নেক আমল বই #2 আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র নামসমূহের আমল

আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র নামসমূহের আমল

আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র নামসমূহের আমল
নেক আমল অর্থ উত্তম আমল। ভালো কাজ। দুনিয়াতে যে ভালো কাজ বা নেক আমল করবে, পরকালে এমন মুমিনরা অনন্তকালের জন্য জান্নাতে বসবাস করবে। তার আগে হাশরের মাঠের পরীক্ষায় জান্নাতের জন্য উত্তীর্ণ হতে হবে

আল্লাহ্ তা'আলার পবিত্র নামসমূহের আমল

(ইয়া আল্লাহু)-হে আল্লাহ তা’আলা !
আল্লাহ্ শব্দটি এই মহা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা মহান আল্লাহর নির্দিষ্ট ইসমে জাত ৷ এই পবিত্র নামটি বচন ও লিঙ্গভেদ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত ৷ বিশেষ কোন ধাতু হইতে এই নামটি উৎপন্ন হয়নি এবং দুনিয়ার প্রচলিত কোন ভাষাতে এই নামের অনুবাদ হয় না। কেননা আল্লাহ্ বলিতে একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলাকেই বুঝায়। এই কারণেই এটি ইসমে জাত বলে পরিচিত ।

পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন-“সকল প্রকার যিকির হইতে আল্লাহ্ নামের যিকিরই সর্বোত্তম।”
অপর এক হাদীসে উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যক্তি রাত্রি বেলায় মহান আল্লাহ্র নামসমূহের যিকির করে তাহলে তাহার অন্তরে নূর পয়দা হইবে এবং সেব্যক্তির মৃত্যুর পর তাহার কবরে নূর চমকাতে থাকবে ।

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) স্বীয় ‘আমলের উপকারিতা হইতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ‘ইয়া আল্লাহু’ এই পবিত্র ইসমে জাতটি * ৪,৩৫৭ বার করিয়া চল্লিশ দিন পর্যন্ত পাঠ করিবে তাহলে করুণাময় সৃষ্টিকর্তা ও দয়ালু আল্লাহ্ তা’আলা তাহার মনের সব বাসনা পূর্ণ করে থাকেন। কিন্তু শর্ত হল যে, “আমলের দ্বারা ফল লাভ হলে সদা সর্বদা ফকির মিসকিনদেরকে দান-ছদকাহ্ করিতে হয় নতুবা এ ‘আমলের ফযীলত ও মর্যাদা দীর্ঘস্থায়ী থাকে না ।

শুক্রবার (জুমু’আর) দিন জুমু’আর নামাযের পূর্বে নির্জন স্থানে বসে ২১১ বার এই পবিত্র ইসমে যাত আল্লাহ্ শব্দের যিকির করিলে মনের সকল বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হয়।

(ইয়া রাহমানু)-হে অনুগ্রহকারী ও করুণাময়!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের প্রতি সকলেই সহানুভূতিশীল থাকবে।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ১১১ বার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ হইতে মুক্ত থাকতে পারবে এবং সকল অলসতা ও ভুল ভ্রান্তি হইতে মুক্ত থাকবে।

(ইয়া রাহীমু)-হে দয়াময় ও পরম দয়ালু!
মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ বা ঘটনা ঘটার ভয় হলে অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে যাবতীয় বিপদাপদ হইতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তি লাভ করিবে।

(ইয়া মালেকু)-হে মালিক প্রভু !
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ৬২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ আর্থিক অভাব-অনটন দূর হবে।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে দুপুর বেলায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সংকীর্ণতা, মলিনতা ও সকল অভাব দূর হয়ে যায় ।

(ইয়া কুদ্দুসু)-হে পবিত্রতম!
ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের আগে নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলা তার বিগত জীবনের সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেন । শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের পর এক টুকরা রুটি কিংবা ভাতের উপর ১৮৫ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে কিংবা লিখে আহার করিলে যাবতীয় বিপদাপদ হইতে মুক্ত থাকা যায় এবং “ইবাদাত-বন্দেগীতে মন আকৃষ্ট হয়ে মনের সকল প্রকার অসৎ স্বভাবসমূহ দূরীভূত হয়।

(ইয়া সালামু)-হে শাস্তি দানকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাথার নিকট বসে হাত উঠায়ে ১৩৭ বার পাঠ করিলে অথবা রোগাক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ১৩৩ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় রোগ আরোগ্য হইবে। মনের সকল প্রকার অস্থিরতা দূর করার জন্য নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সকল প্রকার অশান্তি দূর হয়ে গিয়ে শাস্তি ফিরে আসবে ৷

(ইয়া মু’মিনু)-হে পরম বিশ্বাসী !
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ শয়তানের ধোকা হইতে মুক্তি লাভ করবে ।
দৈনিক নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৬৭ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ঈমান মজবুত হয় এবং মহান আল্লাহ্ প্রতি পূর্ণ ভরসা জন্মে।

(ইয়া মুহাইমিনু)-হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী!
গোসল করে অত্যন্ত পাক পবিত্রতাহার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায নির্জন স্থানে আদায় করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২৫ বার পাঠ করিলে সকল প্রকারের ভয়ের কারণ সমূহ দূর হয়। মনের ভেতর সাহস বৃদ্ধি হয় এবং অন্তরে মহান আল্লাহ্র নূর পয়দা হয়।

(ইয়া ‘আযীযু)-হে পরাক্রমশালী !
৪০ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে এ পবিত্র নামটি ৭৫ বার পাঠ করিলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং ইনশাআল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না ।

(ইয়া জাব্বারু)-হে অসীম ক্ষমতাশালী!
প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অত্যাচারীর হাত হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং প্রতিদিন সকালে সূর্য উদয় হইতে আরম্ভ করে সম্পূর্ণ সূর্য উদয় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত শত্রুর চেহারা স্মরণ করে এ গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে সে শত্রু তাহার কোন ক্ষতি করিতে পারবে না। এমন কি শয়তানও তাকে কুমন্ত্রণা দিতে পারবে না।

(ইয়া মুতাকাব্বিরু)-হে মহা গৌরবান্বিত !
নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৬৯৫ বার পাঠ করিলে পাঠকের মান-সম্মান ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সকল কাজ-কর্মে ইনশাআল্লাহ্ বরকত ও উন্নতি লাভ হবে।

(ইয়া খালিক্কু)-হে সৃজনকারী বা সৃষ্টিকর্তা !
শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাযের পর অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে মহান আল্লাহ্র নির্দেশে একদল ফিরিশতা নিযুক্ত করেন এবং ঐ সকল ফিরিশ্তাগণ কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর ‘আমলনামায় এ সবের ছাওয়াব লিখে রাখতে থাকবেন ।

(ইয়া বারীয়)-হে মহা মুক্তিদাতা!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার গুনাহ হইতে মুক্তি লাভ করবে এবং কবর আযাব
হইতে রক্ষা পাবে ।

(ইয়া মুছাওয়্যিরু)-হে আকৃতি গঠনকারী!
যে সকল বন্ধা নারীর সন্তান হয় না অথবা গর্ভসঞ্চার হলেও তা নষ্ট হয়ে যায় এরূপ মহিলারা একাধারে ৭ দিন রোযা রেখে প্রতিদিন ইফতারীর সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি দ্বারা ইফতার করবে এবং পানি পান করার পর পুনরায় ২১ বার উল্লিখিত নামটি পাঠ করবে এরূপ ‘আমল যথানিয়মে করতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভে সন্তান জন্মিবে এবং গর্ভ রক্ষা হবে ।

(ইয়া গাফ্ফারু)-হে অপরাধ মার্জনাকারী!
শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের পর মসজিদে বসে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে।

(ইয়া ক্কাহ্হারু)-হে মহাশাস্তিদানকারী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে দৈনিক অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে সংসারের প্রতি মোহ দূর হয়ে একমাত্র আল্লাহ্র প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস জন্মে এবং কোন শত্রু তাহার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।

(ইয়া ওয়াহ্হাবু) হে পুরস্কার দানকারী।
চাশতের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সিজদায় গিয়ে ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ অসংখ্য সম্পদের অধিকারী হবে এবং প্রভাবশালী রূপে গণ্য হবে।

(ইয়া রাযযাক্কু)-হে রিদানকারী!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফজরের নামাযের আগে (ঘরের উত্তর পশ্চিম কোণ হতে আরম্ভ করে) ১০ বার করে দাঁড়ায়ে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় অভাব অনটন দূর হবে এবং দৈনিক ফরজ নামাযের পর এ গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও উপবাস থাকবে না এবং রিক্তহস্তে হবে না।

(ইয়া ফাত্তাহু)-হে উন্মুক্তকারী!
দৈনিক এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর দু’হাত বুকের উপর রেখে ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল কাজ কর্ম সহজ সাধ্য হইবে এবং যাবতীয় অভাব-অনটনসমূহ দূর হয়ে ভাগ্য সুপ্রসন্নতা লাভ করবে ৷

(ইয়া ‘আলীমু)-হে মহাজ্ঞানী!
সর্বদা নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধি হইবে ও মনের কপাট খুলে যাবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে গুনাহ মাফ হইবে এবং মা’অরিফাত অর্জন হবে।

(ইয়া ক্বাবিহু)-হে আয়ত্বকারী!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি একাধারে ৪১ দিন পর্যন্ত একটুকরা রুটির উপর লিখে সে রুটির টুকরাটি খেয়ে ফেললে জীবনে কখনও ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না ।

(ইয়া বাসিতু)-হে প্রসারকারী !
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর মুনাজাতের মত হাত উঠিয়ে ২১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে হাত মুখের উপর মুছে নিবে ইনশাআল্লাহ্ এরূপ ‘আমলের ফলে অন্যের মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না ‘এবং রুজীতে বরকত হবে।

(ইয়া খাফিছু)-হে সংকোচনকারী!
১। মনের সকল আশা পূরণের উদ্দেশ্যে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করিলে মনের সকল আশা পূর্ণ হবে এবং ৭২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অপকার হতে রক্ষা পাবে এবং দৈনিক নিয়মিতভাবে এই গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় স্থান পাইবে এবং বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূর হইবে ।

(ইয়া রাফি‘উ)-হে উন্নতি দানকারী!
বিদেশে যাবার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করিয়া এরপর তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্’ বলে ডান পা দিয়ে বাহির হইলে ইনশাআল্লাহ্ নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে সক্ষম হইবে এবং পথে কোনরূপ দুর্ঘটনার ভয় থাকিবে না। এছাড়া মনের সকল প্রকার আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ হইবে।

(ইয়া মু’য়িযযু)-হে সম্মানদাতা!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দিন মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে ৪১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকলের কাছে সম্মান লাভ করিবে এবং পৃথিবীর মধ্যে প্রতাপশালী হইবে দৈনিক ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি জায়নামাযের উপর দাঁড়ায়ে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ গুপ্ত ধনের সন্ধান পাওয়া যায় ৷

(ইয়া মুযিল্লু)-হে অপমানকারী!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর সিজদায়গিয়ে ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অনিষ্ট হইতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং কোন লোক তাহার অধিকার নষ্ট করিতে পারে না। সব সময় নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৮১১ বার পাঠকারীকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্ সকল প্রকার অপমান হইতে হিফাজতে রাখিবেন।

(ইয়া সামী‘উ)-হে শ্রবণকারী!
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১১ বার ইস্তিগফার ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াতুল কুরসী পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করে ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাত নামায আদায় করে ফরজের পূর্বে পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াতুল কুরসী ও ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে স্বীয় মনোবাসনা পূর্ণ হইবার জন্য দু’আ মুনাজাত করে ফজরের দু’রাকা’আত ফরয নামায আদায় করবে এভাবে ১১ দিন আমল করবে।

ফলাফল শুভ না হলে পরবর্তী ১১ দিন যথানিয়মে আদায় করিলে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই শুভ ফলপ্রাপ্ত হবে । বৃহস্পতিবার দিন চাশতের নামাযের পর কারও সাথে কথা না বলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করিয়া মহান আল্লাহ্র নিকট যে দু’আ করা হইবে ইনশাআল্লাহ্ সে দু’আই দয়াময় আল্লাহ্ কবুল করিবেন

(ইয়া বাছীরু)-হে সর্বদ্রষ্টা!
শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের সুন্নাতের পর দু’রাকা’আত ফরজ নামাযের আগে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিয়া চোখে ফুঁ দিলে চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয় এবং সৎসাহসী ও আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য অর্জন করা যায় । প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করে দু’ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পিঠে ফুঁ দিয়ে চোখে মুছে দিলে ইনশাআল্লাহ্ চক্ষু রোগ ভাল হয়ে যাবে এবং কখনও দৃষ্টি শক্তি কমবে না ।

(ইয়া হাকামু)-হে মীমাংসাকারী !
নিয়মিতভাবে রাত্রের মধ্য অংশে উঠে অযূ করে পাক পবিত্র হয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মানসিক পবিত্রতা অর্জন
হবে।

(ইয়া আদলু)-হে ন্যায় বিচারক!
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ২১ টুকরা রুটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার লিখে আহার করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের পরিবর্তন হইবে এবং সকল লোক তার বাধ্য থাকবে ।

(ইয়া লাত্বীফু)-হে সূক্ষ্মতম !
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৩ বার পাঠ করিলে পাঠকের রুজী রোযগার বৃদ্ধি হবে এবং কোন প্রকার রোগ-ব্যাধি থাকলেও ইনশাআল্লাহ্ রোগ মুক্ত হবে।

(ইয়া খাবীরু)-হে সর্বজ্ঞানী!
সব সময় নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে পাঠকের মনের যাবতীয় খারাপ চিন্তা-ভাবনা দূর হয়। সাতদিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবেঅসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অনেক গোপন ও বাতেনী তত্ত্ব লাভ করা যায়।

(ইয়া হালীমু)- হে ধৈর্যশীল! স্থিতিশীল!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন ধনী লোক বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ১১৯ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ধনরত্ন ও নেতৃত্ব নিরাপদ থাকবে।

(ইয়া ‘আযীমু)-হে মহান উন্নত!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নমটি ১০৫১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মান-সম্মান বৃদ্ধি পাইবে এবং সকল রোগ-শোক হইতে মুক্ত থাকবে।

(ইয়া গাফুরু)-হে ক্ষমাশীল!
এই পবিত্র নামটি এক টুকরা কাগজে ৭ বার লিখে পানিতে ধৌত করে সে পানি রোগীকে খাওয়ায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ রোগের উপশম হবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৩১৭ বার পাঠ করলে গুনাহসমূহ ক্ষমাপ্রাপ্তির যোগ্যতা লাভ করা যায়।

(ইয়া শাকুরু)-হে কৃতজ্ঞতা পছন্দকারী!
কন্যাদায়ী ব্যক্তি ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিরা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ে ৭ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ২১ বার করে আকাশের দিকে মুখ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অতি শীঘ্রই শুভ ফলাফল লাভ হবে ।

(ইয়া আলীয়্যু)-হে উন্নত! মহান!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪১ বার পাঠ করলে অথবা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে অভাব অনটন দূর হইবে এবং প্রবাসে থাকলে অতি তাড়াতাড়ি স্বজনদের সাথে মিলিত হতে পারবে ।

(ইয়া কাবীরু) হে বৃহত্তম। শ্রেষ্ঠ।
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে পানিতে ভিজায়ে সে মৌত করা পানি খাদ্যদব্যের সাথে মিশায়ে অথবা পাঠ করে খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে ★ দিয়ে স্বামী রীতে যে খাদ্য আহার করলে উভয়ের মধ্যে ইনশাআল্লাহ্ গাঢ় ভালভাসা স্থাপিত হবে।

(ইয়া হাফীয়ু) হে হিফাজতকারী!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে ছোট ছেলে-মেয়ের গলায় তাবিজ রূপে ব্যবহার করলে তারা আগুনে পোড়া, পানিতে ডুবে মরা হতে ইনশাআল্লাহ্ রক্ষা পাবে এবং জ্বিন-ভূত, বাঘ, ভাল্লুকে কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না। (বহু পরীক্ষিত)

(ইয়া মুকীতু)-হে শক্তিদানকারী!
কোন রোযাদার ব্যক্তি এই নাম পাঠ করিয়া মাটিতে ফুঁ দিয়ে অনবরত সে মাটি শুকতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার মনোবল, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি হবে।

(ইয়া হাসীবু)-হে হিসাব গ্রহণকারী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রয়োজন অনুযায়ী একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের আগে এবং মাগরিবের নামাযের পর ২১ বার পাঠ করিলে হিসাব নিকাশে অথবা ভাগ বন্টনে কারও বিশ্বাস ঘাতকতা কিংবা প্রতারণার আশংকা থাকে না ।

(ইয়া জালিলু)-হে মহিমান্বিত! প্রতাপশালী ।
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিত ভাবে দৈনিক ১০৭ বার পাঠ করিলে কিংবা মেশক, জা’অফরানের কালি দ্বারা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট সম্মান লাভ করা যায়।

(ইয়া কারীমু)-হে অনুগ্রহকারী! সম্মানী!
প্রতিদিন রাত্রি বেলায় শোয়ার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩০৭ বার পাঠ করে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট আদর-যত্ন ও মান-সম্মান লাভ করা যায়। (বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী (রাঃ) সর্বদা এ ‘আমল করতেন)

(ইয়া রাকীবু)-হে তত্বাবধানকারী!
প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর অত্যন্ত পাক পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকারীর জীবন্ত অবস্থায় তাহার সন্তান-সন্ততি মারা যাবে না ।

(ইয়া মুজীবু)-হে প্রার্থনা কবুলকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত মনযোগের সাথে ৮৬ বার পাঠ করে মহান আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করিলে ইনশাআল্লাহ্ মহান আল্লাহ্ তা’আলা তাহার সে দু’আ কবুল করেন। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকিরকারীর অন্তর আল্লাহ্ তা’আলা মহাব্বতে পূর্ণ হয়ে যায় ।

(ইয়া ওয়াসি‘উ)-হে প্রশস্তকারী!
প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে পাঠকের মনের যাবতীয় খারাপ চিন্তা-ভাবনা ইনশাআল্লাহ্ দূর হইয়া যাইবে এবং পাঠকের অন্তরে আল্লাহ্ নূর সৃষ্টি হবে।

(ইয়া হাকীমু)-হে মহাজ্ঞানী !
প্রতিদিন মধ্য রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করলে জ্ঞান–বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের সকল প্রকার গুণাহসমূহ
আল্লাহ্ তা’আলা নিজে গোপন করে রাখবেন ।

(ইয়া ওয়াদ্‌দু)-হে শ্ৰেষ্ঠ বন্ধু!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা গাঢ় করার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যের উপর ১২১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ায়ে দিবে এবং কারও সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য ৭৫ বার পাঠ করিয়া কোন খাদ্য-দ্রব্যে ফুঁ দিয়ে খাওয়ালে বন্ধুত্ব গাঢ় হবে। আর এক টুকরা রেশমী কাপড়ে লিখে সঙ্গে রাখলে লোকের নিকট আদরণীয় হবে।

(ইয়া মাজীদু)-হে মহিমান্বিত, সম্মানিত !
প্রতিদিন ইফতারের সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ঐ রোগ হতে সে ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ দিলে সকল লোক এবং আত্মীয়-স্বজনের নিকট প্রিয় পাত্র হবে।

(ইয়া বা’য়িছু)-হে পুনরুত্থানকারী।
প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময়ে বুকের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিয়া ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ তার ইলেম ও হিকমত বৃদ্ধি হবে।

(ইয়া শাহীদু)-হে সাক্ষ্যদানকারী !
প্রতিদিন সকাল বেলায় নিয়মিতভাবে অবাধ্য স্ত্রী-পুত্রের কপালের চুল ধরে আকাশের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করবে। অথবা ১১১১ বার পাঠ করিয়া তাদের শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা বাধ্যগত হইয়া থাকবে।

(ইয়া হাক্ব)-হে সত্য স্বরূপ!
যে কোন প্রকার বিপদ আপদ দেখা দিলে এক টুকরা কাগজের চার কোণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে উক্ত কাগজের টুকরাটি শেষ রাত্রে হাতের তালুতে রেখে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়ায়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব দাঁড়ায়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ্ সকল বিপদাপদ দূর হইয়া যাইবে ৷

(ইয়া ওয়াকীলু)-হে দায়িত্বশীল কার্যকারী!
কোনরূপ ঝড়-তুফান দেখা দিলে উল্লিখিত পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড় তুফানের ক্ষতি হতে মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৯৭ বার পাঠ করিলে সকল প্রকার মনের বাসনা পূর্ণ হয় ৷

(ইয়া ক্বাওয়ীয়)-হে শক্তিশালী ও অপরাজেয় !
কোন ব্যক্তির কোন শত্রুর ভয় হলে ১০১১টি আটার গুলি তৈরী করিয়া প্রত্যেকটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে ঐ আটার গুলিসমূহ পাখীকে খাওয়ায়ে দিবে এবং মনে মনে শত্রুকে দমনের নিয়্যত করবে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু দমন হইয়া যাইবে। আর সর্বদা এই নামের যিকির করিলে শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পাইবে এবং আলস্যতা দূর হইবে ।

(ইয়া মাতীনু)-হে দৃঢ়, অটল!
এ পবিত্র গুণবাচক নামের এক ফজীলত উল্লিখিত ইয়াকাওয়ীয়া নামের অনুরূপ এবং কোন স্ত্রীলোকের বুকের দুধ কমে গেলে অথবা কোন শিশু দুধ পান না করিলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে পানি দ্বারা ধৌত করিয়া স্ত্রী লোককে পান করাবে এবং তার বুকের দুধগুলো একটু পানিদ্বারা ধুয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ্ দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং কোন অসৎ স্বভাবের লোক এ পবিত্র নামের যিকির করিলে তার মনের অসৎ স্বভাব দূর হবে।

(ইয়া ওয়ালিয়া)-হে পরম বন্ধু বা সাহায্যকারী!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে সকলে তাহাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করিবে। আবার কোনরূপ কঠিন বিপদের সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক সে ব্যক্তি পবিত্রতার সাথে ১০১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার বিপদ হইতে রক্ষা পাবে।

(ইয়া হামীদু)-হে প্রশংসিত!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৯৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অসৎ স্বভাব দূর হইয়া সে ব্যক্তি সৎ ও চরিত্রবান হইবে ।

(ইয়া মুহ্ছিয়্যু)-হে সর্বত্র বিরাজমান, শুমারকারী! বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার পাঠ করিলে কিয়ামতের দিন ‘আযাব’ হতে মুক্তিলাভ করবে এবং যাবতীয় হিসাব নিকাশ সহজ হবে । মহান আল্লাহ্র ইবাদাতে কোন প্রকার অলসতা দেখা দিলে রাত্রে শোয়ার সময় বুকের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অলসতা দূর হইয়া যাইবে। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ টুকরা রুটির উপর ২১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে আহার করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল লোক তার বাধ্যগত ও বশীভূত হবে ।

(ইয়া মুবদীয়্যু)-হে আদি স্রষ্টা!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোকের পেটের উপর তার স্বামী ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ১৯ বার করিয়া একাধারে ২১ দিন পর্যন্ত লিখে দিলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভ নিরাপদে থাকবে এবং যথা সময়ে সন্তান প্রসব করবে।

(ইয়া মু’য়ীদু)-হে স্থিতিদানকারী!
কোন লোক হারানো অথবা পালায়ে গেলে ২১ রাত্রে শোয়ার পূর্বে ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে প্রতি কোণে ৭১ বার করিয়া এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে এবং মনে মনে এরূপ বলিবে যে, হে প্রত্যাবর্তনকারী আল্লাহ্! অমুকের পুত্র অমুককে ফিরায়ে দাও। এইরূপ ‘আমলের ফলে ইনশাআল্লাহ্ ২১ দিনের মাঝেই সেই লোকের সন্ধান পাবে কিংবা সে ফিরে আসিবে।

(ইয়া মুহয়ী)-হে জীবনদানকারী!
কোন লোকের মনে আযাবের ভয় হলে ৭ দিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া শরীরে ফুঁ দিবে। ইনশাআল্লাহ্ মন নিজের বশে এসে মহান আল্লাহ্র পথে পরিচালিত হবে। কোন ব্যক্তির জেল হবার ভয় হলে কিংবা দূরে কোথাও চলে যাবার ভয় হলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিতে থাকিবে। ইনশাআল্লাহ্ এইরূপ আমলের ফলে সে আশঙ্কা দূর হবে ৷

(ইয়া মুমীতু)-হে মৃত্যুদানকারী!
যে বিবাহিত পুরুষ নিজের স্ত্রীকে ব্যতীত অসৎ উদ্দেশ্যে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় ঘরের স্ত্রীকে দেখিতে পারে না। সে বিবাহিতা স্ত্রী প্রতি শুক্রবার দিন ফজরের নামাযের পর সে অযূতেই নিজের হাতে রুটি তৈরী করিয়া একটি রুটি হাতে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে নজর রেখে রুটির উপর ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী ঘুরাতে ঘুরাতে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করিয়া ফুঁ দিবে এবং স্বামীর চরিত্র সংশোধনের জন্য অনুনয় বিনয়ের সহিত মহান আল্লাহ্ তা’আলা কাছে দু’আ মুনাজাত করিবে।

এরপর ঐ রুটি দ্বারা স্বামীকে নাস্তা খেতে দিবে এবং এভাবে তিনদিন পর্যন্ত করার পর ইনশাআল্লাহ স্বামীর কু-স্বভাব দূর হবে। উল্লেখ্য যে, প্রথম সপ্তাহে না হলে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাইবে। আবার প্রতিদিন এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫৩১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি যাবতীয় অপব্যয় হতে রক্ষা পাবে এবং ‘ইবাদাত-বন্দেগীতে অলসতা থাকিলে তা দূর হইয়া যাইবে।

(ইয়া হাইয়্যু) হে অমর, চির জীবন্ত!
প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৪১বার পাঠকারী ব্যক্তি সকল প্রকার রোগ-শোক হইতে নিরাপদে থাকিবে এবং ৪৯ বার পাঠ করিয়া পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি কোন রোগীকে পান করাইলে ইনশাআল্লাহ্ সে রোগী সুস্থতা লাভ করিবে। এই পবিত্র গুণবাচক নাম ফিরিশতাগণ সর্বদা বিকির করার ফলে তাদের কোনরূপ আহার ও নিদ্রার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে অশেষ বরকত লাভ হয়।

(ইয়া ক্কাইয়্যুমু)- হে চিরস্থায়ী !
প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করিলে প্রত্যেক শ্রবণকারী লোক পাঠকের প্রতি মন আকৃষ্ট করিতে পারিবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৮৭ বার করিয়া এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে অতি নিদ্রা দূর হয় এবং সুন্দরভাবে সুনিদ্রা হয়। আবার যখন কোন লোক চা, দুধ, শরবত পান করতে উদ্যত হয় এখনও চুমুক দেয়নি ঠিক এ মূহুর্তে তার অগোচরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিলে পানকারী ব্যক্তি তাকে কখনও ভুলতে পারিবে না। উল্লেখ্য যে, অবৈধ প্রনয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে করিলে পাপ হইবে। নিজের স্ত্রী, পুত্রদের ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।

(ইয়া ওয়াজিদু)-হে সৃষ্টিকারী!
খানা খাওয়ার সময় প্রত্যেক লোকমা গ্রহণ করা কালে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনোবল বৃদ্ধি হয়। বিয়ের পর নববধুকে স্বামীর বাড়িতে বিদায় দেয়ার সময় মেয়ের নিকটাত্মিয়ের মধ্যে কোন লোক মেয়ের শাড়ীর আঁচলের এককোণ ধরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে গিরা দিয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার আছর হতে মুক্ত থাকিবে এবং শ্বশুর বাড়ীর সকলের নিকট আদরণীয় হইবে ।

(ইয়া মাজিদু)-হে গৌরবময়!
আল্লাহ্র পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ঈমানের নূর বৃদ্ধি পাইবে এবং বিধর্মীদের উপর ইনশাআল্লাহ্ প্রভাব বিস্তার করতে পারিবে

(ইয়া ওয়াহিদু)-হে অদ্বিতীয় !
দুনিয়ার প্রতি একান্ত আকৃষ্ট ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করিলে পাঠকারীর মন হতে ইনশাআল্লাহ্ দুনিয়ার মায়া দূর হইয়া যাইবে এবং পরকালের কল্যাণ লাভের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মিবে। একাকী পথ চলার সময়ে কোনরূপ ভয় হইলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যকবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের ভয় দূর হইয়া যায় । প্রতি মাসের প্রথম তারিখে আকাশে নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩বার পাঠ করিয়া মুনাজাত করিয়া মুখে মুছে নিলে ইনশাআল্লাহ হাত কখনও অর্থ শূন্য হবেনা ৷

(ইয়া আহাদু)-হে একক!
বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া অযূ করিয়া পাক পবিত্র হইয়া, প্রথমে ১১বার ইস্তিগফার ও ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ১১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিবে এবং পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ্ এরূপ ‘আমলের ফলে ছুবহি ছাদিকের পূর্বেই তার সকল গুনাহ্ আল্লাহ ক্ষমা করিয়া দেবেন। (হিঃ হাসীন)

পবিত্র হাসীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে পাঠকের সঙ্গীয় ফিরিশ্তাগণও পাঠকের সাথে সাথে পাঠ করতে থাকে এবং ঐ ফিরিশ্তাগণের পাঠের ছাওয়াবও এ ব্যক্তির ‘আমল নামায় লিখা হয়।

(ইয়া ছামাদু)-হে স্বয়ং সম্পূর্ণ!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সত্যবাদী হওয়া যায় এবং শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া পাক পবিত্র অবস্থায় ১০১১ বার পাঠ করিলে সর্বদা ক্ষুধার কষ্ট হতে মুক্ত থাকা যায় ।

যাদের কেবলমাত্র কন্যা সন্তানই জন্ম হইয়া থাকে, কিন্তু তাদের পুত্র সন্তান লাভ করার একান্ত ইচ্ছা । এই ধরনের পুরুষ ও মহিলারা পৃথক পৃথক জায়নামাযে নামায আদায় করিয়া এক জায়নামাযে এসে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাদের পুত্র সন্তান লাভ হইবে।

(ইয়া ক্কাদিরু)-হে সর্বশক্তিমান!
অত্যন্ত পাক-পবিত্রতার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায আদায় করিয়া ১১১ বার পাঠ করিতে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পাইবে এবং সকল মনের আশা পূর্ণ হবে। শত্রু দমনের জন্য এই পবিত্র নামটি অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়ম হল যে, অযূ করতে গিয়ে সমস্ত অঙ্গসমূহ ধৌত করার সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুরা দমন হইয়া যাইবে।

(ইয়া মুক্বতাদিরু)-হে শক্তির আধার!
সকাল বেলায় ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া চক্ষু বন্ধ করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করিলে কার্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের মনের সকল প্রকার উদ্দেশ্য সফলতা লাভের নিমিত্তে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৩৭৫ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে যেকোন সৎ উদ্দেশ্য ইনশাআল্লাহ্ সফল হবে। রুক্ষ্ম স্বভাবের স্বামী ও মনিব এবং হাকীমের চেহারার দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা সদয় হইয়া উঠিবে।

(ইয়া মুক্বাদ্দিমু)-হে অগ্রসরকারী!
কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি কয়েক বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সফলতা অর্জন হয়। কোন যুদ্ধ কিংবা কোনরূপ প্রতিযোগিতায় যাবার সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১৯ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ জয়যুক্ত হওয়া যায় ।

(ইয়া মুয়াখ্খিরু)-হে পরিবর্তনকারী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন ৮৭৮ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সর্ব প্রকার অসৎ কাজ হতে বিরত থাকা যায়। দুশমন ও শত্রুকে দমন করার জন্য শনি-মঙ্গলবারে সূর্যাস্তের সময় তেমুখা রাস্তা হতে একটুকরা চাড়া এনে অবিবাহিত খুব নামাযী ব্যক্তির দ্বারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে ঐ রাত্রেই দুশমন ও শত্রুর বাড়ীতে মাটির নীচে পুঁতে দিলে ইনশাআল্লাহ তার শত্রুতা চিরদিনের জন্য বন্ধ হইয়া যাইবে ।

(ইয়া আউয়্যালু)-হে আদি ও সর্বপ্রথম !
প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৭৮ বার অথবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন প্রবাসী লোক পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সহসা তার বাড়ীতে ফেরার পথ প্রশস্ত হইয়া যাইবে ।

(ইয়া আখিরু)-হে অনন্ত, সর্বশেষ!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকারীর অন্তরে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন চিন্তা থাকিবে না এবং পরকালে মুক্তিলাভের পথ প্রশস্ত হইবে। কোন কাজ বারংবার চেষ্টা করার পরও সমাধা করিতে না পারিলে প্রতিদিন ভোরে ছুবহে ছাদিকের সময় খোলা আকাশের নীচে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সহজেই সে কাজটি উদ্ধার করা যাইবে।

(ইয়া যাহিরু)-হে প্রকাশ্য !
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সূর্যোদয়কালীন সময়ে ১১১ বার পূর্ণিমার রাতে ১১১ বার ও প্রতি শুক্রবার দিন মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথম পা দিয়ে ১১১ বার হিসেবে পাঠ করার অভ্যাস করিলে তার মনে ঈমানের নূর উদয় হবে এবং তার চতুর্দিকে আল্লাহ্ বিরাজমান বলে মনে হবে। প্রতিদিন ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করিলে মনের মধ্যে ঈমানের নূর বাড়তে থাকবে এবং মনের বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হবে। এ ছাড়া চোখের জ্যোতিও বৃদ্ধি পাবে।

(ইয়া বাত্বিনু)-হে অপ্রকাশ্য !
দৈনিক ইশরাকের নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০৩৩ বার পাঠ করিলে মহান আল্লাহ্ কুদরতের রহস্য এবং মানব জীবনের নিগুঢ়তত্ত্ব অবগত হবে। পূর্বাকাশে সূর্য লাল হইয়া উঠার সময় সূর্যের দিকে মুখ করিয়া শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চারণ করবে এবং সূর্য উঠে গেলে পশ্চিমমুখী হইয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে এবং দু’আ মুনাজাত করিয়া বলবে হে আল্লাহ্! আমার শত্রুদের মুখোশ খুলে দিন এবং আমাকে তাহাদের পরিচয় দিন। ইনশআল্লাহ্ এরূপ আমলের ফলে শুভ ফল পাবে।

(ইয়া মুতা‘আলী)-হে মহা উন্নত, মহান অধিপতি!
দৈনিক ৫৮৫ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। আবার এক টুকরা কাগজকে তিন কোণা বিশিষ্ট করিয়া কেটে প্রতিকোণে
৩ বার করিয়া ৯ বার লিখে লোহার তাবিজে রেখে ঘরের টুয়ার সাথে লটকায়ে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ চোরের উপদ্রব হতে রক্ষা পাবে। অধিক পরিমাপে এ পবিত্রগুণবাচক নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সকল মানুষের নিকট প্রিয় পাত্র হতে সক্ষম হবে।

(ইয়া বাররু)- হে মঙ্গলময়, শাস্তিদাতা!
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা নিরাপদে থাকবে এবং নেককার হইবে। এছাড়া অকালে যাদের সন্তান মারা যায় তাদের সন্তানের শরীরে এ পরিব গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে কয়েকবার পাঠ করিয়া দিবে এবং আল্লাহর করুণার উপর সমর্পণ করিবে, ইনশাআল্লাহ্ তাতে অনেক উপকৃত হইতে পারিবে।

(ইয়া তাউয়্যাবু)-হে তাওবাহ্ কবুলকারী!
প্রতিদিন চাশতের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩৬৫ বার পাঠ করিলে তাওবাহ করার সৌভাগ্য অর্জন করা যায়। এ ছাড়া কোন অত্যাচারী জালেমকে মনে মনে ধারণা করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দশবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার অত্যাচার হইতে রক্ষা পাওয়া যাইবে।

(ইয়া মুনয়িমু)- হে নি’আমত দানকারী, সম্পদ দানকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অন্ততঃ ২৩৩ বার পাঠ করিলে অধিক পরিমাণে ধন-সম্পদ লাভ করা যায় এবং সুখে-শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করা যায় ।

(ইয়া মুন্তাক্বিমু)-হে প্রতিশোধ গ্রহণকারী!
কারও শত্রুতা সহ্যের বাইরে গেলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে ৬৬৬ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু বশীভূত হবে। এ ছাড়া কোন শত্রুর প্রতিশোধ গ্রহণ করার ইচ্ছা করিলে শনিবার রাত্র হতে আরম্ভ করিয়া দৈনিক ৬৬৬ বার করিয়া পাঠ করবে আর মনে মনে শত্রুর প্রতি কাম্য শাস্তির কথা ভেবে মহান আল্লাহ্র দরবারে মুনাজাত করবে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই প্রতিশোধ গ্রহণের ফলাফল দেখতে পাবে।

(ইয়া ‘আফুয়্যু)-হে ক্ষমা প্রদর্শনকারী!
গুনাহগার ব্যক্তি নিরাশ হইয়া পড়লে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিলে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করিয়া গুনাহ মাফ হবার সৌভাগ্য অর্জন হয়।

(ইয়া রাউফু)-হে অকৃত্রিম বন্ধু!
ক্রোধ বা রাগ দমনের জন্য এই নামের গুণাগুণ অনেক। নিজের অথবা অন্য কারও ক্রোধ দমন করতে হলে ১০০ বার দুরূদ শরীফ ও ১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ ক্রোধ দমন হইয়া যায়। কোন স্বামী যদি স্ত্রীর অবাধ্য হইয়া থাকে তাহলে স্বামীকে খাবার পরিবেশন করার সময় স্ত্রী এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিতে করিতে স্বামীকে পাখা করতে থাকিলে ইনশাআল্লাহ স্বামী তাহার স্ত্রীকে অত্যন্ত ভালবাসিবে। একদিনে না হইলে নিয়মিতভাবে এইরূপ ‘আমল করিতে থাকিবে। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই শুভ ফল প্রাপ্ত হইবে ।

(ইয়া মালিকাল মুলকি)-হে বিশ্বপতি!
আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক নামাযের পর ২২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ধন-দৌলত বৃদ্ধি পায়। অবস্থা স্বচ্ছল হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজকীয় সম্মানও লাভ করা যায়।

(ইয়া ফুলজালালি ওয়াল ইকরাম)- হে মর্যাদাশালী ও মহিমাময় !
এ পবিত্র গুণবাচক নামের ফজীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করিয়াছেন যে- প্রত্যেক মুসল- মানেরই উচিত, সর্বদা অধিক পরিমাণে এ নামের যিকির করা। বুযুর্গ ব্যক্তিগণ এবং আউলিয়ায়ে কিরামগণের ধারণা যে, এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহই মহান আল্লাহ্ তা’আলার ‘ইসমে আযম’ ।

(ইয়া রাব্বু)-হে প্রতিপালক!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক কমপক্ষে ২২৫ পাঠ করিলে জীবনে কখনও খাদ্য কষ্টে পড়বে না । কোনরূপ ঝগড়া-বিবাদ দূর করতে হলে প্রতিদিন ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে অনেক শুভ ফলাফল লাভ করা যায়।

(ইয়া মুক্বসিতু ) -হে ন্যায়পরায়ণ !
সব সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে যিকির করিলে ‘ইবাদাত-বন্দেগীতে কোন প্রকার অলসতা বা সন্দেহের সৃষ্টি হবে না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মুক্ত থাকা যায়। অত্যাচারীর অত্যাচার হইতে মুক্তি লাভের নিমিত্তে শনি-মঙ্গলবার সূর্যাস্তের সময় সূর্যের দিকে নজর করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকবে এভাবে সূর্য ডুবে গেলে কারও সাথে কথা না বলে ঘরে ফিরে আসিবে ইনশাআল্লাহ সে অত্যাচারী ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করিবে।

(ইয়া জামিউ)-হে একত্রকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিলে সর্বদা হাতে টাকা-পয়সা স্থায়ী হয়। হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪৫ বার পাঠ করিতে থাকিলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে কখনও বিবাদ বা বিচ্ছেদ হবে না। কারও কোন কিছু হারায়ে গেলে অধিক পরিমাণে এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে মাল ফেরৎ বা মালের সন্ধান পাওয়া যাইবে ।

(ইয়া গানীয়্যু )-হে সম্পদশালী !
আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি যে কোন রোগ-শোক এবং বিপদাপদ ও বালা-মুছীবতের সময় দৈনিক ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ এ সব কিছু হতে মুক্তিলাভ করা যায়। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে পাঠ করিলে অন্তরে নূর পয়দা হয়। অভাব-অনটন দূর হয় এবং মনের সকল প্রকার আশা পূর্ণ হয়।

(ইয়া মুগনীয়্যু )-হে সম্পদ দানকারী ও অভাব মোচনকারী !
‘বাকিয়াতুছছালেহাত’ নামক গ্রন্থে এরূপ বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রে পাঠ আরম্ভ করার শুরুতে ও শেষে ১১ বার করিয়া দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৬ বার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের কোনরূপ অভাব-অনটন থাকবে না এবং পাঠকারী ব্যক্তি সকল ঋণের বোঝা পরিশোধ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিবে। স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মনে মনে ২১১ বার পাঠ করিলে স্ত্রীর অকৃত্রিম ভালবাসা লাভ করতে
সক্ষম হবে।

4 (ইয়া মু’অত্বীয়) হে দাতা ।
যে ব্যক্তি কোন আশা করিয়া তা পূরণ হয় না এরূপ ব্যক্তি নিয়মিতভাবে সকালে বিকালে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ তার সকল আশা পূরণ হবে এবং পাঠক ব্যক্তি কখনও অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

(ইয়া মানি’উ)-হে নিষেধকারী, নিবারক !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বেলায় ১৯৩ বার পাঠ করিলে সহজেই মনের নেক বাসনা পূর্ণ হবে। প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার, ইস্তিগফার ১১ বার, দুরূদ শরীফ ১১ বার,
اعوذ بالله السميع العليم من الشيطن الرم
(আ’উযুবিল্লাহিস্ সামী’য়িল ‘আলীমি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম) ৭০ বার এবং — (হাসবিআল্লাহু) পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ কোন সৃষ্ট ১১১১ বার UI জীবই তার কোন ক্ষতি এমনকি শয়তানও তাকে ধোকা দিতে পারে না।

(ইয়া দ্বাররূ )-হে বিপদ দানকারী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাত্রে একাগ্রতার সাথে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার বিপদ হতে নিরাপদে থাকা যায় ।

(ইয়া নাফি’উ )-হে সুফলদানকারী !
নৌকা, জাহাজ তথা নদীপথে ভ্রমণের সময়ে ঝড়-তুফান দেখা দিলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চস্বরে পাঠ করতে থাকিলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড়-তুফানের ক্ষতি হতে নিরাপদে থাকিবে।

(ইয়া নূরু )-হে আলোক (জ্যোতির্ময়) !
প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৫১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাইবে এবং অন্তকরণ নূরাণী হইয়া থাকে।

(ইয়া হাদীয়্যু)-হে সৎপথ প্রদর্শক !
প্রতিদিন নিয়মিভাবে এই নাম পাঠ করিলে ইলমে লাদুন্নীতে মন ভরে উঠে এবং গুনাহসমূহ মোচন হইয়া যায়। প্রত্যহ তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ অলী আল্লাহ্ তা’আলা মর্যাদা লাভ করা যায়। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় ভুল-ভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকা যায়। জ্ঞান ও বিবেক বুদ্ধি বাড়ে। হাকিম, বিচারক, উকিল, মুক্তার, ডাক্তার, ব্যবসায়ীগণ সর্বদা অসংখ্যবার এ নামের যিকির করিলে বিশেষ ফল লাভ হয়।

(ইয়া বাদী‘উ)-হে বিনা অনুকরণে সৃষ্টিকর্তা !
কোনরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এবং দুঃখ-কষ্ট নিবারণের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় একাগ্রতার সাথে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সুফল লাভ করিবে। সন্তানহীন ব্যক্তিরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে দিনে রোযা রেখে রাত্রে নামাযের পর নিয়মিতভাবে ১১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ সন্তান-সন্ততি লাভ হইবে ।

(ইয়া বাক্বীয়্যু)-হে অনন্ত !
মাগরিবের নামাযের পর পশ্চিমাকাশের লাল রং যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটির যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও অর্থশূন্য হবে না। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ দূর হইয়া যায় ৷

(ইয়া ওয়ারিছু)-হে স্বত্বাধিকারী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় ভয় ও দুঃখ কষ্ট দূর হয়। অথবা কারও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করিয়া ফেললে সে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তার সম্পত্তি পুনরায় ফিরে পাবে।

(ইয়া রাশীদু)-হে সৎপথ প্রদর্শক |
মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করিলে পাঠকের সকল ইবাদত-বন্দেগী ও আমলসমূহ ইনশাআল্লাহ্ কবুল হবে। অথবা বেনামাযী ছেলে-মেয়েরা দৈনিক যতবারই মা-বাবার চোখের দিকে তাকাবে ততবারই মা-বাবা ছেলে-মেয়েদের চোখের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিবেন। এর ফযীলতে ইনশাআল্লাহ্ তারা নামাযী হইয়া উঠিবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তাওবার নিয়্যতে ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া পুনরায় দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া দু’আ মুনাজাত করিলে ইনশাআল্লাহ্ হইয়া নেক সে ব্যক্তির মনের যাবতীয় কু-ভাবনা দূর হইয়া নেক কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মিবে।

(ইয়া ছাবূরু)-হে ধৈর্যশীল !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সময় ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং ধৈর্যশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ খুব তাড়াতাড়ি বিনয়ী, সংযমী, সদালাপী, মধুরভাষী ও ধনবান হইয়া উঠিবে ।

(ইয়া ছাদিক্কু)-হে সত্যবাদী !
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ২৬৬ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ঈমানী শক্তি দৃঢ় হবে এবং মনের দুর্বলতা দূর হইয়া সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে । ধূর্ত-মুনাফিক লোকদের চক্রান্তে পড়ে যেসব লোক দিশেহারা হইয়া পড়েছেন প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার চক্রান্তের বেড়াজাল হতে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।

(ইয়া সাত্তারু)-হে দোষ গোপনকারী !
এ পবিত্র নামটি দৈনিক ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মহান আল্লাহ্ তা’আলা মানুষের নিকট গোপন রাখেন এবং পাঠকের মান-ইজ্জত সর্বদা বজায় থাকিবে ।

আল্লাহ্ পাকের যুক্ত নামের আমল

উপরে মহাপরাক্রমশালী ও পরম করুণাময় আল্লাহর পৃথক পৃথক গুণবাচক নামসমূহের ফথীলত বর্ণনা করা হয়েছে। এবার নিম্নে কতিপয় যুক্ত নাম ও উহার ফজীলত দেয়া হল।

(হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু) মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলা চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী ।

(হুয়াল ‘আলীয্যুপ ‘আযীমু) মহান আল্লাহ্ তা’আলা অনেক উচ্চ ও মহান।

(হুয়ার রাহমানুর রাহীমু) মহান আল্লাহ্ তা’আলা অসীম দাতা ও দয়ালু।

(হুয়াল গাফুরুর রাহীমু) মহান আল্লাহ্ তা’আলা অসীম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

(হুয়াল লাত্বীফুল খাবীরু) মহান আল্লাহ্ তা’আলা অত্যন্ত পবিত্র ও অতিব সতর্ক।

ফজীলত : প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর উল্লিখিত গুণবাচক নামসমূহ নিয়মিতভাবে পাঠকারী ব্যক্তি মহান করুণাময় আল্লাহ্র অসীম রহমতের পরশে হবে। স্থান পাবে এবং ইহকালীন জীবনেও ইনশাআল্লাহ্ পরম সুখ-শান্তি লাভে ধন্য।

(ইয়া মালেকাল মুলকি) হে বিশ্বপতি !
ফজীলত : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামায আদায়ের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ধন-দৌলত বৃদ্ধি হয়। আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হয়ে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজকীয় সম্মানও লাভ করা যায়।

(ইয়া যুলজালালে ওয়াল ইকরাম)
অর্থাৎ-হে মর্যাদাশালী ও পরম মহিমাময়!
ফজীলত : পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে- “প্রতিটি মুসলমানেরই এ গুণবাচক নামটি স্মরণ করা উচিত। কেননা এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহের মধ্যেই মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র ইসমে আযম নিহিত আছে।”

উচ্চারণ ঃ সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতে ওয়ার রুহু।
ফজীলত : প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহ সূর্যের দিকে তাকায়ে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত পাঠ করলে মহা ক্ষমাশীল আল্লাহ্ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং তার মনের মলিনতাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ দূর করে দিবেন।

উচ্চারণ ঃ ইয়া গাফ্ফারু ইগফিরলী যুনূবী ।
ফজীলতসমূহ : প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যকবার পাঠ করলে বিশেষ করে জুমু’আর নামায আদায়ের পর ১১১ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ সকল গুনাহসমূহ ক্ষমা হবে। দৈনিক নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করলে সকল প্রকার অভাব-অনটনসমূহ দূর হয়ে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে ও সুখে শান্তিতে বসবাস করা যায়।

উচ্চারণ ঃ ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া গাফুরু ইয়া গাফেরু ।
ফজীলত : অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে-যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন জুমু’আর নামাযের পর উল্লিখিত নামটি ১১১ বার পাঠ করবে দয়াময় করুণাশীল আল্লাহর ইচ্ছায় সে ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হবে । এছাড়া সকল প্রকার বিপদাপদ হতেও মুক্ত থাকবে । নিয়ম হল আগে পরে ১১ বার করে দুরূদ শরীফ ও ইস্তিগফার পাঠ করে নিবে ।

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহীম। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল ‘আযীম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্কাইয়্যুমু ইয়া হালীমু ইয়া ক্বাদীমু ইয়া দায়েমু ইয়া ফারদু ইয়া ওয়েতরু ইয়া আহাদু ইয়া ছামাদু ইয়া ওয়াদূদু ইয়া যুল জালালে ওয়াল ইকরাম ।

ফজীলত : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, যখন কোন লোকের মনে কোনরূপ বাসনা উদয় হয় তখন সে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন সকাল বেলায় ফজরের নামাযের পর কারও সাথে কোনরূপ কথাবার্তা না বলে এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহ অসংখ্যবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের মনের সকল বাসনাসমূহ পূর্ণ হবে। হযরত শায়খ আবুল আব্বাস (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, এ পবিত্র গুণবাচক নামের সমষ্টিতে ইসমে আযম গুপ্তভাবে নিহিত আছে।

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহীম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু বেরাহমাতিকা আস্তাগীছু লা তাকেলনা ইলা আনফুসিনা ত্বারফাতা ‘আইনিও ওয়াআছলেহ শা’নিনা কুল্লাহু বেলা ইলাহা ইল্লা আন্তা ।

ফজীলত ঃ হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম স্বীয় ছাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) গণকে বলেছেন যে, প্রতিদিন সকাল বেলায় তোমরা উল্লিখিত পবিত্র গুণবাচক নাম সমূহের যিকির করবে। এ নামসমূহের যিকিরের বরকতে দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের মনের সকল বাসনাসমূহ পূর্ণ করে দিবেন এবং যাবতীয় অমঙ্গল হতে তোমরা মুক্ত থাকবে ।

উচ্চারণ ঃ লাইলাহা ইল্লা হুয়া ‘আলাইহে তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রাব্বুল‘আরশিল ‘আযীম।

ফজীলত ঃ উল্লিখিত নাম পাঠের ফলে দয়াময় পরাক্রমশালী আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর উপর নির্ভরশীলতা ও সম্মানিত সিংহাসনের অধিপতি হিসেবে স্বীকৃতি দান করা হয় বলে এ পবিত্র গুণবাচক নাম সম্বলিত আয়াতের ফজীলত অপরিসীম। সুতরাং নিয়মিতভাবে এ আয়াত পাঠকারী ব্যক্তির গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং সে ব্যক্তি ইহকালীন জীবনে উন্নতি ও পরকালীন জীবনে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তিলাভে সক্ষম হবে।

ইরশাদুত্তালেবীন নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর
(আল্লাহ্) এ পবিত্র নামটি ১১১ বার এবং নিম্নোক্ত ছ’টি নাম কমপক্ষে একবার করে পাঠ করবে। পরম করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলা এর বরকতে পাঠকারীকে এমনভাবে মুক্ত করবেন যে, সে সদ্য মাত্র মাতৃগর্ভ হতে জন্মলাভ করল এবং নিয়মিতভাবে পাঠ করার ফলে তার ‘আমলনামাসমূহ খুবই পরিস্কার থাকবে। আর সে ব্যক্তি অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশের সৌভাগ্য অর্জন করবে।

১। (জাল্লা জালালুহু) সর্বত্রই আল্লাহ্ মহত্ব বিরাজমান ।
2। (ওয়া ‘আম্মা নাওয়ালুহু) মহান আল্লাহর দানের কোন সীমা নেই ।
৩। (ওয়া জাল্লা ছানাউহু) সর্বত্রই মহান আল্লাহর প্রশংসা ।
৪। (ওয়াতাক্বাদ্দাসাত আসমাউহু) মহান আল্লাহর নামসমূহ অত্যন্ত পবিত্র
৫। (ওয়া আ’অযামা শানুহু) মহান আল্লাহ্র গৌরবই সবচেয়ে উচ্চ।
৬। (ওয়ালা ইলাহা গায়রুল্) মহান আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই।

আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহের ফযীলত

ফযীলত : পবিত্র হাদীস গ্রন্থে নবী আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন- মহান আল্লাহ্ তা’আলার আসমায়ে হুসনা (গুণবাচক সুন্দর নামসমূহ) ৯৯টি। এগুলো দ্বারা দোয়া প্রার্থনা করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ দান করে উল্লেখ করেন—

(ওয়ালিল্লাহিল আসমাউল হুসনা ফাদ’উহু বিহা)
অর্থ : আল্লাহ্ তা’আলার সবগুলো নামই সুন্দর, অতএব তোমরা এসব নামের দ্বারাই তাঁকে ডাক।
সুতরাং যে ব্যক্তি এসব নামসমূহ মুখস্থ করে ওযীফার মত করে পড়তে থাকবে, সে ব্যক্তি অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন এই পবিত্র নামসমূহ পড়বে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হিসনে হাসীন নামক পুস্তকে উল্লেখ রয়েছে যে, প্রতিদিন এই নামসমূহ পড়লে সে কখনও অন্নকষ্টে পড়বে না ।

Read More: নেক আমল

1 thought on “নেক আমল বই #2 আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র নামসমূহের আমল”

  1. Pingback: নেক আমল সম্পর্কে হাদিস - নেক আমলের গুরুত্ব

Comments are closed.

Scroll to Top