24 ঘণ্টার আমল ও দোয়া দুরূদ বই – রাসূল (সা.)-এর ২৪ ঘন্টার আমল

২৪ ঘণ্টার আমল ও দোয়া দুরূদ বই

24 ঘণ্টার আমল ও দোয়া দুরূদ বই

২৪ ঘণ্টার আমল ও দোয়া দুরূদ বই

بسمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ

আল্লাহ্ তা’আলা

এ বিশ্ব জগত যিনি সৃষ্টি করেছেন, যাঁর নিয়ন্ত্রণে সৃষ্ট জীবের জন্ম-মৃত্যু তিনিই মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। মহান আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর কোন অংশীদার বা শরীক নেই, তিনিই সর্বময় ক্ষমতা ও জ্ঞানের অধিকারী।

তাঁর অশেষ রহমত ও করুণার মাধ্যমেই পৃথিবীর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং মহান আল্লাহ্পাক সম্পর্কে মুসলমান মাত্রই সম্যক ধারণা অর্জন করা বিশেষ প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হল।

মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর কিছু গুণাবলী সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারীমে সূরা ইখলাসে ঘোষণা করেছেন-

قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ – اللههُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ .

وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوا أَحَدٌ .

(কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুহুছামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুঁল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।)

“বল, তিনি আল্লাহ, একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী নন। তাঁর কোনো সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন এবং তাঁর সমতুল্য কেহই নেই।”

অনাদিকাল থেকেই মহান আল্লাহ্ স্বীয় অস্তিত্ব এবং মহিমার সাথে বিরাজ করছিলেন, করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। সৃষ্টিকুলের

উন্নতি-অবনতি, জীবন-মৃত্যু ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়াবলী মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র ইচ্ছায়ই হয়ে থাকে। এ জগতে আল্লাহ্র কর্তৃত্ব এবং মালিকানা ছাড়া অন্য কারও কোন অধিকার নেই।

এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন-

اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ – لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا دوه نوم – لَهُ مَا فِي السَّمواتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ – مَنْ ذَالَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ الأَبِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ و السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِي

وا الْعَظِيمُ .

(আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা-হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু। লা- তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওউম, লাহু মা ফিচ্ছামাওয়াতে ওয়ামা ফিল আরদ্বি মান যাল্লাযী ইয়াশফা’উ ‘ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইউহীতুনা বিশাইয়িম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসি’আ কুরসীয়্যুহুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা। ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুয়াল ‘আলীয়্যুল ‘আযীমু।)

“এক আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ্ অনাদি, অনন্ত, চিরজীবন্ত, স্থাপনকর্তা, রক্ষাকর্তা, আল্লাহ্ চির-চৈতন্যময়, এক মুহূর্তকালের জন্যও তিনি চেতনাহীন হন না বা নিদ্রাভিভূত অথবা তন্দ্রাভিভূত হন না। এক আল্লাহই আকাশ-পৃথিবীতে জীবজন্তু, চন্দ্র-সূর্য,

গ্রহ-নক্ষত্র, মানব-দানব, দেবতা-ফেরেশতা, শক্তি, বিজ্ঞান যা কিছু আছে সে সবের মালিক ও স্বত্বাধিকারী এবং একচ্ছত্র বাদশাহ। আল্লাহ্ আদেশের বিরুদ্ধে কারো আদেশ করা দূরে থাকুক তাঁর নিকট সুপারিশ করারও ক্ষমতা কারো থাকবে না শুধু তিনি যাদেরকে সন্তুষ্ট হয়ে অনুমতি দিবেন শুধু তাঁরাই সুপারিশ করতে পারবেন, তাছাড়া তিনি যার উপর সন্তুষ্ট নন তেমন কেউ একটু সুপারিশও করতে পারবে না।

আল্লাহ্ রাজত্ব, আল্লাহ্ সিংহাসন সমস্ত আকাশ পৃথিবীব্যাপী। সমস্ত আকাশ পৃথিবীর রক্ষণাবেক্ষণে আল্লাহ্ বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয় না। আল্লাহ্হ্ শক্তি আল্লাহ্র মহিমা তার চেয়ে অনেক বেশি, অনেক ঊর্ধ্বে।”

আমাদের মাথার উপর যে সুবিশাল আকাশসমূহ বিস্তৃত রয়েছে অথচ এসবের মধ্যে কোন খুঁটি নেই। একমাত্র আল্লাহ্র আদেশেই এগুলো প্রতিষ্ঠিত আছে। এ ব্যাপারে মহা পবিত্র কোরআন পাকে ঘোষণা হচ্ছে-“তিনিই আল্লাহ্ যিনি আকাশসমূহকে খুঁটিহীনভাবে শামীয়ানার মত ঝুলিয়ে রেখেছেন, যা তোমরা দেখছ।”

মানুষকে কয়েকটি উপাদানের সমন্বয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। যথাঃ আগুন, পানি, বাতাস ও মাটি।

এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা হচ্ছে-“আল্লাহ্ তিনিই যিনি তোমাদেরকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর মাটির উপরই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তোমাদেরকে বিচরণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।”

এছাড়াও পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, মাঠে-ঘাটে তথা যেদিকেই চোখ যায় সে দিকেই মহান আল্লাহ্ নিদর্শনাবলী বিরাজমান রয়েছে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনুল কারীমে ঘোষণা করেন-“বিশ্বের সর্বত্র আমার নিদর্শনাবলী প্রকাশিত হচ্ছে এবং মানুষের নিজের মধ্যেও। তোমরা কি তা দেখতে পাচ্ছ না?”

প্রখ্যাত মুফাস্সির হযরত ইমাম রাযী (রহঃ) মহান আল্লাহ্ পাকের একত্ববাদের উপর প্রামাণ্য দলিল স্বরূপ এক হাজারেরও অধিক প্রমাণ (যুক্তি) তুলে ধরেছেন।

ঘটনাক্রমে তিনি এক আরব বেদুঈন মুসলমানকে কথা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্র অস্তিত্ব এবং একত্ববাদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন।

আরব বেদুঈন লোকটি বিস্ময়ভরা কন্ঠে উত্তর দিলেন যে, মরুভূমিতে বালির ওপর পায়ের চিহ্ন দেখে যদি পথিকের পরিচয় পাওয়া যায়।

দূর হতে ধোঁয়া দেখে যদি আগুনের অস্তিত্বকে স্বীকার করতে বাধ্য করে। তাহলে এ বিশাল আকাশ, চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজি, নদী-নালা, তরঙ্গ ইত্যাদি ফুলে-ফলে ভরা বাগান, বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি মিশ্রিত সুশোভিত পৃথিবীর এত সবকিছু দেখেও কি প্রমাণিত হয় না যে, এসবের একজন সৃষ্টিকর্তা, নিয়ন্ত্রণকর্তা অবশ্যই আছেন?

আর তিনিই হলেন মহান সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, মুক্তিদাতা মহান আল্লাহ্ তা’আলা।

মহান আল্লাহ্ তা’আলার একত্ববাদ কিংবা অস্তিত্বের উদাহরণ কোন মানুষ তো দূরের কথা সৃষ্টিকুলের কারো পক্ষেই তা লিখে শেষ সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেছেন-“হে নবী!

আপনি বলে দিন, যদি লেখার জন্য সমুদ্রের পানিসমূহ কালি বানানো হয় তাহলে আমার কথা, আমার গুণ-গান ইত্যাদি লেখা শেষ না হতেই সাগরের পানিসমূহ শেষ হয়ে যাবে। এরূপভাবে পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের পানি একসাথ করলেও তা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।”

24 ঘণ্টার আমল

ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভসমূহ

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলাম শব্দের অর্থই হল- আনুগত্যের জন্য স্বীয় গর্দান ঝুঁকিয়ে দেয়া। তাই মুসলমানগণ সর্বাবস্থায় আল্লাহর আনুগত্যেই নিয়োজিত। কি ব্যবসা, কি বাণিজ্য, কি পারিবারিক জীবন,

কি সামাজিক জীবন সকল ক্ষেত্রেই মুসলমানগণ আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দেশিত হুকুম আহকাম মেনে চলতে বাধ্য। ইসলাম একটি বৃক্ষ সাদৃশ। এর শাখা প্রশাখা অনেক বিস্তৃত আর এদিকে ইশারা করেই নবী করীম (স) বলেছেনঃ

بُنِيَ الإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ و وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَقَامُ الصَّلوةِ وَايْتَاءُ الزَّكَاةِ

وَالْحَقِّ وَصَوْمُ رَمَضَانَ –

উচ্চারণ: বুনিয়াল ইসলাম আলা

খাসসিন্, সাহাদাতু আন্নাইলাহা ইল্লালাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। ওয়া ইকামুছ ছালাতি ওয়াইতাউজ্জাকাতি ওয়াল হাজ্জু ও ছাত্তম রামাদান। অর্থ: ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি বিষয়ের উপর। যেমন- (১) আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, এই সাক্ষী দেয়া।

(২) নামায প্রতিষ্ঠা করা।

(৩) যাকাত প্রদান করা।

(৪) বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ করা। পায়ে একট

(৫) রমযান মাসের রোযা রাখা।

কালিমার বিবরণ

ইসলামে মূল পাঁচটি স্তম্ভের প্রথম হল ঈমান। এ প্রথম স্তম্ভটি না থাকলে বাকী চারটি কোনো কাজে আসে না। তাইতো নবী করিম (স) বলেন,

আরবি : আনআবী যারিন (রা) ক্বালা কুনতু রদীফান নাবিয়্যি (স) ফাক্বালা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা সা’ঈদাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহু ক্বালা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা ওর’দইক, ইয়া রাসূলাল্লাহ;

ক্বারা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা সা’দাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ক্বালা মান ক্বালা লাইলাহা ইল্লাল্লাহ্ দাখালাল জান্নাহ্, ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা আলা রগমি আনফি আবি যাররিন।

অর্থ: হযরত আবুযর গিফারী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (স)-এর পিছনে একটি গাধার উপবিষ্ট ছিলাম তখন নবী করীম (সঃ) আমাকে হে আবুযর বলে তিনবার সম্বোধন করলেন। আমি তিনবার বললাম উপস্থিত ইয়া রাসূলাল্লাহ্ আমি হাজির।

তখন হুজুর (সঃ) বললেন, যে ব্যক্তি বলবে আল্লাহ ছাড়া কোন উাস্য নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন হযরত আবুযর (রাঃ বললেন, যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে হুজুর (সঃ) বললেন, হ্যাঁ যদি ও সে ব্যভিচার ও চুরি করে এভাবে তিনবার। তৃতীয় বারে মহানবী (সঃ) বললেন, যদিও আবুষরের নাসিকা ধুলায় ধুসরিত হয়।

সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা: এ হাদীসের অর্থ হল কেহ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে যদি একবার এ কালিমাকে পড়ে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু পর্যন্ত

কাফের ও মুশরেক না হয়। কিন্তু সে ইসলামের অন্য স্তম্ভগুলো আদায় না করে। তবে আমল না করার শাস্তি ভোগের পর সে বেহেস্তে প্রবেশ করবে।

কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ

لا اله الا إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ اللهِ .

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত আর কোন সত্তা নেই, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত বা রাসূল।

কালিমায়ে শাহাদাত

أَشْهَدُ أَنْ لا إلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَه وَاشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُه –

উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থঃ হে পরওয়ার দেগার! তুমি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তুমি একক তোমার দ্বিতীয় কেউ নেই। আর আমি এ স্বাক্ষী দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাহার রাসূল। সমগ্র বিশ্ব প্রতিপালকের প্রেরিত রাসূল।

কালিমায়ে তাওহীদ

مُحَمَّدٌ رَسُولُ ثَانِي لَكَ لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَاحِدًا لا : اللهِ اِمَامُ الْمُتَّقِينَ رَسُولُ رَبِّ الْعَلَمِينَ .

উচ্চারণ: লাইলাহা-ইল্লা-আন্তা ওয়াহিদাল-লা-ছানিয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাকীনা রাসূল রাব্বিল আলামীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তুমি এক, তোমার কোন দ্বিতীয় সত্তা নেই মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল, ধর্মীভীরুদের ইমাম তিনি জগতের প্রতিপালক প্রভুর মহান দূত।

কালিমায়ে তামযীদ

لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ نُورًا يَهْدِى اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ إِمَامُ الْمُرْسَلِينَ خَاتَم النَّبِيِّين

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লা আনতা নূরাই ইয়াদিয়াল্লাহু লিনূরিহী মাঁই ইয়াশাউ মুহম্মদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুরসালীনা খাতামুন্নাবিয়ীন।

অর্থ : হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া নেই কোন ইলাহ্, তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ্! তোমার নূর দ্বারা যাকে ইচ্ছা তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করেছ। মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বার্তা বাহক, সমস্ত রাসূল গণের ইমাম বা নেতা সর্বশেষ নবী।

কালিমায়ে রদ্দে কুফ্র

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَشْرِكَ بِكَ شَيْئًا وَنُو مِنْ بِهِ وَاسْتَغْفِرُكَ وَمَا أَعْلَمُ بِهِ تُبْتُ عَنْهُ وَتَبَرَّاتُ مِنَ الْكُفْرِ وَالشِّرْكِ وَالْمَعَاصِي كُلَّهَا وَاسْلَمْتُ رسُولُ الله – محمد الله وَا مَنْتُ وَأَقُولُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আন উশরিকা বিকা শাইআন, ওয়ানু’মিনুবিহী, ওয়াআস্তাগফিরুকা মাআলামু বিহী, তুবতু আন্‌হু ওয়া তাবার’তু মিনাল কুফরি ওয়াশশিরকি, ওয়াল মাআছী, কুল্লিাহা, ওয়া আসলামতু ওয়াআমানু ওয়া কুলু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

অর্থঃ ওহে, পরওয়ারদেগার! আমি আপনার কাছে আপনার সাথে কাউকে শরীক করা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, এবং আমরা তার সাথে বিশ্বাস স্থাপন করছি।

এবং আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার জ্ঞান ও অজ্ঞাতপথ সমূহ হতে, এবং আমি তওবা করছি তা হতে কুফর শিরক ও অন্যান্য সকল গোনাহ্ হতে আমি বিদুরিত হচ্ছি। আর বলছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত দূত বা বার্তা বাহক।

ঈমানে মুজমাল

ا مَنْتُ بِاللَّهِ كَمَا هُوَ بِأَسْمَائِهِ وَصِفَاتِهِ وَقَبِلْتُ جَمِيعَ أَحْكَامِهِ وَأَرْكَانِه

উচ্চারণ : আমানতুবিল্লাহি কামাহুয়া বিআসমাইহী ওয়াছিফা -তিহী ওয়াকুবিলতু জামীআ আহকামিহী ওয়া আরকানিহি।

অর্থঃ আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর উপর, তার সকল নাম ও গুণাবলী সহ এবং গ্রহণ করলাম তার সকল হুকুম আহকাম।

ঈমানে মুফাসসাল

ا مَنْتُ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرَسُولِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدْرِ خَيْرِهِ وَشَرِّه مِنَ اللَّهِ تَعَالَى وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ

উচ্চারণ : আ-মানতু বিল্লাহি ওয়ামালাই কাহিনী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি, ওয়াল ক্বাদরি খাইরিহী ওয়াশাররিহী মিনাল্লাহি তায়ালা ওয়াল বা’ছিদাল মাউত।

অর্থঃ আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর উপর এবং তার ফেরেশতাগণের উপর এবং তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং তার রাসূলগণের উপর এবং শেষ দিবসের উপর আর ঈমান আনয়ন করলাম ভাগ্যলিপির ভাল মন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে আসে একথার উপর আর ঈমান আনলাম মৃত্যুর পর পুনরুত্থান হওয়ার উপর।

২৪ ঘণ্টার আমল

(১) সবচেয়ে বেশি ফযীলতের দোয়া :

ফযীলত : পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, নিচে উল্লিখিত চারটি কালাম মহান আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় এবং সর্বাপেক্ষা ফযীলতপূর্ণ। এছাড়া পবিত্র হাদীস শরীফে এ কথাও উল্লেখ আছে, নবী (সাঃ) সর্বদা এ কালামসমূহ পাঠ করতেন এবং আসমানের নিচে জমিনের উপর যা কিছু আছে এসব কিছু হতেও অনেক বেশি ভালোবাসতেন।

سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

(২) একটি অতি মূল্যবান কালাম :

ফযীলতঃ নবী কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেন যে-“এ আয়াতের পরিবর্তে সমগ্র দুনিয়াও গ্রহণ করতে রাজী নই।”

একজন সাহাবী আরজ করলেন-যদি সে ব্যক্তি শির্ক করে?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বললেন-“সাবধান! যদিও সে শিরক করে” এ কথাটি নবী (সাঃ) তিনবার করে বললেন।

নিয়ম: অত্যন্ত পাক-পবিত্র হয়ে তাওবাহ-ইস্তেগফার করে এবং কখনো পাপ কাজ না করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে খাঁটি অন্তরে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের মুনাজাতে পাঠ করবে।

২৪ ঘণ্টার আমল ও দোয়া-দুরূদ

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهُمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَّحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا

إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ . دو

উচ্চারণ : স্কুল ইয়া ‘ইবাদিয়াল্লাযীনা আছরাফু ‘আলা আনফুসিহিম, লা তাক্কনাতু মির্ রাহমাতিল্লাহি। ইন্নাল্লাহা ইয়াগফিরুয যুনুবা জামী’আন। ইন্নাহু হুয়াল গাফুরুর রাহীমু।

(৩) ৯৯টি রোগের মহৌষধ :

ফযীলতঃ পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, উল্লিখিত দোয়াটি ৯৯টি রোগের মহৌষধ। তবে সর্বনিম্ন রোগ হলো দুশ্চিন্তা।

لا حَولَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ .

উচ্চারণ: লা-হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্।

(৪) অসীম পাপ মার্জনার দোয়া

ফযীলত : প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর তিনবার এবং

আছরের নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করলে সমুদ্রের পানিসমূহের মত অসীম পাপ মার্জনা করা হবে।

ا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَاتُوبُ اسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِي لَا.

الَيْهِ .

উচ্চারণ : আসতাগ ফিরুল্লাহাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

(৫) কঠিন কাজ উদ্ধারের দোয়া:

اللَّهُمَّ إِنِّي لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي ضَرًّا وَلَا نَفْعًا وَلَا مَوْتًا ولا حيوةَ وَلَا نُشُورًا وَلَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَخُذُ إِلَّا مَا اَعْطَيْتَنِي وَلاَ أَنْ أَتَّقِى إِلَّا مَا وَتَيْتَنِي اللَّهُمَّ وَفِّقْنِي لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى مِنَ الْقَوْلِ وَالْعَمَلِ فِي عَافِيَتِي .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি লা আমলিকু লিনাফসী দ্বাররাওঁ ওয়ালা

নাফ’আঁও ওয়ালা মাউতাওঁ ওয়ালা হায়াতাওঁ ওয়ালা নূশরাওঁ ওয়ালা আসতাত্মী’উ আন আখুযা ইল্লা মা আ’অত্মাইতানী ওয়ালা আন আত্তাক্বী ইল্লা মা ওয়াতাইতানী। আল্লাহুম্মা ওয়াফিক্কনী লেমা তুহিব্বু ওয়াতারদ্বা মিনাল ক্বাওলি ওয়াল ‘আমালি ফী ‘আফিয়াতী।

(৬) রুযী-রোযগার বৃদ্ধির দ্বিতীয় আমল :

ফযীলতঃ উল্লেখিত আয়াতটি যথানিয়মে দৈনিক একশতবার করে পাঠ করলে ইন্‌শাআল্লাহ্ রুযীতে অনেক বরকত হবে। (এটি অনেক পরীক্ষিত)

يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ . اللهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يا

উচ্চারণ : আল্লাহু লাত্বীফুম্ বি’ইবাদিহী ইয়ারযুকু মাইঁইয়া শাউ ওয়াহুয়াল ক্বাওয়িয্যুল ‘আযীযু।

(৭) রুযী-রোযগার বৃদ্ধির আমল :

ফযীলত : হযরত বড়পীর সাহেব (রহঃ) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাযের পর এ দোয়া পাঠ করবে অতি অল্পদিনের মধ্যে তার রুযীতে অনেক বরকত হবে।

নিয়ম : তাহাজ্জুদ নামাযের পর কিবলামুখী হয়ে নামাযের অবস্থায় বসে শ্বাসকে নাভীর নিচ হতে উক্ত কালিমাটি জোরে আঘাত করবে। প্রথম আঘাত ডান জানুতে আর দ্বিতীয় আঘাত কলবের মধ্যে এভাবে ১০০ বার করবে।

– يَا رَازِقٌ )ইয়া রাযিক্কু) হে রিযিক দানকারী।

(৮) মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার আমল :

ফযীলত : সকল প্রকার মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য উল্লিখিত দোয়াটি তিনশত তেরবার করে পাঠ করবে। মামলা-মোকদ্দমার জন্য এ ‘আমলটি অত্যন্ত ফলদায়ক।

নিয়ম: অত্যন্ত পাক-পবিত্র হয়ে একাগ্রতার সাথে উক্ত দোয়াটি তিনশত তেরবার পাঠ করে কয়েক মরতবা দরূদ শরীফ। পাঠ করে মুনাজাতের পর কাজে বের হবে, ইনশাআল্লাহ শুভ ফল লাভ হবে।

حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ .

উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়ানি’অমাল ওয়াকীলু।

(৯) স্মরণশক্তি বৃদ্ধির তদবীর :

কারও স্মরণশক্তি কমে গেলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত নিম্নলিখিত আমল যথা নিয়মে পালন করবে।

নিয়ম: স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য ৭ দিনে ৭ টুকরা রুটির ওপর উল্লিখিত দোয়াসমূহ পর্যায়ক্রমে লিখে খালি পেটে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ্ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

১। শনিবার খালি পেটে-

إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمُ الْمَلِكُ الْحَقِّ لَا إِلَهَ . فَتَعَالَ اللهُ

উচ্চারণ : ফাতা’আলাল্লাহুল মালেকুল হাক্ককু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া রাব্বুল ‘আরশিল কারীম।

২। রবিবার খালি পেটে – .قُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا (স্কুল রাব্বি যিদনী ‘ইলমান।)

৩। সোমবারে খালি পেটে – – سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنْسَی (সানুক্করিউকা ফালা তানছা।)

৪। মঙ্গলবার খালি পেটে . لأَنْحَرِّكُ بِهِ لِسَانِكَ لِنَجْعَلَ بِهِ (লাতুহারিকু বিহি লিসানিকা লিনাজ’আলা বিহী।)

৫। বুধবার খালি পেটে . إِنَّ عَلَيْنَا جَمُعَهُ وَقُرْآنَهَ

(ইন্না ‘আলাইনা জাম’আহু ওয়াক্কুরআনুহু।)

৬। বৃহস্পতিবার খালি পেটে . فَإِذَا قَرَانُنَاهُ فَاتَّبِعُ قُرَانَ (ফাইযা ক্বারা’নাহু ফাত্তাবি’উ কুরআনাহু।)

৭। শুক্রবার খালি পেটে – إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفى (ইন্নাহু ইয়া’অলামুল জাহরা ওয়ামা ইয়াখফা।)

(১০) পরীক্ষা পাসের তদবীর :

ফযীলত ও নিয়ম: পরীক্ষা পাস করার জন্য নিম্নের আয়াতটি লিখে টুপির ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে যাবে, ইনশাআল্লাহ পরীক্ষায় পাস করবে। এছাড়া উল্লেখিত দোয়াটি চাকরি লাভের জন্যও বিশেষ ফলপ্রদ।

نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتَح قَرِيبٌ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ – حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ نِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرِ ، وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ – وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى

مَا تَصِفُونَ ..

উচ্চারণ : নাছরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীবুন ওয়া বাশিরিল মু’মিনীনা, হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’অমাল ওয়াকীলু নি’অমাল মাওলা ওয়া নি’অমান্নাছীরু। ওমাইঁ ইয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লাহি ফাহুয়া হাসবুহু, ওয়াল্লাহুল মুসতা ‘আনু ‘আলা মা তাছিফুনা।

(১১) ঋণ পরিশোধের তদবীর :

ফযীলত : প্রতিদিন সকালবেলায় মহান আল্লাহ্ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দশবার পাঠ করে নিজের হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সে হাতের তালু মুখমণ্ডলে বুলায়ে দিলে সে ব্যক্তি কখনও গরীব থাকবে না।

এ ছাড়া খানা শেষ করে হাত না ধুয়ে এ দোয়াটি ৭২ বার পাঠ করলে সে ব্যক্তি কখনও অর্থশূন্য হবে না।

یا باسط (ইয়া বাসেতু)

(১২) মসজিদে প্রবেশের দোয়া :

নিয়ম: মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা দিয়ে এ দোয়া পাঠ করতে হয়।

اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ وَاغْفِرْ لِي .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা ওয়াগফিরলী।

(১৩) মসজিদ হতে বের হবার দোয়া :

নিয়ম: মসজিদ হতে বের হবার সময় প্রথমে বাম পা দিয়ে এ দোয়া পাঠ করতে হয়।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা মিনফাদ্বলিকা।

(১৪) ঘরে প্রবেশ করার দোয়া :

بدوي اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرًا لِمَخْرَجَ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا

وَبِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللهِ رَبَّنَا تَوَكَّلْنَا –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলাযি ওয়া খাইরাল মাখরাজা বিসমিল্লাহি ওয়ালাযনা ওয়াবিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়াআল্লাহি রাব্বানা তাওয়াকালনা।

(১৫) ঘর হতে বের হবার দোয়া :

بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لَاحَولَ وَلَا قُوَّةَ الَّا بِاللَّهِ .

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

(১৬) দুধ পান করার সময় পড়ার দোয়া :

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনতু।

(১৭) নতুন কাপড় পরার সময়ের দোয়া :

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ أَوْرَنِي وَأَتَجَمَّلُ

بِهِ فِي حَيَاتِي .

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি হিল্লাযি কাছানী মা উয়ারী বিহী আওরাতী ওয়া আতাযাম্মালু বিহী ফী হায়াতি।

(১৮) সূর্যোদয়কালে দোয়া :

ফযীলত : সূর্যোদয়ের সময়ে এ দোয়া পাঠকারী ব্যক্তি ইন্‌শাআল্লাহ্ সারাদিন নিরাপদে থাকবে।

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا وَلَمْ يُهْلِكُنَا بِذُنُوبِنَا .

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আক্বালানা ইয়াওমানা হাযা ওয়ালাম ইউব্লিকনা বিষুনূবিনা।

(১৯) কঠিন বিপদ-আপদ দেখা দিলে দোয়া :

ফযীলতঃ কারও কোন মৃত্যুর সংবাদ শুনে কিংবা কোন প্রকার বিপদ বা অসুবিধা দেখা দিলে উল্লিখিত দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত।

এ ছাড়া যে কোন কঠিন ও জটিল কাজ উদ্ধারের জন্য এ দোয়াটি পাঠ করলে সে বিপদসমূহ এবং কঠিন ও জটিল কাজের ক্ষতির তুলনায় অতি উত্তম প্রতিদান মহান আল্লাহ্ তাকে ইহকালে ও পরকালে দান করবেন।

এ হাদীস হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) শুনে স্বীয় স্বামীর মৃত্যুর সময়ে তিনি উক্ত দোয়াটি পাঠ করেছিলেন। এর ফযীলতে দেখা গেল যে, তিনি ইহকালে ও পরকালে তাঁর মৃত স্বামীর চেয়েও উত্তম বিনিময় লাভ করলেন।

অর্থাৎ তিনি পরবর্তীতে রাসূলে কারীম (সাঃ)-কে স্বামীরূপে পেয়ে ইহকালে ও পরকালে চির ধন্য হয়েছিলেন।

إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ – اَللَّهُمَّ أَجِرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلِفُ لِي خَيْرٌ مِّنْهَا ..

উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উনা, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুছীবাতী ওয়াখলিফলী খাইরাম্ মিনহা।

(২০) আয়নায় মুখ দেখার সময় পড়ার দোয়া : اللَّهُمَّ حَسَّنْتَ خَلْقِي فَحَسِنُ خُلُقِى .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাসানতা খালকি- ফাহাসিন খুলুফি-।

(২১) রাতে ঘুমানোর সময় নিম্নের দোয়াসমূহ পাঠ করা সুন্নত

بلوت اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু ওয়া আইয়া।

بلونت اللَّهُمَّ وَقِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ أَوْ تَجْمَعُ عِبَادِكَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ওয়াক্বিনী ‘আযাবাকা ইয়াওমা তাব’আছু আও তাজমা’উ ‘ইবাদিকা।

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ كُلِّهَا مِنْ شَرِّمَا خَلَقَ .

উচ্চারণ : আ’উযু বিকালিমাতিল্লাহিত্ তাম্মাতি কুল্লিহা মিন শাররি মা খালাক্কা।

ফযীলত : পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, শোয়ার বিছানায় গিয়ে উক্ত দোয়াটি পাঠ করে ঘুমালে কোন কিছুর অনিষ্ট তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

প্রতিদিন শোয়ার পূর্বে বা বিছানায় গিয়ে তাসবীহে ফাতেমী পাঠ করা একান্ত প্রয়োজন। কেননা হযরত ফাতিমা (রাঃ) একবার নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট একজন সেবক চাইলে নবী করীম (সাঃ) মা ফাতিমাকে এ দোয়াসমূহ শিক্ষা দিলেন।

নিয়ম : سُبْحَانَ الله )সুবহানাল্লাহি) ৩৩ বার। اَلْحَمْدُ )আলহামুদ লিল্লাহ্) ৩৩ বার এবং اَللَّهُ أَكْبَرُ )আল্লাহু و আকবার) ৩৪ বার মোট একশত বার।

(২২) খারাপ স্বপ্ন দেখলে করণীয় :

পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, যদি কোন লোক ঘুমের ঘোরে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখে, তাহলে সে ব্যক্তি ঘুম হতে জেগে উঠার সাথে সাথে أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ (আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম) তিনবার পাঠ করে বাম কাঁধের উপর আস্তে আস্তে ফুঁ দেবে। 

আর যদি সম্ভব হয় তাহলে অযু করে দু’রাক’আত নামায আদায় করে স্বপ্নের খারাপ ফলাফল হতে মহান আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

এসব কোনকিছুই সম্ভব না হলে কমপক্ষে শোয়ার অবস্থা পরিবর্তন করে ঘুমাবে। আর এ খারাপ স্বপ্নের কথা কারও নিকট বলবে না। অবশ্য একান্ত আবশ্যক বলে মনে করলে কোন অভিজ্ঞ আলেমের নিকট বলা যেতে পারে।

সাবধান! কোনরূপ স্বপ্ন না দেখে মিথ্যা বানোয়াটভাবে বর্ণনা করা কবীরা গুণাহ্! এদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি কোন স্বপ্ন না দেখে বলে থাকে যে, আমি স্বপ্নে দেখেছি এমন ব্যক্তিকে কিয়ামতের মাঠে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। (বুখারী, মুসলিম, তিরমীযি)

(২৩) মোরগের ডাক শুনে পড়ার দোয়া :

ফযীলতঃ মোরগের ডাক শুনলে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করা উচিত।

مِنْ فَضْلِهِ . اسْئَلُ الله

উচ্চারণ : আসআলুল্লাহা মিন ফাদ্বলিহী।

(২৪) কুকুরের কান্না শুনে পড়ার দোয়া :

ফযীলত : গাধা বা কুকুরের কান্না শুনলে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করবে।

أعُوذُها للهِ مَنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ .

উচ্চারণ : আ’উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।

(২৫) সৎকাজ কবুল হওয়ার আমল :

رَبَّنَا تَقَبَّلُ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ: রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস্ সামিউ’ল আলিম।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের এই কাজ তুমি কবুল করো, তুমি নিশ্চয়ই সব কিছু শুনতে পাও এবং সব কিছুই জানো।

24 ঘণ্টার আমল

(সূরা বাকারা-১২৭)

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّرِيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةٌ لَّكَ وَآرِنَا مَنَا سِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়াজ আ’লনা, মুসলিমাইনি লাকা ওয়া মিন যুররিই-ইয়াতিনা উম্মাতাম্ মুসলিমাতাল লাকা, ওয়া আরিনা মানা সিকানা ওয়া তুব্‌ আ’লাইনা, ইন্নাকা আনতাত্ তাও ওয়াবুর রাহীম।

অর্থ : হে আমাদের মালিক! আমাদের উভয়কেই তুমি তোমার অনুগত মুসলিম বান্দাহ্ বানাও এবং আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্য থেকেও তুমি তোমার একদল ‘অনুগত বান্দা বানিয়ে দাও। হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের তোমার গোলামী করার পদ্ধতি দেখিয়ে দাও এবং আমাদের প্রতি দয়া করো, কারণ তুমি অত্যন্ত মেহেরবান ও পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা-১২৮)

(২৬) দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণের জন্য আমল :

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ

النار

উচ্চারণ: রাব্বা আতিনা ফিদ্ দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া কিনা আ’যাবান্ নার।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই দুনিয়ায় কল্যাণ দান করো এবং পরকালেও কল্যাণ দাও আর জাহান্নামের আযাব হতে আমাদেরকে রক্ষা করো। (সূরা বাকারা-২০১)

(২৭) সৃষ্টিসমূহ থেকে কল্যাণ লাভের আমল:

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِيْنَا عَذَابَ النَّارِ .

উচ্চারণ : রাব্বানা মা খালাক্কা হাযা বাত্বিলা, সুবহানাকা ফাক্বিনা আ’যাবান্নার।

অর্থঃ হে আমাদের রব! সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুই তুমি অযথা বানিয়ে রাখোনি, তোমার সত্তা সবথেকে পবিত্র, অতএব তুমি আমাদের জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে নিষ্কৃতি দাও।

(সূরা আলে ইমরান-১৯১)

(২৮) দ্বীনের পথে অবিচল থাকার আমল :

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আফ্রিগ্‌ আ’লাইনা সারাঁও ওয়া ছাবিত আকুদামানা ওয়ারনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য দান করো, আমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করো এবং কাফির দলের ওপর আমাদেরকে বিজয় দান করো। (সূরা বাকারা-২৫০)

(২৯) ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া :

ربَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِينَا أَوْ أَخْطَانَا –

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুআখিয্যা ইন্নাসিনা আও আস্তা’না।

অর্থঃ হে আমাদের রব! যদি আমরা কিছু ভুলে যাই, যদি আমরা কোনো ভুল করে বসি তার জন্য তুমি আমাদেরকে গ্রেফতার করো না। (সূরা বাকারা-২৮৬)

(৩০) আল্লাহর গযব থেকে মুক্ত থাকার আমল :

رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلُ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ

قَبْلِنَا –

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আ’লাইনা ইস্নান কামা হামালতাহু আ’লাল্লাযিনা মিন ক্বাবলিনা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের ওপর সেই ধরনের বোঝা চাপিয়ে দিও না, যেরূপ বোঝা আমাদের পূর্ববর্তী অপরাধী জাতির প্রতি চাপিয়ে দিয়েছিলে। (সূরা বাকারা-২৮৬)

(৩১) কাফিরদের বিরুদ্ধে সাহায্য চাওয়ার দোয়া :

رَبَّنَا وَلَا تُحْمِلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ، وَاعْفُ عَنَّا ، وَغُفِرُ لَنَا ، وَارْحَمْنَا ، أَنْتَ مَوْلانَا فَانصُرُ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মালা ত্বাক্বাতা লানা বিহী, ওয়া’ফু আ’ন্না, ওয়াল্ফির লানা, ওয়ার হাম্মা, আনতা মাওলানা ফাল্গুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার শক্তি-ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না। আমাদের প্রতি উদারতা দেখাও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো, আমাদের প্রতি রহমত নাযিল করো, তুমিই আমাদের বন্ধু-আশ্রয়দাতা, কাফিরদের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য করো। (সূরা বাকারা-২৮৬)

24 ঘণ্টার আমল

(৩২) ইসলামের পথে পরিচালিত হবার আমল :

لا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْهَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنْكَ رَحْمَةً ربنا لا أَنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ .

উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ্‌ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাক্কানা মিল্ লাদুন্কা রাহমাহ্, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হাব।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! একবার যখন তুমি আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছো, তখন আর তুমি আমাদের মনকে বাঁকা করে দিওনা, একান্ত তোমার কাছ থেকে আমাদের প্রতি দয়া করো, কেননা যাবতীয় দয়ার মালিক তো তুমিই। (সূরা আলে ইমরান-৮)

(৩৩) কিয়ামতের দিনে হিসাব সহজভাবে নেয়ার আমল :

رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ، إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ

الْمِيعَادَ .

উচ্চারণ : রাব্বানা ইন্নাকা জামিউ’ন নাসি লিইয়াও মিল লারাইবা ফিহী, ইন্নাল্লাহা লা ইউখ লিফুল মিয়া’দ।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি অবশ্যই সমগ্র মানব জাতিকে তোমার সামনে হিসাব-নিকাশের জন্য একদিন একত্রিত করবে, এতে কোনো রকম সন্দেহ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’য়ালা কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। (সূরা আলে ইমরাণ-৯)

(৩৪) শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল :

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُونَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফির লানা যুনুবানা ওয়া কিনা আ’যাবান্নার।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা অবশ্যই তোমার প্রতি ঈমান এনেছি, এরপর আমাদের থেকে যেসব গোনাহখাতা হয়ে যায় তা তুমি ক্ষমা করে দাও এবং শেষ বিচারের দিনে তুমি আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিয়ো। (সূরা আলে ইমরান-১৬)

(৩৫) নিয়ামত প্রাপ্তদের সঙ্গ লাভের আমল :

رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّهِدِينَ .

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওয়াত্ তাবা’নার রাসূলা ফাল্গুন্না মাআ’শ্ শাহিদীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি যা কিছু নাযিল করেছো আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং রাসূলের কথাও মেনে নিয়েছি, সুতরাং তুমি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদাতাদের সাথে আমাদের নাম লিখে দাও। (সূরা আলে ইমরান-৫৩)

(৩৬) মিথ্যার ওপর বিজয়ী হবার আমল :

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا

وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَفِرِينَ .

উচ্চারণ : রাব্বানাগ্ ফির লানা যুনুবানা ওয়া ইস্রাফানা ফি আমিনা ওয়া ছাবিত আকুদামানা ওয়ান্ সুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থ : হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের যাবতীয় গোনাহখাতা মাফ করে দাও, আমাদের কাজকর্মের সব বাড়াবাড়ি তুমি ক্ষমা করে দাও এবং বাতিলের মোকাবেলায় তুমি আমাদের কদম মযবুত রাখো, সত্য ও মিথ্যার সাথে যুদ্ধে কাফিরদের ওপর তুমি আমাদের বিজয় দাও। (সূরা আলে ইমরান-১৪৭)

(৩৭) কিয়ামতের দিল অপমানিত না হবার আমল :

رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارِ فَقَدْ أَخْذَيْتَهُ، وَمَا لِلظَّلِمِينَ مِنْ أَنْصَارِ،

উচ্চারণ : রাব্বানা ইন্নাকা মান তাদখিলিন্ নারা ফাক্বাদ আখ্যাইতাহু ওয়া মা লিয্ যালিমীনা মিন আনসার।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি যাকেই জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে তুমি অপমানিত করবে, আর সেই অপমানের দিনে যালিমদের জন্যে কোনো রকম সাহায্যকারী থাকবে না। (সূরা আলে ইমরান-১৯২)

(৩৮) ঈমানের পথে অবিচল থাকার আমল :

رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِى لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَامَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاتِنَا وَتَوَافَنَا مَعَ الْأَبْرَارِ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিইয়াই ইউনাদি লিল ঈমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফা আমান্না। রাব্বানা ফাগফির লানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আ’ন্না সাইয়িআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আব্বার।

অর্থ: হে আমাদের রব! আমরা শুনতে পেয়েছি একজন আহ্বানকারী মানুষদেরকে ঈমানের দিকে ডাকছে, সে বলছিলো হে মানুষরা! তোমরা তোমাদের মালিক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো, হে মালিক!

সেই আহ্বানকারীর কথায় আমরা ঈমান এনেছি, হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দাও, হিসাবের খাতা থেকে আমাদের দোষত্রুটি ও গোনাহসমূহ মুছে দাও, সর্বশেষে তোমার নেক বান্দাদের সাথে তুমি আমাদের মৃত্যু দাও। (সূরা আলে ইমরান-১৯৩)

(৩৯) কিয়ামতের দিনে নিরাপদ থাকার আমল :

رَبَّنَا وَاتِنَا مَا وَعَدَتَنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيمَةِ،

إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়া আ’ততানা আ’লা রুসুলিকা ওয়া লা তুখযিনা ইয়াও মাল কিইয়ামাহ্, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়া’দ।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি তোমার নবী-রাসূলদের মাধ্যমে যেসব পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছো তা আমাদের পূর্ণ করে দাও এবং কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না, নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করো না।

(সূরা আলে ইমরান-১৯৪)

(৪০) হিদায়াত প্রাপ্তদের দলে শামিল হবার আমল :

ربَّنَا آمَنهَا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّهِدِينَ –

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না ফাকতুবনা মাআ’শ্ শাহিদীন।

অর্থ : হে আমাদের মালিক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদের নাম সত্যের সাক্ষ্যদাতাদের দলে লিখে নাও। সহর শামশাই

(সূরা আল মায়িদা-৮৩)

(৪১) রিস্ক বৃদ্ধির জন্য আমল:

رَبَّنَا انْزِلُ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لأَوَّلِنَا وَاخِرِنَا وَآيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرَّزِقِينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা আনযিল আ’লাইনা মা-য়িদাতাম মিনাস্ সামা-য়ি তাকুনু লানা ই’দাল লিআও-ওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আ ইয়াতাম মিনকা, ওয়ার রুযনা ওয়া আনতা খাইরুর রাযিকীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের জন্য আকাশ থেকে খাবার সজ্জিত একটি পাত্র পাঠাও, এ হবে আমাদের জন্যে, আমাদের পূর্ববর্তী ও আমাদের পরবর্তীদের জন্য তোমার কাছ থেকে পাঠানো একটি আনন্দোৎসব, সর্বোপরি এটা হবে তোমার কুদরতের নিদর্শন, তুমি আমাদের রিস্ক দাও, কেননা তুমিই হচ্ছো উত্তম রিফ্টদাতা। (সূরা আল মায়িদা-১১৪)

(৪২) গোনাহ্ মাফ চাওয়ার দোয়া :

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَأَنْ لَّمْ تَغْفِرُ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ

الْخَسِرَينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নিজেদের ওপর যুলুম করেছি, তুমি যদি আমাদের মাফ না করো তাহলে অবশ্যই

আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্তদের দলে শামিল হয়ে যাবো। মিশিয়া (সূরা আল আ’রাফ-২৩)

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা লা তজাআ’লনা মাআ’ল ক্বাওমিথ্ যালিমীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এই যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না। (সূরা আল আ’রাফ-৪৭)

(৪৩) জাতীয় জীবনে শান্তি চেয়ে দোয়া :

رَبَّنَا افْتَحُ بَيْنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَتِحِينَ-

উচ্চারণ : রাব্বানাফ্ তাহ্ বাইনানা ওয়া বাইনা ক্বাওমিনা বিলা হাক্কি ওয়া আনতা খাইরুল ফাতিহীন। (28)

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমাদের ও আমাদের জাতির লোকদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করে দাও, কেননা তুমিই সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সূরা আল আ’রাফ-৮৯)

(৪৪) কঠিন পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণের আমল :

رَبَّنَا لَمَّا جَاءَتُنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আফরিগ্‌ আ’লাইনা সারাঁও ওয়া তাওয়াফ ফানা মুসলিমীন। ক্যাশ হত।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! কঠিন পরীক্ষায় তুমি আমাদের ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দাও এবং সর্বশেষে তোমার অনুগত বান্দা হিসেবে তুমি আমাদের মৃত্যু দিয়ো। (সূরা আল আ’রাফ-১২৬)

(৪৫) অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকার আমল :

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ

الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ : রাব্বানা লা তাআ’লনা ফিত্নাতাল লিল ক্বাওমিয়া যালিমীন। ওয়া নাজিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের যালিম সম্প্রদায়ের অত্যাচারের শিকারে পরিণত করো না। এবং তোমার একান্ত রহমত দ্বারা তুমি আমাদের কাফির সম্প্রদায়ের হাত থেকে মুক্তি দাও। (সূরা ইউনুস-৮৫-৮৬)

(৪৬) আল্লাহর অপছন্দনীয় দোয়া করা থেকে মুক্ত থাকার আমল :

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ اسْتَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَالا تَغْفِرُ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنُ مِّنَ الْخَسِرِينَ –

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আউ’যুবিকা আন আস্ আলাকা মা লাইসা লী বিহী ই’লমুন, ওয়া ইল্লা তাগফির লী ওয়া তারহাম্নী আকুম মিনাল খাসিরীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! যে বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নেই, সে ব্যাপারে কিছু চাওয়া থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ্ চাই, তুমি যদি আমাকে মাফ না করো এবং আমার ওপর দয়া না করো, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।

(১০০-কাটাক নেতাসক চিনি তোর চলমান (সূরা হৃদ-৪৭)

(৪৭) কাজকর্মে প্রশান্তির জন্য আমল: টাক (০৭০)

مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا – وهَيِّئْ لَنَا رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَـ

উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুন্‌ন্কা রাহমাতাঁও ওয়া হাই’লানা মিন আমরিনা রাসাদা।

অর্থ : হে আমাদের রব! একান্ত তোমার কাছ থেকে আমাদের ওপর অনুগ্রহ দান করো, আমাদের এই কাজকর্ম আঞ্জাম দেয়ার জন্য তুমি আমাদের সঠিক পথ দেখাও। (সূরা আল কাহাফ-১০)

(৪৮) শত্রুর ভয় থেকে মুক্ত থাকার আমল :

رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَنْ يَطْغَى –

উচ্চারণ: রাব্বানা ইন্নাকা নাখাফু আই ইয়াত্বা আ’লাইনা আও আই ইয়াত্বগা।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা ভয় করছি সে আমাদের সাথে বাড়াবাড়ি করবে, অথবা সে আরো বেশী সীমালংঘন করে বসবে।

(সূরা ত্বাহা-৪৫)

(৪৯) জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধির আমল :

رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا –

উচ্চারণ: রাব্বি যিনী ই’লমা।

অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান ভান্ডার তুমি বৃদ্ধি করে দাও। (সূরা ত্বাহা-১১৪)

(৫০) জাহান্নাম থেকে মুক্ত থাকার আমল: সক (৪৪)

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا –

উচ্চারণ : রাব্বানাস্ রিফ্ আ’ন্না আ’যাবা জাহান্নামা ইন্না আ’যাবাহা কানা গারামা।

অর্থ : হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব দূরে রেখো, কেননা তার আযাব হচ্ছে নিশ্চিত বিনাশ। (সূরা আল ফুরকান-৬৫)

(৫১) আনন্দিত হবার পরে দোয়া :

الَّذِي اذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورَ – الْحَمْدُ لِلَّهِ

উচ্চারণ : আল হাম্দু লিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আ’ন্নাল হাযানা, ইন্না রাব্বানা লাগাফুরুন শাকুর।

অর্থ: আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাদের কাছ থেকে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিয়েছেন, অবশ্যই আমাদের মালিক ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (সূরা ফাতির-৩৪)

(৫২) পরিবার-পরিজনের কল্যাণের জন্য আমল :

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّ يَتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا

لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا –

উচ্চারণ : রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়া জিনা ওয়া যুররিই ইয়াতিনা কুরাতা আ’ই ইউনিও ওয়াজ আ’লনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ : হে আমাদের রবং! তুমি আমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের নেতা বানিয়ে দাও। (সূরা আল ফুরকান-৭৪)

(৫৩) সৎপথে আগমনকারীর জন্য দোয়া:

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرُ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ –

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া সি’তা কুল্লা শাই-ইর রাহমাতাঁও ওয়া ই’লমান ফাফ্ফির লিল্লাযিনা তাবু ওয়াত্ তাবাউ’ সাবিলাকা ওয়া কিহিম আ’যাবাল জাহিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি তোমার অনুগ্রহ ও জ্ঞানসহ সবকিছুর ওপর ছেয়ে আছো, সুতরাং সেসব লোককে তুমি ক্ষমা করে দাও যারা তওবা করে এবং যারা তোমার দ্বীনের পথে চলে, তুমি তাদের জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও। (সূরা আল মুমিন-৭)

(৫৪) জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আমল :

رَبَّنَا وَادْخِلُهُمْ جَنَّتِ عَدْنِ نِ الَّتِي وَعَدُ تَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّتِهِمْ – إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ .

উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়া আদখিলহুম জান্নাতি আ’দনি নিল্লাতি ওয়া আ’ত্ তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবা-য়িহিম ওয়া আযওয়া জিহিম ওয়া যুররিই ইয়াতিহিম, ইন্নাকা আনতাল আ’যিযুল হাকিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি সেই স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করাও যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদের দিয়েছো, তাদের পিতামাতা, তাদের স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যে যারা নেক কাজ করেছে তাদেরও, নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

(সূরা আল মুমিন-৮)

(৫৪) মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার আমল :

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلُ فِي قُلُوبِنَا غِلا لِلَّذِينَ آمَنُو رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ : রাব্বানাগ্ ফিরলানা ওয়ালি ইওয়া নিনাল্লাযিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি ওয়া লা তাআ’ল ফী কুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাযিনা আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের আগে আমাদের যে ভাইয়েরা ঈমান এনেছে তুমি তাদেরও মাফ করে দাও এবং আমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে, তাদের ব্যাপারে আমাদের মনে কোনো রকম হিংসা বিদ্বেষ রেখো না, হে আমাদের মালিক! তুমি অনেক মেহেরবান ও পরম দয়ালু। (সূরা আল হাশর-১০)

(৫৫) মহান আল্লাহর প্রতি নির্ভর করার আমল :

رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ –

উচ্চারণ : রাব্বানা আ’লাইকা তাওয়াক্কালনা ওয়া ইলাইকা আনান্না ওয়া ইলাইকাল মাসির।

অর্থঃ হে আমাদের মালিক! আমরা তো কেবল তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং আমরা তোমার দিকেই ফিরে এসেছি এবং আমাদের তো তোমার দিকেই ফিরে যেতে হবে।

(সূরা আল মুমতাহিনা-৪)

(৫৬) গোনাহ্ ক্ষমা করার জন্য আমল :

رَبَّنَا لَا تَجْعَلُنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ

الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ .

উচ্চারণ : রাব্বানা লা তাআ’লনা ফিত্নাতাল লিল্লাযিনা কাফারু ওয়াগ্‌ ফির লানা রাব্বানা ইন্নাকা আনতাল আ’যিযুল হাকিম।

অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের জীবনকে কাফিরদের নিপীড়নের নিশানা বানিয়ো না, হে আমাদের রব! তুমি আমাদের গোনাহখাতা ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি পরাক্রমশালী ও পরম জ্ঞানী। (সূরা আল মুমতাহিনা-৫)

(৫৭) ঈমানের জ্যোতি বৃদ্ধি করার আমল :

رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ : রাব্বানা আত্মিম লানা নুরানা ওয়াল্ফির লানা, ইন্নাকা আ’লা কুল্লি শাই-ইন কাদির।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের ঈমানের জ্যোতিকে জান্নাতের জ্যোতি দিয়ে তুমি পূর্ণ করে দাও, তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি সব কিছুর ওপর একক ক্ষমতাবান। (সূরা আত্ তাহ্রীম-৮)

(৫৯) সন্তানের কল্যাণের জন্য আমল:

دُعَاءِ الصَّلوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَ تَقَبَّلُ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ

উচ্চারণ: রাব্বিজ্ আ’লনী মুকুিমাস্ সালাতি ওয়া মিন যুররিই ইয়াতি রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুআ’য়ি। সভাপ।

অর্থঃ হে আমার রব! তুমি আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও, আমার সন্তানদের মাঝ থেকেও নামাযী বান্দা বানাও, হে আমাদের মালিক! আমার দোয়া তুমি কবুল করো। (সূরা ইবরাহীম-৪০)

(৬০) পিতামাতার জন্য দোয়া :

رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا –

উচ্চারণ: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমার পিতামাতা উভয়ের প্রতি রহম করুন, যেমন তারা আমাদেরকে শৈশবে অতি মায়া-মমতার সাথে প্রতিপালন করেছেন। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৪)

(৬১) পিতামাতার গোনাহ মাফের দোয়া :

يَقُومُ الْحِسَابُ رَبَّنَا غُفِرُ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ

উচ্চারণ: রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাই ইয়া ওয়া লিল মু’মিনীনা ইয়াও মা ইয়া কুমুল হিসাব।

অর্থঃ হে আমাদের রব! যেদিন চূড়ান্ত হিসাব নিকাশ হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সকল ঈমানদার মানুষদের তোমার অনুগ্রহ দ্বারা ক্ষমা করে দিয়ো। शेयলালদানীতে ৪৩

(সূরা ইবরাহীম-৪১)

(৬৫) মুখের জড়তা দূর করার আমল :

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسْرُ لِي أَمْرِي – وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমার জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও, আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও, যাতে করে ওরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা-২৫-২৮)

(৬৬) ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করে দেবার আমল :

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَ أَنْتَ خَيْرُ الرَّحِمِينَ

উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না ফাল্ফির লানা ওয়ার হাম্মা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

অর্থ: হে আমাদের মালিক! আমরা তোমার ওপর ঈমান এনেছি, অতএব তুমি আমাদের দোষত্রুটিসমূহ মাফ করে দাও, তুমি আমাদের ওপর দয়া করো, তুমি হচ্ছো দয়ালুদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট দয়ালু। (আল মুমিনুন-১০৯)

(৬৭) কাউকে বিদায় দেয়ার সময় পড়ার দোয়া:

اسْتَودِعُ اللهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ .

উচ্চারণ : আসতাউল্লাহা দি- নাকা ওয়াআমানাতাকা ওয়া খাওয়াতিমা আমাালিকা।

(৬৮) সাপ, বিচ্ছু দংশনের আমল:

سَلَامٌ عَلَى البَاسِينَ سَلَامٌ عَلَى نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ بسمِ اللهِ سُجَّةٌ قَرْنِيَةِ مِلْحَةٌ بَحْرٌ قَفْطًا .

উচ্চারণ : সালামুন ‘আলা ইলাইয়াসীন, সালামুন ‘আলা নূহিন ফিল ‘আলামীনা, বিসমিল্লাহি সুজ্জাতুন কারনিয়্যাতুম মিলহাতুন বাহুরুন ক্বাফত্বান।

নিয়ম: সাপ, বিচ্ছু দংশন করলে উক্ত দংশিত স্থানে উল্লেখিত দোয়াসমূহ পাঠ করে ফুঁ দেবে এবং যে কোন রশি বা কাপড় ইত্যাদি দিয়ে দংশিত স্থানের উপরে বাঁধ দিবে যেন বিষ উপরে উঠতে না পারে।

(৬৯) আগুনে পোড়া ভাল হবার আমল :

اذْهَبِ الْبَأْسَ رَبُّ النَّاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِيُّ لأَشَافِي إِلَّا أَنْتَ .

উচ্চারণ : আযহাবিল বা’সা রাব্বুন্নাসি ইশফি আন্তাশাফী লা শাফী ইল্লা আন্তা।

নিয়ম: আগুনে পোড়া গেলে উল্লেখিত দোয়াটি একটি ডিমের কুসুমে ফুঁ দিয়ে সামান্য কপুর গুড়া মিশ্রিত করে জ্বলন্ত স্থানে লাগায়ে দিলে ইন্‌শাআল্লাহ্ ঠাণ্ডা হয়ে ভাল হবে।

(৭০) আগুন নেভানোর আমল :

নিয়ম: কোন ঘরে বা স্থানে আগুন লাগলে খাস অন্তরে পবিত্র মুখে উচ্চ আওয়াজে উল্লেখিত শব্দ দু’টি উচ্চারণ করলে আল্লাহর ইচ্ছায় আগুন নিভে যাবে।

اللَّهُ أَكْبَرُ )আল্লাহু আকবার) আল্লাহ্ অনেক মহান।

(৭১) স্বামী-স্ত্রীর মহব্বত বৃদ্ধির আমল :

وَلَوْ انْفَقْتُ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مَا الْفُتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَكُنَّ اللهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْ إِنَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ .

উচ্চারণ: ওয়ালাও আনফাক্কতা মা ফিল আরদ্বি জামী’আম মা আল্লাফা বাইনা কুলুবিহিম ওয়ালা কিন্নাল্লাহা আল্লাফা বাইনাহুম ইন্নাহু ‘আযীযুন হাকীমুন।

নিয়ম : উল্লেখিত আয়াতটি ৭ বার পাঠ করে চিনি/মিশ্রী বা মিষ্টি দ্রব্যের উপর ফুঁ দিয়ে ঐ মিষ্টি দ্রব্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ে খেলে পরস্পরের মধ্যে গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হবে।

(৭২) চাকর-চাকরানী ও সন্তানদের পলায়ন বন্ধের আমল:

ফযীলত ও নিয়ম: কারও চাকর-চাকরানী কিংবা সন্তানের পলায়নের অভ্যাস থাকলে তাদের মাথায় কপালের উপরিভাগের

কয়েকগছি চুল ধরে নিম্নোক্ত দোয়াটি তিনবার পাঠ করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ তাদের পলায়নের অভ্যাস দূর হবে।

إِنِّي تَوَكَلْتُ عَلَى اللهِ رَبِّي وَرَبِّكُمُ . مَا مِن دَابَّةٍ الأَهْوَاخِذْ بِنَا صِيَاتِهَا – إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمَ .

উচ্চারণ : ইনি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি রাব্বী ওয়া রাব্বিকুম। মা মিন দাব্বাতিন ইল্লাহুয়া আখিযুম বিনাছিয়াতিহা। ইন্নারাব্বি ‘আলা ছিরাতিম মুসতাক্কীম।

(৭৩) চক্ষু রোগের আমল:

নিয়ম: চোখের বিভিন্ন প্রকার পীড়ার জন্য ও চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করে চোখে ফুঁ দেবে এভাবে ২, ৩, ৫ দিন করলে ইনশাআল্লাহ্ চক্ষুরোগ আরোগ্য হবে।

اللَّهُمَّ مَتِّعْنِي بِبَصَرِى وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنِّى فَكَشَفْنَا

عَنْكَ غِطَانَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা মাত্তি’অনী বিবাছারী ওয়াজ’আলহুল ওয়ারিছা মিন্নী ফাকাশাফ্রা ‘আনকা গিত্বাআকা ফাবাচ্ছারুকাল ইয়াওমা হাদীদুন।

(৭৪) ব্যথা-বেদনার ভাল হবার আমল:

أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّمَا أَجِدُوا وَ أَحَاذِرُ .

উচ্চারণ : আ’উযু বিইয্যাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাযিরু।

নিয়ম: পেটে কিংবা শরীরের অন্য কোন স্থানে ব্যথা-বেদনা হলে বেদনার স্থানে হাত রেখে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করে ফুঁ দিয়ে ঘঁষে দিবে। ইনশাআল্লাহ বেদনা ভাল হয়ে যাবে।

(৭৫) সন্তান লাভের আমল :

নিয়ম: ৪০টি লবঙ্গের মধ্যে প্রতি একটির ওপর সাতবার করে উক্ত দোয়া পাঠ করে ফুঁ দেবে, এভাবে ৪০টির ওপর ফুঁ দেবে।

এরপর হায়েয হতে পবিত্র হবার সাথে সাথে প্রতি রাতে শোয়ার সময় উক্ত লবঙ্গ একটি একটি করে পানি ছাড়া খেয়ে স্বামীর সাথে রাত যাপনের পর যথাসাধ্য স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য কাজ সমাধা করবে। এভাবে ৪০ রাতে খাওয়া শেষ হলে ইনশাআল্লাহ্ সন্তান লাভ হবে।

أَوْ كَظُلُمَاتِ فِي بَحْرٍ الحِي بِغْشَاهُ مَوْجٌ مِنْ فَـ 69 مِنْ فَوْقِهِ سَحَابٌ ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوقَ بَعْضٍ – إِذَا أَخْرَجَ يَدَهُ لَمْ يَكَدُ بَرَاهَا وَمَنْ لَّمْ يَجْعَلِ الله لَهُ نُورًا فَمَا لَهُ مِنْ نُّورِ .

উচ্চারণ : আও কাযুলুমাতিন ফী বাহ্লিল্লুজ্জিয়্যিই ইয়াগশাহু মাওজুম্ মিন্ ফাওক্কিহী মাওজুম মিন ফাওক্কিহী সাহাবুন যুলুমাতুন বা’অদুহা ফাওক্কা বা’অদ্বিন, ইযা আখরাজা ইয়াদাহু লাম ইয়াকাদ ইয়ারাহা ওয়ামান লাম ইয়াজ’আলিল্লাহু লাহু নূরান ফামা লাহু মিন নূরীন।

(৭৬) সন্তান নষ্ট না হওবার আমল :

নিয়ম: গর্ভবতী মহিলার গলায় উল্লিখিত তাবিজটি ভালভাবে পাক-পবিত্র হয়ে এক টুকরা কাগজে গোলাপ মিশ্রিত মেঙ্ক জাফরান কালি দ্বারা লিখে বেঁধে দিলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হবে না।

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانَ وَهَامَةِ عَيْن لَامَةٌ تَحْصَنْتَ بِحُصْنِ أَلِفُ أَلِفُ لأَحَولَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا باللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمُ .

উচ্চারণ : আ’উযু বিকালিমাতিল্লাহিত্ তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বানিন ওয়া হামাতিন ‘আইনুন লামাত তাহ্ছানতা বিহুছনি আলিফ আলিফ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল ‘আলীয়্যিল ‘আযীম।

(৭৭) পুত্র সন্তান লাভের আমল :

নিয়ম: যাদের কেবল মেয়ে সন্তান হয় তারা গর্ভস্থিত হবার পর গোলাপের পানি ও জাফরান দ্বারা একটুকরা কাগজে উক্ত তাবিজটি লিখে গর্ভিনীর গলায় বেঁধে দেবে, ইন্‌শাআল্লাহ্ ছেলে হবে। এছাড়া يَا مَتِيِّنُ )ইয়া মাতীনু) পাঠ করে গর্ভিনীর পেটের উপর দিয়ে গোল রেখা টেনে দেবে, ইনশাআল্লাহ শুভ ফল পাবে।

اللهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلَّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامَ وَتَزْدَادُ – وَكُلِّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِمِقْدَارٍ – عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْكَبِيرِ الْمُتَعَالِ يَا ذَكَرِيَّا أَنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْى لَمْ يَجْعَلُ إِلهُ مِنْ قَبْلِ سَمِيًّا – بِحَقِّ مَرْيَمَ وَعِيسَى ابْنَا صَالِحًا طَوِيلَ الْعَمْرِ وَبِحَقِّ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .

উচ্চারণ : আল্লাহু ইয়া’অলামু মা তাহমিলু কুল্লা উনছা ওয়ামা তাগীদুল আরহামা ওয়াতাযদাদু ওয়াকুল্লু শাইয়্যিন ‘ইন্দাহু বিমিক্কদারিন। ‘আলিমিল গাইবি ওয়াশ্ শাহাদাতিল কাবীরাল মুতা’আলি ইয়া যাকারিয়‍্যা আন্না নুবাশিরুকা বেগুলামিন ইসমুহু

ইয়াহ্ইয়া লাম ইয়াজ’আল ইলাহু মিন ক্কাবলি সামিয়্যা, বিহাক্কি মারইয়ামা ওয়াঈসা ইবনান ছালিহান ত্বাওয়ীলাল ‘উমরি ওয়াবিহাক্কি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা।

(৭৮) প্রসব ব্যথা দূর করার আমল :

নিয়ম: প্রসব ব্যথা দূর করে দ্রুত সন্তান খালাসের জন্য উক্ত আয়াতখানি একটুকরা কাগজে লিখে পাক-পবিত্র কাপড়ে জড়ায়ে বাম রানের গোড়ায় সূতা দ্বারা পেঁচায়ে বেঁধে রাখবে, ইনশাআল্লাহ্ আতি তাড়াতাড়ি সন্তান প্রসব করবে। সন্তান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রসব হবার সাথে সাথেই উক্ত তাবিজ খুলে ফেলবে, নতুবা নাড়ী-ভুড়িসহ বের হয়ে আসতে পারে।

وَالْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلْتُ ، وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقِّتْ عَلَيْهِمْ الشَّقَّةُ اَهْيًا وَاشْرَاهِيًا . مِنْ جَائِ يَافُتُمْ وَخَرُمَنْ جَايِّ يَافُتُ

تُخَوَاهِي بَرَائِ وَتُخَوَّاهِي مَزَائِ .

উচ্চারণ : ওয়া আলক্কাত মা ফীহা ওয়া তাখাল্লাত, ওয়া আযেনাত লিরাব্বিহা ওয়াহুক্কাত, ‘আলাইহিমুশাক্কক্কাতু আহইয়ান ওয়া আশরাহিয়্যান। মিন জায়ি ইয়াফতাম ওয়া খারমান জায়ি ইয়াত্ তুখাওয়াহী বাযায়ী ওয়াতুখাওয়াহী মাযায়ী।

(৭৯) বদনজর ভাল হবার আমল:

নিয়ম: খাসভাবে বদনজরের পানি পড়া দিতে হলে উল্লেখিত দোয়াটি ৩, ৫, ৭ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে উক্ত পানি পান করানোর ফলে ইনশাআল্লাহ বদনজর ভাল হবে।

46

৫৪

২৪ ঘণ্টার আমল ও দোয়া-দুরূদ

أو نَذَرْتُمْ مِّنْ نَذَرِفَإِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُهُ وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ نَفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُمْ

وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارِ.

উচ্চারণ : ওয়ামা আনফাক্কতুম মিন নাফাক্কাতিন আও নাযারতুম মিন নাযিরিন ফাইন্নাল্লাহা ইয়া’অলামুহু ওয়ামা লিযযালিমীনা মিন আনছারিন।

(৮০) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টির আমল :

ফযীলত ও নিয়ম: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করার জন্য নিম্নলিখিত আয়াতে কারীমাটি কোন মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ৭০৭ বার করে ৭ দিন পর্যন্ত পাঠ করে ফুঁক দিয়ে যাকে বাধ্য করার ইচ্ছা করবে তাকে খাওয়াবে। ইনশাআল্লাহ শুভ ফল লাভ হবে। (পরীক্ষিত)

وَمِنْ أَيْتِهِ إِنَّ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا الَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَ رَح و رَحْمَةً .

উচ্চারণ : ওয়া মিন আয়াতিহি ইন্না খালাক্বা লাকুম মিন আনফুসিকুম আযওয়াজান লিতাসকুনূ ইলাইহা ওয়া জা’আলা বাইনাকুম মুআদ্দাতাওঁ ওয়া রাহমাতান।

(৮১) চাক্রি লাভের আমল :

ফযীলত ও নিয়ম: যদি কোন লোক চাক্রি না পেয়ে বেকার থাকে তাহলে সে ব্যক্তি নিম্নোক্ত আয়াত ও নকশাটি এক টুকরা সাদা কাগজে লিখে নিজের ডান হাতে বেঁধে চাকরির খোঁজ করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ চাক্রি মিলে যাবে।

اللهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوَى الْعَزِيزُ . د

উচ্চারণ : আল্লাহু লাজ্বীফুম বি’ইবাদিহী ইয়ারযুকু মাইইঁয়াশাউ ওয়াহুওয়াল ক্বাওয়ীয়্যুল ‘আযীম।

(৮২) ঋণগ্রস্ত ও চিন্তিত অবস্থার আমল :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعِجْزِ وَالْكَسْلِ – وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ – وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدِّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আ’উযুবিকা মিনাল ‘ইজযি ওয়াল কাসলি ওয়া আ’উযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আ’উযুবিকা মিন গালাবাতিদ্দায়নি ওয়া ক্বাহরির রিজালি।

ফযীলতঃ যথানিয়মে উক্ত দোয়াটি পাঠ করলে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি অতি সহজে ঋণমুক্ত হয় এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির দুশ্চিন্তা দূর হয় এর জ্বলন্ত প্রমাণ হিসেবে একটি হাদীস পেশ করা হল।

তিরমীযি, আবু দাউদ ও ইবনে কাছীর নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, একদা নবী করীম (সাঃ) কোন একজন সাহাবীকে ঋণের চিন্তায় চেহারা মলিন দেখে তাঁকে উক্ত দোয়াটি শিক্ষা দিলেন। উক্ত দোয়া পাঠের ‘আমল দ্বারা দ্রুতভাবে তার ঋণ পরিশোধ হয়ে গেল এবং তার সকল সমস্যা দূর হয়ে গেল।

(৮৩) রোগী দেখতে গেলে পড়ার দোয়া :

أَذْهِبِ البَاسَ رَبِّ النَّاسَ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي الأَشِفَاء إِلَّا شِفَانُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا

উচ্চারণ : আযহিবি বাছা রাব্বান্নাছা ওয়াশফি আনতা আশশাফি লা শিফাআন ইল্লা শিফাউকা শিফাউল্লা ইউত্থাদিরু ছাকামান।

(৮৪) ঘুম কম হলে করণীয় :

নিয়ম: যদি কোন লোকের ঘুম কম হয় তাহলে সে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে বেশি বেশি করে মাথায় তেল ব্যবহার করবে। আর তা না হলে উল্লেখিত আয়াতে কারীমাটি এগারবার করে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সহজেই ঘুম আসবে।

إِنَّ اللَّهَ وَمَلْئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ أمَنُو اصَلُّو اعَلَيْهِ وَسَلِّمُهُ اتَسْلِيمًا

উচ্চারণ: ইন্নাল্লাহা ওয়ামালা ইকাতাহু ইউছাল্গুনা ‘আলান্নাবিয়্যি ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ ছালু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লিমূ তাসলীমান।

এ ছাড়া আরও উল্লেখ আছে যে, যদি ঘুম না আসে তাহলে শোয়া অবস্থায় মনে মনে يَاحَيُّ يَا قَيُّومُ )ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু) পড়তে থাকবে। (গানজিনায়ে আসরার)

(৮৫) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার দোয়া

নিয়ম: নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হবার ইচ্ছা করলে ঘুমানোর আগে তিনবার করে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করবে এবং মনে মনে আল্লাহ্র নিকট দোয়া মুনাজাত করে সময়ের কথা স্মরণ করে ঘুমিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্ যথাসময়ে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে যাবে।

اللَّهُمَّ لَا تُؤْ مِنَّا مَكْرَكَ وَلَا تُنْسِنَا ذِكْرَكَ وَلَا تَهْتِكَ عَنَّا سِتْرَكَ

وَلَا تَجْعَلُنَا مِنَ الْغَافِلِينَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তু’মিন্না মাকরাকা ওয়ালা তুনসিনা যিকরাকা ওয়ালা তাহতিকা ‘আন্না সিত্রাকা ওয়ালা তাজ’আলনা মিনাল গাফিলীনা।

(৮৬) নেক সন্তান চাওয়ার আমল :

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

উচ্চারণ: রাব্বি হাবলী মিনাস্ সালিহীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাকে তুমি একজন নেক সন্তান দান করো। (সূরা আস্ সাফ্ফাত-১০০)

(৮৭) সৎকাজ করার তাওফীকের জন্য আমল :

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالدِي

وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَهُ وَادْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّلِحِينَ

উচ্চারণ : রাব্বি আওযি’নী আন আশকুরা নি’মাতাকাল লাতি আনআ’মতা আ’লাই ইয়া ওয়া আ’লা ওয়ালি দাই ইয়া ওয়া আন আ’মালা সালিহান তারদ্বাহু ওয়া আদখিলনী বিরাহমাতিকা ফী ই’বাদিকাস্ সালিহীন।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি আমাকে তাওফীক দাও যাতে করে আমাকে ও আমার পিতামাতাকে তুমি যেসব নি’মাত দান করেছো, আমি যেন বিনয়ের সাথে তার কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি, আমি যেন এমন সব নেক কাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ করো, অতপর তুমি তোমার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে তোমার নেককার মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও। (সূরা আন নামল-১৯)

(৮৮) সূরা ফাতিহার আমল :

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ – الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ – مُلِكِ يَوْمِ الدِّينِ – إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ . اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ – صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمُ . غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمُ وَلَا الضَّالِّينَ .

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে যিনি পরম দয়ালু অতীব মেহেরবান। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং কেবল আপনারই কাছে সাহায্য চাই। আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। তাদের পথে যাদের আপনি পুরস্কৃত করেছেন। তাদের পথে নয়, যাদের উপর আপনার অভিশাপ এবং যারা পথভ্রষ্ট।

সূরা ফাতিহার আমল ও ফযিলত: সূরা ফাতিহার খুবই ফযিলত ও মর্যাদা রহিয়াছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, “যে সূরা ফাতিহাসহ, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস নিদ্রা যাইবার আগে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির মৃত্যু ব্যতীত সাধারণ বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকিবে”।

তিনি অন্যত্র আরও বলেছে যে, “উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) সব ধরনের ব্যথা ও রোগের শেফা স্বরূপ”। আর আলেমগণ বলেছেন যে যদি কেউ অসুস্থ্য তাহলে সেই অসুস্থ্য ব্যক্তির গায়ে হাত রাখিয়া সূরা ফাতিহা ১ বার এবং নীম্নের দোয়াটি ৭ বার পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ্ মেহেরবানীতে খুব তাড়াতাড়ি সেই ব্যক্তি সুস্থ্য হবে।

দোয়াটি হল এই:

اللهم اذهب مني سوء ها اجد وفحشه بدعوة

المليك المبارك كلمين عندك .

যখনই কোন সমস্যা দেখা দিবে তখন গোসল করবে। এরপর পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি মাখিবে। জায়নামাযে বসিয়া আয়াতুল কুরসি, আমানার রসুলু এবং তিনবার করে চার কুল সূরা পড়ে নিজের শরীরে ফুক দিবে। এরপর নীচে উল্লেখিত নিয়মে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।

রবিবার-

بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب العالمين

৫৮২ বার,

সোমবার ل الرحمن الرحيم ৬১৮ বার,

মঙ্গল الك يوم الدين২৪২ বার,

বুধবার اياك نعبد واياك نستعين ২৩৬ বার,

বৃহস্পতিবার ا الصراط المستقين ১০৭৩ বার,

শুক্রবার صراط الذين أنعمت عليهم ৮০৭  বার,

শনিবার غير المغضوب عليهم ولا الضالين ১৩০৪  বার,

এই ৭ দিনের মধ্যেই মনের উদ্দেশ্য সফলতা লাভ করবে।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলিয়াছে, যেই ব্যক্তি নিদ্রা যাবার সময় সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী ان ربكم الله المحسنين পর্যন্ত পড়বে, সূরা ইখলাস, মুয়াবেযাতাইনী (ফালাক, নাস) পাঠ করে,

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার জন্য দু’জন ফেরেশতাকে এই কথা বলে নিযুক্ত করান যে, আমার এই বান্দাকে সারারাত হেফাযত করবে। যদি সে রাতে সেই লোক মারা যায় তাহলে তাকে ক্ষমা করিয়া দেয়া হয়।

(৮৯) আল্লাহর নিকট শোকরিয়া আদায়ের আমল :

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيعِ أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا – وَكَفَانَا – وَأَوَانَا – فَكَمْ مِمَّنْ لَا كَافِي لَهُ وَلَا مُؤْوِى

উচ্চারণ: আল্লহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্ব’আমানা ওয়া সাক্কানা ওয়া কাফানা ওয়া আওয়ানা ফাকাম্ মিম্মান লা কাফিয়া লাহু ওয়ালা মু’ওয়িয়া।

অর্থ: সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় প্রদান করেছেন এমন বহুলোক রয়েছে যাদের পরিতৃপ্ত করার কেউ-ই নেই, যাদের আশ্রয় দানকারী কেউ-ই নেই। (মুসলিম)

(৯০) নিজের দ্বারা অন্যের ক্ষতি না হবার আমল :

اللَّهُمَّ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرِ السَّمَوَاتِ الْأَرْضِ – رَبِّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ – أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ – أَعُوذُ لكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي – وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ – وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى

رو نَفْسِي سُوءًا – أَوْ أَجْرَهُ إِلَى مُسْلِمٍ –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ‘আলিমাল গাইবি ওয়াশ্ শাহাদাতি

ফাত্বিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাইইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লা আন্তা আঊ’যুবিকা মিন্ শাররি নাক্সী ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বানি ওয়াশার কিহি ওয়া আন আকুতারিফা ‘আলা নাক্সী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম।

অর্থঃ হে আমার মালিক!! তুমি গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছুই জানো। আকাশ ও পৃথিবীর তুমি সৃষ্টিকর্তা। তুমি সব বস্তুর প্রভু প্রতিপালক এবং সমস্ত কিছুর মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই।

আমি আমার প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে আর শয়তান এবং তার শিরকের অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি নিজের অনিষ্ট হতে এবং কোনো মুসলমানের অনিষ্ট করা হতে তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

(৯১) বিপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার আমল :

اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ابْنُ عَبْدِكَ ابْنُ أَمَتِكَ نَاصِيَتِي يَدِكَ مَاضٍ فِيَّ حُكُمُكَ – عَدُلٌ قَضَاؤُكَ – أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ – أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدِكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ بِيعَ قَلْبِي – وَنُورَ صَدْرِي – وَجَلَاءَ حُزْنِي وَذَهَابَ هَمِّى –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আবদুকাবনু ‘আবদিকার নু’আমাতিকা, নাসিয়াতী বিয়াদিকা, মা-যিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়‍্যাকাদ্বউকা, আসআলুকা বিকুল্লিস্মিন্ হুওয়া লাকা, সাম্মাইতা বিহী নাফ সাকা,

আউ আন্যালতাহু ফী কিতাবিকা আউ ‘আল্লামতাহু আহদাম্ মিন খালকিকা, আবিস্তা’সারতা বিহি ফী ‘ইলমিলগাইবি ‘ইনদাকা আন্ তাজ’আলাল কুর’আনা রাবী’আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্রী, ওয়া জালাআ হুযনী ওয়া যাহাবা হাম্মী।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি তোমার বান্দা এবং তোমারই এক বান্দার পুত্র আর তোমার এক বান্দীর পুত্র। আমার ভাগ্য তোমার হস্তে, আমার ওপর তোমার নির্দেশ কার্যকর, আমার প্রতি তোমার ফয়সালা ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত,

আমি সেই সমস্ত নামের প্রত্যেকটির পরিবর্তে যে নাম তুমি নিজের জন্য নিজে রেখেছো অথবা তোমার যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছো, অথবা তোমার সৃষ্ট জীবের মধ্যে কাউকেও যে নাম শিখিয়ে দিয়েছো,

অথবা স্বীয় ইলমের ভাণ্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছো, তোমার কাছে এই কাতর প্রার্থনা জানাই যে, তুমি কুরআন মজীদকে বানিয়ে দাও আমার হৃদয়ের জন্য প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার চিন্তা-ভাবনার অপসারণকারী এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিদূরণকারী। (আহমদ)

(৯২) হারাম থেকে মুক্ত থাকা ও ঋণ পরিশোধের আমল

اللَّهُمَّ اكْفِينِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّن

سواك –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাক ফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়াক।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও। হালাল রুযিই যেনো আমার জন্য যথেষ্ট হয় এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন ও প্রবণতাবোধ না করি।

এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও। তুমি ছাড়া যেনো আমাকে আর কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়। (তিরমিযী)

(৯৩) কাজ সহজসাধ্য করার আমল :

اللَّهُمَّ لَأَسَهُلَ إِلَّا مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا

شئتَ سَهْلاً –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা সাহা ইল্লা মা জা’আলতাহু সাহ্বান ওয়া আন্তা তা’আলুল হুনা ইযা শি’তা সাহলান।

অর্থঃ হে আমার মালিক! কোনো কাজই সহজসাধ্য নয়, তুমি যা সহজসাধ্য করোনি, যখন তুমি ইচ্ছা করো দুশ্চিন্তাকেও সহজসাধ্য করতে পারো। (ইবনে হেব্বান)

(৯৪) ক্ষতি থেকে শিশুদের রক্ষার আমল :

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হাসান (রাঃ) এবং এবং হুসাইন (রাঃ) এর জন্য এই বলে আশ্রয় কামনা করতেন-

أُعِيدُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ مِنْ كُلِّ عَيْنٍ لا مَّةٍ

উচ্চারণ: উ-ই’যু কুমা বিকালিমা তিল্লাহিত্ তাম্মাতি মিন কুলি শাইত্বানিওঁ ওয়া হাম্মাতিওঁ ওয়া মিন কুল্লি আ’নিন লাম্মাহ্।

অর্থ: আমি তোমাদের দু’জনকে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে পূর্ণ গুণাবলীর বাক্য দ্বারা সকল শয়তান, বিষধর জন্তু ও ক্ষতিকর চক্ষু (বদ নযর) থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (বোখারী)

(৯৫) রোগী দেখতে গিয়ে দোয়া :

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগী দেখতে গেলে لا بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللهُ – OC Co

উচ্চারণঃ লা বা’সা ত্বাহুরুন ইন্‌শা আল্লাহ্। অর্থ: কিছুনা, ইনশাআল্লাহ তা’য়ালা আরোগ্য লাভ করবে।

(বোখারী ফতহুলবারী)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তার মৃত্যু আসন্ন না হলে তার সম্মুখে সে এই দোয়া সাতবার পাঠ করবে-

أَسْأَلُ اللهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ

উচ্চারণ : আআলুল্লাহাল ‘আযীমা রাব্বাল আরশীল ‘আযীমি আইয়্যাশঙ্ক্ষীকা।

অর্থ: আমি তোমার রোগ মুক্তির জন্য আরশে আযীমের মহান প্রভু আল্লাহ তা’য়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

এর ফলে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে (মৃত্যু আসন্ন না হলে) নিরাময় করবেন। (সাত বার বলবে) (আবু দাউদ, তিরমিযী)

(৯৬) মৃত্যুভীতি দেখা দিলে আমল :

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَالْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى –

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়ালহিকুনী বিররাফীকুিল আ’লা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাকে ক্ষমা করো আমার প্রতি দয় করো এবং আমাকে মহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দাও।

(বোখারী, মুসলিম)

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পানিতে দু’হাত প্রবেশ করাতেন তারপর ভেজা হস্তদ্বয় দ্বারা মুখমণ্ডল মাসেহ করতেন এবং বলতেন-

لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ إِنَّ لِلْمَوْتَ لَسَكَرَاتِ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইন্না লিল মাউতি লাসাকারাত।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই নিশ্চয় মৃত্যুর জন্য ভয়াবহ কষ্ট রয়েছে। (বোখারী ফতহুলবারী) لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ حدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই,

আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদা নেই, রাজত্ব তারই আর প্রশংসা মাত্রই তাঁর। আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, পাপ কাজ হতে বেঁচে থাকার এবং সৎ কাজ করারও কারো ক্ষমতা নেই একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।

(তিরমিযী)

(৯৭) নতুন চাঁদ দেখলে দোয়া:

اللهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِاالأَمْنِ وَالإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ الإِسْلامِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللهُ.

উচ্চারণ : আল্লাহ আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলায়না বিল আমনি ওয়াল ঈমানী ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু রাব্বানা ওয়া তারদ্বা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়ো, হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে এবং যা তুমি ভালোবাসো, আর যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফীক দাও। আল্লাহ আমাদের এবং তোমার (চাঁদের) প্রভু।

(তিরমিযী, দারেমী)

(৯৮) খাওয়ার পর দোয়া :

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا ، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي

ولا قوة .

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আতয়ামানা হাযা ওয়ারাযাকানিহি মিন গায়রি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা কুওয়াহ্।

অর্থ: সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পানাহার করালেন এবং এর সামর্থ প্রদান করলেন, যাতে ছিলো না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়-উদ্যোগ, ছিলোনা কোনো শক্তি সামর্থ। (দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, আহমদ)

(৯৯) হাঁচি আসলে এবং শুনলে দোয়া :

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে-আল-হামদু লিল্লাহ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য- বলবে, তখন প্রতিটি মুসলমান যে তা শুনবে তার উপর অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা- অর্থাৎ আল্লাহ আপনার উপর অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। যখন সে তার জন্য বলবে ইয়ারহামুকা-ল্লাহ তখন সে (হাঁচি দাতা) তদুত্তরে যেনো বলে-

يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمُ .

উচ্চারণ: ইয়াদি কুমুল্লাহু ওয়া ইউস্লিহু বালাকুম।

অর্থ: আল্লাহ আপনাদের সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং অবস্থা ভালো করুন। (বোখারী)

(১০০)

রাগ দূর করার আমল :

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ.

অর্থ: আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তান হতে। (বোখারী, মুসলিম)

(১০১) বিপন্ন মানুষকে দেখে দোয়া :

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ

مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً.

উচ্চারণ : আলহাম্দু লিল্লাহিল্ লাযি আ’ফানি মিম্মা তালাকা বিহী ওয়া ফাদ্বালানি আ’লা কাসিরিন মিম্মান খালাকা তালা।

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তা’য়ালার জন্য যিনি তোমাকে যে বিপদ দ্বারা পরীক্ষায় নিপতিত করেছেন তা হতে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন এবং তার সৃষ্টির অনেকের চেয়ে আমাকে অধিক অনুগ্রহীত করেছেন। (তিরমিযী)

(১০২) খারাপ কিছু দেখলে দোয়া :

دو وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ. اللَّهُمَّ لأَطَيْرَ إِطَيْرُكَ ، وَلَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُكَ،

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা ত্বাইরা ইত্বাইরুকা, ওয়া লা খাইর ইল্লা খাইরুকা, ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি কিছু ক্ষতি না করলে অশুভ কুলক্ষণ বলে কিছু নেই আর তোমার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই তুমি ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই। (আহমদ)

(১০৩) যানবাহনে আরোহণ করে দোয়া :

بِسْمِ اللهِ الْحَمْدُ لِلَّهِ سُبْحَنَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ. وَإِنَّا إِلَى رَبَّنَا لَمُنْقَلِبُونَ . سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ.

উচ্চারণ: বিস্মিল্লাহিল্ হামদু লিল্লাহি, সুবহানাল্লাযী সাখখার লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকুরিনীনা ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন ক্বালিবুন।

অর্থ: ‘আমি আল্লাহর নামে আরোহণ করছি, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য পাক পবিত্র সেই মহান সত্তা যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না, আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের প্রতিপালকের দিকে।’ তারপর ‘আলহামদু লিল্লাহ’ এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ তিনবার করে বলুন। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

(১০৪) ভ্রমণে যাবার সময় দোয়া

اللهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَنَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا مَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ. وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوَنُ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْرِ عَنَّا بُعْدَهُ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ، الْخَلِيفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعُشَاءِ السَّفَرِ، وَكَابَةِ

الْمَنْظَرِ ، وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالْأَهْلِ.

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকুরিনীনা ‘ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন-ক্বালিবুন।

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাযাল বাররি ওয়াত্ তাক্বওয়া ওয়া মিনাল আ’মালি মা তারদ্বি, আল্লাহুম্মা হাওওয়্যান আ’লাইনা সাফারানা হাযা ওয়াত্ববি আ’ন্না বু’দাহ্।

আল্লাহুম্মা আনতাস্ সাহিবু ফিস্ সাফার। ওয়াল খালিফাতু ফিল আহিল। আল্লাহুমা ইন্নি আয়ু’যুবিকা মিন ওয়া’ছায়িস্ সাফার ওয়া কাআবাতিল মানযির, ওয়া সুয়িল মুনক্বালাবি ফিল মালি ওয়াল আহ্ল।

অর্থ: পাক পবিত্র সেই মহান সত্তা যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না, আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের প্রতিপালকের কাছে। হে আল্লাহ! আমাদের এই সফরে আমরা

তোমার কাছে প্রার্থনা জানাই পূণ্য আর তাকওয়ার জন্য এবং আমরা এমন আমলের সামর্থ তোমার কাছে চাই, যা তুমি পছন্দ করো। হে আল্লাহ! আমাদের জন্য এই সফরকে সহজ সাধ্য করে দাও এবং এর দূরত্বকে আমাদের জন্য হ্রাস করো দাও।

হে আল্লাহ! তুমিই এই সফরে আমাদের সাথী, আর (আমাদের গৃহে রেখে আসা) পরিবার পরিজনের তুমি রক্ষণাবেক্ষণকারী। হে আল্লাহ! আমরা তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের ক্লেশ হতে এবং অবাঞ্চিত কষ্টদায়ক দৃশ্য দর্শন হতে এবং সফর হতে প্রত্যাবর্তনকালে সম্পদ পরিজনের ক্ষয়ক্ষতির অনিষ্টকর দৃশ্য দর্শন হতে।

(১০৫) ভ্রমণ থেকে ফিরে এসে দোয়া : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর হতে প্রত্যাবর্তন করতেন এই দোয়া পাঠ করতেন-

وور ايبُونَ، تَائِبُونَ عَابِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ.

উচ্চারণ : আয়িবুনা তায়িবুনা আ’বিদুনা লি রাব্বিনা হামিদুন। অর্থ: আমরা এখন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করছি তওবা করতে করতে ইবাদাতরত অবস্থায় এবং আমাদের প্রভুর প্রশংসা করতে করতে। (মুসলিম).

(১০৬) কোনো শহর বা জনপদে প্রবেশ করে দোয়া :

اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ مَا ذَرَيْنَ. أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا ، وَخَيْرَ مَا فِيهَا ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا ، وَشَرِّ أَهْلِهَا ، وَشَرِّ مَا فِيهَا.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বাস্ সামাওয়াতিস্ সাব্‌’ঈ ওয়ামা আালনা, ওয়ারাব্বাল আরদ্বীনাস্ সাব’ঈ ওয়ামা আকুলালনা, ওয়া রাব্বাশ শাইয়াত্বীনি ওয়ামা আদ্বলালনা, ওয়া রাব্বার রিয়াহি ওয়ামা যারাইনা, আস্’আলুকা খাইরা হাযিহিল ক্বারইয়াতি ওয়া খাইরা আলিহা, ওয়া খাইরা মাফীহা, ওয়া আঊ’যু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি আহলিহা ওয়া শাররি মাফীহা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! সপ্ত আকাশের এবং এর ছায়ার প্রভু সপ্ত যমীন এবং এর বেষ্টিত স্থানের প্রভু! শয়তান সমূহ এবং তাদের দ্বারা পথভ্রষ্টদের প্রভু! প্রবল ঝড় হাওয়া এবং যা কিছু ধুলি উড়ায় তার প্রভু!

আমি তোমার কাছে এই মহল্লার কল্যাণ এবং গ্রামবাসীর কাছ থেকে কল্যাণ আর এর মাঝে যা কিছু কল্যাণ আছে সবটাই প্রার্থন করছি। আর আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট হতে, এর বসবাসকারীদের অনিষ্ট হতে এবং এর মাঝে যা কিছু অনিষ্ট আছে তা থেকে। (হাকেম, আয যাহাবী)

(১০৭) বাজারে প্রবেশ করার সময় দোয়া :

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لأَشَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ عَلَى يُمِيتُ وَهُوَ حَي لَا يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، ووه

قَدِيرٌ.

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু, ইউয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়াহুওয়া হায়্যিউন লা ইয়ামতু বিয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর।

আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি জীবন’ দান করেন, তিনি মারেন। তিনি চিরঞ্জীব, মৃত্যু তাঁকে স্পশ করতে পারেনা। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (তিরমিযী, হাকেম)

(১০৮) মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় যিক্র :

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কালাম চারটি, তার যে কোনোটি দিয়েই তুমি শুরু করোনা, তাতে তোমার কিছু আসে যায় না। কালাম চারটি হলো-

ود سُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণ : সুববাহাল্লাহি, ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই এবং আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ। (মুসলিম)

হযরত সা’য়াদ ইবনে আবী আক্কাস রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গ্রামের একজন লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে আবেদন করলো, আমাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিন যা আমি বলবো, তিনি বললেন

আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি জীবন’ দান করেন, তিনি মারেন। তিনি চিরঞ্জীব, মৃত্যু তাঁকে স্পশ করতে পারেনা। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (তিরমিযী, হাকেম)

(১০৮) মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় যিক্র :

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কালাম চারটি, তার যে কোনোটি দিয়েই তুমি শুরু করোনা, তাতে তোমার কিছু আসে যায় না। কালাম চারটি হলো-

ود سُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণ : সুববাহাল্লাহি, ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই এবং আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ। (মুসলিম)

হযরত সা’য়াদ ইবনে আবী আক্কাস রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গ্রামের একজন লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে আবেদন করলো, আমাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিন যা আমি বলবো,

তিনি বললেন হযরত তারেক আল আশযায়ী রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন লোক ইসলাম গ্রহণ করলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রথমে নামায শিক্ষা দিতেন, এরপর এসব কথাগুলো দিয়ে দোয়া করার আদেশ দিতেন।(মুসলিম)

হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- সর্বশ্রেষ্ট দোয়া الْحَمْدُ لله আলহামদু লিল্লাহ আর সর্বোত্তম যিক্রম।

دو – إِلَّا اللهُ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা সিজদা এবং সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাতেন না। (তিরমিযী, নাসায়ী)

(১০৯) বিপদাপদ অনুভব করলে দোয়া :

لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ – لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ

الْعَظِيمُ – لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمُ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আযীমুল হালীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদ্বি ওয়া রাব্বুল ‘আরশিল কারীম।

অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই, তিনি মহান সহনশীল, আল্লাহ ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি মহান আরশের প্রতিপালক, আল্লাহ ব্যতীত দাসত্ব লাভের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক এবং মহান আরশের প্রতিপালক। (বোখারী, মুসলিম)

(১১০) শত্রু ও ক্ষমতাবান ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে আমল :

اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي تُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না না আলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাআযুবিকা মিন শুরুরিহিম।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমি শত্রুদের শত্রুতা ও তাদের ক্ষতিসাধনের মুকাবিলায় তোমাকে স্থাপন করছি এবং তাদের অনিষ্ট হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ, হাকেম)

اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِى – وَأَنْتَ نَصِيرِى – بِكَ أَجُولُ – بِكَ أَصُولُ – وَبِكَ أُقَاتِلُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আন্তা ‘আদ্বুদী; ওয়া আন্তা নাসীরী বিক আজুলু ওয়া বিকা আসূলু ওয়া বিকা উক্বাতিল।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমিই আমার শক্তি, তুমিই আমার সাহায্যকারী, তোমার সাহায্যে আমি শত্রুর সম্মুখীন হই, তোমারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল।

অর্থ: আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতোই নাই উত্তম কর্মবিধায়ক। (বোখারী) চায়াতীর দাপাদনত নিয়ম নির্ভর

(১১১) জালিম ও খারাপ প্রতিবেশী থেকে মুক্ত থাকার আমল :

وت اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ كُنْ لِى خَارًا مِنْ فَلانِ بْنِ فَلَانٍ وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلَائِقِكَ أَنْ يَفْرُطَ عَلَى أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَطْغَى – عَزَّجَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বাস্ সামাওয়াতিস্ সাব্‌’ঈ, ওয়া রাব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম। কুনলী জারান মিন্ ফুলানিনি ফুলানি। ওয়া আহ্যাবিহী মিন খালা ইক্কিকা, আইয়্যাফ্ত্বা ‘আলাইয়‍্যা আহাদুম মিন্‌নুম আউ ইয়াত্বগা, আয্যা জারুকা ওয়া জাল্লা সানাউকা ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাআন্তা।

অর্থঃ হে আমার মালিক! তুমি সপ্ত আকাশ মণ্ডলীর প্রভু মহামহিয়ান আরশের প্রভু! অমুক ইবনে অমুকের অনিষ্ট হতে তুমি আমার পড়শী হয়ে যাও, তোমার সমস্ত সৃষ্টির অনিষ্ট হতে রক্ষার জন্য তুমি যথেষ্ট। যে কেউ আমার ওপর অন্যায় অত্যাচার করবে, তোমার পড়শীত্ব মহাপরাক্রমশালী, তোমার প্রশংসা অতি মহান আর তুমি ব্যতীত সত্যিকারের প্রভু কেউ নেই। (বোখারী)

أَخَافُ شد جَمِيعًا – اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ اللهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ احْذَرُ – أَعُوذُ بِاللهِ الَّذِي لاَ إلَهَ إِلَّا هُوَ الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أنْ يَقْعُنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلانٍ وَجُنُودِهِ أَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ مِنَ الْجِنِّ وَالإِنْسِ – اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَارًا مِنْ تَرْهِمُ – جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارَكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ –

উচ্চারণ : আল্লাহু আকরার, আল্লাহু আ’আযয়ু মিন খালক্বিহী জামী’আ, আল্লাহু আ’আযযু মিম্মা আখাফু ওয়া আহারু, আ’উযু বিল্লাহিল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল মুন্সিকিস্ সামাওয়াতিস্ সাব্‌’ঈ আন ইয়া কা’না ‘আলাল্ আরদ্বি, ইল্লা বি ইন্নিহী; 

মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলানিন; ওয়া জুনুদিহী ওয়া আত্মা’ইহী ওয়া আইয়া’ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইন্সি, আল্লাহুম্মা কুন লি জারান মিন শাররিহিম জাল্লা সানাউকা ওয়া আয্যা জারুকা, ওয়াতাবারাকাসমূকা, ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।

অর্থ : আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহাপরাক্রমশালী, আমি যার ভয়-ভীতি করছি তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি ঐ আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই যিনি ছাড়া কেউ নেই, যার অনুমতি ছাড়া সপ্ত আকাশ যমীনে পড়তে পারে না-

আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই তোমার অমুক বান্দার এবং সৈন্য সামন্ত ও তার অনুসারীদের এবং সমস্ত জ্বিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আমার মালিক! তাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য তুমি আমার পড়শী হয়ে যাও, তোমার গুণগান অতি মহান, তোমার পড়শীত্ব মহাপরাক্রমশালী, তোমার নাম অতি মহান, আর তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। (বোখারী)

(১১২) বৃষ্টির প্রয়োজন হলে দোয়া :

غَيْئًا مُغِيئًا مَرِيئًا مَرِيعًا ، نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍ، اللَّهُمَّ أَسْقِنَا عَاجِلا غَيْرَ جِل –

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাসকিনা গায়ছান মুগীছান মারীয়ান মারি’য়া নাফিরান গায়রা দ্বাররিন আজিলান গায়রা আজিল।

অর্থঃ হে আমার মালিক! আমাদেরকে এমন বৃষ্টির পানি দান করো যা সুপেয়ো, ফসল উৎপাদনকারী, কল্যাণকর, ক্ষতিকর নয়, দ্রুত যা আসবে, বিলম্ব করবে না। (আবু দাউদ)

(১১৩) বৃষ্টি হতে থাকলে দোয়া

اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাইয়িবান নাফিআ’। অর্থঃ হে আমার মালিক! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষাও। (বোখারী ফতহুলবারী)

(১১৪) বৃষ্টি বর্ষণের পর দোয়া :

اللهِ وَرَحْمَتِهِ. مُطِرْنَا بِفَضْلِ

উচ্চারণ: মুত্বিরনা বিফাদ্বলিল্লাহি ওয়া রাহমাতিহ্।

অর্থ : আল্লাহর ফযল ও রহমতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। (বোখারী, মুসলিম)

(১১৫) অতি বৃষ্টি দেখা দিলে দোয়া :

اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا اللَّهُمَّ عَلَى الأَكَامِ وَالطَّرَابِ

وَبُطْرابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়ালায়না ওয়া লা’আলাইনা আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়ায্যারাবি ওয়াবুতুনিল আওদিয়াতি ওয়ামানাবিতিশ শাজার।

অর্থ: হে আমার মালিক! আমাদের পাশ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করো, আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে ও পাহাড়

পর্বতে, উপত্যকা অঞ্চলে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করো। (বোখারী, মুসলিম)

আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র ৯৯ নামের গুণাবলি এবং আমলের ফযীলতসমূহ

یا الله )ইয়া আল্লাহু)-হে আল্লাহ তা’আলা

لله। (আল্লাহ্) শব্দটি এই মহা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা, মহান আল্লাহ্র নির্দিষ্ট ইসমে জাত। এই পবিত্র নামটি বচন ও লিঙ্গভেদ হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।

বিশেষ কোন ধাতু হতে এই নামটি উৎপন্ন হয়নি এবং দুনিয়ার প্রচলিত কোন ভাষাতে এই নামের অনুবাদ হয় না। কেননা আল্লাহ্ বলতে একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলাকেই বুঝায়। এই কারণেই এটি ইসমে জাত বলে পরিচিত।

✓ পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “সব প্রকার যিকির হতে আল্লাহ্ নামের যিকিরই সর্বোত্তম।”

অপর এক হাদীসে উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যক্তি রাত্রি বেলায়

মহান আল্লাহ্ নামসমূহের যিকির করে তাহলে তার অন্তরে নূর পয়দা হবে এবং সে ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার কবরে নূর চমকাতে থাকবে।

✓ হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) স্বীয় ‘আমলের উপকারিতা হতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ‘ইয়া আল্লাহু’ এই পবিত্র ইসমে জাতটি ৪,৩৫৭ বার করে চল্লিশ দিন পর্যন্ত পাঠ

করবে তাহলে করুণাময় সৃষ্টিকর্তা ও দয়ালু আল্লাহ্ তা’আলা তার মনের সব বাসনা পূর্ণ করে থাকেন। কিন্তু শর্ত হল যে, ‘আমলের দ্বারা ফল লাভ হলে সদা সর্বদা ফকির মিসকিনদেরকে দান-ছদকাহ্ করতে হয় নতুবা এ ‘আমলের ফযীলত ও মর্যাদা দীর্ঘস্থায়ী থাকে না।

✓ একটি পাক-পবিত্র পেয়ালায় এ পবিত্র ইসমে জাত আল্লাহ্ শব্দটি ৬৭ বার লিখে সে পেয়ালা ধোয়া পানিটি যেকোন পীড়িত ব্যক্তিকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ্ তার পীড়া আরোগ্য হয়।

✓ শুক্রবার (জুমু’আর) দিন জুমু’আর নামাযের পূর্বে নির্জন স্থানে বসে ২১১ বার এই পবিত্র ইসমে জাত আল্লাহ্ শব্দের যিকির করলে মনের সব বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হয়।

✓ নিয়মিতভাবে দৈনিক ১১১ এ পবিত্র ইসমে জাত আল্লাহ্ শব্দের যিকির করলে ঈমান মজবুত হয়।

یا رحمن )ইয়া রাহমানু) হে অনুগ্রহকারী ও করুণাময়

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের প্রতি সকলেই সহানুভূতিশীল থাকবে।

✓ এ পবিত্রতম গুণবাচক নামটি ৩১১ বার পাঠ করে মহান আল্লাহ্র নিকট যে কোন বিষয়ের জন্য অনুগ্রহ কামনা করবে মহান করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলা তার সে বাসনা পূর্ণ করে দেবেন।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ১১১ বার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ হতে মুক্ত থাকতে পারবে এবং সব অলসতা ও ভুল ভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকবে।

✓ কোন দুষ্ট প্রকৃতির লোকের দুষ্টামি বন্ধ করার নিমিত্তে একটুকরা সাদা কাগজে মেশক জা’ফ্রানের কালি দ্বারা লিখে সে দুষ্টের বাড়ীতে পুঁতে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ উক্ত লোকের দুষ্টামি বন্ধ হয়ে যাবে।

✓ প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর ২৯৯ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করলে আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হয় এবং মুহাব্বত বৃদ্ধি হয়। সে ব্যক্তি সব প্রকার বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকে এবং সহজভাবে অনেক নেক কাজ করার শক্তি লাভ হয়।

يا رحيم )ইয়া রাহীমু) হে দয়াময় ও পরম দয়ালু

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে পাঠকের মন ইনশাআল্লাহ্ বিনয়ী ও নম্র হবে।

✓ মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ বা ঘটনা ঘটার ভয় হলে অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে যাবতীয় বিপদাপদ হতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তি লাভ করবে।

✓ যে গাছে ফল কম হয় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি চিনামাটির প্লেটে লিখে ধৌত করে সে পানি গাছের গোড়ায় দিলে ইনশাআল্লাহ্ গাছে অনেক বেশী ফল ধরবে।

✓ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ বা ঘটনা ঘটার ভয় হলে কিংবা কোন কঠিন বিপদে জড়ায়ে পড়লে “আর রাহমানির রাহীম” এভাবে এ নাম দু’টি অনেক সময় পর্যন্ত পড়তে থাকবে।

কিংবা জাফরান কালি দিয়ে একটুকরা সাদা কাগজে লিখে পানি দ্বারা ধুয়ে পান করালে বা তাবীজরূপে সাথে ব্যবহার করলে যাবতীয় বিপদাপদ হতে ইনশাআল্লাহ মুক্তি লাভে সক্ষম হবে।

یا خالق )ইয়া খালিকু) হে সৃজনকারী বা সৃষ্টিকর্তা

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সাতদিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে দৈনিক ১১১ বার পাঠ করে কোন বিপদ মুক্তির জন্য দু’আ মুনাজাত করলে ইনশাআল্লাহ্ সে বিপদ দূর হবে এবং সর্বদা পাঠ করলে সব প্রকার বিপদাপদ হতে রক্ষা পাবে।

✓ শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাযের পর অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করলে মহান আল্লাহ্র নির্দেশে একদল ফিরিস্তা নিযুক্ত করেন এবং ঐ সব ফিরিস্তাগণ কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর ‘আমলনামায় এ সবের ছাওয়াব লিখেতে থাকবেন।

یا بارئ )ইয়া বারীয়্যু) হে মহা মুক্তিদাতা

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার গুনাহ হতে মুক্তি লাভ করবে এবং কবর ‘আযাব হতে রক্ষা পাবে।

✓ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় নিয়মিতভাবে ৪১ বার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ জ্ঞান-বুদ্ধি ও শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

یا مصور )ইয়া মুছাওয়্যিরু) হে আকৃতি গঠনকারী

✓ যে সব বন্ধ্যা নারীর সন্তান হয় না অথবা গর্ভসঞ্চার হলেও তা নষ্ট হয়ে যায় এরূপ মহিলারা একাধারে সাতদিন রোযা রেখে প্রতিদিন ইফতারীর সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি দ্বারা ইফতার করবে এবং পানি পান করার পর পুনরায় ২১ বার উল্লিখিত নামটি পাঠ করবে এরূপ ‘আমল’ যথা নিয়মে করতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভে সন্তান জন্মিবে এবং গর্ভ রক্ষা হবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কারের ক্ষমতা লাভ করা যায় কটকালচার

یا غفار )ইয়া গাফ্ফারু) হে অপরাধ মার্জনাকারী

✓ শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের পর মসজিদে বসে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৪১ দিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ সমুদ্রের ফেনাসমূহের তুল্য গুণাহরাশিও মাফ হয়ে যাবে।

یا قهار )ইয়া কাহহারু) হে মহাশাস্তিদানকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে দৈনিক অধিক পরিমাণে পাঠ করলে সংসারের প্রতি মোহ দূর হয়ে একমাত্র আল্লাহ্র প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস জন্মে এবং কোন শত্রু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

✓ যাদুক্রিয়া দ্বারা কোন লোকের ধ্বজভঙ্গ রোগ হলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি একটি চিনা মাটির প্লেটে লিখে পানি দিয়ে ধুয়ে সেই পানি ধ্বজভঙ্গ রোগীকে পান করতে দিলে ইনশাআল্লাহ্ যাদুক্রিয়া নষ্ট হয়ে সেই ব্যক্তি রোগ হতে মুক্তিলাভ করবে।

✓ যারা যাদু খেলা দেখায় তাদের সীমারেখার ভিতরে বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলির দ্বারা চিমটি কেটে ধরে এই গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ যাদুকরেরা যাদুকরী খেলা দেখাতে পারবে না।

با وهاب )ইয়া ওয়াহ্হাবু) হে পুরস্কার দানকারী আটালান

✓ চাশতের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সিজদায় গিয়ে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ অসংখ্য সম্পদের অধিকারী হবে এবং প্রভাবশালী রূপে গণ্য হবে।

✓ রাত্রির শেষভাগে নির্জন স্থানে কিংবা মসজিদে বসে (খালি মাথায়) দু’হাত উঠায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সব আশা পূরণ হয়।

یا رزاق )ইয়া রায্যাক্কু) হে রিদানকারী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফজরের নামাযের আগে (ঘরের উত্তর পশ্চিম কোণ হতে আরম্ভ করে) দশবার করে দাঁড়ায়ে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় অভাব অনটন দূর হবে।

✓ প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও উপবাস থাকবে না এবং রিক্তহস্তে হবে না। 

✓ এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে শস্যক্ষেতের বেড়ার সাথে বেঁধে দিলে ইনশাআল্লাহ্ পোকার উপদ্রব হতে রক্ষা পাবে।

یا فتاح )ইয়া ফাত্তাহু) হে উন্মুক্তকারী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর দু’হাত বুকের উপর রেখে ৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব কাজ কর্ম সহজ সাধ্য হবে এবং যাবতীয় অভাব-অনটনসমূহ দূর হয়ে ভাগ্য সুপ্রসন্নতা লাভ করবে।

✓ যে কোন প্রকার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করে দু’আ মুনাজাত করলে ইনশাআল্লাহ্ সে উদ্দেশ্য সফল হবে।

یا علیم )ইয়া ‘আলীমু) হে মহাজ্ঞানী

✓ সর্বদা নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধি হবে ও মনের কপাট খুলে যাবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে গুনাহ মাফ হবে এবং মা’অরিফাত অর্জন হবে।

یا قابض )ইয়া ক্বাবিছু) হে আয়ত্বকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি একাধারে ৪১ দিন পর্যন্ত একটুকরা রুটির উপর লিখে সে রুটির টুকরাটি খেয়ে ফেললে জীবনে কখনও ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না।

✓ নতুন চিনামাটির বর্তনে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১ বার মেশক জাফরান কালি দিয়ে লিখে গোলাপ জল দিয়ে ধৌত করা পানি যাকে পান করায়ে দিবে সেই ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ কৃতদাসের মত বাধ্য হয়ে থাকবে। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে এইরূপ আমল করার ফলে কোন কাজ হবে না বরং এরূপ করলে গুনাঙ্গার হবে।

یا باسط )ইয়া বাসিতু) হে প্রসারকারী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর মুনাজাতের মত হাত উঠিয়ে ২১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে হাত মুখের উপর মুছে নিবে ইনশাআল্লাহ্ এরূপ ‘আমলের ফলে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না এবং রুজীতে বরকত হবে।

یا خافض )ইয়া খাফিছু) হে সংকোচনকারী

✓ মনের সব আশা পূরণের উদ্দেশ্যে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করলে মনের সব আশা পূর্ণ হবে এবং ৭২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অপকার হতে রক্ষা পাবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে আল্লাহ্র রহমতের ছায়ায় স্থান পাবে এবং বেকার যুবকদের। বেকারত্ব দূর হবে।

یا رافع )ইয়া রাফি’উ) হে উন্নতি দানকারী

✓ বিদেশে যাবার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করে এরপর ‘তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ্’ বলে ডান পা দিয়ে বাহির হলে ইনশাআল্লাহ্ নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে সক্ষম হবে এবং পথে কোনরূপ দুর্ঘটনার ভয় থাকবে না। এছাড়া মনের সব প্রকার আশা-আকাঙক্ষা পূর্ণ হবে।

✓ এই গুণবাচক নামটি দিনের বেলায় এবং রাত্রে শোয়ার সময় ১২১ বার পাঠ করলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ৭১১ বার পাঠ করলে অত্যাচারীর জুলুম-অত্যাচার হতে ইনশাআল্লাহ্ রক্ষা পাবে।

یا معز )ইয়া মু’য়িয্য) হে সম্মানদাতা

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দিন মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে ৪১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সকলের কাছে সম্মান লাভ করবে এবং পৃথিবীর মধ্যে প্রতাপশালী হবে।

✓ প্রতিদিন ‘ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি জায়নামাযের উপর দাঁড়ায়ে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ গুপ্ত ধনের সন্ধান পাওয়া যায়।

یا مذل )ইয়া মুযিল্ল) হে অপমানকারী

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর সিজদায় গিয়ে ৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং কোন লোক তার অধিকার নষ্ট করতে পারে না।

✓ সব সময় নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৮১১ বার পাঠকারীকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্ সব প্রকার অপমান হতে হিফাজতে রাখিবেন।’

✓ হাকীমের নিকট যাবার আগের দিন সূর্যাস্তের সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করবে এর পরদিন হাকীমের সামনে গিয়ে এ পবিত্র নামের যিকির করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ্ হাকীম তার প্রতি সদয় হয়ে উঠবেন।

یا سمیع )ইয়া সামী ‘উ) হে শ্রবণকারী

✓ বৃহস্পতিবার দিন চান্তের নামাযের পর কারও সাথে কথা না বলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করে মহান আল্লাহ্র নিকট যে দু’আ করা হবে ইনশাআল্লাহ্ সে দু’আই দয়াময় আল্লাহ্ কবুল করবেন। তামিয়াদী ছলে ইয়ালান ৮০

✓ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১১ বার ইস্তিগফার ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াতুল কুরসী পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করে ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাত নামায আদায় করে ফরজের পূর্বে পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াতুল কুরসী,

১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে স্বীয় মনোবাসনা পূর্ণ হবার জন্য দু’আ মুনাজাত করে ফজরের দু’রাকা’আত ফরয নামায আদায় করবে এভাবে ১১ দিন আমল করবে। ফলাফল শুভ না হলে পরবর্তী ১১ দিন যথানিয়মে আদায় করলে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই শুভ ফলপ্রাপ্ত হবে।

یا بصير )ইয়া বাছীরু) হে সর্বদ্রষ্টা

✓ শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের সুন্নাতের পর দু’রাকা’আত ফরজ নামাযের আগে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করে চোখে ফুঁ দিলে চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয় এবং সৎসাহসী ও আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।

✓ প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করে দু’ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পিঠে ফুঁ দিয়ে চোখে মুছে দিলে ইনশাআল্লাহ্ চক্ষু রোগ ভাল হয়ে যাবে এবং কখনও দৃষ্টি শক্তি কমবে না।

یا حکم )ইয়া হাকামু) হে মীমাংসাকারী

✓ নিয়মিতভাবে রাত্রের মধ্য অংশে উঠে অযু করে পাক পবিত্র হয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মানসিক পবিত্রতা অর্জন হবে।

✓ যে কোনরূপ কঠিন কাজ উপস্থিত হলে অধিক সংখ্যক বার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার কঠিন কাজ সহজ সাধ্য হবে।

یا عدل )ইয়া আদলু) হে ন্যায় বিচারক সাতকাহ

✓ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ২১ টুকরা রুটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার লিখে আহার করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের পরিবর্তন হবে এবং সব লোক তার বাধ্য থাকবে।

✓ দুশ্চরিত্রবান স্ত্রীর কপালের চুল ধরে যে কোন শনিবার দিন হতে আরম্ভ করে তিনদিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে গুপ্ত-প্রণয়ী হাতে নাতে ধরা পড়বে। প্রথমবারে না হলে দ্বিতীয় বার চেষ্টা করবে, নতুবা তৃতীয় বারে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই ধরা পড়বে।

یا لطيف )ইয়া লাত্বীফু) হে সূক্ষ্মতম

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৩ বার পাঠ করলে পাঠকের রুজী রোজগার বৃদ্ধি হবে এবং কোন প্রকার রোগ-ব্যাধি থাকলেও ইনশাআল্লাহ্ রোগ মুক্ত হবে।

✓ অবিবাহিতা উপযুক্ত মেয়েদের বিবাহ না হলে তারা প্রতিদিন অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ যথা শীঘ্রই বিবাহের বন্দোবস্ত হবে।

✓ অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠকারীর সব মনের আশা ইনশাআল্লাহ্ পূরণ হবে।

নিয়মিতভাবে ১৩৩ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় রোগ আরোগ্য হবে।

✓ মনের সব প্রকার অস্থিরতা দূর করার জন্য নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন ৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সব প্রকার অশান্তি দূর হয়ে গিয়ে শান্তি ফিরে আসবে।

✓ বিদেশে যাওয়ার পূর্বে ঘর হতে বের হবার সময় উল্লিখিত

পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহে পাঠ করে ডান পা দিয়ে বেরিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ্ পথের যাবতীয় দুর্ঘটনা হতে মুক্ত থাকবে।

یا مؤمن )ইয়া মু’মিনু) হে পরম বিশ্বাসী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ শয়তানের ধোকা হতে মুক্তি লাভ করবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৬৭ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ঈমান মজবুত হয় এবং মহান আল্লাহ্র প্রতি পূর্ণ ভরসা জন্মে।

✓ যে কোন প্রকার ভয়ের কারণ দেখা দিলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার ভয়-ভীতি দূর হয়।

یا مهیمن )ইয়া মুহাইমিনু) হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী

✓ গোসল করে অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায নির্জন স্থানে আদায় করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২৫ বার পাঠ করলে সব প্রকারের ভয়ের কারণ সমূহ দূর হয়।

মনের ভেতর সাহস বৃদ্ধি হয় এবং অন্তরে মহান আল্লাহ্র নূর পয়দা হয়।

✓ একটি আংটির মধ্যে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩ বার খোদাই করে লিখে ব্যবহার করলে যাবতীয় শত্রু, শয়তান ও জ্বিন-ভূতের আক্রমণ হতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্ত থাকবে।

✓ যাদের সাথে অন্যায়ভাবে শত্রুতা করা হয় তারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যক বার পাঠ করলে শত্রুরা তার সাথে শত্রুতা বন্ধ করে ইন্‌শাআল্লাহ্ বন্ধুরূপে পরিণত হবে।

یا عزیز )ইয়া ‘আযীযু) হে পরাক্রমশালী

✓ ৪০ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে এ পবিত্র নামটি ৭৫ বার পাঠ করলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং ইনশাআল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

✓ যাদের স্ত্রী-পুত্র অবাধ্য হয়ে থাকে এরূপ ব্যক্তিরা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফজরের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই তারা বাধ্য হয়ে উঠবে।

یا جبار )ইয়া জাব্বারু) হে অসীম ক্ষমতাশালী

✓ প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ অত্যাচারীর হাত হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ২৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকবে।

✓ প্রতিদিন সকালে সূর্য উদয় হতে আরম্ভ করে সম্পূর্ণ সূর্য উদয় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত শত্রুর চেহারা স্মরণ করে এ গুণবাচক নামটি পাঠ করলে সে শত্রু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এমন কি শয়তানও তাকে কুমন্ত্রণা দিতে পারবে না।

یا متکبر )ইয়া মুতাকাব্বিরু) হে মহা গৌরবান্বিত

✓ নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৬৯৫ বার পাঠ করলে পাঠকের মান-সম্মান ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সব কাজ-কর্মে ইনশাআল্লাহ্ বরকত ও উন্নতি লাভ হবে।

✓ বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে প্রথম মিলনের রাত্রিতে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২৫ বার পাঠ করে স্ত্রী সহবাস করলে ইনশাআল্লাহ্ চরিত্রবান ও ভাগ্যবান সন্তান লাভ হবে।

✓ স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করে স্ত্রী সহবাস করলে ইনশাআল্লাহ্ সুসন্তান লাভ হবে।

یا غفور )ইয়া গাফুরু) হে ক্ষমাশীল

✓ এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র নামটি ৭ বার লিখে পানিতে ধৌত করে সে পানি রোগীকে খাওয়ায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ রোগের উপশম হবে এবং পাঁচ বার লিখে তাবিজরূপে সঙ্গে রাখলে সব প্রকার জ্বর আরোগ্য হয়।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৩১৭ বার পাঠ করলে গুনাহসমূহ ক্ষমাপ্রাপ্তির যোগ্যতা লাভ করা যায়।

یا شکور )ইয়া শাকুরু) হে কৃতজ্ঞতা পছন্দকারী

✓ নিরূপায় ব্যক্তি একটু পানিতে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে পানি ঘাড়ে ও বুকে মালিশ করলে ইনশাআল্লাহ্ তার স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে কোন প্রকার ব্যথা বেদনা থাকলে তা দূর হবে।

✓ কন্যাদায়ী ব্যক্তি ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিরা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ে ৭ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ২১ বার করে আকাশের দিকে মুখ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ অতি শীঘ্রই শুভ ফলাফল লাভ হবে। সাকা

✓ কোন রুক্ষ্ম স্বভাবের মাতা-পিতা ও শিক্ষকের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে অতি শীঘ্রই তাদের প্রিয়পাত্র হওয়া যায়।

یا علی )ইয়া ‘আলীয়্যু) হে উন্নত, মহান

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪১ বার পাঠ করলে অথবা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করলে অভাব অনটন দূর হবে এবং প্রবাসে থাকলে অতি তাড়াতাড়ি স্বজনদের সাথে মিলিত হতে পারবে।

✓ এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে ছোট ছেলে-মেয়ের সাথে তাবিজ রূপে ব্যবহার করলে ইনশাআল্লাহ্ তারা সুস্থ-সবল ও বলিষ্ঠ হবে এবং রোগমুক্ত থাকবে।

یا كبير )ইয়া কাবীরু) হে বৃহত্তম, শ্রেষ্ঠ

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে পানিতে ভিজায়ে সে ধৌত করা পানি খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশায়ে অথবা পাঠ করে খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে ফুঁ দিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে সে খাদ্য আহার করলে উভয়ের মধ্যে ইনশাআল্লাহ্ গাঢ় ভালবাসা স্থাপিত হবে।.

✓ কোন প্রকার বিপদাপদে পড়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ২৭৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সমস্ত বিপদাপদ হতে মুক্তিলাভ করবে।

یا حفیظ )ইয়া হাফীযু) হে হিফাজতকারী

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে ছোট ছেলে-মেয়ের গলায় তাবিজ রূপে ব্যবহার করলে তারা আগুনে পোড়া, পানিতে ডুবে মরা হতে ইনশাআল্লাহ্ রক্ষা পাবে এবং জ্বিন-ভূত, বাঘ, ভাল্লুকে কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না।

یا مقیت )ইয়া মুক্বীতু) হে শক্তিদানকারী

✓ কোন রোযাদার ব্যক্তি এই নাম পাঠ করে মাটিতে ফুঁ দিয়ে অনবরত সে মাটি শুঁকতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তার মনোবল, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি হবে।

✓ ভ্রমণ অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে একটি মাটির পাত্রের পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি পান করলে ইনশাআল্লাহ্ প্রবাসকালীন সময়ের সব প্রকার ভয়-ভীতি হতে নিরাপদে থাকবে।

يا حسيب )ইয়া হাসীবু) হে হিসাব গ্রহণকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রয়োজন অনুযায়ী একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের আগে এবং মাগরিবের নামাযের পর ২১ বার পাঠ করলে হিসাব নিকাশে অথবা ভাগ বন্টনে কারও বিশ্বাস ঘাতকতা কিংবা প্রতারণার আশংকা থাকে না।

یا جلیل )ইয়া জালিলু) হে মহিমান্বিত! প্রতাপশালী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে দৈনিক ১০৭ বার পাঠ করলে কিংবা মেল্ক, জা’ফরানের কালি দ্বারা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করলে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট সম্মান লাভ করা যায়। আলী

یاکریم )ইয়া কারীমু) হে অনুগ্রহকারী, সম্মানী

✓ প্রতিদিন রাত্রি বেলায় শোয়ার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩০৭ বার পাঠ করে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট আদর-যত্ন ও মান-সম্মান লাভ করা যায়। (বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী (রাঃ) সর্বদা এ আমল করতেন)

يا رقيب )ইয়া রাক্কীবু) হে তত্তাবধানকারী

✓ কারও কোন দ্রব্য হারানো গেলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্র অবস্থায় ৩৪৩ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সে হারানো বস্তুটি পাওয়া যাবে। অবশ্য চুরি হয়ে হস্তান্তরিত না হয়ে থাকলে।

✓ বিদেশ গমনের সময় কিংবা কোথাও যাবার সময় ছেলে-মেয়েদের ঘাড়ের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা নিরাপদে থাকবে।

✓ প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর অত্যন্ত পাক পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকারীর জীবন্ত অবস্থায় তার সন্তান-সন্ততি মারা যাবে না।

یا مجيب )ইয়া মুজীবু) হে প্রার্থনা কবুলকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত মনযোগের সাথে ৮৬ বার পাঠ করে মহান আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করলে ইনশাআল্লাহ্ মহান আল্লাহ্ তা’আলা তার সে দু’আ কবুল করেন।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকিরকারীর অন্তর আল্লাহ্ তা’আলা মহাব্বতে পূর্ণ হয়ে যায় এবং লোক সমাজে সমাদৃত ও সম্মানিত হয়ে থাকে।

یا واسع )ইয়া ওয়াসি’উ) হে প্রশস্তকারী

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি সর্বদা অধিক পরিমাণে পাঠ করলে ধনবান ও সমৃদ্ধশালী হওয়া যায়।

✓ প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করলে পাঠকের মনের যাবতীয় খারাপ চিন্তা-ভাবনা ইনশাআল্লাহ্ দূর হয়ে যাবে এবং পাঠকের অন্তরে আল্লাহ্র নূর সৃষ্টি হবে।

یا حکیم )ইয়া হাকীমু) হে মহাজ্ঞানী

✓ প্রতিদিন মধ্য রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের সব প্রকার গুণাহসমূহ আল্লাহ্ তা’আলা নিজে গোপন করে • রাখবেন।

✓ কোন পরীক্ষার্থী ব্যক্তি এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করে পরীক্ষা দিতে আরম্ভ করলে ইনশাআল্লাহ্ পরীক্ষায় ভাল ফলাফল লাভ করতে পারবে এবং তার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

یا ودود )ইয়া ওয়াদূদু) হে শ্রেষ্ঠ বন্ধু

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা গাঢ় করার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যের উপর ১২১ বার পাঠ করে। ফুঁ দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ায়ে দিবে এবং কারও সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য ৭৫ বার পাঠ করে কোন খাদ্য-দ্রব্যে ফুঁ দিয়ে খাওয়ালে বন্ধুত্ব গাঢ় হবে। আর এক টুকরা রেশমী কাপড়ে লিখে সঙ্গে রাখলে লোকের নিকট আদরণীয় হবে।

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা সাদা কাগজে লিখে তাবীজরূপে ছোট ছেলে-মেয়ের হাতে বা গলায় বেঁধে দিলে ইনশাআল্লাহ্ ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করবে না।

یا مجید )ইয়া মাজীদু) হে মহিমান্বিত, সম্মানিত

✓ কোন ধবল-কুষ্ঠরোগী প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের দিনে রোযা রেখে প্রতিদিন ইফতারের সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ ঐ রোগ হতে সে ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করে নিজের শরীরে ফুঁ দিলে সব লোক এবং আত্মীয়-স্বজনের নিকট প্রিয় পাত্র হবে।

یا باعث )ইয়া বা’য়িছু) হে পুনরুত্থানকারী,

✓ প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময়ে বুকের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ তার ইলেম ও হিকমত বৃদ্ধি হবে।

✓ যাদের মেধাশক্তি কম, কিছুই মনে থাকে না তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বেজোড় সংখ্যায় অসংখ্যবার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে।’

یا شهید )ইয়া শাহীদু) হে সাক্ষ্যদানকারী

✓ প্রতিদিন সকাল বেলায় নিয়মিতভাবে অবাধ্য স্ত্রী-পুত্রের কপালের চুল ধরে আকাশের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করে। অথবা ১১১১ বার পাঠ করে তাদের শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা বাধ্যগত হয়ে থাকবে।

یا حق )ইয়া হাক্কু) হে সত্য স্বরূপ

✓ যে কোন প্রকার বিপদ আপদ দেখা দিলে এক টুকরা কাগজের চার কোণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে উক্ত কাগজের টুকরাটি শেষ রাত্রে হাতের তালুতে রেখে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়ায়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব দাঁড়ায়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ্ সব বিপদাপদ দূর হয়ে যাবে।

یا وکیل )ইয়া ওয়াকীলু) হে দায়িত্বশীল কার্যকারী

✓ কোনরূপ ঝড়-তুফান দেখা দিলে উল্লিখিত পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড় তুফানের ক্ষতি হতে মুক্ত থাকবে।

✓ প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৯৭ – বার পাঠ করলে সব প্রকার মনের বাসনা পূর্ণ হয়।

یا قوی )ইয়া ক্বাওয়ীয়্যু) হে শক্তিশালী ও অপরাজেয়

✓ কোন ব্যক্তির কোন শত্রুর ভয় হলে ১০১১টি আটার গুলি তৈরি করে প্রত্যেকটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে ফুঁ দিয়ে ঐ আটার গুলিসমূহ পাখিকে খাওয়ায়ে দিবে,

এবং মনে মনে শত্রুকে দমনের নিয়্যত করবে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু দমন হয়ে যাবে। আর সর্বদা এই নামের যিকির করলে শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পাবে এবং আলস্যতা দূর হবে।

یا متین )ইয়া মাতীনু) হে দৃঢ়, অটল

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামের এক ফজীলত উল্লিখিত ইয়াক্বাওয়ীয়্যু নামের অনুরূপ।

✓ কোন স্ত্রীলোকের বুকের দুধ কমে গেলে অথবা কোন শিশু দুধ পান না করলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে পানি দ্বারা ধৌত করে স্ত্রী লোককে পান করালে এবং তার বুকের দুধগুলো একটু পানি দ্বারা ধুয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং কোন অসৎ স্বভাবের লোক এ পবিত্র নামের যিকির করলে তার মনের অসৎ স্বভাব দূর হবে।

یا ولی )ইয়া ওয়ালিয়্যু) হে পরম বন্ধু বা সাহায্যকারী

✓ কোনরূপ কঠিন বিপদের সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে ১০১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার বিপদ হতে সে ব্যক্তি রক্ষা পাবে।

✓ দুশ্চরিত্রবান কোন লোক পাক-পবিত্র হয়ে প্রথমে ও শেষে কয়েকবার দুরূদ শরীফ পাঠ করে অসংখ্যবার এই নামের যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ তার সে স্বভাব দূর হবে।

یا حمید )ইয়া হামীদু) হে প্রশংসিত

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৯৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অসৎ স্বভাব দূর হয়ে সে ব্যক্তি সৎ ও চরিত্রবান হবে।

✓ নিয়মিতভাবে এ নামের আমলকারী ব্যক্তিকে সব লোক ভালবাসবে এবং তার দেহ মনের যাবতীয় রোগ দূর হয়ে যায়।

یا محصى )ইয়া মুহছিয়্যু) হে সর্বত্র বিরাজমান, শুমারকারী

✓ মহান আল্লাহ্ ‘ইবাদতে কোন প্রকার অলসতা দেখা দিলে রাত্রে শোয়ার সময় বুকের উপর হাত রেখে এ পনিত্র গুণবাচক নামটি ৭বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার অলসতা দূর হয়ে যাবে।

✓ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার পাঠ করলে কিয়ামতের দিন ‘আযাব’ হতে মুক্তিলাভ করবে এবং যাবতীয় হিসাব নিকাশ সহজ হবে।

یا مبدی )ইয়া মুবদীয়্যু) হে আদি স্রষ্টা

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোকের পেটের উপর তার স্বামী ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ১৯ বার করে একাধারে ২১ দিন পর্যন্ত লিখে দিলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভ নিরাপদে থাকবে এবং যথা সময়ে সন্তান প্রসব করবে।

✓ প্রথমে ১০০ বার দুরূদ শরীফ এরপর ১১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে পুনরায় ১০০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে নতুন কোন কাজ আরম্ভ করলে ইনশাআল্লাহ্ সে কাজ সহজসাধ্য হয়ে যায়।

یا معید )ইয়া মু’য়ীদু) হে স্থিতিদানকারী

✓ কোন কথা ভুলে গেলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মনযোগের সাথে কয়েকবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ ভুলে যাওয়া কথা স্মরণ হবে।

✓ কোন লোক হারানো অথবা পালায়ে গেলে ২১ রাত্রে শোয়ার পূর্বে ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে প্রতি কোণে ৭১ বার করে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে এবং মনে মনে এরূপ বলিবে যে, হে প্রত্যাবর্তনকারী আল্লাহ্!

অমুকের পুত্র অমুককে ফিরায়ে দাও। এইরূপ আমলের ফলে ইনশাআল্লাহ্ ২১ দিনের মাঝেই সেই লোকের সন্ধান পাবে কিংবা সে ফিরে আসবে।

✓ যাদের পারিবারিক আচার-ব্যবহার খারাপ হয়ে গিয়াছে, আধুনিকতার প্রকোপে রোযা-নামায বাদ হয়ে যাচ্ছে, সে পরিবারের একজন পরহেজগার ও নামাযী ব্যক্তি প্রতিশ্বাসে একবার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পুনরায় সকলে ইসলামী ভাবধারায় ফিরে আসবে।

یا محی )ইয়া মুহয়ী) হে জীবনদানকারী

✓ কোন লোকের মনে আযাবের ভয় হলে ৭ দিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে শরীরে ফুঁ দিবে। ইনশাআল্লাহ্ মন নিজের বশে এসে মহান আল্লাহর পথে পরিচালিত হবে।

✓ কোন লোকের জেল হবার ভয় হলে কিংবা দূরে কোথাও চলে যাবার ভয় হলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ্ এইরূপ আমলের ফলে সে আশঙ্কা দূর হবে।

یا باقی )ইয়া বাক্বীয়্যু) হে অনন্ত

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়।

✓ মাগরিবের নামাযের পর পশ্চিমাকাশের লাল রং যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটির যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও অর্থশূন্য হবে না।

یا وارث )ইয়া ওয়ারিছু) হে স্বত্বাধিকারী

✓ মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় ভয় ও দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

✓ কারও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে ফেললে সে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তার সম্পত্তি পুনরায় ফিরে পাবে।

یا رشید )ইয়া রাশীদু) হে সৎপথ প্রদর্শক

✓ মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করলে পাঠকের সব ইবাদত-বন্দেগী ও আমলসমূহ ইনশাআল্লাহ্ কবুল হবে।

✓ বেনামাযী ছেলে-মেয়েরা দৈনিক যতবারই মা-বাবার চোখের দিকে তাকাবে ততবারই মা-বাবা ছেলে-মেয়েদের চোখের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবেন। এর ফযীলতে ইনশাআল্লাহ্ তারা নামাযী হয়ে উঠবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তাওবার নিয়্যতে ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে পুনরায় দুরূদ শরীফ পাঠ করে দু’আ মোনাজাত করলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তির মনের যাবতীয় কু-ভাবনা দূর হয়ে নেক কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মিবে।

یا صبور )ইয়া ছাবুরু) হে ধৈর্যশীল

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সময় ১১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং ধৈর্য্য শক্তি বাড়ে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ খুব তাড়াতাড়ি বিনয়ী, সংযমী, সদালাপী, মধুরভাষী ও ধনবান হয়ে উঠবে।

یا صادق )ইয়া ছাদিক্কু) হে সত্যবাদী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ২৬৬ বার পাঠ করলে ৭ ইনশাআল্লাহ্ ঈমানী শক্তি দৃঢ় হবে এবং মনের দুর্বলতা দূর হয়ে সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

✓ ধূর্ত-মুনাফিক লোকদের চক্রান্তে পড়ে যেসব লোক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে- ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার চক্রান্তের বেড়াজাল হতে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।

یا ستار )ইয়া সাত্তারু) হে দোষ গোপনকারী

✓ এ পবিত্র নামটি দৈনিক ১১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মহান আল্লাহ্ তা’আলা মানুষের কাছে গোপন রাখেন এবং পাঠকের মান-ইজ্জত সর্বদা বজায় থাকবে।

یا ممیت )ইয়া মুমীতু) হে মৃত্যুদানকারী

✓ কারও মনের মধ্যে কোনরূপ ভয় দেখা দিলে একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত কাঁধের উপর হাত রেখে ৭ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সব প্রকার ভয়-ভীতি দূর হয়।

✓ যে বিবাহিত পুরুষ নিজের স্ত্রীকে ব্যতীত অসৎ উদ্দেশ্যে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় ঘরের স্ত্রীকে দেখিতে পারে না। সে বিবাহিতা স্ত্রী প্রতি শুক্রবার দিন ফজরের নামাযের পর সে অযূতেই নিজের হাতে রুটি তৈরি করে,

একটি রুটি হাতে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে নজর রেখে রুটির উপর ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী ঘুরাতে ঘুরাতে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করে ফুঁ দিবে এবং স্বামীর চরিত্র সংশোধনের জন্য অনুনয় বিনয়ের সহিত মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে দু’আ বা মুনাজাত করবে।

এরপর ঐ রুটি দ্বারা স্বামীকে নাস্তা খেতে দিবে এবং এভাবে তিনদিন পর্যন্ত করার পর ইনশাআল্লাহ স্বামীর কু-স্বভাব দূর হবে। উল্লেখ্য যে, প্রথম সপ্তাহে না হলে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে।

یا حی )ইয়া হাইয়্যু) হে অমর, চির জীবন্ত

✓ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৪১ বার পাঠকারী ব্যক্তি সকল প্রকার রোগ-শোক হতে নিরাপদে থাকবে এবং ৪৯ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি কোন রোগীকে পান করালে ইনশাআল্লাহ্ সে রোগী সুস্থতা লাভ করবে।

✓ ফিরিস্তাগণ সর্বদা এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করার ফলে তাদের কোনরূপ আহার ও নিদ্রার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করলে অশেষ বরকত লাভ হয়।

یا قیوم )ইয়া ক্বাইয়্যুমু) হে চিরস্থায়ী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৮৭ বার করে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে অতি নিদ্রা দূর হয় এবং সুন্দরভাবে সুনিদ্রা হয়।

✓ যখন কোন লোক চা, দুধ, শরবত পান করতে উদ্যত হয় এখনও চুমুক দেয়নি ঠিক এ মূহুর্তে তার অগোচরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩ বার পাঠ করে ফুঁ দিলে পানকারী ব্যক্তি তাকে কখনও ভুলতে পারবে না। উল্লেখ্য যে, অবৈধ প্রণয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে করলে পাপ হবে। নিজের স্ত্রী, পুত্রদের ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।

یا واجد )ইয়া ওয়াজিদু) হে সৃষ্টিকারী

✓ খাবার খাওয়ার সময় প্রত্যেক লোকমা গ্রহণ করা কালে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনোবল বৃদ্ধি হয়।

✓ বিয়ের পর নববধুকে স্বামীর বাড়িতে বিদায় দেয়ার সময় মেয়ের নিকট আত্মীয়ের মধ্যে কোন লোক মেয়ের শাড়ীর আঁচলের এককোণ ধরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে গিরা দিয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার আছর হতে মুক্ত থাকবে এবং শ্বশুর বাড়ির সকলের নিকট আদরণীয় হবে।

یا ماجد )ইয়া মাজিদু) হে গৌরবময়

✓ আল্লাহ্ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অধিক পরিমাণে পাঠ করলে ঈমানের নূর বৃদ্ধি পাবে এবং বিধর্মীদের উপর ইনশাআল্লাহ্ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।

یا واحد )ইয়া ওয়াহিদু) হে অদ্বিতীয়

✓ একাকী পথ চলার সময়ে কোনরূপ ভয় হলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যকবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের ভয় দূর হয়ে যায়।

✓ দুনিয়ার প্রতি একান্ত আকৃষ্ট ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করলে পাঠকারীর মন হতে ইনশাআল্লাহ্ দুনিয়ার মায়া দূর হয়ে যাবে এবং পরকালের কল্যাণ লাভের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মাবে।

یا احد )ইয়া আহাদু) হে একক

✓ একাকী অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সব প্রকার ভয় দূর হয়ে যাবে।

✓ পবিত্র হাসীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে পাঠকের সঙ্গীয় ফিরিস্তাগণও পাঠকের সাথে সাথে পাঠ করতে থাকে এবং ঐ ফিরিস্তাগণের পাঠের ছাওয়াবও এ ব্যক্তির আমল নামায় লিখা হয়।

✓ বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে অযূ করে পাক পবিত্র হয়ে, প্রথমে ১১বার ইস্তিগফার ও ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে ১১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে। এবং পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ্ এরূপ আমলের ফলে ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই তার সব গুনাহ্ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। (হিঃ হাসীন)

یا صمد )ইয়া ছামাদু) হে স্বয়ং সম্পূর্ণ

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সত্যবাদী হওয়া যায় এবং শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে পাক পবিত্র অবস্থায় ১০১১ বার পাঠ করলে সর্বদা ক্ষুধার কষ্ট হতে মুক্ত থাকা যায়।

✓ কাউকে টাকা-পয়সা হাওলাত দেয়ার সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে সে টাকা-পয়সার উপর ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি সহজে টাকা পরিশোধ করবে।

✓ যাদের কেবলমাত্র কন্যা সন্তানই জন্ম হয়ে থাকে, কিন্তু তাদের পুত্র সন্তান লাভ করার একান্ত ইচ্ছা। এই ধরনের পুরুষ ও মহিলারা পৃথক পৃথক জায়নামাযে নামায আদায় করে এক জায়নামাযে এসে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তাদের পুত্র সন্তান লাভ হবে।

یا قادر )ইয়া ক্বাদিরু) হে সর্বশক্তিমান

✓ শত্রু দমনের জন্য এই পবিত্র নামটি অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়ম হল যে, অযু করতে গিয়ে সমস্ত অঙ্গসমূহ ধৌত করার সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুরা দমন হয়ে যাবে।

✓ অত্যন্ত পাক-পবিত্রতার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায আদায় করে ১১১ বার পাঠ করলে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং সব মনের আশা পূর্ণ হবে।

یا مقتدر )ইয়া মুকুতাদিরু) হে শক্তির আধার

✓ সকাল বেলায় ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে চক্ষু বন্ধ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করলে কার্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের মনের সব প্রকার উদ্দেশ্য সফলতা লাভের নিমিত্তে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৩৭৫ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে যেকোন সৎ উদ্দেশ্য ইনশাআল্লাহ্ সফল হবে।

✓ শত্রু ও বদমেজাজী লোকদের চোখে চোখে তাকিয়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তাদের আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকা যায়।

✓ রুক্ষ্ম স্বভাবের স্বামী ও মনিব এবং হাকীমের চেহারার দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তারা সদয় হয়ে উঠবে।

یا مقدم )ইয়া মুক্বাদ্দিমু) হে অগ্রসরকারী

✓ কোন যুদ্ধ কিংবা কোনরূপ প্রতিযোগিতায় যাবার সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১৯ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ জয়যুক্ত হওয়া যায়।

✓ কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি কয়েক বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সফলতা অর্জন হয়।

یا موخر )ইয়া মুয়াখিরু) হে পরিবর্তনকারী

✓ প্রতিদিন এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৮৭৮ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সর্ব প্রকার অসৎ কাজ হতে বিরত থাকা যায়।

✓ দুশমন ও শত্রুকে দমন করার জন্য শনি-মঙ্গলবারে সূর্যাস্তের সময় তেমুখা রাস্তা হতে একটুকরা চাড়া এনে অবিবাহিত খুব নামাযী ব্যক্তির দ্বারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে ঐ রাত্রেই দুশমন ও শত্রুর বাড়িতে মাটির নীচে পুঁতে দিলে ইনশাআল্লাহ তার শত্রুতা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

یا اول )ইয়া আউয়্যালু) হে আদি ও সর্বপ্রথম

✓ প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৭৮ বার অথবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন প্রবাসী লোক পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সহসা তার বাড়িতে ফেরার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে।

یا آخر )ইয়া আখিরু) হে অনন্ত, সর্বশেষ

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকারীর অন্তরে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন চিন্তা থাকবে না এবং পরকালে মুক্তিলাভের পথ প্রশস্ত হবে।

✓ কোন কাজ বারংবার চেষ্টা করার পরও সমাধা করতে না পারিলে প্রতিদিন ভোরে ছুবহে ছাদিকের সময় খোলা আকাশের নীচে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সহজেই সে কাজটি উদ্ধার করা যাবে।

یا ظاهر )ইয়া যাহিরু) হে প্রকাশ্য

✓ প্রতিদিন ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করলে মনের মধ্যে ঈমানের নূর বাড়তে থাকবে এবং মনের বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হবে। এ ছাড়া চোখের জ্যোতিও বৃদ্ধি পাবে।

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সূর্যোদয়কালীন সময়ে ১১১ বার পূর্ণিমার রাতে ১১১ বার ও প্রতি শুক্রবার দিন মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথম পা দিয়ে ১১১ বার হিসেবে পাঠ করার অভ্যাস করলে তার মনে ঈমানের নূর উদয় হবে এবং তার চতুর্দিকে আল্লাহ্ বিরাজমান বলে মনে হবে।

یا باطن )ইয়া বাতিনু) হে অপ্রকাশ্য

✓ প্রতিদিন ইশরাকের নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০৩৩ বার পাঠ করলে মহান আল্লাহ্ কুদরতের রহস্য এবং মানব জীবনের নিগুঢ়তত্ত্ব অবগত হবে।

✓ পূর্বাকাশে সূর্য লাল হয়ে উঠার সময় সূর্যের দিকে মুখ করে শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চারণ করবে এবং সূর্য উঠে গেলে পশ্চিমমুখী হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে,

এবং দু’আ মুনাজাত করে বলবে হে আল্লাহ্! আমার শত্রুদের মুখোশ খুলে দিন এবং আমাকে তাদের পরিচয় দিন। ইনশআল্লাহ্ এরূপ আমলের ফলে শুভ ফল পাবে।

یا متعالی )ইয়া মুতা’আলী) হে মহা উন্নত, মহান অধিপতি

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ৫৮৫ বার পাঠ করলে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।

✓ মহিলাদের হায়েজের সময় কষ্ট পেলে ঐ সময় মহিলারা অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ স্রাবের কষ্ট দূর হবে।

✓ অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব মানুষের নিকট প্রিয় পাত্র হতে সক্ষম হবে।

یا بر )ইয়া বাররু) হে মঙ্গলময়, শান্তিদাতা

✓ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা নিরাপদে থাকবে এবং নেককার হবে।

✓ এছাড়া অকালে যাদের সন্তান মারা যায় তাদের সন্তানের শরীরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে কয়েকবার পাঠ করে ফুঁ দিবে এবং আল্লাহ্ করুণার উপর সমর্পণ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তাতে অনেক উপকৃত হতে পারবে।

یا تواب )ইয়া তাউয়্যাবু) হে তাওবাহ কবুলকারী

✓ প্রতিদিন চান্তের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩৬৫ বার পাঠ করলে তাওবাহ করার সৌভাগ্য অর্জন করা যায়।

✓ এ ছাড়া কোন অত্যাচারী জালেমকে মনে মনে ধারণা করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দশবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তার অত্যাচার হতে রক্ষা পাওয়া যাবে।

یا منعم )ইয়া মুন’য়িমু) হে নি’আমত দানকারী, সম্পদ দানকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অন্ততঃ ২৩৩ বার পাঠ করলে অধিক পরিমাণে ধন-সম্পদ লাভ করা যায় এবং সুখে-শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করা যায়।

یا منتقم )ইয়া মুস্তাক্বিমু) হে প্রতিশোধ গ্রহণকারী

✓ সর্বদা অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে শত্রুদের প্রতিশোধ গ্রহণ করা যায়।

✓ কারও শত্রুতা সহ্যের বাইরে গেলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে ৬৬৬ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু বশীভূত হবে।

✓ এ ছাড়া কোন শত্রুর প্রতিশোধ গ্রহণ করার ইচ্ছা করলে শনিবার রাত্র হতে আরম্ভ করে দৈনিক ৬৬৬ বার করে পাঠ করবে আর মনে মনে শত্রুর প্রতি কাম্য শাস্তির কথা ভেবে মহান আল্লাহ্ দরবারে মুনাজাত করবে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই প্রতিশোধ গ্রহণের ফলাফল দেখতে পাবে।

یا عفو )ইয়া ‘আফুয়্যু) হে ক্ষমা প্রদর্শনকারী

✓ গুনাহগার ব্যক্তি নিরাশ হয়ে পড়লে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করলে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করে গুনাহ মাফ হবার সৌভাগ্য অর্জন হয়।

یا رؤف )ইয়া রাউফু) হে অকৃত্রিম বন্ধু

✓ ক্রোধ বা রাগ দমনের জন্য এই নামের গুণাগুণ অনেক। নিজের অথবা অন্য কারও ক্রোধ দমন করতে হলে ১০০ বার দুরূদ শরীফ ও ১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করে শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ ক্রোধ দমন হয়ে যায়।

✓ কোন স্বামী যদি স্ত্রীর অবাধ্য হয়ে থাকে তাহলে স্বামীকে খাবার পরিবেশন করার সময় স্ত্রী এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে করতে স্বামীকে পাখা করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ স্বামী তার স্ত্রীকে অত্যন্ত ভালবাসিবে। একদিনে না হলে নিয়মিতভাবে এরূপ আমল করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই শুভ ফল প্রাপ্ত হবে। 

✓ ডাক্তারের চিকিৎসায় নিরাশ ব্যক্তির শিয়রে বসে এ পবিত্র নামটি ১১১১ বার পাঠ করলে (হায়াত থাকলে) ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।

يا مالك الملك (ইয়া মালিকাল মুলকি) হে বিশ্বপতি

✓ আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক নামাযের পর ২২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ ধন-দৌলত বৃদ্ধি পায়। অবস্থা স্বচ্ছল হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজকীয় সম্মানও লাভ করা যায়।

يا ذوالجلال والاكرام (ইয়া যুলজালালি ওয়াল ইকরাম) হে মর্যাদাশালী ও মহিমাময়

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামের ফজীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে-প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত, সর্বদা অধিক পরিমাণে এ নামের যিকির করা। বুযুর্গ ব্যক্তিগণ এবং আউলিয়ায়ে কিরামগণের ধারণা যে, এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহই মহান আল্লাহ্ তা’আলার ‘ইসমে আযম’।

یا رب (ইয়া রাব্বু) হে প্রতিপালক

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক কমপক্ষে ২২৫ পাঠ করলে জীবনে কখনও খাদ্য কষ্টে পড়বে না।

✓ কোনরূপ ঝগড়া-বিবাদ দূর করতে হলে প্রতিদিন ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে অনেক শুভ ফলাফল লাভ করা যায়।

یا مقسط (ইয়া মুকুসিতু) হে ন্যায়পরায়ণ

✓ সব সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে যিকির করলে ইবাদাত-বন্দেগীতে কোন প্রকার অলসতা বা সন্দেহের সৃষ্টি হবে না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মুক্ত থাকা যায়।

✓ অত্যাচারীর অত্যাচার হতে মুক্তি লাভের নিমিত্তে শনি-মঙ্গলবার সূর্যাস্তের সময় সূর্যের দিকে নজর করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকবে এভাবে সূর্য ডুবে গেলে কারও সাথে কথা না বলে ঘরে ফিরে আসিবে ইনশাআল্লাহ সে অত্যাচারী

ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

یا جامع ইয়া জামি ‘উ) হে একত্রকারী

✓ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪৫ বার পাঠ করতে থাকলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে কখনও বিবাদ বা বিচ্ছেদ হবে না। কারও কোন কিছু হারিয়ে গেলে অধিক পরিমাণে এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে মাল ফেরৎ বা মালের সন্ধান পাওয়া যাবে।

یا غنی (ইয়া গানীয়্যু) হে সম্পদশালী

✓ আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি যে কোন রোগ-শোক এবং বিপদাপদ ও বালা-মুছীবতের সময় দৈনিক ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ এ সব কিছু হতে মুক্তিলাভ করা যায়।

✓ এই পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে পাঠ করলে অন্তরে নূর পয়দা হয়। অভাব-অনটন দূর হয় এবং মনের সব প্রকার আশা পূর্ণ হয়। 

یا مغنی )ইয়া মুগনীয়্যু) হে সম্পদ দানকারী ও অভাব মোচনকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ১১৩১ বার পাঠ করলে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং ১০১১ বার পাঠ করলে দারিদ্রতা দূর হয়।

✓ ‘বাকিয়াতুছালেহাত’ নামক গ্রন্থে এরূপ বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রে পাঠ আরম্ভ করার শুরুতে ও শেষে ১১ বার করে দুরূদ শরীফ পাঠ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৬ বার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের কোনরূপ অভাব-অনটন থাকবে না এবং পাঠকারী ব্যক্তি সব ঋণের বোঝা পরিশোধ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।

✓ স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ পূবে পবিত্র গুণবাচক নামটি মনে মনে ২১১ বার পাঠ করলে স্ত্রীর অকৃত্রিম ভালবাসা লাভ করতে সক্ষম হবে।

یا معطی )ইয়া মু’অত্মীয়্যু) হে দাতা

✓ যে ব্যক্তি কোন আশা করে তা পূরণ হয় না এরূপ ব্যক্তি নিয়মিতভাবে সকালে বিকালে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ তার সব আশা পূরণ হবে এবং পাঠক ব্যক্তি কখনও অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

یا مانع (ইয়া মানি’উ) হে নিষেধকারী, নিবারক

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বেলায় ১৯৩ বার পাঠ করলে সহজেই মনের নেক বাসনা পূর্ণ হবে।

✓ প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার, ইস্তিগফার ১১ বার, দুরূদ শরীফ ১১ বার, اعوذ بالله السميع العليم من الشيطن الرجيم সামী’য়িল ‘আলীমি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম) ৭০ বার এবং ১১১১ বার حسبى الله )হাসবিআল্লাহু) পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ কোন সৃষ্ট জীবই তার কোন ক্ষতি এমনকি শয়তানও তাকে ধোকা দিতে পারে না।

یا ضار )ইয়া দ্বা) হে বিপদ দানকারী

✓ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাত্রে একাগ্রতার সাথে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সব প্রকার বিপদ হতে নিরাপদে থাকা যায়।

یا نافع )ইয়া নাফি’উ) হে সুফলদানকারী

✓ নৌকা, জাহাজ তথা নদীপথে ভ্রমণের সময়ে ঝড়-তুফান দেখা দিলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চস্বরে পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড়-তুফানের ক্ষতি হতে নিরাপদে থাকবে।

یا نور )ইয়া নূরু) হে আলোক (জ্যোতির্ময়(

✓ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৫১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং অন্তকরণ নূরাণী হয়ে থাকে।

یا هادی )ইয়া হাদীয়্যু) হে সৎপথ প্রদর্শক

✓ প্রতিদিন নিয়মিভাবে এই নাম পাঠ করলে ইলমে লাদুন্নীতে মন ভরে উঠে এবং গুনাহসমূহ মোচন হয়ে যায়।

✓ প্রত্যহ তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ অলী আল্লাহ্ তা’আলা মর্যাদা লাভ করা যায়।

یا بدیع )ইয়া বাদী ‘উ) হে বিনা অনুকরণে সৃষ্টিকর্তা

✓ কোনরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এবং দুঃখ-কষ্ট নিবারণের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় একাগ্রতার সাথে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সুফল লাভ করবে।

✓ সন্তানহীন ব্যক্তিরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে দিনে রোযা রেখে রাত্রে নামাযের পর নিয়মিতভাবে ১১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক

নামের যিকির করলে ইনশাআল্লাহ সন্তান-সন্ততি লাভ হবে। 

✓ বেকার যুবকরা প্রত্যহ নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ তাদের উপার্জনের পথ সুগম হবে।

দোয়া-দুরূদ

দোয়া-১

اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلامُ وَمِنْكَ السَّلامُ وَإِلَيْكَ يَرْجِعُ السَّلامُ – حَيْنَا

رَبَّنَا بِالسَّلَامِ – وَادْخِلْنَا الْجَنَّةَ دَارَكَ دَارَ السَّلامُ – تَبَارَكْتَ رَبَّنَا

وَتَعَلَيْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامُ .

অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি শান্তিময় আর আপনার কাছেই শান্তিসমূহ এবং আপনার দিকেই ফিরে যায় শান্তি। হে আমাদের প্রভু, আমাদের শান্তির সাথে বাঁচিয়ে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনার শান্তিময় স্থান জান্নাতে প্রবেশ করান। হে আমাদের প্রভু, হে মহামান্য, হে মহাসম্মানিত ও সর্বোচ্চ সম্মানী।

দোয়া-২

عَذَابًا النَّارُ . رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً حَسَنَةً وَفِي وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا

দোয়া-৩

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ

الْخَسِرِينَ .

অনুবাদ: হে আমাদের প্রভু, আমাদের নিজেদের উপরে অত্যাচার করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং অনুগ্রহ না করেন তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।

দোয়া-৪

رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا .

অনুবাদ: হে আমার প্রভু, আপনি আমার পিতা-মাতার উপর সেভাবে অনুগ্রহ করুন যেভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করেছেন।

দোয়া-৫

رَبَّنَا تَقَبَّلُ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ وَتُبُ وَتُبْ عَلَيْنَا يَا مَولُنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوبُ الرَّحِيمُ .

অনুবাদ : হে আমাদের প্রভু, আমাদের আপনি কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সব শুনেন, সব জানেন এবং আমাদের ক্ষমা করুন, হে আমাদের অভিভাবক। নিশ্চয় আপনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

দোয়া-৬

وَسَلَّمَ عَلَى الْمُرْسَلِينَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ سبحان ربك رب وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ

অনুবাদ: তারা যা বলে, আপনার সম্মানিত প্রভু (তা থেকে) পবিত্র এবং শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলগণের উপরে এবং সকল প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে।।

দোয়া মাসুরা-৭

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلُمَا كَثِيرًا – وَلَا يُغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا

أَنْتَ – فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةٌ مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي – إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ

ل دو الرَّحِيمُ .

অনুবাদঃ হে আল্লাহ, নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপরে খুব বেশি অবিচার করেছি এবং আপনি ছাড়া আমার অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। সুতরাং আপনার ক্ষমা থেকে আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয় আপনি অতিশয় ক্ষমাশীল করুণাময়।

দোয়া কুনূত-৮

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ . وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ . وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرُ . وَنَشْكُرُكَ وَلَا تَكْفُرُكَ – وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ رود يَفْجُرُكَ – اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوا رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقُ .

অনুবাদ : হে আল্লাহ্! নিশ্চয় আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই এবং আপনার কাজে ক্ষমা প্রার্থনা করি, এবং আমরা আপনার উপর বিশ্বাস রাখি ও আপনার উপরই ভরসা করি এবং আপনার গুণাবলীর প্রশংসা করি।

আর আমরা আপনাকে শুকরিয়া/ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আমরা আপনাকে অবিশ্বাস করি না এবং যে আপনার অবাধ্য হয় আমরা তাকে দূরে রাখি ও পরিত্যাগ করি।

হে আল্লাহ আমরা একমাত্র আপনারই দাসত্ব করি এবং আপনারই জন্যে আমরা নামায পড়ি ও সিজদা করি। আমরা আপনার দিকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দ্রুত ধাবিত হই এবং আমরা আপনার অনুগ্রহ কামনা করি আর আপনার শাস্তিকে ভয় পাই, নিশ্চয় কাফেরদের জন্যে আপনার শাস্তি অবধারিত।

দুরূদ

ورت

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ – كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ – اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ : كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ ابْرَاهِيمَ . إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ .

অনুবাদঃ হে আল্লাহ, আপনি অনুগ্রহ করুন মুহাম্মাদ (সা.)-এর উপরে এবং মুহাম্মাদ (সা.) এর বংশধর/ অনুসারীদের উপরে। যেমনভাবে আপনি অনুগ্রহ করেছেন ইব্রাহীম (আ.)-এর উপরে এবং ইব্রাহীম (আ.)-এর বংশধর/ অনুসারীদের উপরে। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত।

হে আল্লাহ, আপনি বরকত দিন। মুহাম্মাদ (সা.)-এর উপরে এবং মুহাম্মাদ (সা.) এর বংশধর/ অনুসারীদের উপরে। যেমনভাবে আপনি বরকত দিয়েছেন ইব্রাহীম (আ.)-এর উপরে এবং ইব্রাহীম (আ.)-এর বংশধর/ অনুসারীদের উপরে। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত।

আয়াতুল কুরসী

اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ – لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ . لَهُ مَا دوه فِي السَّمَواتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ – مَنْ ذَالَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ . يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَحْبِطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيَّهُ السَّمَواتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَؤُدُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ

الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ .

অনুবাদ : আল্লাহ তিনি, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী। তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না, আর নিদ্রা তাঁকে পেয়ে বসে না। যা কিছু আছে ঊর্ধ্বলোকে, আর যা কিছু আছে নিম্নালোকে, সব তাঁরই।

কে এমন আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে। যা কিছু তারা প্রকাশ করে এবং যা কিছু গোপন রাখে, তিনি সবই জানেন।

আর তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে কেউ কিছু লাভ করতে পারে না। গোটা আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী তাঁর ক্ষমতা বিস্তৃত এবং এদের সংরক্ষণে তিনি ক্লান্ত হন না এবং তিনি বড় মহান ও প্রতাপশালী।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

هُوَ اللهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ – عَلِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ – هُوَ اللهُ الَّذِي لاَ اِلهَ اِلاَّ هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلم

الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ – سُبُحْنَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ – هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فِي السَّمَوتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ . يُسَبِّحُ لَهُ مَا ۱۱۵

অনুবাদ : তিনি আল্লাহ, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, (তিনি) জানেন গোপন ও প্রকাশ্য (বিষয়সমূহ); তিনি অতিশয় দয়াময় মেহেরবান, তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। (তিনি) একমাত্র মালিক, অতীব পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, সংরক্ষক, পরাক্রমশালী প্রবল, গর্বের অধিকারী।

তারা যে শিরক করে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র। তিনি আল্লাহ (যিনি) স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী, তাঁর জন্যে রয়েছে উত্তম নামসমূহ। আকাশ মণ্ডল ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে সবই তাঁর তাসবীহ করছে এবং তিনি হলেন মহা পরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়।

দরূদ পাঠের ফযীলত

পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে-“যে মজলিসের মধ্যে লোক একত্রিত হল অথচ উক্ত মজলিসে না আল্লাহ্পাকের যিকির করল, আর না নবী কারীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ ও সালাম পাঠাল, তবে তাদের এ মজলিস কিয়ামতের দিন তাদের জন্য (যিকির ও দরূদ না পড়ার কারণে) আক্ষেপ ও অনুতাপের কারণ হবে। যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

দরূদে ইব্রাহীম

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া’আলা আলি মুহাম্মাদিন। কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া’আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদুন। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া’আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া’আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদুন।

অর্থ: হায় আল্লাহ্! আপনি আমাদের সরদার মুহাম্মদ (স) ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আ) ও ইব্রাহীম (আ) এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ্!

আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের সরদার মুহাম্মদ (স) ও তাঁর পরিজনের প্রতি- যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। (বুখারী। শরীফ)

ফযীলত : হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, হযরত রাসূলে কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেন-“জুম্মার দিন আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরূদ ও সালাম পাঠাও। কেননা জুম্মার দিন তোমাদের দরূদ ও সালাম আমার নিকট বিশেষভাবে পেশ করা হয়।”

• অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন- কিয়ামাতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরূদ পাঠকারী হবে।

• অন্য এক হাদীসে নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, প্রকৃত কৃপণ ঐ ব্যক্তি যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হল অথচ সে আমার ওপর দরূদ পাঠালো না। নবী (সাঃ) আরও ইরশাদ করেন-ঐ ব্যক্তি অপমানিত ও অপদস্ত হউক যার সামনে আমার আলোচনা করা হল, অথচ সে আমার ওপর দরূদ পাঠ করল না।

• অন্য এক হাদীসে নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন-যার সম্মুখে আমার আলোচনা হবে তার উচিত সে যেন আমার উপর দরূদ পাঠায়। কারণ যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠাবে তার উপর মহান আল্লাহ্ পাক দশটি রহমত নাযিল করবেন।”

• শায়খ আবু সুলায়মান দারানী (রহঃ) বলেন, যখন তোমরা মহান আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করবে তখন দোয়ার আগে নবী (সাঃ)-এর ওপর দরূদ ও সালাম পাঠাও।

এর পর যত ইচ্ছা দোয়া এবং পরিশেষে দরূদ পাঠাও। কারণ মহান প্রভু নিজ ওয়াদা অনুযায়ী নিজ অনুগ্রহে এ দরূদ শরীফ অবশ্যই কবুল করবেন এবং আল্লাহ পাকের দয়া ও করুণার পক্ষে এটি বড়ই অসম্ভব যে, তিনি এর মাঝখানের দোয়াকে কবুল করবেন না।

• হযরত আলী (রাঃ) বলেন- “প্রত্যেক দোয়া আল্লাহ পাকের দরবারে পৌঁছতে ঐ সময় পর্যন্ত দেরি হয়, যতক্ষণ দোয়াকারী নবী কারীম (সাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ না করে।”

দরূদে তুনাজ্জীনার

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ صَلوةٌ تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيعِ الْأَهْوَالِ وَالْأَفَاتِ وَتَقْضِي لَنَا بِهَا جَمِيعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيعِ السَّيِّئَاتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ أَعْلَى الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا أَقْصَى الْغَايَاتِ – مِنْ جَمِيعِ الْخَيْرَاتِ – فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرُ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ

الرَّاحِمِينَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া’আলা আলি মুহাম্মাদিন ছালাতান তুনাজ্জীনা বিহা মিন জামী’য়িল আহওয়ালি ওয়াল আফাতি ওয়াতাকুদ্বীলানা বিহা জামী’য়িল হাজাতে ওয়াতুত্বাহিরুনা বিহা মিন জামী’য়িচ্ছাইয়্যিয়াত, ওয়া তারফাউনা বিহা ‘ইনদাকা আ’লাদ্দারাজাতি, ওয়াতুবাল্লিগুনা বিহা আক্বছাল গায়াতি। মিন জামী ‘য়িল খায়রাতি ফিলহায়াতি ওয়া বা’দাল মামাতি

ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীরুন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মহান নেতা হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ও তাঁর বংশধরগণের উপর নানাভাবে রহমত নাযিল কর এবং এ দরূদের উসিলায় আমাদেরকে সকল বিপদাপদ হতে মুক্তি। দাও এবং আমাদের সকল ইচ্ছা পূর্ণ কর,

সকল পাপ কাজ হতে আমাদেরকে পবিত্র রাখ এবং আমাদেরকে তোমার কাছে সম্মানে উচ্চাসনে স্থান দাও এবং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে সকল প্রকার মঙ্গলের শেষ সীমায় পৌঁছে দাও, অবশ্যই তুমি সর্বশক্তিমান এবং সর্বোচ্চ দয়াবান, তোমার নিজ দয়ায় আমাদের বাসনাসমূহ পূর্ণ কর।

ফযীলতঃ যে কোন কঠিন বিপদ-আপদ হতে মুক্তির জন্য এ দরূদ শরীফ পাঠ করা হয় বলে একে “দরূদে তুনাজ্জীনা” বা মুক্তির দরূদ বলে। এটি মুনাজাত এবং দরূদ উভয় প্রকারে পাঠ করা যায়। এটি কঠিন মামলা-মোকদ্দমা হতে মুক্তির জন্যও পাঠ করলে অসংখ্য ফল লাভ করা যায়। এ দরূদ পাঠ করলে চাক্রি হারাবার ভয় থাকে না।

২৪ ঘণ্টার আমল ও দোয়া দুরূদ বই

সমাপ্ত

নেক আমল বই

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top