নেক আমল বই #6 যাকাতের খাত কয়টি – যাকাত কখন ফরজ হল

যাকাতের খাত কয়টি

যাকাতের খাত কয়টি

যাকাতের খাত কয়টি

যাকাতের বর্ণনা

যাকাত হল ইসলামের মূলস্তম্ভ সমূহ হতে অন্যতম একটি স্তম্ভ। হাদীসের মধ্যে প্রথমে ঈমান এরপর নামাজ এরপর যাকাতকে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনে কারীমের ৮১ স্থানে নামাজের সাথে সাথে জাকাতকেও উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে নববীতে জাতাক সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক ধন-সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু সে জাকাত দিল না। কিয়ামতের দিন সে সম্পদ ভয়ংকর আকৃতিতে সর্পে পরিণত হবে। তাকে দংশন করবে আর বলবে আমি তোমার সে সম্পদ যার যাকাত তুমি প্রদান করনি ।

জাতাক শব্দের অর্থ হল বরকত বা পবিত্র হওয়া। কিন্তু শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত বলা হয়।

উচ্চারণ : তামলীকু জুযই আইয়ানাহুশ শারেউ মিন মুসলিমিন ফকীরিন গায়রু হাশেমিইয়ীন ওয়ালা মাওলাহু মায়া কাতয়িল মানফায়াতি আনিল মুমাল্লিকি মিন কুল্লি ওয়াজহিন লিল্লাহি তায়ালা ।

অর্থ : শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদকে হাশেমী কিংবা তাদের কৃতদাস ব্যতীত দরিদ্র মুসলমানকে আল্লাহর ওয়াস্তে মালিক বানিয়ে দেয়া ।

যাকাত কখন ফরজ হল

জাকাত কখন ফরজ করা হয়েছে এনিয়ে উলামায়েকেরামের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন যাকাত হিজরতের পূর্বেই ফরজ করা হয়েছে । আর কেউ দাবি করেছেন যে, হিজরতের পর যাকাত ফরজ করা হয়েছে যাকাতকে রমযানের রোজা ফরজ করার পর ফরজ করা হয়েছে। কেউ বলেন, যে প্রথম হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে। আবার কেউ বলেন, দ্বিতীয় হিজরীতে। ইবনুল আছীর বলেন, নবম হিজরীতে যাকাত ফরজ করা হয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হল যাতাক হিজরতের পর দ্বিতীয় হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে।

যে ব্যক্তির উপর যাকাত দেয়া ফরজ

স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিমান মুসলমানের কাছে যদি তার বাৎসরিক সকল খরচ, দেনা-পাওনা পরিশোধের পর যদি তার কাছে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে তার চল্লিশ ভাগের একভাগ আল্লাহর ওয়াস্তে যাতাক প্রদান করা ফরজ। যদি কেউ যাতাক প্রদানে শিথিলতা করে তবে তাকে পরকালে কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে।

যাকাতের নেছাব বা পরিমাণ

স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাতাকের নেছাব হল সাড়ে সাত তোলা, আর রূপার ক্ষেত্রে যাকাতের নেছাব হল সাড়ে বায়ান্না তোলা । যদি স্বর্ণ ও রূপা উভয়ই থাকে কিন্তু কোনটাই নেছাব পরিমাণ হয় না। তখন উভয়টির মূল্য ধরে যদি কোন একটির নেছাব সমান হয় তবে তার যাতাক দিতে হবে।

আর টাকা পয়সার যাকাতের হিসাব ঐ স্বর্ণ ও রৌপ্যকে টাকায় রূপান্তরিত করলে যে পরিমাণ হবে তাই টাকার নেছাব বলে বিবেচিত হবে। যদি স্বর্ণের ভরি বা তোলা সাত হাজার টাকা করে হয় তবে টাকার যাকাতের নেছাব হবে সাড়ে বায়ান্না হাজার টাকা মাত্র। আর ৫২৫০০ টাকা যদি সমস্ত প্রয়োজন হতে মুক্ত হয়ে এর উপর এক বৎসর অতিবাহিত হয় তবেই তার যাকাত দেয়া অপরিহার্য বা ফরজ হবে অন্যথায় নয় ।

যাকাতের নেছাব নির্ধারণের ক্ষেত্রে গরীবের হকের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
যাকাত চল্লিশ ভাগের এক ভাগ আদায় করতে হয় অর্থাৎ চল্লিশ টাকায় একটাকা । একশত টাকায় আড়াই টাকা এক হাজার টাকায় পঁচিশ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে।
যে সকল পশুর যাতাক ওয়াজিব হয় এ ধরনের পশু আমাদের দেশে গৃহস্থদের গোয়ালে নেই। তাই পশুর যাকাত এখানে উল্লেখ করা হয় না ।

যাকাতের খাতসমূহ

শারীয়তের দৃষ্টিতে কয়েক প্রকারের লোককে যাকাত প্রদান করা যায়। এদেরকে যাকাতের মাল বন্টন করে দিলেই যাকাত আদায় হবে, অন্যথায় হবে না ।

ফকীর ঃ যে ব্যক্তির কাছে নেছাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
মিসকীন : যে ব্যক্তির কোন সম্পদ নেই।
ঋণ গ্রস্থ ব্যক্তি : তার ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য তাকে যাকাত দেয়া যায়।
মুকাতাব গোলাম : অর্থাৎ এমন দাস যার মুনীব তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল দিলে তাকে মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা করেছে।

মুসাফির ব্যক্তি ঃ অর্থাৎ এমন মুসাফির ব্যক্তি যার বাড়িতে প্রচুর ধন-সম্পদ আছে। কিন্তু সফরে সে গরীব হয়ে গেছে। এখন তার কাছে বাড়ি যাওয়ার নত পয়সা নেই। তাকে তার রাহ্ খরচ পরিমাণ জাতাক দেয়া যেতে পারে।
মুজাহিদ : যে ব্যক্তি অর্থ সংকটের কারণে জেহাদে যেতে অক্ষম, তাকে জিহাদে যাওয়ার জন্য যাকাত দেয়া যেতে পারে।

যাকাত আদায়কারীকে ঃ যদি তার নির্দিষ্ট বেতন না থাকে।
গরীব তালেবে ইলম বা ধর্মশিক্ষায় নিয়োজিত গবির ছাত্র ও তাদের প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেয়া যেতে পারে তাদের ভরণ পোষণের জন্য এবং তাদেরকে যাকাত দেয়াই সবচেয়ে উত্তম। কেননা এতে যাকাত আদায় করার একটি ছত্রার তৎসঙ্গে ধর্মশিক্ষার প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য দ্বিগুণ ছওয়াব লাভের আশা করা যায় ।

যেখানে যাকাত দেয়া যাবে না

মসজিদ বা মাদ্রাসার নির্মাণ খাতে। মসজিদ বা মাদ্রাসার ইমাম সাহেব, মোয়াজ্জেম, খাদেম বা শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের জন্য যাকাত দেয়া যাবে না এছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠানেও যাকাত দেয়া যাবে না, ধনী ব্যক্তিকে। পিতা ও পিতামহ বা তদোর্ধ্বো মাতা-মাতামহ বা তদোর্ধ্বে। পুত্ৰ-বা পৌত্র ইত্যাদি।স্বামীকে। স্ত্রীকে । ধনী ব্যক্তির অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে। কাফির মুশরিক বিধর্মীকে। সৈয়দ বংশের লোকদেরকে । মৃত্যু ব্যক্তির দাফন কাফনে । যাকাতের টাকা নিয়ে ধর্ম বিরোধী কাজে লিপ্ত হয় যে তাকে ।

যেসব জিনিসে যাকাত নেই

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যথা-ধান, চাউল, গম, নারিকেল, গুড়, সুপারী, পান ইত্যাদি যদিও এহা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী হয়। তবে শর্ত হল তা ব্যবসার উদ্দেশ্যে না হতে হবে। যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে হয় তবে এতে যাকাত ওয়াজিব হবে।

১। পরিধানের কাপড়, যদিও তা একাধিক হয় ।
২। গৃহে মাল-সামানা, যতই বেশী হোক না কেন ।
৩। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা আবাসস্থল, এগুলোতেও জাকাত নেই ।
৪। যাতায়াতের যানবাহন বা পশু ।
৫। অধ্যয়ন করার বই পুস্তক, ধর্মীয় কিতাবাদি ।
৬। কাজ করার যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে যাকাত দিতে হয় না।

যাকাতের কতিপয় জরুরী মাসায়িল

১। যাকাত আদায় করার সময় বা যাকাতের মাল অন্য মাল হতে পৃথক করার সময় যাকাতের নিয়ত করতে হবে।
২। প্রত্যেক বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে যাকাত আদায় করতে হবে। চাই তা রমযানেই হোক বা অন্য কোন মাসেই হোক ৷
৩। হারাম ও হালাল মাল একত্রে হলে তারও যাতাক দিতে হয়।
৪। যাকাত প্রাপকের ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর হক অগ্রগণ্য। তবে স্বীয় এলাকা হতে অন্য এলাকায় অভাবী লোক বেশি থাকলে তাদেরকেও দেয়া যেতে পারে।
৫। যাকাতের ক্ষেত্রে গরীব তালিবে ইলম্ ও তাদের লিল্লাহ বোডিং বা লিল্লাহ ফান্ডকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ।
৬। যাকাত নিজে গিয়ে প্রাপকদের কাছে পৌছে দেয়া উচিৎ
৭। যাকাত আদায়ের জন্য ঢাক-ঢোল বাজিয়ে লোক জামায়েত করে হাঙ্গামা সৃষ্টি করা অবৈধ ।

কুরআনের আলোকে একত্ববাদ
আল্লাহ তায়ালা সূরা ওয়ারায় বলেন-

উচ্চারণ ঃ লাইসা কামিছ্‌লিহি শাইউন ওয়া হুয়াস সামীউল বাছীর।
অর্থ : কোন কিছুই তার সাদৃশ্য নয়। তিনি সর্ব শ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। সূরায়ে নাহ্হলে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন ।

উচ্চারণ : ফালা তাজরিবু লিল্লাহিল আমছাল ইন্নাল্লাহা য়ালামু ওয়াআনতুম লাতা’লামুন ।
অর্থ : তোমরা আল্লাহর জন্য উপমা বলতে যেওনা, তিনিই জানেন আর তোমরাই অজ্ঞ ।

উচ্চারণ : আল্লাহ খালিকু কুল্লি শাইয়িন, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ওয়াকীল।

অর্থ : আল্লাহ্ই প্রতিটি বস্তুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই সমস্ত কিছুর কর্ম বিধায়ক।

সূরা হজ্জে বলা হয়েছে-
উচ্চারণ : যালিকা বি আন্নাল্লাহা হুয়াল হাক্ক্ ওয়া আন্না মা য়াদউনা মিন দুনিহী হুয়াল বাতিল ।
অর্থ : এজন্য যে, আল্লাহ্ সত্য। আর তার পরিবর্তে যাকে ডাকে ওটা অসত্য।

সূরায়ে ইসরাতে বলা হয়েছে উচ্চারণ :
উচ্চারণ : ওয়া কাদা রব্বুকা আল্লা-তা’বুদু ইল্লা ইয়্যাহ্ ।
অর্থ : তোমার প্রতিপালক এই নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা কেবল তারই ইবাদত কর ।

সূরায়ে বাক্বারাহ্তে বলা হয়েছে-

উচ্চারণ ঃ ইয়া আইয়ুহান্না-সু’বুদ রব্‌বা কুমুল্লাজী খালাক্বাকুম, ওয়াল্লাজীনা মিন ক্ববলিকুম লায়াল্লাকুম তাত্তাকুন । আল্লাজী জায়ালা লাকুমুল আরদা ফিরাশান ওয়াস সামা-আ বিনা-আও ওয়া আনযালা মিনাস সামায়ি মা-আন ফাআখরাজা বিহি মিনাছছামারাতি রিযক্বাল্লাকুম। ফালা তাজ আলু লিল্লাহি আনদাদাওঁ ওয়া আনতুম তা’লামুন ।
অর্থ : হে লোকসকল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর, যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা ধর্মভীরু হও। তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা ও আকাশকে ছাদরূপে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন। অতঃপর তদ্বারা তোমাদের জন্য উপজীবিকা স্বরূপ ফলপুঞ্জ উৎপাদন করেন। অতএব তোমরা এসব কথা জেনে শুনে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় কোর না ।

সুরায়ে আম্বিয়াতে বলা হয়েছে-
উচ্চারণঃ লাও কানা ফীহিমা আলিহাতুন ইল্লাল্লাহু লাফাসাদাতা- ফাছুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশি আম্মা ইয়াছিফূন।

অর্থ : যদি নভোমমণ্ড লও ভু-মণ্ডলে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য থাকত তবে উভয়ে ধ্বংস হয়ে যেত, তারা যা বলে তা হতে আরশের অধিপতি মহান আল্লাহ পবিত্র।

সূরায়ে গাফিরে বলা হয়েছে-
উচ্চারণ : ফাদ উল্লাহা মুখলিছীনা লাহুদ্দীন ওয়া লাউ কারিহাল কাফিরূন ।
অর্থ : অতএব তোমরা আল্লাহকে তার আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে আহ্বান কর। যদিও কাফেররা এটাকে অপছন্দ করে । এছাড়া আরো অনেক আয়াত রয়েছে যার দ্বারা আল্লাহর একত্ববাদ স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় ।

হাদীসের দৃষ্টিতে তাওহীদ

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সঃ) বলেছেন : আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সমস্ত শিরককারীদের শিরক হতে মুক্ত । যদি কেউ তার কাজে আমার সাথে শিরক করে, আমি তাকে ও তার শিরককে বর্জন কী। (মুসলিম)

অর্থ : হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সঃ) পাঁচটি বাক্য নিয়ে আমাদের সম্মুখে দণ্ডায়মান হলেন। অতঃপর বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালা নিদ্রা যান না এবং তাঁর নিদ্রার প্রয়োজনও হয় না। আমলের মাপকাঠি হ্রাস ও বৃদ্ধি করেন। রাতের আমলগুলো দিনের আমল শুরু হওয়ার আগে এবং দিনের আমলগুলো রাতের আমল শুরু হওয়ার আগেই তার কাছে পৌঁছানো হয় । তিনি নূরের পর্দা দ্বারা পরিবেশিষ্টত । তিনি যদি তা উম্মোচন করেন, তবে তার চেহারা-জ্যোতি তার সৃষ্টির প্রতি যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, তা জ্বালিয়ে দিবে।-(মুসলিম)

অন্য হাদিছে রয়েছে যে নবী করীম (সঃ) ইরশাদ করেছেন যে, ইসলামের ভিত্তি হল পাঁচটি জিনিসের উপর। আর তার প্রথমটিকেই বলেছেন, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এই সাক্ষ্য দেয়া। কাজেই এই হাদিছগুলো দ্বারা একথা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়. তিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই ।

নিশ্চয় আল্লাহ এক
ইমাম আবূ জা’ফর তাহাবী (র) আল্লাহ তায়ালার তাওফীক কামনা করে তাঁর একত্ববাদ সম্পর্কে বলেনঃ

অর্থ : নিশ্চয় আল্লাহ এক, যার কোন শরীক নেই। তার মত কেউ নেই। কেউ তার সমতূল্যও নয়। কিছু তাঁকে অক্ষয় করতে পারে না। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই । তিনি অনাদি, যার কোন আদি নেই। তাঁর ক্ষয় নেই, ধ্বংস নেই । তার ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছু সংঘটিত হয় না। কেননা তার ধারে কাছে পৌঁছে না । আর জ্ঞান তাকে উপলব্ধি করতে অক্ষম । সৃষ্ট বস্তু তার সাদৃশ্য হতে পারে না । তিনি চিরঞ্জীব, যার মৃত্যু নেই। তিনি চির জাগ্রত, যার নিদ্রার প্রয়োজন নেই। তিনি সাহায্য অনাপক্ষ সৃষ্টিকর্তা। অক্লান্ত রিযিক দাতা।

তিনি নির্ভয়ে প্রাণ সংহারকারী। আর নির্বিবাদে পুনরুত্থানকারী। সৃষ্টির বহু পূর্বেই তিনি তাঁর অনাদি গুণাবলীসহ বিদ্যমান ছিলেন, আর সৃষ্টির কারণে তাঁর কোন নতুন গুণের সংযোজন ঘটেনি। তিনি তাঁর গুণাবলীসহ যেমন অনাদি ছিলেন। তেমনি তিনি বীয় গুণাবলীসহ অনন্ত থাকবেন। সৃষ্টির কারণে তার গুণবাচক নাম খালিক যার অর্থ সৃষ্টিকর্তা হয়নি। কিংশ বিশ্ব জাহান সৃষ্টির কারণে তার ছিফাতী নাম বারী বাজ অর্থ উদ্ভাবক হয়নি।

প্রতিপাল্যের অবিদ্যমানতায়ও তিনি ছিলেন ‘রব’ যার অর্থ প্রতিপালক আর মাখলুক সৃষ্টির পূর্বেও তিনি ছিলেন খালিক যার অর্থ সৃষ্টিকর্তা। মৃতকে জীবন দান করার ফলে তাকে যেমনিভাবে জীবন দানকারী বলা হয়। তদ্রুপ জীবন দান করার পূর্বেও তিনি এ নামের হক্বদার ছিলেন। অনুরূপভাবে তিনি সৃজন ছাড়াই তিনি সৃষ্টিকর্তার নামের হকদার। এটা এজন্য যে, তিনি সর্ববিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

প্রতিটি সৃষ্টি তার অনুগ্রহের ভিখারী । সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন। আর তাদের জন্য সব কিছুরই পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন। আর তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর সময়। সৃষ্ট জীবের সৃষ্টির পূর্বে কোন কিছুই তার অজ্ঞাত ছিল না। জীব জগতের সৃষ্টির পূর্বেই তাদের সৃষ্টির পরবর্তীকালের কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনি সম্যক অবহিত ছিলেন। তিনি তাদেরকে স্বীয় আনুগত্যের আদেশ দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করা হতে বারণ করেছেন । সবকিছুই তাঁর ইচ্ছে ও পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।

আর তারই ইচ্ছে কার্যকর হয়। বান্দার কোন ইচ্ছে বাস্তবায়িত হয় না। অতএব তিনি বান্দাদের জন্য যা চান তাই হয়। আর যা চান না তা হয় না । আল্লাহ পাক যাকে ইচ্ছে তাকেই হিদায়াত, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদান করেন । এটা তার অনুগ্রহ । তিনি যাকে ইচ্ছে তাকেই অপমানিত করেন। এটা তার ন্যায় বিচার। সবকিছুই পরিবর্তিত হয়ে থাকে তাঁর ইচ্ছায় ও তাঁর অনুগ্রহ ও সুবিচারের মাধ্যমে। তিনি কার প্রতিদ্বন্দ্বি আ সমক্ষ হওয়ার ঊর্ধ্বে। তার মীমংসায় কোন পরিবর্তন নেই। তাঁর নির্দেশ বাতিল করার কেউ নেই এবং তাঁর নির্দেশকে পরাভূত করারও কেউ নেই। উল্লেখিত সবকিছুর প্রতিই আমরা ঈমান এনেছি এবং তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছি।

ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভ সমূহ

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলাম শব্দের অর্থই হল- আনুগত্যের জন্য স্বীয় গর্দান ঝুঁকিয়ে দেয়া। তাই মুসলমানগণ সর্বাবস্থায় আল্লাহর আনুগত্যেই নিয়োজিত। কি ব্যবসা, কি বানিজ্য; কি পারিবারিক জীবন, কি সামাজিক জীবন সকল ক্ষেত্রেই মুসলমানগণ আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দেশিত হুকুম আহকাম মেনে চলতে বাধ্য। ইসলাম একটি বৃক্ষ সাদৃশ। এর শাখা প্রশাখা অকে বিস্তৃত আর এদিকে ইশারা করেই নবী করীম (স) বলেছেনঃ

উচ্চারণ : বুনিয়াল ইসলাম আলা খাসসিন্, সাহাদাতু আনলাইলাহা ইল্লালাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। ওয়া ইকামুছ ছালাতি ওয়াইতাউজ্জাকাতি ওয়াল হাজ্জু ও ছাত্তম রামাদান ।

অর্থ : ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি বিষয়ের উপর (১) আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই এবং মুহাম্মাদ (স:) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, এই সাক্ষী দেয়া (২) নামাজ প্রতিষ্ঠা করা (৩) যাকাত প্রদান করা। (৪) বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ করা। (৫) রমযান মাসের রোযা রাখা ।

কালিমার বিবরণ

ইসলামে মূল পাঁচটি স্তম্ভের প্রথম হল ঈমান। এ প্রথম স্তম্ভটি না থাকলে বাকী চারটি কোন কাজে আসে না । তাইতো নবী করিম (স) বলেন,

উচ্চারণ : আনআবী যারিন (রা) ক্বালা কুনতু রদীফান নাবিয়্যি (সঃ) ফাক্বালা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা সা’ঈদাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহু কালা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা ওর’দইক, ইয়া রাসূলাল্লাহ; ক্বারা ইয়া আবা যাররিন কুলতু লাব্বাইকা সা’দাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ক্বালা মান ক্বালা লাইলাহা ইল্লাল্লাহ্ দাখালাল জারহি, ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা ক্বালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা কালা ওয়াইন যানা ওয়াইন সারাকা আলা রগমি আনফি আবি যাররিন।

অর্থ : হযরত আবুযর গিফারী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সঃ)-এর পিছনে একটি গাধার উপবিষ্ট ছিলাম তখন নবী করীম (সঃ) আমাকে হে আবূযর বলে তিনবার সম্বোধন করলেন। আমি তিনবার বললাম উপস্থিত ইয়া রাসূলাল্লাহ্ আমি হাজির। তখন হুজুর (সঃ) বললেন, যে ব্যক্তি বলবে আল্লাহ ছাড়া কোন উাস্য নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন হযরত আবুযর (রাঃ বললেন, যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে হুজুর (সঃ) বললেন, হ্যাঁ যদি ও সে ব্যভিচার ও চুরি করে এভাবে তিনবার। তৃতীয় বারে মহানবী (সঃ) বললেন, যদিও আবুযরের নাসিকা ধুলায় ধুসরিত হয় ।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : এ হাদীসের অর্থ হল কেহ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে যদি একবার এ কালিমাকে পড়ে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু পর্যন্ত কাফের ও মুশরেক না হয়। কিন্তু সে ইসলামের অন্য স্তম্ভগুলো আদায় না করে । তবে আমল না করার শাস্তি ভোগের পর সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।

কালিমায়ে তাইয়েবাহ
উচ্চারণ : লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত আর কোন সত্তা নেই, মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত দূত বা রাসূল ।

কালিমায়ে শাহাদাত
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লাশারীকালাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু ।

অর্থ : হে পরওয়ার দেগার! তুমি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তুমি একক তোমার দ্বিতীয় কেউ নেই। আর আমি এ স্বাক্ষী দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাহার রাসূল । সমগ্র বিশ্ব প্রতিপালকের প্রেরিত রাসূল ।

কালিমায়ে তাওহীদ
বাংলা উচ্চারণ : লাইলাহা-ইল্লা আন্তা ওয়াহিদাল-লা-ছানিয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাকীনা রাসূল রাব্বিল আলামীন ।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তুমি এক, তোমার কোন দ্বিতীয় সত্তা নেই মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল, ধর্মীভীরুদের ইমাম তিনি জগতের প্রতিপালক প্রভুর মহান দূত।

কালিমায়ে তামযীদ
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লা আনতা নূরাই ইয়াহুদিয়াল্লাহু লিনূরিহী মাই ইয়াশাউ মুহম্মদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুরসালীনা খাতামুন্নাবিয়ীন ।

অর্থ : হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া নেই কোন ইলাহ্, তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ্! তোমার নূর দ্বারা যাকে ইচ্ছা তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করেছ। মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বার্তা বাহক, সমস্ত রাসূল গণের ইমাম বা নেতা সর্বশেষ নবী।

ঈমানে মুজমাল
উচ্চারণ : আমানতুবিল্লাহি কামাহুয়া বিআসমাইহী ওয়াছিফা-তিহী ওয়াক্ববিলতু জামীআ আহকামিহী ওয়া আরকানিহি ।
অর্থ : আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর উপর, তার সকল নাম ও গুণাবলী সহ এবং গ্রহণ করলাম তার সকল হুকুম আহকাম ।

ঈমানে মুফাসসাল
উচ্চারণ : আ-মানতু বিল্লাহি ওয়ামালাই কাহিনী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি, ওয়াল ক্বাদরি খাইরিহী ওয়াশাররিহী মিনাল্লাহি তায়ালা ওয়াল বা’ছিদাল মাউত ।

অর্থ : আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর উপর এবং তার ফেরেশতাগণের উপর এবং তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং তার রাসূলগণের উপর এবং শেষ দিবসের উপর আর ঈমান আনয়ন করলাম ভাগ্যলিপির ভাল মন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে আসে একথার উপর আর ঈমান আনলাম মৃত্যুর পর পুনরুত্থান হওয়ার উপর ।

কালিমায়ে রদ্দে কুফর
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আন উশরিকা বিকা শাইআন, ওয়ানু মিনুবিহী, ওয়াআস্তাগফিরুকা মাআলামু বিহী, তুবতু আন্হু ওয়া তাবার’তু মিনাল কুফরি ওয়াশশিরকি, ওয়াল মাআছী, কুল্লিাহা, ওয়া আসলামতু ওয়াআমানতু ওয়া ক্কুলু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ।

অর্থ : ওহে, পরওয়ারদেগার! আমি আপনার কাছে আপনার সাথে কাউকে শরীক করা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, এবং আমরা তার সাথে বিশ্বাস স্থাপন করছি। এবং আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার জ্ঞান ও অজ্ঞাতপথ সমূহ হতে, এবং আমি তওবা করছি তা হতে কুফর শিরক ও অন্যান্য সকল গোনাহ্ হতে আমি বিদুরিত হচ্ছি। আর বলছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত দূত বা বার্তা বাহক ।

মীলাদ শরীফ পাঠের সংক্ষিপ্ত নিয়ম

ইতিপূর্বে আমরা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেছি। যেখানে মীলাদ শরীফের দলীলাদি, ফাযায়েল, তাৎপর্য্য ও ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সুধী পাঠকাদের পক্ষে এ সুদীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত করা সময়সাপেক্ষ । তাই নিম্নে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে মীলাদ ও কিয়াম লিপিবদ্ধ করলাম যাতে পাঠকবৃন্দ অল্প সময়ের মধ্যে মহানবী সা.-এর সামান্য গুণগান আলোচনা করে দয়া ও অনুগ্রহের অধিকারী হতে পারেন। প্রথমে পবিত্র কুরআন শরীফ হতে ধারাবাহিক ভাবে নিম্নের সুরাগুলো ও তৎসহ দুরূদ, সালাম পাঠ করবেন। তারপর তাওয়াজ্জুদ পাঠ করতঃ দাঁড়িয়ে কাসীদা পাঠ করে মহানবী সা.-এর দরবারে সালাত ও সালাম প্রেরণ করবেন। তারপর ইসালে সাওয়াব ও মুনাজাত করবেন ।

মীলাদ শরীফ পাঠ করার কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। তবে বুযুর্গানে দীন বিভিন্ন ভাবে পাঠ করেন। আমিও তাদের অনুসরণ করে সংক্ষেপে বর্ণনা করছি । মীলাদ শরীফ যেখানেই হোক সেখানেই অযু করে পাক পবিত্র অবস্থায় যাবেন। বিনা অযুতে নাপাক অবস্থায় কখনো মীলাদ মাহফিলে উপস্থিত হবেন না।
মাগদূ্ববি

মীলাদ শরীফ শুরু
আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আর রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন’আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগদ্বূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বোয়াল্লীন। আমীন ।

অর্থ : সকল প্রশংসা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্র জন্য । যিনি অসীম দয়াময়, অনন্ত দাতা। যিনি প্রতিদান দিবসের অধিপতি। আমরা তোমরাই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই । হে আল্লাহ! আমাদেরকে সঠিক সরল পথ দেখান, ঐ সকল লোকদের পথে যাদের ওপর তুমি অনুগ্রহ করেছ। যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট, তাদের পথে নয়। আমীন- হে আল্লাহ কবুল করুন।

লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়া লিল্লাহিল হামদ্ ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

উচ্চারণ ঃ কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ ।

অর্থ : আপনি বলুন। আল্লাহ পাক এক, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কারো জনক (পিতা) নন এবং তিনি কারো হতে জন্ম নেননি ও তাঁর সমকক্ষ আর কেউ নেই ।

লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

উচ্চারণ : কুল আ’উযূ বিরাব্বিল ফালাক্ব । মিন শাররি মা খালাক্ব । ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন্ নাফফা-ছাতি ফিল ‘উক্কাদ । ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।

অর্থ : আপনি বলুন, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অপকারিতা হতে, অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের অপকারিতা হতে, গিরাসমূহে ফুঁক দানকারীনীদের অপকার হতে এবং হিংসুকের হিংসা হতে রক্ষার জন্য প্রাতঃকালের পালনকর্তার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।

লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়া লিল্লাহিল হামদ্ ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

উচ্চারণ : কুল আ’ঊযু বিরাব্বিন্ নার্স । মালিকিন্ নাস। ইলাহিন্ নাস। মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাসিল লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস ।

অর্থ : আপনি বলুন, আমি মানুষের প্রভু, মানুষের মালিক ও মানুষের মা’বুদের নিকট জিন ও মানব যারা মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা ও কুপ্ররোচনা দেয় তাদের অপকারিতা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

উচ্চারণ : লাক্বাদ জা-আকুম রাসূলুম মিন আনফুসিকুম আযীযুন আলাইহি মা-আনিততুম হারীছুন আলাইকুম বিলমু’মিনীনা রাউফুর রাহীম। ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থ : নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল আগমন করেছেন । তোমাদের দঃখ কষ্ট তাঁর কাছে কষ্টদায়ক, তিনি তোমাদের কল্যাণের অতিশয় আগ্রহশীল, মু’মিনদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল দয়াবান । অতএব তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে (হে রাসূল!) বলে দিন, আল্লাহ পাকই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নেই। আমি তাঁরই ওপর ভরসা রাখি এবং তিনি সুবিশাল আরশের অধিপতি । (সূরা তাওবা)

উচ্চারণ : মা-কানা মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম মিররিজালিকুম ওয়া লাকির রাসূলাল্লাহি ওয়া খাতামান্ নাবিয়্যীন, ওয়া কানাল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আলীমা । ইন্নাল্লাহা ওয়া মালা-য়িকাতাহু ইউছাল্‌ল্‌না আলান্ নাবিয়্যি, ইয়া-আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ ছাল্‌লূ আলাইহি ওয়া সাল্লিমৃতাসলীমা ।

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

কাছিদা
১। মদিনাতে শুয়ে আপনি মোদের সালাম শুনতে পান
কেমনে যাব মদীনাতে সে পথ আমায় খুলে দেন।

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

২। যার লাগিয়া কান্দেরে মন সে তো সোনার মদিনায়
স্বপ্ন যোগে দেখতে পাইবা হইলে তাহার দিওয়ানা

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

৩। কোথায় রইলেন দয়াল নবী আমাদেরকে ছাড়িয়া
আপনার এতীম উম্মাত কান্দে নবী নবী বলিয়া ।

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

৪। আল্লাহ তুমি দয়া করে নছীব কর মদীনা
নবীজীকে না দেখাইয়া কবরেতে নিওনা।

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

৫। ধন্য গো আমিনা বিবি ধন্য আপনার জিন্দেগী
আপনার-ই উদরে আসলেন আমার দয়াল নবীজী

আলাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ
ওয়া আ’লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ।

কাসিদা
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

১। ওহে নবীর আশেকান, দরূদ পড় দিয়া মন
হায়াত থাকিতে কভু ভুলোনা ঐ নাম ।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

২। ওহে নবী দয়াময় মোদের লাগিয়া
কিয়ামতে ঠাণ্ডা করবেন কাওছার পিলাইয়া

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

৩। নবী আছেন কানে শুনি চোখে দেখলাম না
মনে চায় উড়িয়া যাইতে সোনার মদীনা।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৪। নবী আমার জিন্দা নবী নবী আমার জান
নবী আমার জীবন মরন নবীজী ঈমান ।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

কাসিদা
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

১। আসুবহু বাদামিন ত্বালাআতিহী
ওয়াল লাইলু দুজা মিন ওয়াফারাতিহী।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

২। ফা-ক্কার রাসূলা ফাদ্বলাও ওয়া আ’লা
আহদাছ ছুবুলা লি দালালাতিহী ।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৩। নালাশ শারাফা ওয়াল্লাহু আফা
আম্মা-ছালাফা মিন উম্মাতিহী ।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৪। ছা- আতিশ শাজারু নাত্বাকাল হাজারু
শুককাল ক্বামারু বি-ইশারাতিহী।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৫। কানজুল কারামী মাওলান নেয়ামী
হাদিউল উমামী লিশারিয়াতিহী।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৬। আজকান নাছাবী আলাল হাছারী
কুহুল আরাবী ফী খিদমাতিহী ।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৭। জিবরীলু আতা লাইলাতা আছরা
ওয়া রাব্বু-দাআ লিল হাদ্বরাতিহী।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

৮। ফা মুহাম্মাদুনা হওয়া সাইয়্যেদুনা
ফাল ইজ্জুলানা লি-ইজা-বাতিহী।

সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া হাবীবিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মদিওঁ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আছহাবিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।

  • ইয়া রাব্বি সাল্লি ওয়া সাল্লিম দায়িমান আবাদান ।
    আ’লা নাবিয়্যিকা খাইরিল খালকি কুল্লিহিম।
    বালাগাল উলা- বিকামালিহি + কাশাফাদ দুজ বিজামালিহী,
    হাসুনাত জামীউ খিছালিহী + সাল্‌লূ আলাইহি ওয়া আলিহী ।
    আত্বত্বরিল্লাহুম্মা ক্বাবরাহুল কারীম,
    বিআরফিন শাযিয়্যিম মিন ছালা-তিওঁ ওয়া তাসলীম,
    আল্লাহুম্মা ছারি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলাইহি।

তাওয়াললুদ শরীফ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

উচ্চারণ : নাহমাদুহূ ওয়া নুছল্লী আ’লা রাসূলিহিল কারীম, ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা শাহরানি আ’লা আশহারিল আকওয়ালিল মারবিইয়্যাহ তুউফফিয়া বিলমাদীনাতিশ শারীফাতিল মুনাওয়ারাতি আবূহু আবদুল্লাহ, ওয়া কানা ক্বাদিজতাযা বিআখওয়ালিহী বানী আদিয়্যিম মিনাত্ব ত্বা-য়িফাতিন নাজ্জারিয়াহ ওয়া মাকাসা ফীহিম শাহরান সাক্বীমাই ইউআনূনা সু্ক্বামাহূ ওয়া শাকওয়াহ ।

ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা আ’লার রাজিহি তিসআতু আশহারিন ক্বামারিয়াহ, ওয়া আনা লিযযামানি আঁইয়্যানজালিয়া আনহু ছাদাহ, হাদ্বারাত উম্মাহূ লাইলাতা মাওলিদিহী আসিয়াতু ওয়া মারইয়ামু ফী নিসওয়াতিম মিনাল হাদ্বীরাতিল কুদসিইয়্যাহ, ওয়া আখাযাহাল মাখা ফাওয়ালাদাতহূ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা (কালবাদরিল মুনীরি) নূরাইঁ ইয়াতালালা ‘উসিনাহ ।

অর্থ : প্রসিদ্ধতম বর্ণনা অনুসারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বয়স যখন তাঁর মাতৃগর্ভে দু’মাস পূর্ণ হল, তখন মদীনা মোনাওয়ারাতে তাঁর পিতা আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তিনি (আবদুল্লাহ) তার বনি আদী গোত্রীয় (ফার্নিচার) ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ভুক্ত মামাদের সেখানে গিয়েছিলেন এবং সেখানে এক মাস রোগে ভুগছিলেন। তারপর যখন গ্রহণযোগ্য বর্ণনা অনুসারে নয়টি চন্দ্র মাস পূর্ণ হলো এবং তাঁর আগমনী বার্তা প্রকাশ হওয়ার সময় হলো তখন তাঁর (জন্মের শুভাগমনের পবিত্র রাতে তাঁর মায়ের সকলে উপস্থিত হয়ে গেলেন মহিয়সী নারীদের পুত পবিত্র সমাবেশ। এদের মধ্যে ছিলেন পূণ্যময়ী আছিয়া ও মারইয়াম। এ সময় তাঁর প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হলো এবং (মা আমেনা) পূর্ণিমার চাঁদের মত আলো ঝলমল শিশু প্রসব করলেন ।

কিয়াম
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৷
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ + সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা ।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা ৷

আরবী কিয়াম
ত্বালাআল বাদরু আলাইনা + মিন ছানিআতিল ওয়াদায়ি
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা + মাদাআ লিল্লাহি দায়ী
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা ।
আশরাক্কাল বাদরু আলাইনা + ওয়াতাফাত মিনহুল বুদূরু

মিছলাহুসনিক মা রাআইনা + ক্বাততু ইয়া ওয়াজহাস্ সুরূরী।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।
আনতা শামসুন আনতা বাদরুন + আনতা নূরুন ফাওক্বা নূরী
আনতা একসীরুওঁ ওয়া গালী + আনতা মিছবাহুছ্ ছুদূরি ।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা ।

ইয়া হাবীবী ইয়া মুহাম্মদ + ইয়া আরূসাল খাফিক্বাইনি
ইয়া মুআইয়্যাদ ইয়া মুমাজ্জাদ + ইয়া ইমামাল কিবলাতাইনি
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা ।
মাইয়্যারা ওয়াজহাকা ইউসআদ + ইয়া কারীমাল ওয়ালিদাইনি
হাওদ্বাকাছ্ ছাফিল মুবাররাদ + বিরদুনা ইয়াওমান্ নুশুরী ।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা ।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।

বাংলা কিয়াম
১। ডেকে নেন আমায় মদীনায় + বিফলে জীবন বয়ে যায়।
হাজার থাকি ভাবনায় + কেমনে যাব মদীনায়।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা ।

২। যেতে যদি পারতাম মদীনা + বলিতাম মনের বেদনা
দেখিতাম নয়ন ভরিয়া + করিতাম শীতল কলিজা।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা ।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা

৩। আপনাকে যেজন দেখিবে + জাহান্নাম হারাম হইবে
আমাদের আশা দেখিতে + দিওয়ানা বানান দীদারে ।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।

৪। মদীনায় যাবেন হাজীরা + যিয়ারত করবেন রওজা
আমাদের নছীব হল না + পাঠালাম সালাম মদীনায়।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা ।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা

৫। কোথায় রইলেন নবী লুকাইয়া + মোদেরে এতীম বানাইয়া
হে নবী মোদের লাগিয়া + দেখা দেন উম্মাত বলিয়া ।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।

৬। নবী না হয়ে দুনিয়ায় + না হয়ে ফেরেশতা আল্লাহর
হয়েছি উম্মত আপনার + তার তরে শুকুর বেশুমার।
ইয়া নাবী সালামু আলাইকা + ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা।
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।

Read More: নেক আমল বই

Scroll to Top