নূরানী দোয়ার ভান্ডার বই
নূরানী দোয়ার ভান্ডার বই, নেক আমল করার জন্য সকল দোয়া পাবেন আমাদের এই পোস্টে
Table of Contents
দোয়ার ফযীলত ও তাৎপর্য
“মু’মিন” তার জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে সর্ব বিষয়ে আল্লাহর দরবারে মাথা নত করবে। বিপদ-আপদ, বালা মুসিবত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, মাল-দৌলত, মান- ইজ্জত, সন্তান-সন্ততি, মোট কথা সে সর্ব বিষয়ে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে।
এটাই আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন পছন্দ করে থাকেন। এ জগতের কানুন হল যদি কেউ কারো নিকট কিছু চায়. তবে হয় অসন্তুষ্ট। আর মহা পরাক্রমাশালী আল্লাহর নিকট কিছু চাইলে তিন হন সন্তুষ্ট।
দোয়ার বরকতে পাপ থেকে তাওবা করে পাপমুক্ত হয়ে আল্লাহর মকবুল বান্দার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং তার দরজা বুলন্দ হয়। আল্লাহ পাক এরশাদ করেণ-
فَاذْكُرُونِي أَذْكُرُكُمْ وَاشْكُرُونِي وَلَا تَكْفُرُونَ
উচ্চারণঃ ফাহ্ কুরূনী-আহ্ কুকুম্ ওয়াক্কুরূলী ওয়ালা-তাক্ ফুরুন্।
অর্থ : তোমরা আমাকে স্মরণ কর আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর আমার নেয়ামতের শোকর আদায় কর এবং নাফরমানী করও না। অপর এক আয়াতে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন-
তোমরা আমাকে ডাক; আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। আল্লাহপাক আরও এরশাদ করেছেন-
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَ قُعُودًا وَعَلَى
جُنُوبِهِمْ
উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইয়ায কুরূনাল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ ওয়াকু’উ দাওঁ ওয়া ‘আলা- জুনূবিহিম্
অর্থ: “যারা দাঁড়ানো এবং বসা অবস্থায় ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে তারাই জ্ঞানী।”
কালেমাসমূহ
কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ
لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ .
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ।
অর্থ: “আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (ছ.) আল্লাহর রাছুল্।”
কালেমায়ে শাহাদত
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ
وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
উচ্চারণঃ ইল্লাল্লা-হু আশহাদু ওয়াহদাহু আল্লা-ইলা-হা লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ ‘আব্দুহু ওয়া রাহুলুহ্।
অর্থঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ (‘ইবাদতের যোগ্য) নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মাদ (ছ.) আল্লাহর বান্দা ও রাহুল।”
- কালেমায়ে তাওহীদগীত
لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَاحِدًا لَّا ثَانِيَ لَكَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ رَسُولُ رَبِّ
نيبنا المالك
الْعَلَمِينَ.
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা ওয়া-হিদাল্লা- ছা-নিয়ালাকা মুহাম্মাদুর্ রাছুলুল্লা-হি ইমা-মুল্ মুত্তাক্বীনা রাছুলু রব্বিল ‘আ-লামীন।
অর্থ: “হে আল্লাহ্! তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ (‘ইবাদতের যোগ্য) নেই, তুমি এক এবং অদ্বিতীয়। হযরত মুহাম্মাদ (ছ.) মুত্তাক্বীদের (আল্লাহ ভীরুদের) নেতা ও বিশ্ব প্রতিপালকের রাছুল।
- কালেমায়ে তাজীদ
لا إلهَ إِلَّا أَنْتَ نُورًا يَهْدِيَ اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ إِمَامُ الْمُرْسَلِينَ
خَاتَمُ النَّبِيِّينَ.
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা নূরাইঁ ইয়াহ্ দিয়াল্লা-হু লিনূরিহী মাইয়্যাশা-উ মুহাম্মাদুর রাছূলুল্লা-হি ইমা-মুল্ মুরর্ছালী-না খা-তামুন্ নাবিয়্যীন্।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ্, তুমি যাহাকে ইচ্ছা স্বীয় জ্যোতি দ্বারা পথ প্রদর্শন করে থাক, হযরত মুহাম্মাদ (ছ.) রাছুলগণের নেতা ও সর্বশেষ নবী।
- কালেমায়ে রদ্দে কুফ্র
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا وَنُو مِنْ بِهِ وَاسْتَغْفِرُكَ مَا أَعْلَمُ بِهِ وَاتُوبُ
وَامَنْتُ وَأَقُولُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مَحَمَّدٌ
رَسُولُ اللهِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী-আ’উযুবিকা মিন্ আন্ উশরিকা বিকা শাইআওঁ ওয়ানু’ মিনু বিহী ওয়া আছতাগ্ ফিরুকা মা- আ’লামু বিহী ওয়া আতূবু ওয়া আ-মানতু ওয়া আকুলু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর্ রাছুলুল্লা-হ্।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি অন্য কাউকে শরীক করা হতে। আমি আমার জানা এবং অজানা সকল গুনাহ হতে তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, এবং তওবা করছি। আমি তোমার উপর ঈমান এনেছি এবং স্বীকার করছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (ছ.) আল্লাহর রাছুল।
- বিশ লাখ নেকীর দোয়া
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ أَحَدًا صَمَدَ الَمْ يَتَّخِذُ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু আহাদান্ ছমাদান্ লাম্ ইয়াত্তাখিয ছোয়া-হিবাতাওঁ ওয়ালা-ওয়ালাদাওঁ ওয়ালাম্ ইয়াকুল্লাহ্ কুফুওয়ান আহাদ।
মজিদে প্রবেশকালে পড়ার দোয়া
اَللهُمَّ افْتَحْلِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللهِ (ابن
ماجه)
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাফ্ তাহলী আবওয়া-বা রহমাতিক্। আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলী যুনূবী ওয়াচ্ছালা-মু ‘আলা- রছুলিল্লা-হ্।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন। হে আল্লাহ্! আমার গুনাহরাশিকে ক্ষমা করে দিন, আর শান্তি বর্ষিত হোক নবী করীম (ছ.) এর উপর। (ইবনে মাজা)
মসজিদে প্রবেশর পর পড়ার দোয়া
أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ .
(الترغيب)
উচ্চারণঃ আ’উযু বিল্লা-হিল্ ‘আযীমি ওয়াবিওয়াজ্বহিল্ কারীমি ওয়া ছুত্ত্বায়া- নিহিল্ ক্বদীমি মিনাশ্ শাইত্বোয়া-নির্ রজীম্। (আত্তারগীব)
অর্থ: মহত্ব, গৌরব ও সম্মানের অধিকারী আল্লাহ্ এবং তাঁর ক্ষমাশীল ও চিরস্থায়ী সম্রাজ্যে আমি শয়তানের হাত থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি। (আত্তারগীব)
- মসজিদ হতে বের হয়ার সময় পড়ার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আআলুকা মিন্ ফাদ্বলিক্।
- আসমাউল হুসনা বা আল্লাহর পবিত্র নামসমূহ
আল্লা-হ্, আর্ রহমা-ন্ আর্ রহীম্, আল্ মালিক, আল কুদ্দুস্, আহ্ ছালা- ম আল্ মু’মিন্, আল্ মুহাইমিন্, আল্ ‘আযীয, আল্ জাব্বা-র্, আল্ মুতাকাব্বির্, আল্ খা-লিক্ব, আল্ বা- রী, আল্ মুছোয়াওয়্যির্, আল্ গাফ্ফা- র্ আল্ কাহ্হা-র,
আল্ ওয়াহ্হা-ব্, আর্ রাজ্জাক্ব, আল্ ফাত্তা-হ, আল্ ‘আলীম্, আল্ ক্বা-বিদ্ধ, আল্ বা-ছিতু, আল্ হা-ফিদ্ব, আর্ রা-ফি’য়, আল্ মু’ইয, আল মুযিল, আচ্ছামী’য়, আল্ বাসীর, আল্ হাকীম, আল্ ‘আল্। আল্ লাত্বীফ্, আল্ খাবীর্, আল্ হালীম্,।
আল্ ‘আযীম্, আল্ গফূর, আশ্ শাকূর্, আল্ ‘আলী, আল্ কাবীর্, আল্ মুক্বীত্, আল্ হাছীর্, আল্ জ্বালীল্, আল্ কারীম্, আর রক্বীব, আল্ মুজ্বীব, আল্ ওয়া-ছি’য়। আল্ ওয়াদূদ্, আল্ মজীদ্, আল্ বা- ‘ইছ, আশ্ শাহীদ্, আল্ হাক্বক্ব, আল্ ওয়াকীল, আল্ কাওয়্যী, আল্ মাতীন্, আল্ ওয়ালিয়্যু, আল্ হামীদ,
আল্ মুহছী, আল্ মুবদি’, আল্ ম’ইদ্, আল্ মুহয়ী, আল্ মুমীত্। আল্ হাইয়্যু, আল্ ক্বাইয়্যুম্, আল্ ওয়া-জ্বিদ, আল্ ওয়া- হিদ, আল্ মা-জ্বিদ্, আল আহাদ, আছ ছমাদ্, আল্ ক্বা-দের, আল্ মুক্বতাদির, আল্ মুক্বাদ্দিম্, আল্ মুনাখখির্, আল্ আউওয়াল্, আল্ আ-খির, আযযোয়া- হির্, আল্ বা-ত্বিন্।
আল্ ওয়া-লী, আল্ মুতা’আ-লী, আল্ বাররু, আত্ তাওয়ার্, আল্ মুন্তাকিম্, আল্ আফুয়্যু, আর্ রউফ্ আল্ মালিকুল্ মূল্ক্, যুলজালা-লিওয়াল্ ইকরা-ম্, আল্ মুকছিত্ব, আল্ জা-মী’য়ু, আল গনী, আল্ মুগ্নী, আল্ মা-নি’য়, আদ্ব দ্বোয়ার্, আল্ বাদী’য়, আন্ না-ফি’য়, আন নূর, আল্ হাদী, আল্ বাক্বী, আল্ ওয়ারিচ্, আর্ রাশীদ, আছ ছবূর্।
অজুর দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ. وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ الْإِسْلَامُ حَقٌّ وَالْكُفْرُ
بَاطِلُ الْإِسْلَامُ نُورٌ وَالْكُفْرُ ظُلْمَةٌ.
উচ্চারণ : বিছমিল্লা-হিল্ ‘আলিয়্যিল্ ‘আযীমি ওয়াল্লহাম্দু লিল্লা-হি ‘আলা- দ্বীনিল্ ইসলা-ম্, আলইসলামু হাক্বকুন্ ওয়াল্ কুফরু বা-ত্বিলুন, আল্ ইসলামু নূরুওঁ ওয়াল্ কুফরু যুলমাহ্।
অজুর পরে পড়ার দোয়া .
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ وَالَّذِينَ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ
وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁজ্ব ‘আল্নঈ মিনাত্তাওয়্যাবীনা ওয়াজ্ব’আল্নী মিনাল্ মুতাত্বোয়াহ্হিরীনা ওয়াল্লাযীনা লা- খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ ওয়ালা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্।
- পায়খানার পূর্বে পড়ার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিনাল্ খুবছি ওয়াল্ খাবা-য়িছ।
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে দুষ্টু নর ও নারী জাতীয় জিন থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।কাতে দিত করাকর্ত
- পায়াখানার পরে পড়ার দোয়া
الْحَمْدُ اللَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আযহাবা ‘আর্নিল আযা ওয়া ‘আ-ফা-নী।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কষ্টদায়ক বস্তুসমূহ দূর করেছেন এবং আমাকে সুস্থ করেছেন।
- নামাজ সংক্রান্তে দোয়া ও তাস্বীহ সমূহ
জায়নামাযে দাঁড়ায়ে পড়ার দোয়া
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَواتِ
وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
উচ্চারণ: ইন্নী ওয়াজ্জাহ্ ওয়াজ্বহিয়া লিল্লাযী ফাতারছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আদ্বোয়া হানীফাওঁ ওয়ামা-আনা মিনাল্ মুর্শরিকীন্।
অর্থ: “যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয়ই আমি আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকে ফিরালাম। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
- সানা (ছুবহা-নাকা)
سُبْحَنَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ
وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ: ছুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মাঁ ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাছমুকা ওয়া তা’আ-লা-জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গইরুক্।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, সকল প্রশংসা তোমারই জন্য। তোমার নাম মঙ্গলময়। তোমার মহিমা অতি উচ্চ। তুমি ভিন্ন কোন মা’বুদ নেই।”
তা’উযু (আ’উযু বিল্লা-হ)
اعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ আ’উযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বোয়া-নির রজ্বীম্।
অর্থ: বিতাড়িত শয়াতানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহ ‘তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
তাছমিয়া
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লা-হির্ রহমা-নির রহীম্।
অর্থ: পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
রুকুর তাছবীহ্ –
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمُ
উচ্চারণঃ ছুবহা-না রব্বিয়াল্ ‘আযীম।
অর্থ: আমার মহিমান্বিত প্রভু পবিত্র।
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَةً –
উচ্চারণঃ ছামী’আল্লা-হুলিমান্ হামিদাহ্।
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, তিনি তা শুনেন।
তাহমীদ
- رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণঃ রব্বানা-লাকাল্ হাম্দ্।
অর্থ: আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু পবিত্র। - সিজদাহর তাসবীহ
سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى
উচ্চারণ: ছুবহা-না রব্বিয়াল আ’লা-।
অর্থঃ আল্লাহ অতি বড় ও পবিত্র। - তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু)
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا
عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়া চ্ছলা-ওয়াতু ওয়াত্বত্বইয়্যিবা-তু, আচ্ছালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান্ নাাবিষ্যু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকাতুহ্। আচ্ছালামু ‘আলাইনা- ওয়া ‘আলা- ‘ইবা- দিল্লা-হিছ ছোয়া-লিহীন্। আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্নাঁ মুহাম্মাঁদান্ ‘আব্দুহু ওয়া রাছুলুহ্।
অর্থঃ “মৌখিক, শারীরিক, আর্থিক সমস্ত ‘ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি আল্লাহর রহমত, বরকত ও শান্তি বর্ষিত হোক, আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোন মা’বুদ নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (ছ.) আল্লাহর বান্দা ও রাছুল।
দুরূদ শরীফ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ ছল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন্ কামা-ছল্লাইতা ‘আলা-ইব্র-হীমা ওয়া’আলা-আ-লি ইব্র-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ্।
আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন্ কামা-বা-রাকতা ‘আলা-ইব্র-হীমা ওয়া ‘আলা-আ-লি ইব্র-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ্।
অর্থঃ হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ছ.) ও তাঁর বংশধরদের প্রতি সেরূপ শান্তি বর্ষণ কর, যেরূপ তুমি ইব্রহীম (আ.) ও তাঁর বংশধরদের প্রতি বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ছ.) ও তাঁর বংশধরদের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ কর, যেরূপ তুমি ইব্রহীম (আ.) ও তাঁর বংশধরদের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
দোয়া মাছুরা
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ
الرَّحِيمُ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফছী যুলসান্ কাছীরাওঁ ওয়ালা-ইয়াগ্ ফিরুযযূনূবা ইল্লা-আন্তাঁ ফাগফিরলী মাগ্ ফিরাতাম্ মিন্ ‘ইন্দিকা ওয়ার্ হাম্নী ইন্নাকা আন্তাল্ গফূরুর রহীম।
অর্থ: হে আমার আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অনেক জুলুম করছি। তুমি ছাড়া পাপ মার্জনাকারী কেউ নেই। অতএব, হে আল্লাহ! অনুগ্রহ পূর্বক তুমি আমার গুনাহ মাফ কর এবং আমার ওপর দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি দয়াময় ও পাপ মার্জনাকারী।
ছালাম:
السَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
উচ্চারণঃ আচ্ছালা-মু ‘আলাইকুম্ ওয়া রহমাতুল্লা-হ্।
অর্থ: তোমাদের প্রতি আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।
- দোয়া কুনুত
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْ تَعِينُكَ وَنَسْرٍ تَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِي عَلَيْكَ
الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَا تَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْرِ جُدُ وَإِلَيْكَ نَسْي هى وَنَحْفِيدُ وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشُى
عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না-নাতা’ঈনুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা ওয়া নু’মিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা ওয়া নুছনী ‘আলাইকাল্ খইর্।
ওয়া নাকুরুকা ওয়ালা-নাকফুরুকা ওয়া নালা’উ ওয়া নারুকু মাইঁইয়া জুরুকা আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকা নুছোয়াল্লী ওয়া নাছজুদু ওয়া ইলাইকা নাছ্’আ-ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রহমাতাকা ওয়া নাখশা-‘আজাবাকা, ইন্নাঁ ‘আজাবাকা বিল্ কুফ্ফা-রি মুলহিক্ব।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাচ্ছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি, তোমার প্রতি নির্ভর করছি, তোমার গুণাগান প্রকাশ করছি এবং তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তোমাকে অস্বীকার করছি না।
যে তোমার হুকুমের বিরুদ্ধে চলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছি এবং ত্যাগ করছি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই উপাসনা করছি, তোমার জন্যই নামাজ আদায় করছি এবং তোমাকেই সিজদা করছি। আমরা তোমাকে ভয় করছি!
তোমার সম্মুখে হাযির আছি, তোমার রহমতের আকাঙ্ক্ষী এবং তোমার শাস্তিকে ভয় করছি, আর কাফেরদের প্রতিই তোমার আযাব পতিত হবে।”
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরের তাছবীহসমূহ
নিম্নের তাছবীহসমূহ নির্দিষ্ট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ১০০ বার করে পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে দুনিয়া আখেরাতে মঙ্গল-কল্যাণ সাধিত হবে।
هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
(হুয়াল্ হাইয়্যুল্ ক্বাইয়্যুম্)
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তাআলা) চিরঞ্জীব ও স্থায়ী।
যোহর নামাজে
هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণঃ হুয়াল্ ‘আলিয়্যুল্ ‘আযীম্
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বিরাট ও মহান।
আছর নামাজে
هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ হুয়ার্ রহমা-নুর রহীম্।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তা’আলা) কৃপাময় ও করুণাময়।
মাগরিব নামাজে
- هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ হুয়াল্ গফুরুর রহীম।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তা’আলা) ক্ষামাকারী ও দয়াশীল।
এশার নামাজে
هُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
উচ্চরণঃ হওয়াল্ লতীফুল্ খবীর্।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তা’আলা) পবিত্র ও অতি সতর্ক।
এ ছাড়া প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে سُبْحَانَ اللَّهِ )ছুবহা-নাল্লা-হ) ৩৩ বার, الْحَمْدُ لِلَّهِ )আলহাম্দু লিল্লা-হ) ৩৩ বার এবং اللَّهُ أَكْبَرُ )আল্লা-হু আকবার( ৩৪ বার মোট একশতবার পাঠ করলে অশেষ নেকী লাভ হবে এবং রিযিক বৃদ্ধি ও বরকত পাবে।
ছুরা ইয়াছীনের ফযীলত ও তাৎপর্য
- হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, ছুরা ইয়াছীন নিয়মিত পাঠকারীর জন্য বেহেশতের ৮টি দরজাই মুক্ত থাকবে।
- নবী করীম (ছ.) বলেছেন, ছুরা ইয়াছীন রাতে আল্লাহর ওয়াস্তে পাঠ করলে সম্পূর্ণ বে-গুনাহ্ অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করতে পারবে।
- ছুরা ইয়াছীন পাঠকারীকে এ ছুরা-ই কেয়ামতে তার জন্য সুপারিশ করবে।
- হাদীছে বর্ণিত আছে, সমস্ত কোরআন শরীফ খতম করলে যে পূণ্য লাভ হয়, ছুরা ইয়াছীন একবার পাঠ করলে তদ্রূপ পূণ্য লাভ হয়।
- হযরত নবী করীম (ছ.) বলেছেন, যত অভাবগ্রস্থ হোক না কেন, এ ছুরা প্রত্যহ সূর্যোদয়কালে পাঠ করলে ধনসম্পদের অধিকারী হবে।
- মনে কোন কামনা খাকলে এ ছুরা পাঠ করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।
- রুগ্ন ব্যক্তির গলায় এ ছুরা লিখে বেঁধে দিলে ইন্শাআল্লাহ্ রোগ মুক্ত হবে।
- গোরস্থানে বসে এ ছুরা পাঠ করলে কবরে সমস্ত শাস্তি মওকুফ হবে।
- এ ছুরা লিখে সাথে রাখলে ভূত-প্রেত জ্বীন, দৈত্যের ও নানাবিধ রোগাক্রমণ হতে নিরাপদে থাকবে।
উম্মাদ অথবা জ্বীনগ্রস্ত রোগীর শরীরে এ ছুরা পাঠ করে ফুঁক দিলে ইনশাআল্লাহ্ জ্বীন মুক্ত হবে।
- কোন কাজ দুঃসাধ্য হয়ে গেলে এ ছুরা পাঠ করলে তা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।
- মৃত্যু পথ যাত্রীর জন্য এ ছুরা পাঠ করলে মৃত্যু-যন্ত্রণা লাঘব হয়।
- হাদীছ শরীফে এ ছুরাটিকে কোরআনের রূহ বলা হয়েছে।
- ছুরা আর-রহমানের ফযীলত
যে ব্যক্তি শুদ্ধভাবে, স্থির মনে এ ছুরা পাঠ করবে, আল্লাহ্ রব্বুল ‘আলামিন তাকে দুনিয়ার বালা-মুসিবত ও দোযখের অগ্নি থেকে নিরাপদে রাখবেন। - যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূর্যোদয়কালে ছুরা আর-রহমান পাঠ করবে এবং প্রত্যেক “ফাবি আয়্যি আ-লা-য়ি রব্বিকুমা- তুকাযয্যিবা-নৃ’ পাঠ করার সময়ে সূর্যের দিকে আঙ্গুল দ্বারা সংকেত করবে তার কাছে সমস্ত মানব বাধ্য ও অনুগত থাকবে।
- যে ব্যক্তি এ ছুরা প্রত্যহ পাঠ করে আল্লাহর শোকর আদায় করবে, সে নিঃসন্দেহে কবর আজাব হতে রেহাই পাবে।
- এ ছুরা পাঠ করে চক্ষু রোগী বা প্লীহা রোগীকে ফুঁক দিলে রোগ নিরাময় হবে।
- রোগীর গলায় এ ছুরা লিখে বেঁধে দিলে রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
- এ ছুরা ১১ বার পাঠ করলে সকল আশা পূর্ণ হবে।
- এ ছুরা যে ব্যক্তি প্রত্যহ পাঠ করবে, তার চেহারা উজ্জল হবে এবং সে বেহেশতবাসী হবে।
- এ ছুরা প্রত্যহ পাঠ করলে রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
দৈনন্দিন জীবনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
প্রত্যহ ফজরের পরে এবং মাগরিবের পরে এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়াদ্বুররু মা’আ ইছমিহী শাইউন্ ফিল্ আরদ্ধি ওয়া লা-ফিচ্ছামা-য়ি ওয়া হুওয়াহ্ ছামী’উল্ ‘আলীম্।
অর্থ: “ঐ আল্লাহর নামে যার নামের সাথে কোন কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, যমীন ও আসমানের কোথায়ও না এবং তিনি সমস্তই শ্রবণ করেন ও জানেন।
উপকারিতাঃ যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পরে এ দোয়া’ তিনবার পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে আকস্মিক মুছীবত থেকে রক্ষা করবেন। অতঃপর দূরা হাশরের এ তিন আয়াত পাঠ করবে।
পাঠ করার পূর্বে তিনবার নিম্নের দোয়া পড়তে হবে-
أَعُوذُ بِاللهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ আ’ঊয বিল্লা-হিছু ছামি’ইল্ ‘আলীমি মিনাশ্ শাইত্বোয়া-নির রজীমি।
ছুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত
هُوَ اللهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلِمُ الْغَيْبِ وَ الشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ هُوَ اللهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلْمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَنَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ هُوَ
اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاتِ وَ
(۲۴) الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আ-লিমুল্ গাইবি ওয়াশ্ শাহা- দাতি হুওয়ার্ রহমা-নুর রহীম্। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হূ; আল্ মালিকুল্ কুদ্দুছুছ ছালা-মুল্ মু’মিনুল্ মুহাইমিনুল্ ‘আযীযুল্ জ্বাব্বা-রুল্ মুতাকাব্বির্।
ছুব্হা- নাল্লা-হি ‘আম্মা- ইয়ুশরিকূন্। হুওয়াল্লা-হুল খ-লিকুল্ বা- রিউল্ মুছোয়াওয়্যিরু লাহুল্ আছমা- উলহুছ্না-; ইয়ুছাব্বিহু লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরদ্ব; ওয়া হুওয়াল্ ‘আযী-যুল্ হাকী-ম্।
অর্থ “ তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নেই; তিনি গোপন ও প্রকাশ্য (সমস্তই) জানেন। তিনি দয়াময়, অতি দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তিনি মালিক, পবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী রক্ষণাবেক্ষণকারী, সর্বশক্তিমান, পরাক্রমাশালী, প্রবল প্রতাপন্বিত তারা যা শরীক করে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র মহান।
তিনিই আল্লাহ সকলের সৃজনকারী, (সকল বস্তুর) অস্তিত্ব প্রদানকারী, ও আকৃতি দানকারী। তাঁর জন্যই রয়েছে উত্তম নামসমূহ, সমস্ত আসমানে এবং যমীনে যা কিছু আছে সকলেই তাঁর পবিত্রতা মহিমা বর্ণনা করে এবং তিনি মহা পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
আয়াতুল কুরছী:
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা- হুওয়াল্ হাইয়্যুল্ ক্বাইয়্যুম্, লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা- নাওম্। লাহূ মা- ফিচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিলআরদ্ব।
মানঁ যাল্লাযী ইয়াশফা’উ ‘ইন্দাহ্-ইল্লা- বিইযনিহ্, ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদী হিম্ ওয়ামা- খাল্ল্ফাহুম্, ওয়ালা- ইয়ুহীতুনা বিশাইয়িম্ মিন্ ‘ইলমিহী- ইল্লা-বিমা-শা-য়া ওয়াছি’আ কুরছিয়্যু হুচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরদ্ব; ওয়ালা- ইয়াউদুহূ হিফয্যুহুমা-ওয়া হুওয়াল্’আলিয়্যুল্ ‘আযীম্।
অর্থ: “আল্লাহ, ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব (চিরস্থায়ী) ও প্রতিষ্ঠিত। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। তাঁরই জন্য একচ্ছত্র মালিকানা স্বত্ব ঐ সমস্ত বস্তুর যাকিছু সমস্ত আসমান ও যমীনের মধ্যে রয়েছে।
এমন কে আছে যে, তাঁর বিনা অনুমতিতে সুপারিশ করবে? তিনি তাদের (মানুষের) অগ্র-পশ্চাতের সবকিছু জানেন। এবং তারা (মানুষেরা) তাঁর জ্ঞানের কিছুই নিজেদের জ্ঞানের মধ্যে আনতে সক্ষম নয়,
তাঁর ইচ্ছা ব্যতীরেকে এবং তাঁর কুরসী সমগ্র আসমান ও যমীন ব্যাপি পরিবেষ্টিত। এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে তাঁর কোন বেগ পেতে হয় না। তিনি অতি মহান ও মহামহীম।”
বিপদ মুক্তির দোয়া ছক
প্রকাশ থাকে যে, আয়াতুল কুরছী যে ব্যক্তি সন্ধ্যাবেলা পাঠ করবে তার পরে নিম্নের দোয়াটিও পাঠ করবে। তা হলে আল্লাহ্ তা’আলা পাঠকারীর সমস্ত বিপদাপদ দূর করে দেবেন।
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ . أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي يُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَ أَوَبَرَا
উচ্চারণঃ আম্ছাইনা-ওয়া আমছাল্ মুল্কু লিল্লা-হি ওয়াল্ হাম্দু লিল্লা-হ্; আ’উযু বিল্লা-হিল্লাযী ইয়ুমছিকু চ্ছামা-য়া আন্ঁ তাক্বা’আ ‘আলাল্ আরদ্ধি ইল্লা-বিইযনিহী মিন্ শাররি খলাক্বা ওয়া যারাআ ওয়া বারায়্।
অর্থ: “আমরা ও আল্লাহর সমগ্র জগত (আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীর জন্য) সন্ধ্যা করেছি এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমি আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করছি- যিনি তাঁর অনুমতি ব্যতীত আসমানকে যমীনের ওপর পতিত হওয়া থেকে বিরত রেখেছেন;
এমনি সমস্ত বস্তুর অনিষ্ট হতে (আশ্রয় গ্রহণ করছি) যা তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং বিস্তৃত করেছেন এবং সঠিকভাবে তৈরি করেছেন।”
গুনাহ মাফের আশ্চার্য দোয়া
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আব্বার্। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ্, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুল্ক ওয়া লাহুল্ হাম্দ্, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া লা-হাওলা ওয়া লা-কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ্।
প্রয়োজন পূর্ণ করবার দোয়া
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নীআছয়ালুকা ছিহহাতান্ ফী ঈমা-নিওঁ ওয়া ঈমা-নান্ ফী হুছনি খুলুকিওঁ ওয়া নাজ্বা-তাই ইয়াতবা’উহা- ফালা-হুন্ ওয়া রহ্ মাতাম্ মিনকা ওয়া ‘আ-ফিয়াতাওঁ ওয়া মাগফিরাতাম মিনকা ওয়া রিদ্বওয়া-না-।
- শয়নকালের দোয়া
হাদীছে বর্ণিত আছে, হযরত রাছুলুল্লাহ (ছ.) বলেছেন- শয়নের পূর্বে অজু না থাকলে অজু করতঃ শয়ন করবে। শয়নের পূর্বে যে কোন কাপড় দ্বারা বিছানা তিনবার ঝেড়ে নেবে। অতঃপর এ দোয়া পাঠ করে বিছানায় শয়ন করবে।
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহ্। লাহুল মুল্ক ওয়া লাহুল্ হাম্দু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বদীর্। ওয়ালা-হাওলা ওয়া লা-কুওয়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হ্।
ছুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল্ হামুদু লিল্লা-হি ওয়া লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আব্বার্।
- শয়নের পূর্বে ইস্তিগফার
রাতে শয়নের পূর্বে নিম্নের ইস্তিগফার তিনবার পড়ে শয়ন করবে।
اسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ
الْقَيُّومُ وَاتُوبُ إِلَيْهِ.
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল্ হাইয়্যুল্ ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহ্।
অর্থ: “আমি আল্লাহু তা’আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর নিকট তওবা করছি।
ঈমানের সহিত মৃত্যু হয়ার দোয়া’
উচ্চারণঃ বিছমিল্লা-হি, আল্লা-হুম্মাঁ আছলামতু নাফ্ছী ইলাইকা ওয়া’ওয়াজ্বজ্বা ওয়াজ্বহী ইলাইকা ওয়া ফা ওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা। ওয়া আলজ্বা’তু যহরী ইলাইকা রগাবাতাওঁ ওয়া রহবাতীন্ ইলাইকা। লা-মালজ্বা-য়া ওয়া লা-মান্জা-য়া মিনকা ইল্লা- ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী- আনঁযাল্লা ওয়া নাবিয়্যিকাল্লাযী আরছালতা।
- খারাপ স্বপ্ন দেখে পড়ার দোয়া বর্ণিত আছে, খারাপ স্বপ্ন দেখলে বাম পার্শে তিনবার থু থু ফেলবে এবং যে পার্শ্বে শোয়া ছিলে সে পার্শ্ব পরিবর্তন কবে শুবে আর এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে এবং কারো নিকট বলবে না।
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ وَشَرِّهُذِهِ
الرؤيا.
উচ্চারণঃ আ’উযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বোয়া-নির্ রাজীমি ওয়া শারির হা- যিহির্ রু’ইয়া-।
- নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে পড়ার দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا
وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ আল্হামদু লিল্লা-হিল্লা-যী আহ্ইয়া-না- বা’দা মা-আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর্।
খানা খাওয়ার পরে পড়ার দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا
مِنَ الْمُسْلِمِينَ .
উচ্চারণঃ আলহাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ম ‘আমানা-ওয়া ছাক্বা-না ওয়া জ্বা’আলানা- মিনাল্ মুস্লিমীন।
দাওয়াত খাওয়ার পরে পড়ার দোয়া
اللَّهُمَّ أَطْعِمُ مَّنْ أَطْعَمَنِي وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আতু’ইম্ মান্ আত্ম’আমানী ওয়াক্বি মান্ ছাক্বা-নী।
- নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দোয়া
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِن شَرِّ هُذَ الْغَاسِقِ .
উচ্চারণঃ আ’উযুবিল্লা-হি মিন শারি হা-যাল্ গা-ছিকু।
আয়নায় মুখ দেখারকালে পড়ার দোয়া
اللهُمَّ أَنْتَ حَسَنْتَ خَلْقِي فَحَسِنُ خُلُقِى
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আন্তা হাছান্তা খাল্কী ফাহাৰ্ছিন্ খুলুক্বী।
- মুসলমান ভাইকে ছালাম দেয়া
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
উচ্চারণঃ আচ্ছালামু ‘আলাইকুম্ ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়াবারাকা-তুহ্।
- ছালামের জবাব দেয়া
وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحَمْةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ.
উচ্চারণঃ ওয়া আলাইকুমুচ্ছালা-মু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকাতুহ্।
স্ত্রী সহবাসের সময় পড়ার দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَ الشَّيْطَانَ وَجَنْبِ
الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا . دن بنان لي
উচ্চারণঃ বিছমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মাঁ জান্নিবনাশ শাইত্বোয়া-না ওয়া জান্নিবিশ্ শাইত্বোয়া-না মা-রযাক্ব-তানা-।
বীর্যপাতের সময় মনে মনে এ দোয়া পড়বে
اللهُمَّ لَا تَجْعَلُ لِلشَّيْطَانِ فِيمَا رَزَقْتَنِي
نَصِيبًا.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লা-তাজ্ব’আল্ লিশশাইত্বোয়া-নি ফীমা-রয্বাক্বতানী নাছীবা-।। শুনি-জ-কক্ষীয়াশানুচী
যানবাহনে আরোহনকালে পড়ার দোয়া
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هُذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ .
উচ্চারণঃ ছুবহা-নাল্লাযী ছাখারা লানা- হা-যা- ওয়ামা- কুন্না- লাহ্ মুক্বরিনীনা ওয়া ইন্না-ইলা-রব্বিনা- লামুনক্বালিবূ-ন্।
সফর হতে প্রত্যাবর্তন করে পড়ার দোয়া
ائِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ.
উচ্চারণঃ আ-য়িবূনা তা-য়িবূ-না ‘আ- বিদূনা লিরব্বিনা- হা-মিদূন্।
সফরে থাকাবস্থায় পড়ার দোয়া
اللهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ أَصْبَحْنَا فِي سَفَرِنَا
وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আন্তাছ্ ছোয়া-হিবু ফিচ্ছাফারি ওয়াল্ খলীফাতু ফিল্ আহলি আল্লা-হুম্মাছ্ বাহনা- ফী ছাফারিনা- ওয়াখলুফনা- ফী আহর্লিনা-।
- নৌকা বা জাহাজে আরোহণের সময় পড়ার দোয়া
بِسْمِ اللهِ مَجْرِهَا وَمُرْسُهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ وَمَا قَدَرُ اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ
جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمُوتُ مَطوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَتَعَالَى عَمَّا
يُشْرِكُونَ.
উচ্চারণঃ বিছমিল্লা-হি মাজরীহা-ওয়া মুরর্ছা-হা- ইন্না রব্বী লাগফুরুর রহীম্। ওয়ামা- ক্বদারুল্লা-হা হাক্বক্বা ক্বদরিহ্ ওয়াল্ আরদ্বু জ্বামী’আন্ ক্ববদ্বোয়াতুহূ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ওয়াচ্ছামা-ওয়া-তু মাত্বওয়িয়্যা-তুম্ বিইয়ামীনিহ্; ছুব্হা- নাল্লা-হি-ওয়া তা’আ-লা-‘আম্মা- ইয়ুশ্ রিকুন্।
- গৃহে প্রবেশের সময় পড়ার দোয়া
تَوْبًا تَوْبًا لِرَبِّنَا أَوْبًا – لَا يُغَادِرُ عَلَيْنَا حَوْبًا.
উচ্চারণঃ তাওবান তাওবা-, লিরব্বিনা- আওবা-, লা-ইয়ুগা-দিরু ‘আলাইনা- হাওবা-।
- দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর সময় পড়ার দোয়া
বর্ণিত আছে, ইবনে আবী ‘আসেম তার লিখিত “কিতাবুদ্দোয়া” নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এ দোয়া পড়লে
পেরেশানী ও দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ
، سُبْحَانَ رَبِّ السَّمواتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينِ ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ
مِنْ شَرِّ عِبَادِكَ.
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল্ হালীমুল্ কারীম্। ছুবহা-নাল্লা-হি রব্বিচ্ছামা-ওয়া- তিচ্ছাব’আ ওয়া রব্বিল্ ‘আরশিল্ ‘আযীম্। আল্হাম্মদু লিল্লা-হি রব্বিল্ ‘আ- লামীন। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন্ শারির ‘ইবা-দিক্।
ভয় পাওয়ার সাথে সাথে পড়ার দোয়া
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيْطِينِ وَ أَنْ
يَحْضُرُونَ.
উচ্চারণঃ আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মাঁতি মিন্ গদ্বোয়াবিহী ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহী ওয়ামিন্ হামায্বা-তিশ্ শাইয়া-ত্বীনি ওয়া আইঁয়্যাহদ্বুরূন্।
কোন কাজ দুঃসাধ্য হলে পড়ার দোয়া
اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا مَا جَعَلْتَهُ سَهْلًا وَأَنْتَ
تَجْعَلُ الْحُزْنَ سَهْلًا إِذَا شِئْتَ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লা-ছাহলা ইল্লা- মা-জ্বা’আল্লাহ্ ছাহলাওঁ ওয়া আন্তা তাজ্ব’আলুল্ হুয্না ছাহ্লান্ ইযা- শি’তা।
- প্রবল বৃষ্টির সময় পড়ার দোয়া
অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে থাকলে এবং ওতে ক্ষতির আশংকা দেখা দিলে এ দোয়া পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ অতি বৃষ্টি কমে যাবে।
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا – اللَّهُمَّ عَلَى الْأَكَامِ
وَالْأَجَامِ وَالشِّرَابِ وَالْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ হাওয়া-লাইনা- ওয়ালা-‘আলাইনা-। আল্লা-হুম্মা ‘আলাল্ আ-কামি ওয়াল্ আ-জ্বা-মি ওয়াযয্যির-বি ওয়াল্ আওদিয়াতি ওয়া মানা-বিতিশ্ শাঁজারি।
প্রবল ঝড়-তুফানের সময় পড়ার দোয়া
যে সময় প্রবল ঝড় তুফান হতে থাকে, তখন তার দিকে মুখ করে নামাযের কায়দায় দু’জানু হয়ে বসে হাটুর উপর হাত রেখে এ দোয়া পাঠ করবে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ
بِهِ – وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا
وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِه
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছয়ালুকা খইরহা-ওয়াখইরা মা- উছিলাত্ বিহ্। ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন্ শারিহা- ওয়া শারি মা- ফীহা- ওয়া শাররি মা- উরছিলাত্ বিহ্।
- নতুন পোশাক পরিধানকালে পড়ার দোয়া
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِيَ بِهِ
عَوْرَتِي وَاتَّجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي.
উচ্চারণঃ আল্লহামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাছা-নী মা- উওয়া-রিয়া বিহী ‘আওরাতী ওয়া আতাজাম্মাঁলু বিহী ফী হায়া-তী।
বর ও কনের জন্য দোয়া
بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ اللَّهُ عَلَيْكَ وَجَمَعَ
بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ .
উচ্চারণঃ বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়া বা- রাকাল্লা-হু ‘আলাইকা ওয়া জামা’আ বাইনাকুমা- ফী খাইর্।
- মেয়ে ও নতুন জামাতার জন্য দোয়া
اللهُمَّ إِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ
الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী উ’ঈযুহা- বিকা ওয়া যুরিয়্যাতাহা-মিনাশ্ শাইত্বোয়া-নির্ রজ্বীম্।
মোছাফাহার দোয়া
يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ .
উচ্চারণঃ ইয়াগ্ ফিরুল্লা-হু লানা- ওয়ালাকুম্
- হাঁচির দোয়া
কেউ হাঁচি দিলে বলবে-
الْحَمْدُ لِلَّهِ (আল্হাম্দু লিল্লা-হ্) (আল্লহামদু লিল্লা-হ্,) শুনে বলবে- يَرْحَمُكَ اللهُ (ইয়ারহামুকাল্ল-হ্)
ঋণ পরিশোধের দোয়া
اللهُمَّ الْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاغْنِنِي بِفُضْلِكَ عَمَّنْ سَوَاكَ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁকফিনী বিহালা- লিকা ‘আন্ হার-মিকা ওয়াআগ্নিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান্ ছিওয়া-ক্।
বাজারে পৌঁছে পড়ার দোয়া
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِ وَيُمِيتُ وَهُوَ حَلٌّ لَّا يَمُوتُ
بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٍ .
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহূ লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল্ হাম্দু ইয়ুহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুওয়া হাইয়্যুল্লা-ইয়ামৃতু বিয়াদিহিলি খইরু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।
নতুন ফসল দেখে পড়ার দোয়া
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا
وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِنَا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ বারিক লানা- ফী ছামারিনা-; ওয়া বারিকলানা- ফী মাদীনাতিনা- ওয়া বারিকলানা- ফী ছোয়া- ‘ইনা- ওয়া বারিকলানা- ফী মুদ্দিনা-।
- ইন্তেকালের পূর্বে পড়ার দোয়া
মৃত্যু-পথযাত্রী ব্যক্তি উত্তর দিকে মাথা রেখে পশ্চিম দিকে মুখ করে এ দোয়া পড়তে থাকবে।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَالْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ
الأعلى.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁগফিরলী ওয়ার্ হামনী ওয়ালহিকুনী বিররফীক্বিল্ আ’লা-।
কবরে মুনকির নকীরের প্রশ্নের জবাব সহজ হওয়ার দোয়া (ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর তিনবার পাঠ করবে)
رَضِيْتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ
نَبِيًّا وَرَسُولًا .
রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বাওঁ ওয়াবিল্ ইসলা- মি দীনাঁও ওয়াবি মুহাম্মাদিন্ নাবিয়্যাওঁ ওয়া রাছুলা-।
- বেহেশত লাভের দোয়া
আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ফজর কিংবা মাগরিব নামাযের পরে এ দোয়াটি পাঠ করবে,অতঃপর যে ব্যক্তি ঐ দিবসে অথবা রাতে মৃত্যুবরণ করল, নিশ্চয়ই সে বেহেশত লাভ করবে।
اللهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ اَعُوذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْ بِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنتَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ আন্তা রব্বী, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা খলাক্বতানী ওয়া আনা’আব্দুকা ওয়া আনা ‘আলা- ‘আদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মা- ছতাত্বোয়া’তু আ’ঊযুবিকা মিন্ শারি মা- ছনা’তু আবূউ বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহ্ লা-ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা-আন্তাঁ।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রভু, তুমি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা এবং আমি তোমার বান্দা এবং আমি তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের প্রতি যথাসম্ভব অটল রয়েছি। আমি আমার সকল কৃত কু-
কার্য্যের অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তোমার দানকৃত সকল নেয়ামতের আমি স্বীকারোক্তি করছি এবং নিজ গুনাহের স্বীকারোক্তিও করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। যেহেতু তুমি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমা করার কেউ নেই।”
- আল-কোরআনে বর্ণিত নবী (আ.) গণের দোয়া
হযরত আদম (আ.)-এর দোয়া
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا سَنَتَهُ وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا
وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণঃ রব্বানা-যলামা-আনঁফুছানা- ছেক্তা ওয়া ইল্ লাম্ তাগফিরলানা-ওয়া তারহামনা- লানাকূনান্নাঁ মিনাল্ খ-ছিরীন্।
অর্থ: “হে আমাদের রব! আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি; এখন তুমি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না কর এবং রহমত না কর, তবে আমরা নিশ্চত ধ্বংস হয়ে যাব। (ছুরা আ’রাফ-২৩ আয়াত)
হযরত নূহ (আ.)-এর দোয়া
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَالَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ
الْخَاسِرِينَ.
উচ্চারণঃ রব্বি ইন্নী আ’ঊযুবিকা আন্ আছয়ালুকা মা- লাইছা লী-বিহী ‘ইলমুন্ ওয়া ইল্লা-তাগফির্ লী ওয়া তারহাম্নী আকুম্ মিনাল্ খ-ছিরী-ন।
অর্থ: হে আমার রব! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই সে বিষয় তোমার নিকট প্রার্থনা করা হতে, যে বিষয় আমার অজানা। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা ও দয়া না কর, তবে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো।” (ছুরা হৃদ-৪৭ আয়াত)
হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর দোয়া
رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا الْمَصِيرُ .
উচ্চারণঃ রব্বানা-‘আলাইকা তাওয়াক্ কালনা-ওয়া ইলাইকা আনাবনাল্ মাছী-র।
অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! তোমার উপরই আমরা নির্ভর করেছি, আর তোমার দিকেই আমরা প্রত্যাবর্তন করেছি এবং তোমার কাছেই আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।” (ছুরা মুস্তাহিনা, আয়াত-৪)
- সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা ও মু’মিনদের জন্য ইব্রাহীম আ.-এর দোয়া
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَ
لِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ .
উচ্চারণঃ রব্বিজ্ব ‘আল্নী মুক্বীমাছ ছলা-তি ওয়া মিন্ যুররিয়্যাতী রব্বানা- ওয়া তাক্বব্বাল দু’আ-য়্। রব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালিওয়া- লিদাইয়্যা ওয়ালিল্ মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল্ হিছা-ব্।
অর্থ: “হে আমার রব! আমাকে নামায ক্বায়েমকারী বানাও, আর আমার সন্তানদের মধ্য হতেও। হে আমার প্রভু! আমার দোয়া কবুল কর। হে আমার রব! আমাকে, পিতা-মাতাকে ও মু’মিনদেরকে হিসাবের দিন ক্ষমা করে দিও।” (ছুরা ইব্রাহীম, আয়াত-৪০-৪১)
- হযরত আইয়ুব (আ.)-এর দোয়া
أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ.
উচ্চারণঃ আন্নী মাচ্ছানিয়াদ্বদ্বররু ওয়া আন্তাঁ আর্ হামুর্ র-হিমীন্।
অর্থঃ আমি কষ্টে আছি আর আপনি শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (ছুরা আম্বিয়া, আয়াত-৮৩)
- নেক আমলের দোয়া
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, যারা সত্যিকারভাবে ঈমান এনেছে তারা কখনও আল্লাহ পাক থেকে গাফেল থাকে না উঠতে-বসতে চলতে ফিরতে সর্বদা আল্লাহ পাকেরই স্মরণ করে থাকে এবং সেজদায় পড়ে আল্লাহ পাকের জিকির আজকারে মত্ত থাকে।
যখন তারা চলাফেরা করে তখন অতি ধীরভাবে মাটিতে পা ফেলে (কারণ তাদের মধ্য আল্লাহ-ভীতি রয়েছে) এবং নিম্নের দোয়া পাঠ করে-
رَبِّ أَوْ زِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتِكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَى وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضُهُ
وَادْ خِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّلِحِينَ .
উচ্চারণঃ রব্বি আওযি’নী আন্ আশকুরা নি’মাতিকা ল্লাতী আন’আম্তা ‘আলাইয়্যা ওয়া ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়্যা ওয়া আন্ আ’মালা ছোয়া-লিহান্ তারদ্বোয়া-হু ওয়া আদখেলনী বিরহ্ মাতিকা ফী ‘ইবা-দিকাহ্ ছোয়া-লিহীন্।
অর্থ: “হে আমার প্রভু! আমাকে শক্তি দান কর। যেন আমি তোমার সে অনুগ্রহের জন্য শোকর আদায় করতে পারি যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যেন তোমার পছন্দনীয় সৎকার্য করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।” (ছুরা নামল- ১৯ আয়াত)
হযরত মুছা (আ.)-এর দোয়া
رَبِّ أَنزِلُنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ
الْمُنْزِلِينَ .
উচ্চারণঃ রব্বি আনঁযিলনী মুন্যালাম্ মুবা-রাকাওঁ ওয়া আন্তা খাইরুল্ মুন্যিলীন্।
অর্থ: “হে আমার রব! আমাকে বরকত 66 পূর্ণ স্থানে অবতরণ করাও; তুমিই সর্বোত্তম স্থান দানকারী। (ছুরা মু’মিনূন- ২৯ আয়াত)
- হযরত ইউসুফ (আ.)-এর দোয়া
مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لَا
يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ .
উচ্চারণঃ মা’আ-যাল্লা-হি ইন্নাহূ রব্বী- আহ্ছানা মাছওয়া-ইয়া ইন্নাহু লা-ইয়ুফ্ লিহু যযোয়া-মিমূন্।
অর্থ: “আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তিনি আমার প্রভু! তিনি আমাকে সম্মান জনক ভাবে থাকতে দিয়েছেন, সীমা লঙ্ঘন কারীরা সফলকাম হয় না। (ছুরাঃ ইউসুফ)
হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর দোয়া
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ
سَمِيعُ الدُّعَاءِ.
উচ্চারণঃ রব্বি হাল্লী মিল্লাদুন্কা যুররিয়্যাতা ত্বয়্যিবাতান্ ইন্নাকা ছামী- ‘উদ দু’আ-য়।
অর্থ: “হে আমার রব! তোমার বিশেষ দয়ায় আমাকে সৎ সন্তান দান কর। প্রকৃতপক্ষে তুমিই দোয়া শ্রবনকারী।” (ছুরা আল-ইমরান-৩৮ আয়াত)
হযরত ঈসা (আ.)-এর দোয়া
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ
فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ.
উচ্চারণঃ রব্বানা-আ-মান্না বিমা-আন্যা ল্ল্তা ওয়াত্তাবা’নার্ রাছুলা ফাকুন্না মা’আশ্ শা-হিদীন্।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা নাযিল করেছ আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং রাছুলের অনুসরণ করেছি। তুমি আমাদের নাম সাক্ষ্য দাতাদের সাথে লিখে নাও। (ছুরা আল- ইমরান-৫৩ আয়াত)
কোরআনের আরও বিশেষ কিছু দোয়া
উত্তম চরিত্রের পুত্র পাওয়ার দোয়া
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّلِحِينَ .
উচ্চারণঃ রব্বি হাবল্লী মিনাহ্ ছোয়া- লিহীন।
অর্থ: “হে আমার রব! আপনি আমাকে 66 একটি সৎপুত্র দান করুন।” (ছুরা ছফ্ফাত- ১০০ আয়াত)
- জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ার দোয়া
رَبِّ زَدْنِي عِلْمًا .
উচ্চারণঃ রব্বি যিদনী ‘ইলমা-।
অর্থ: “হে আমার প্রতিপালক! আমার ‘ইলম (বিদ্যা) বাড়িয়ে দাও।” (ছুরা ত্ব- হা- ১১৪ আয়াত)
উভয় জাহানে কল্যাণ লাভের দোয়া
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَ فِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ .
উচ্চারণঃ রব্বানা-আ-তিনা- ফিদ্দুয়া- হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল্ আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াক্বিনা- ‘আযা-বান্নার।
অর্থ: “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণ দান কর। এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমদেরকে রক্ষা কর।” (ছুরা বাক্বারা ২০১ আয়াত)
- উদ্দেশ্য মন্জুর করানোর দোয়া
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ রব্বানা-তাক্বাব্বাল মিন্না- ইন্নাকা আন্তাচ্ছামী ‘উল ‘আলীম।
অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! আমাদের এ কাজ কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সমস্ত কিছু শুনতে পাও এবং জান।” (ছুরা বাকারা ১২৭ আয়াত)
- নবী করীম (ছ.)-এর প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য দুরূদ শরীফ পাঠ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কালাম মজীদে এরশাদ করেছেন-
“নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতা মণ্ডলী হযরত মুহাম্মদ (ছ.)-এর প্রতি দুরূদ প্রেরণ করেন, অতএব হে মু’মিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি দুরূদ ও ছালাম প্রেরণ কর।” (অর্থাৎ তোমরা দুরূদ শরীফ পাঠ কর।)
- শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ
আল্লাহ তা’আলার তরফ থেকে হযরত রাসূলুল্লাহ (ছ.)-এর প্রতি দুরূদ পাঠ করার আয়াত নাযিল হয়ার পর ছাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাছুলাল্লাহ! আমরা আপনার প্রতি কি প্রকারে দুরূদ পাঠ করব?
তখন রাছুলে করীম (ছ.) ছাহাবায়ে কেরামকে এ দুরূদ শরীফ শিক্ষা দিয়েছেন। যে দরূদ শরীফ আমরা নামাযের বৈঠকে তাশাহুদের পরে পাঠ করে থাকি। এ দুরূদ শরীফ সমস্ত দুরূদ থেকে উত্তম।
মালা দরূদ শরীফ
اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
وعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ ছল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-ছল্লাইতা ‘আলা-ইব্র- হীমা ওয়া ‘আলা-আ-লি ইব্র-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ্। আল্লা-হুম্মা বা- রিক ‘আলা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-বা-রাকতা ‘আলা- ইব্র-হীমা ওয়া ‘আলা-আ-লি ইব্র-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ্।
আশি বছরের গুনাহ্ মাফের দুরূদ
ফযীলতঃ নুযহাতুল মাজালেছ কিতাবে উল্লেখ আছে, হযরত রাছুলুল্লাহ্ (ছ.) বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমু’আর দিবসে আছর নামাযের পরে এ দুরূদ শরীফ ৮০বার পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
- দরূদ শরীফ
اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى –
الِهِ وَسَلَّمْ تَسْلِيمًا
উচ্চাণঃ আল্লা-হুম্মাঁ ছল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদিনিন্ নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া ‘আলা-আ-লিহী ওয়া ছাল্লিম্ তাছলিমা-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি উম্মি নবী মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এর উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তাঁর পরিবারের উপরও বিশেষ শান্তি বর্ষণ করুন।
- দুরূদে শিফার ফযীলত ও তাৎপর্য ফযীলতঃ
দেশ-গ্রামে মহামারি আকারে কলেরা বসন্ত বা অন্য কোনো রোগ দেখা দিলে ফজর ও মাগরিবের পর এ দুরূদ শরীফ তিনবার পাঠ করলে উক্ত মহামারী রোগ হতে রক্ষা পাবে। ব্যক্তিগতভাবে ফজর ও মাগরিবের পর সর্বদা তিনবার পাঠ করলে মৃত্যুরোগ
ব্যতীত অন্য কোন বড় রোগ আল্লাহ চাহে তো হবে না।
দুরূদ শরীফ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مَحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ
دَاءٍ وَدَاوَاءٍ وَبِعَدَدِ كُلِّ عِلَّةٍ وَشِفَاءٍ .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছল্লি ‘আলা- ছাইয়্যিদিনা-মুহাম্মাদিম্ বি’আদাদি কুল্লি দা-য়িওঁ ওয়া দাওয়াইওঁ ওয়া বি’আদাদি কুল্লি ‘ইল্লাতিওঁ ওয়া শিফা-য়।
সহস্র দিনের ছওয়াব লাভের দরূদ শরীফ
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত জাবের (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাহুলুল্লাহ্ (ছ.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় এ দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, সে এর ছওয়াব লিখক ফেরেশতাকে হাজার দিনের কষ্টের মধ্যে ফেলে দেবে। অর্থাৎ এর ছওয়াব তার আমল নামায় লিখার জন্য ফেরেশতারা সহস্র দিন ব্যতিব্যস্ত থাকবেন।
- দরূদ শরীফত
اللهُمَّ رَبَّ مُحَمَّدٍ – صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى الِ مُحَمَّدٍ – وَأَجْزِ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ مَا هُوَ أَهْلُهُ .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাঁ রব্বা মুহাম্মাদিন, ছল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন; ওয়া আজ্বযি মুহাম্মাঁদান্ ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া ছাল্লামা মা- হুওয়া আহলুহ।
হযরত লূত (আ.)-এর দোয়া
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ .
উচ্চারণঃ রব্বিনঁছুরনী ‘আলাল্ ক্বাওমিল্ মুফছিদ্দীন।
অর্থ: “হে আমার প্রতিপালক! এ বিপর্যয়কারী লোকদের মোকাবিলায় তুমি আমাকে সাহায্য কর।” (ছুরা আনকাবূত ৩০ আয়াত)
- হযরত সুলায়মান (আ.)-এর দোয়া
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ
وَادْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ.
উচ্চারণঃ রব্বি আও যি’নী-আন্ আশকুরা নি’মাতাকা ল্লাতী আন্’আমতা ‘আলাইয়্যা ওয়া’আলা-ওয়া-লিদাইয়্যা ওয়া ‘আন্ আ’মালা ছোয়া-লিহান্ তাদ্বোযা-হু ওয়া আদখিলনী বিরহমাতিকা ফী ‘ইবা-দিকাহ্ ছোয়া- লিহীন্।
অর্থঃ “হে আমার প্রভু। আমাকে শক্তি দান কর। যেন আমি তোমার সেই অনুগ্রহের জন্য শোকর করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যেন তোমার পছন্দনীয় সৎকার্য করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।”(ছুরা নমল, আয়াত-১৯)
প্রিয় রাছুলুল্লাহ (ছ.)-এর রওজা মুবারকে দাড়িয়ে নিম্নোক্ত ছালাম পাঠ করবে
الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ – الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلِيْكَ يَا نَبِيَ اللَّهِ. الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حَبِيبَ اللهِ . الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا صَفِيَ اللهِ . الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلِيْكَ يَا خَيْرَ خَلْقِ اللَّهِ . الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خَاتَمَ النَّبِيِّينَ. الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ . الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَحْمَةً لِلْعَلَمِينَ.
الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَحْبُوبِ رَبِّ الْعَلَمِينَ . الصَّلوةُ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا شَفِيعِ الْمُذْنَبِيْنَ.
صلَواةُ اللَّهِ عَلَيْكَ وَسَلَامُهُ ذَائِمَيْنِ .
مُتَلَازِمَيْنِ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ .
উচ্চারণঃ আচ্ছলাতু ‘আলাইকা ইয়া-রাছুলাল্লা-হ্;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- নাবিয়্যাল্লা-হ্;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- হাবীবাল্লা-হ্;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া ছফিয়াল্লা-হ্
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া-খইরি খাল্কিল্লা-হ্;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- খা-তামান্ নাবিয়্যীন্;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- ছাইয়্যিদিল্ মুরর্ছালীন;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- রহমাতাল্ লিল্ ‘আ-লামীন;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- মাহবূবা রব্বিল ‘আ-লামীন;
আচ্ছলাতু ওয়াচ্ছালামু ‘আলাইকা ইয়া- শাফী’ইল্ মুযনিবীন্।
ছলা-তুল্লা-হি ‘আলাইকা ওয়া ছালা-মুহূ দা-য়িমাইনি
মুতা লা-যিমাইনি ইলা-ইয়াওমিদ্ দীন্।
ছয় নম্বর
نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّ عَلَى رَسُولِهِ الْكَرِيمُ
নাহমাদুহু ওয়ানু ছল্লি ‘আলা-রাছুলিহিল্ কারীম্।
কয়েকটি গুণের উপর মেহনত করে আমল করতে পারলে দ্বীনের উপর চলা সহজ।
গুণ কয়টি হলঃ (১) কালেমা, (২) নামাজ, (৩) ‘ইলম্ ও যিকির, (৪) ইকরামুল মুসলিমিন, (৫) তাসহিহে নিয়্যত, (৬) তাবলীগ।
- (এক) কালেমা
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ .
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লা-হ।)
অর্থ: আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মা’বুদ নেই, আর হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াছাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার রাছুল।
কালেমার উদ্দেশ্যঃ আমাদের দু’চোখে যা কিছু দেখি আর না দেখি আল্লাহ ছাড়া সবই মাখলুক। আর মাখলুক কিছুই করতে পারে না। আল্লাহর হুকুম ছাড়া। আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন মাখলুক ছাড়া।
এক মাত্র নবী করীম (ছ.)-এর নূরানী তরীকায় দুনিয়া এবং আখেরাতের শান্তি ও কামিয়াবী।
কালেমার লাভঃ যে ব্যক্তি একীন ও এখলাছের সাথে এ কালেমা একবার পাঠ করবে আল্লাহপাক তার পেছনের সমস্ত গোনাহ্ মাফ করে দেবেন। হাদীছে আছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন এ কালেমা ১০০ বার পাঠ করবে কিয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিম চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল করে উঠাবেন।
- কালেমা হাছিল করার তরীকা
এ কালেমা আমি বেশী বেশী পাঠ করি আর লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দেই ও দোয়া করি। - (দুই) নামাজ
নামজের উদ্দেশ্যঃ রাছুলে পাক (ছ.) যেভাবে নামাজ পড়তে বলেছেন এবং ছাহাবাদেরকে যে ভাবে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন সে ভাবে নামাজ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করা।
নামাজের ফযীলতঃ যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে আল্লাহপাক তাকে নিজ দায়িত্বে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হবেন আল্লাহপাক তাঁর যিম্মাদারী নেবেন। আর যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হবে না আল্লাহ তার কোন দায়িত্ব নেবেন না।
জামাতে নামাজের লাভ
১। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বির্ণত, প্রিয় নবী করীম (ছ.)-বলেন, কোন ব্যক্তির নামাজ যা জামাতে পড়া হয়েছে তা ঘরে কিংবা বাজারে একাকী পড়ার চেয়ে পচিশ গুণ বেশি ছওয়াব। (বুখারী)
নামাজ হাছিল করার তরীকাঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করি, ওয়াজিব ও সুন্নত নামজের প্রতি যত্নবান হই ও কাযা নামাজগুলো খুঁজে খুজে আদায় করি। নামাজের লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দেই ও সমগ্র উম্মতে মুহাম্মদির জন্য দোয়া করি।