ওয়াজ্ আ’ললী লিসানী সিদক্বিন ফিল আখিরীন। ওয়াজ আ’লনী মিও ওয়ারাসাতি জান্নাতিন নাঈম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমাকে জ্ঞান দান করো এবং আমাকে সৎলোকদের সাথে মিলিয়ে রেখো। এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে তুমি আমার স্মরণ অব্যাহত রেখো। আমাকে তুমি তোমার নেয়ামতে ভরা জান্নাতের অধিকারীদের মধ্যে শামিল করে নিয়ো। (সূরা আশ শোয়ারা-৮৩-৮৫)

কিয়ামতের ময়দানে অপমানিত না হবার দোয়া
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ إِلا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سليم –

উচ্চারণ: ওয়া লা তু্খযি নী ইয়াও ইউব আ’ছুন। ইয়াও লা ইয়ান্ ফাউ’ মা লুও ওয়া বানুন। ইল্লা মান আতাল্লাহা বিক্বাল বিন সালিম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাকে তুমি সেদিন অপমানিত করো না,যেদিন সব মানুষদের পুনরায় জীবন দেয়া হবে। সেদিন তো কারো ধন-সম্পদ কাজে লাগবে না এবং সন্তান-সন্ততিও কাজে আসবে না। অবশ্য যে আল্লাহর কাছে একটি বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে, তবে তার কথা আলাদা। (সূরা আশ শোয়ারা-৮৭-৮৯)

সৎকাজ করার তাওফীক চেয়ে দোয়া
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالدِي وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي
عِبَادِكَ الصَّلِحِيْنَ الحال الفعال

উচ্চারণ: রাব্বি আওযি’নী আন আশকুরা নি’মাতাকাল লাতি আনআ’মতা আ’লাই ইয়া ওয়া আ’লা ওয়ালি দাই ইয়া ওয়া আন আ’মালা সালিহান তারদ্বাহু ওয়া আদখিলনী বিরাহমাতিকা ফী ই’বাদিকাস্ সালিহীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমাকে তাওফীক দাও যাতে করে আমাকে ও আমার পিতামাতাকে তুমি যেসব নি’মাত দান করেছো, আমি যেন বিনয়ের সাথে তার কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি,

আমি যেন এমন সব নেক কাজ করতে পারি যা তুমি পসন্দ করো, অতপর তুমি তোমার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে তোমার নেককার মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও। (সূরা আন নামল-১৯)

এ ধরনের দোয়া পবিত্র কোরআনে অনেক রয়েছে। উল্লেখিত দোয়াসমূহ মুখস্থ করুন এবং হজ্জ আদায়কালে এবং নামাযে বেশী বেশী এসব দোয়া পাঠ করতে থাকুন। বিশেষ করে যখন নফল নামাযে সিজদায় যাবেন, সিজদার তাস্বীহ্ পাঠ করার পরে এসব দোয়া মহান আল্লাহর কাছে বিনয়ের সাথে নিবেদন করুন।

মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার দোয়া
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلَاخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُونَا بِالايْمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبَنَا عَلَا لِلَّذِيْنَ آمَنُو رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ
الرَّحِيمُ

উচ্চারণ: রাব্বানাগ্ ফিরলানা ওয়ালি ইওয়া নিনাল্লাযিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি ওয়া লা তাআ’ল ফী কুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাযিনা আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের আগে আমাদের যে ভাইয়েরা ঈমান এনেছে তুমি তাদেরও মাফ করে দাও এবং আমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে, তাদের ব্যাপারে আমাদের মনে কোনো রকম হিংসা বিদ্বেষ রেখো না, হে আমাদের মালিক! তুমি অনেক মেহেরবান ও পরম দয়ালু। (সূরা আল হাশর-১০)

মহান আল্লাহর প্রতি নির্ভর করার দোয়া
رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ –

উচ্চারণ: রাব্বানা আ’লাইকা তাওয়াক্কালনা ওয়া ইলাইকা আনাবনা ওয়া ইলাইকাল মাসির।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা তো কেবল তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং আমরা তোমার দিকেই ফিরে এসেছি এবং আমাদের তো তোমার দিকেই ফিরে যেতে হবে। (সূরা আল মুমতাহিনা-৪)

আদর্শ বিরোধিদের অত্যাচার থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
ربَّنَا لا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ .

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তাআ’লনা ফিত্নাতাল লিল্লাযিনা কাফারু ওয়াগ্‌ ফির লানা রাব্বানা ইন্নাকা আনতাল আ’যিযুল হাকিম।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের জীবনকে কাফিরদের নিপীড়নের নিশানা বানিয়ো না, হে আমাদের রব! তুমি আমাদের গোনাহখাতা ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি পরাক্রমশালী ও পরম জ্ঞানী। (সূরা আল মুমতাহিনা-৫)

ঈমানের জ্যোতি বৃদ্ধি করার দোয়া
رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ –

উচ্চারণ: রাব্বানা আত্মিম লানা নুরানা ওয়াগফির লানা, ইন্নাকা আ’লা কুল্লি শাই-ইন ক্বাদির।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের ঈমানের জ্যোতিকে জান্নাতের জ্যোতি দিয়ে তুমি পূর্ণ করে দাও, তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি সব কিছুর ওপর একক ক্ষমতাবান। (সূরা আত্ তাহ্রীম-৮)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়া
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক পদক্ষেপে মহান আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা করতেন এবং সাহায্য চাইতেন। তিনি যেভাবে

হিস্স হাসীন বা দোয়ার ভাণ্ডার

আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা করতেন এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাইতেন, তা হাদীস গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে। তিনি যে ভাষায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রশংসা করতেন এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাইতেন, মুসলিম হিসেবে আমাদেরও উচিত, তাঁর শিখানো পদ্ধতি অনুযায়ী আল্লাহর প্রশংসা করা এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া। এখানে আমরা হাদীস থেকে কিছু দোয়া এখানে উল্লেখ করছি।

অযুর শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে পাঠ করুন
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ –

উচ্চারণ : আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাদু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। (মুসলিম)

اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ ‘আলনী মিনাত্ তাউওয়াবীনা ওয়াজ’আলনী মিনাল মুতাত্বাহ্ হিরীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভূক্ত করো। (তিরমিযী)

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا
أَنْتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্ লা-‘ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া ‘আতুবু ‘ইলাইকা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি তোমার প্রশংসাসহ। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমারই কাছে তওবা করি। (নাসায়ী)

আযান শোনার সময় এই দোয়া পাঠ করুন
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা মুয়াযয্যিনের আযান শুনতে পাও তখন সে যা বলে তোমরা ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি করো। তবে মুয়াযযিন যখন হাইয়্যা আলাস্ সালাহ এবং হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলে, তখন -لَاَحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلا بالله লা-হাওলা ওয়ালা কুওতা ইল্লা বিল্লাহ- বলো। (বোখারী, মুসলিম)

وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ – رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًا – وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً – وَيَا الإِسْلَامِ دِينًا –

উচ্চারণ: ওয়া আনা আশহাদু আল্ লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বান ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান ওয়া ইসলামি দ্বীনা।

অর্থ: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, মুয়াযয্যিনের সাক্ষ্য প্রদানের পর বলবে- আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল। আমি আল্লাহকে প্রভু এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে লাভ করে পরিতুষ্ট। (মুসলিম)

আযান শেষে এই দোয়া পাঠ করুন
اللَّهُمَّ رَبَّ هذه الدعوة التامة والصلواة القائمة ات مُحَمَّدَنَ الْوَسيلَةَ وَالْفَضيلَةَ وَابْعَثْهُ
مَقَامًا مَّحْمُودَنِ الَّذِي وَعَدْتَه إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ
الميعاد

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাযিহিদ্ দা’ওয়াতিত্ তাম্মাতি ওয়াস্ সালাতিল ক্বাইমাতি, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদ্বীলাহ্। ওয়াব ‘আসহু মাক্কামাম্ মাহমুদানিল্লাযী ওয়া ‘আদতাহ্। ইন্নাকা লাতুখলিফুল মী’আদ।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! এই সার্বিক আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওসীলা এবং ফযীলত তথা সর্বোত্তম মর্যাদা দান করো। আর তাঁকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছিয়ে দাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করোনা। (বোখারী, বাইহাকী)

মসজিদে যাবার সময় এই দোয়া পাঠ করুন
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً ، وَفِي لِسَانِي نُورًا ، وَفِي سَمْعِي نُوراً ، وَفِي بَصَرَى نُوراً ، وَمِنْ فَوْقَى نُورًا وَمِنْ تَحْتَى نُورًا ، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا ، وَعَنْ شَمَالِى نُورًا ، وَمَنْ أمَا مِي نُورًا ، وَمِنْ خَلْفِى نُورًا ، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً ، وَأَعْظِمْ لِي نُورًا ، وَعَظَمْ لِى نُوراً ، وَاجْعَلْ لِى نُوراً ، وَاجْعَلْنى نُوراً ، اللَّهُمَّ أعطنى نُورًا ، وَاجْعَلْ فِي عَصَبي نُورًا ، وَفِي لَحْمِي نُورًا ، وَفِي دَمِي نُورًا ، وَفِي شَعْرِي نُوراً ، وَفِي بَشَرِي نُوراً ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُورًا فِي قَبْرِي وَنُورًا فِي عِظَامِي وَزِدْنِي نُورًا ، وَزِدْنِي نُورًا ، وَزِدْنِي نُورًا وَهَبْ لِي نُورًا عَلَى نُورٍ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ ‘আল ফী ক্বালবী নূরাওঁ ওয়া ফী লিসানী নূরাওঁ ওয়া ফী সাম্‌ঈ’ নূরাওঁ ওয়া ফী বাছারী নূরাওঁ ওয়ামিন ফাউক্বী নূরাওঁ ওয়া মিন তাহী নূরাওঁ ওয়া ইয়ামীনী নূরাওঁ ওয়া ‘আন শিমালী নূরাওঁ ওয়ান মিন ‘আমামী নূরাওঁ ওয়া মিন খাল্‌ফী নূরাওঁ ওয়াজ ‘আল ফী নাফসী নূরাওঁ ওয়া ‘আযয্যিমলী নূরাওঁ ওয়াজ ‘আল্লী নূরা’ ওয়াজ ‘আলনী নূরা।

আল্লাহুম্মা আ’ত্বিনী নূরাওঁ, ওয়াজ ‘আলফী ‘আছাবী নূরাওঁ, ওয়া ফী লাহী নূরাওঁ ওয়া ফী দামী নূরাওঁ ওয়া ফী শা’রী নূরাওঁ ওয়া ফী বাশারী নূরা। আল্লাহুম্মাজ ‘আল লী নূরান ফী ক্বাবরী ওয়া নূরান ফী ‘ইযাম ওয়াযিনী নূরান, ওয়াযিদনী নূরান, ওয়াযিদনী নূরা। ওয়াহাবলী নূরান ‘আলা নূর।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমার অন্তরে এবং জবানে নূর সৃষ্টি করে দাও, আমার শ্রবণ শক্তিতে ও আমার দর্শন শক্তিতে নূর সৃষ্টি করে দাও, আমার ওপরে, আমার নীচে, আমার ডানে, আমার বামে, আমার সামনে, আমার পেছনে নূর সৃষ্টি করে দাও।

আমার নূরকে আমার জন্য অনেক বড়ো করে দাও, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করো, আমাকে আলোকিত করে দাও। হে আল্লাহ তা’য়ালা!

তুমি আমাকে নূর দান করো, আমার বাহুতে নূর দান করো, আমার মাংসে, আমার রক্তে, আমার চুলে, আমার চর্মে নূর দান করো। হে আল্লাহ তা’য়ালা!

আমার কবরকে আমার জন্য আলোকিত করে দাও, আমার হাড্ডি সমূহেও! আমার নূর বৃদ্ধি করে দাও, আমার নূর বৃদ্ধি করে দাও, আমার নূর বৃদ্ধি করে দাও। আর আমাকে নূরের ওপর নূর দান করো।
(বোখারী ফতহুলবারী, মুসলিম, তিরমিযী)

মসজিদে প্রবেশে করার সময় এই দোয়া পড়ুন
أعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَيَوجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ القديم مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ بِسْمِ اللَّهِ لِي اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي
أَبْوَابِ رَحْمَتِكَ

উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহিল্ ‘আযীম। ওয়াবি ওয়াহিহিল কারীম। ওয়া সুলত্বানিহিল ক্বাদীম। মিনাশ শাইতানির রাজীম। বিস্মিল্লাহি ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ্। আল্লাহুম্মাফ্ তাহলী আওয়াবা রাহমাতিকা।

অর্থ: আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর করুণাময় সত্বা এবং শাশ্বত সার্বভৌম শক্তির নামে। আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, দরূদ ও সালাম রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে প্রতি। হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দ্বার খুলে দাও। (আবু দাউদ, মুসলিম)

মসজিদ হতে বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়ুন
بسمِ اللهِ وَالصَّلاةُ وَالسَّلامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ، اللَّهُمَّ اعْصِنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিস্মিল্লাহি ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ্। আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকা মিন ফাদ্বলিকা। আল্লাহুম্মা আ’সিমনী মিনাশ্ শাইতানির রাজীম।

অর্থ: আল্লাহ তা’য়ালার নামে (বের হচ্ছি), দরূদ ও সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। হে আমার মালিক! আমি তোমার অনুগ্রহ কামনা করি। হে আল্লাহ! অভিশপ্ত শয়তান থেকে তুমি আমাকে হেফাজত করো। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

নামাযে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরিমার পর
এভাবে দোয়া করুন
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ نَقْنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى
الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرْدِ –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বা’ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাতাইয়া, ইয়া কামা বা’আত্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লাহুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বাইয়া, ইয়া কামা ইয়ুনাক্বক্বাহ্ ছাউবুল আইয়াদু মিনাদ্ দানাস। আল্লাহুম্মাগসিলনী মিন খাতাইয়া ইয়া, বিছছালজি ওয়াল মা-ই ওয়াল বারদি।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমার এবং আমার গোনাহসমূহের মধ্যে এমন ব্যবধান সৃষ্টি করো যেরূপ ব্যবধান সৃষ্টি করেছো পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আমার মালিক! তুমি আমাকে গোনাহ্ মুক্ত করে এমন পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ধৌত করলে পরিষ্কার হয়। হে আমার মালিক! তুমি আমার গোনাহসমূহ পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও। (বোখারী, মুসলিম)

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْكُمْ وَتَعَالَى
وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ جد

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহাম্দিকা, ওয়া তাবাররাকামুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি পাক পবিত্র সকল প্রশংসা তোমারই জন্য। তোমার নাম মহিমান্বিত, তোমার সত্তা অতি উচ্চে প্রতিষ্ঠিত এবং তুমি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো ইলাহ্ নেই। (আবু দাউদ, তিরমিযী,নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্)

إِنِّي وَجَهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمواتِ وَالْأَرْضِ حَنِيفًا وَمَا مِنَ
الْمُشْرِكِينَ – إِنَّ صَلاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالِمِينَ لأَشَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ )

উচ্চারণ: ওয়াজ্জাহ্ ওয়াহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাওঁ ওয়ামা আনা মিনাল্ মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকি ওয়ামাহ্ ইয়াইয়া ওয়ামামাতী লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। লাশারীকালাহু ওয়াবি যালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।

অর্থ: আমি সেই মহান সত্তার দিকে একনিষ্ঠভাবে আমার মুখ ফিরাচ্ছি যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশ ও পৃথিবী এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবাণী, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই, আর এই জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।

اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بَذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ وَاهْدِنِي لَأَحْسَنِ الأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لَأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّى سَيِّئَهَا ، لا يَصْرِفُ عَنِّى سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِنَّكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ
إِلَيْكَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আন্তাল মালিকু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা, আন্তা রাব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা, যালামতু নাফসী ওয়া’তারাফতু বিযাম্বী ফাগফির লী যুনূবী জামী’আন ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ওয়াহদিনী লিআহসানিল্ আখলাক্বি লা ইয়াহ্দী লিআহ্সানিহা ইল্লা আন্তা,

ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা, লা ইয়াসরিফু ‘আন্নী সায়্যিআহা ইল্লা আন্তা, লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা ওয়াল খাইরু কুল্লুহু বিইয়া দাইকা, ওয়াশ্ শাররু লাইসা ইলাইকা, আনা বিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাক্কা ওয়া তা’আলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি সেই বাদশাহ যিনি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো ইলাহ্ নেই। তুমি আমার প্রভু আর আমি তোমার বান্দা, আমি আমার নিজের ওপর অত্যাচার করেছি এবং আমি আমার গোনাহের ব্যাপারে স্বীকৃতি দিচ্ছি।

সুতরাং তুমি আমার সকল গোনাহ মাফ করে দাও। নিশ্চয় তুমি ভিন্ন আর কেউ গোনাহসমূহ মাফ করতে পারেনা।

তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের দিকে পরিচালিত করো, তুমি ছাড়া আর কেউ উত্তম চরিত্রের দিকে পরিচালিত করতে পারেনা, আমার দোষসমূহ তুমি আমার ভেতর থেকে দূরীভূত করো, তুমি ভিন্ন অন্য কেউ চারিত্রিক-দোষ অপসারিত করতে পারে না।

প্রভু হে! আমি তোমার আদেশ মানার জন্য উপস্থিত সদা প্রস্তুত, সামগ্রিক কল্যাণ তোমার হস্তে নিহিত। অকল্যাণ তোমার দিকে সম্পৃক্ত নয়। আমি তোমারই এবং তোমারই দিকে আমার সকল প্রবণতা, তুমি কল্যাণময় এবং তুমি মহিমান্বিত আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হচ্ছি। (মুসলিম)

اللَّهُمَّ رَبِّ جبرائيل – وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطر السمواتِ وَالْأَرْضِ – عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيْمَا كَانُوا فِيْهِ يَخْتَلِفُونَ صراط فيه من الحق بإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى مستقیم

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা জিব্রা’ঈলা ওয়া মীকাঈল, ওয়া ইস্রাফীলা ফাত্বিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ‘আলিমাল গাইবি ওয়াশ্ শাহাদাহ্। আন্তা তাহকুমু বাইনা ‘ইবাদিকা ফীমা কানু ফীহি ইয়াখালিফুন। ইহদিনী লিমাখ্ তুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি, বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্দী মান তাশাউ ইলা সিরাত্বিম মুস্তাক্বীম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা অদৃশ্য এবং দৃশ্য সব বিষয়েই তুমি অবগত। তোমার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে পারস্পরিক মতভেদে লিপ্ত, তুমিই তার উত্তম ফয়সালা করে দাও। যেসব বিষয়ে তারা মতভেদ করেছে তন্মধ্যে তুমি তোমার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পথ প্রদর্শন করো। নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথপ্রদর্শন করে থাকো। (মুসলিম)

اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا – اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا – اللهُ أَكْبَرُ
كبيرًا – وَالْحَمْدُ لِله كَثِيرًا – وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا – وَالْحَمْدُ
للَّهِ كَثِيرًا – وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً –
أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخَهِ وَنَفْثِهِ،

  • و همز তিনবার

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবারু কাবীরা, আল্লাহু আকবারু কাবীরা, আল্লাহু আকবারু কাবীরা, ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি কাছীরা, ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি কাছীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাওঁ ওয়াআসীলা। আউ’যু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বা নি মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী।

অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা, অসংখ্য প্রশংসা, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। আল্লাহ সকালে ও সন্ধ্যায়, দিনে ও রাতে তথা সর্বক্ষণ পাক-পবিত্র (তিনবার)।

অভিশপ্ত বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করছি, আশ্রয় কামনা করছি তার দম্ভ হতে, তার কুহকজাল ও তার কুমন্ত্রণা হতে। (আবু দাউদ)

নফল নামাযে রুকু-সিজদায় এই দোয়াসমূহ পাঠ করুন
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বি ইয়াল আ’যিম।
অর্থ: আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার) (আবু দাউদ, তিরমিযী)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাযে রুকু সিজদায় নিম্নের দোয়াসমূহও পাঠ করতেন।

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي

উচ্চারণ: সুবাহানাকাল্লাহুমা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ্‌ ফিরলি।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাদের প্রভু। তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করি, তোমার প্রশংসাসহ হে আল্লাহ! আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। (বোখারী, মুসলিম)

مشعل سُبُوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ

উচ্চারণ: সুবুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রুহ্।

অর্থ: ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদস্ (জিবরাঈল)-এর প্রভু প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় পূত এবং গুণাবলীতেও পবিত্র। (আবু দাউদ, মুসলিম)

اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبَكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشِعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخْي – وَعَظَمِي وَعَصَبِي وَمَا اسْتَقَلَّ به قدمی

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা রাকা’তু, ওয়া বিকা আমান্‌নু ওয়া লাকা আস্লামতু খাশি’আ লাকা সাম’ঈ, ওয়া বাসারী, ওয়া মুখখী, ওয়া’আযমী, ওয়া’আসাবী ওয়ামাস্তাক্বাল্লা বিহীকাদামী।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমি তোমারই জন্য মাথা অবনত করেছি, একমাত্র তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, একমাত্র তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি, আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার স্নায়ু, আমার সমগ্র সত্তা তোমার ভয়ে শ্রদ্ধায় বিনয়াবনত। (আবু দাউদ, মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী)

سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوت والكبرياء – وَالْعَظَمَة –

উচ্চারণ: সুবহানা যিল্ জাবারূতি, ওয়াল মালাকৃতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল ‘আযামাতি।

অর্থ: পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ, যিনি বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব, গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী। (আবু দাউদ)

রুকু থেকে উঠে নিচের দোয়াগুলো পাঠ করুন
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

উচ্চারণ: সামিআ’ল্লাহু লিমান হামিদাহ্।

অর্থঃ আল্লাহ তা’য়ালা সেই ব্যক্তির কথা শুনেন যে তাঁর প্রশংসা কীর্তন করে। (বোখারী)
আল্লাহর রাসূল রুকু থেকে সোজা হয়ে নিম্নের দোয়াসমূহও পাঠ
করতেন।

رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْداً كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فيه

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়ালাকাল হাম্দ, হাম্দান কাছিরান ত্বাইয়িবান মুবারাকান ফিহী।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! তোমার সমস্ত ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। (বোখারী ফতহুলবারী)

ملء السمواتِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْحَمْدِ أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدُ اللَّهُمَّ لَأَمَانِعَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدَ مِنْكَ أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطَى لِمَا مَنَ
الْجَدُّ

Read More: নেক আমল বই

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top