মজার জোকস বাঁধার আসর – মজার ধাঁধা উত্তর সহ

এই মজাদার জোকস পড়লে আসতে হাঁসতে ফেটে ব্যথা হয়ে যাবে

মজার জোকস বাঁধার আসর

কঠিন ধাঁধা উত্তর সহ

দুই অলস বসে আছে জঙ্গলের ধারে–
প্রথম অলস : তোমার পায়ে একটা সাপ জড়িয়ে আছে ।
দ্বিতীয় অলস : নিরাসক্তভাবে কোন পায়ে?

দুই পথচারীর একজন অপরজনকে পথ আগলে দাঁড়ায়—
প্রথম জন : ভাই, একটা প্রশ্ন করতে পারি?
দ্বিতীয়জন : পারেন, তবে আপনি সেটা করে ফেলেছেন?

প্রথম জন : তাহলে দটো প্রশ্ন করতে পারি?
দ্বিতীয় জন : পারেন এবং দুটো প্রশ্ন করাও শেষ ।
প্রথম জন : তাহলে চারটা প্রশ্ন করতে পারি?
দ্বিতীয় জন : দুঃখিত সময় নেই ।

দুই পকেটমার কথা বলছে—
প্রথম পকেট মার : শীতকালটা এত খারাপ সময় তাই ।
দ্বিতীয় পকেট মার : কেন ভাই?
প্রথম পকেট মার : কারণ সবাই পকেটে হাত দিয়ে রাখে আর বেশি জামাকাপড়
পরে বলে কোন পকেটে যে টাকা রাখে তা বুঝা যায় না ৷

দুই ভদ্রলোক কথা বলছেন-
প্রথমজন : কী ভাই, রেগেমেগে কোথায় যাচ্ছেন?
দ্বিতীয়জন আর বলবেন না।
ঘরে ছেলেমেয়ে গুলো যা দস্যিপনা করে।

প্রথমজন : যতই যা বলেন বাড়ির বাচ্চারা কিন্তু ঘর আলো করে রাখে।
দ্বিতীয়জন : ওটা একদম সত্যি কথাই বলেছেন।
ওরা ঘরে সারাক্ষণ আলো জ্বেলেই রাখে। সুইচ অফ করে না।
এদিকে মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতে দিতে জীবন শেষ ।

দুজন শিকারী সিংহ শিকারে গেছেন।
সিংহের দেখাও মিলল কিন্তু বন্দুক তোলার আগেই সিংহটা লাফ দিয়ে একেবারে ঝোপের ওদিকে
প্রথম জন ভয়ে কাপতে কাপতে দ্বিতীয়জনকে বললেন, “ঠিক আছে। তুমি দ্যাখো, সিংহটা কোনদিকে গেল আর আমি দেখছি সিংহটা কোথেকে এসেছিল।”

জেলখানায় সিনেমার একটি দৃশ্য শুটিং শেষে পরিচালক জেলারকে বলছেন—
পরিচালক : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনুমতি না দিলে জেলের ভেতরের দৃশ্যটা শুটিং করা সম্ভব হতো না ।
জেলার : ধন্যবাদের কী আছে ভাই, কী আর করছি বলেন। তবে এটুকু বলছি জেলের দরজা আপনার জন্য সব সময় খোলা। আবার আসবেন।

দেরি করে অফিসে আসায় এক কর্মকর্তাকে ভীষণ বকলেন ম্যানেজার সাহেব। আবার অফিস ছুটি হওয়ার আগেই কর্মকর্তাটিকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করতে দেখে
পাশের টেবিলের সহকর্মী বলছেন-

সহকর্মী : আজ এত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছেন যে?
কর্মকর্তা : না ভাই, অফিসে আসতে দেরি হওয়ায় ম্যানেজার সাহেব বকেছেন। এখন আবার যদি বাড়ি ফিরতে দেরি করি, তাহলে… ওরে বাবা ।

নেতা দীর্ঘ জ্বালাময়ী বক্তৃতা শেষে বাসায় ফিরেছেন, নেতা এই কাশেম, আমার হাত
পা টিপে দেতো। অনেক লম্বা বক্তৃতা দিয়েছি ‘খুব পরিশ্রম হয়েছে’।

কাশেম : স্যার বরং গলটা টিপে দেই।
নেতা : আগামী মাসে থেকে যৌতুক প্রথার বিরম্নদ্ধে নামব।
জনগণ : এই মাসে নয় কেন?
নেতা : এই মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আগামী মাসে মেয়ের।

মেয়ের বাবা : এই মাত্র মেয়েটার গান যে শুনলেন, এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয়
করতে হয়েছে।
পাত্রপক্ষ : হ্যাঁ, তা হবেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নির্ঘাত লড়তে হয়েছে তো ।

জহির বাজার শেষে তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এক রিক্সাওয়ালার সঙ্গে
কথপোকথন-
জহির : এই রিক্সা যাবে?
রিক্সাওয়ালা : কই যাইবেন স্যার।

জহির : উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরে সরকারি অফিসার্স কোয়াটারে কত নিবে?
রিক্সাওয়ালায়া : দশ টাকা স্যার।
জহির : ছেলের ভাড়া কত?

রিক্সাওয়ালা : আপনার ছেলের তো ভাড়া লাগবে না । জহির : তাহলে ছেলেকেই নিয়ে যাও, আমি হেঁটে যাচ্ছি।
সেনাবাহিনীর এক মেজর অন্য এক সৈন্যকে ট্রেনিং দিচ্ছে—

মেজর : একটুকরো পাথরকে তুমি যতোই ওপরে ছুঁড়ে মারো না কেন? কিছুক্ষণের মধ্যেই তা মাটিতে এসে পড়বেই।
সৈন্য : কিন্তু, স্যার ওটা মাটিতে না পড়ে যদি পানিতে পড়ে?
মেজর : তা আমাদের না জানলেও চলবে। ওটা নৌবাহিনীর ব্যাপার, আমাদের
নয়।

ছোট দুই ভাই সার্কাস দেখে ফিরছে—
সিংহের মুখে মাথা ঢোকাতে দেখেছিস, দারম্নন না?
হুহ!

সবচেয়ে বাজে লেগেছে কোনটা বল তো?
ওই যে চাঁদা লোকটা ২০ টা ছুড়ি ছুড়ে মারল মেয়েটার দিকে, একটাও লাগাতে পারল না ।

আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের বাইরে সারিসারি লোক তামাক খেত । একজন তামাক চাষী সবাইকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তামাক চাষ দেখাচ্ছেন। এক সময় বললেন। “এই যে দেখুন এগুলোই সবচেয়ে বড় তামাক গাছ।” “কী অপর্ব” একজন বলে উঠলেন। পরক্ষণেই ফিস ফিস করে বললেন কিন্তু তামাক গাছে সিগারেট ফলবে কবে? আপনি দোষী না নির্দোষ?

নির্দোষ ।
পর্বে কখনও জেলে কাটিয়েছেন?
নানা, এই তো প্রথমবার চুরি করলাম ।
আমাদের কাজের ছেলেটা অন্য জায়গায় কাজ পেয়ে চলে যাচ্ছে, যাওয়ার পুর্বে সে একটা সার্টিফিকেট চায়, আমি লিখেছি, ছেলেটি অলস, মিথ্যাবাদী, ঝগড়াটে, দুর্মুখ,

এরপর ভালো কিছু লোখা যাক কি বলো? স্ত্রী বলল- ভাল লিখতে চাও? বেশতো
লেখ না, লোকটি ভালো খায় আর খুব ভাল ঘুমায়।
অফিসে কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
কর্মচারী : স্যার, আজ আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ছুটি দিতেই হবে।

আমার স্ত্রী অফিসের রিসিপশনে এসে বসে আছে। ওকে নিয়ে শপিংয়ে যাব।
কর্মকর্তা : অসম্ভব! অফিসে এখন প্রচ- কাজের চাপ। আজ কেন এ মাসেই কোন ছুটি দেয়া যাবে না।
কর্মচারী : থ্যাংক ইউ স্যার। যাই আমার স্ত্রীকে এক্ষুনি কথাটা বলে আসি…।

বাচালেন স্যার।
অফিসার ও পিয়নের মধ্যে কথা হচ্ছে—
পিয়ন : স্যার এক মহিলা ফোন করে মনে হয় আপনাকে চাইছেন ।
অফিসার : মনে হয় মানে?

বুদ্ধির ধাঁধা উত্তর সহ

পিয়ন : মানে ওপাশ থেকে মহিলা বললেন বুড়ো হাঁদাটাকে একটু দাও তো। ভাবলাম, আপনি ছাড়া তো এই অফিসে আর কোন বয়স্ক ব্যক্তি নেই । তাই…
অভিনেতা : আমার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে দর্শকরা অবাক হয়ে গিয়েছিল। পরিচালক : হবেই তো, তুমি যে মরোনি সেটা ওরা বুঝতে পেরেছিল ।
ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ও গৃহকর্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে
মিস্ত্রী : সালামালেকুম, সাহেব পাঠালেন, আপনাদের কলিং বেলটা নাকি ঠিক করতে হবে?

গৃহকর্ত্রী : আপনার আরও পূর্বে আসা উচিত ছিল। আমি তো জরুরিকালে বাইরে যাচ্ছি। মিস্ত্রী : আমি তো অনেক পূর্বেই এসেছি। সেই কখন থেকে কলিং বেল টিপছি। কেউ দরজা খোলে না ।

পথচারী মেয়েটির দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে-
মেয়েটি : কি ব্যাপার আপনি আমার দিকে তাকিয়েই আছেন, আপনার মতলবটা কি? পথচারী : জ্বী না, আপা, মতলব আমার থানা ।
প্রথম মহিলা : জানেন এবার আমার স্বামী খুব ভালো একটা চাকুরি পেয়েছেন?

ওর নিচে এখন হাজার হাজার মানুষ আছে ।
দ্বিতীয় মহিলা : বাবা, বিরাট চাকুরি নিশ্চয়ই ।
প্রথম মহিলা : উনি গোরস্থানে ঘাস কাঁটার চাকুরি পেয়েছেন ।

প্রত্যাশিত দামে ছাগল বিক্রি করতে না পেরে একবিক্রেটা হাট থেকে ছাগল বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পথিমধ্যে ছিনতাইকারী পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যাবার সময় বলে—
ছিনতাইকারী : ছাগল বিক্রি করলে না কেন?

বিক্রেতা : আজ বিক্রি করলে খুব লোকসান হতো ।
ছিনতাইকারী : লোকসান হলে আমার হতো। তোমার তো অসুবিধা হতো না ।
পাওনা টাকা চাইতে এক ব্যক্তি গেলেন ঋণগ্রহীরতার নিকট— পাওনাদার : এই রেজা ভাই, আমার পাওনা টাকাটা দেবেন কবে?

ঋণগ্রহীতা : একটু ওয়েট করুন। দিয়ে দেব।
পাওনাদার : আর ওয়েট করলে চলবে না, এমনিতেই ওয়েট বেশি, ডাক্তার বলেছেন ওয়েট কমাতে।
পাওনাদার বাড়ির দিকে আসছে দেখে বাড়িওয়ালা গৃহকর্ত্রীকে বললেন— বাড়িওয়ালা : ওই দেখ, পাওনাদার আসছে, ওকে বল আমি বাড়িতে নেই । গৃহকর্ত্রী : কিন্তু… মিথ্যা বলা তো মহাপাপ ৷

বাড়িওয়ালা : আরে সে জন্যেই তো তোমাকে দিয়ে বলাচ্ছি।
পাত্রী : ক্রিস্টেফার মদই তোমার সর্বনাশ করেছে, মদই তোমার আসল শক্তি ।
ক্রিস্টেফার : কিন্তু কাদায়, সেদিন যে আপনি বললেন, যীশু বলেছেন শত্রুদেরও ভাল
বাসবে, তাদের বন্ধু করে ঘরে তুলবে।

পাত্রী : তা বলেছেন কিন্তু বন্ধুকে গিলে ফেলতে বলেননি ।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক : দয়া করে আার হয়ে একটা চিঠি লিখে দেবেন?
যুবক : নিশ্চয়ই কী লিখতে হবে বলুন । চিঠি লেখা শেষ করে যুবকটি জিজ্ঞেস করলো আর কিছু লিখতে হবে।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক : আরও লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু অন্যকে দিয়ে লেখাচ্ছি তো তাই ।

বনের ভিতর দিয়ে রাস্তা-
অস্থায়ী লোক : আচ্ছা ভাই, এ বনে তো কোন সাপটাপ নাই?
স্থায়ী লোক : আরে না, না এ বনের সাপকে কবেই বাঘ সিংহ খেয়ে ফেলেছে? বক্তা : আপনি তো ধৈর্য ধরে আমার বক্তৃতা শুনেছেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শ্রোতা : আহা! আমাকে ধন্যবাদ দিতে হবে না, আপনার পরে তো আমি শেষ বক্তা, আমাকে আপনি একটু সাহায্য করবেন।

বাড়িতে মেহমান এসেছে দেখে গৃহকর্তা চালাকি করে বলছেন—
গৃহকর্তা : তা কেমন আছেন? অনেক দিন পরে এলেন, তবে বলে লাভ কি? আপনি তো আমার ব্যস্ত মানুষ আমার এখানে থাকতে বললেও থাকবেন না। আবার কবে আসবেন?
মেহমান : অনেকদিন পরে এলাম। সহজে যে ছাড়বেন না তা আমি জানি। দেন লুঙ্গিটা দেন। গোসলটা সেরে আসি।

এক নেতা বিশাল জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আবেগে বলে ফেললেন, আমি জন্মেছি বাংলা দেশে, মরতেও চাই বাংলাদেশে। ভিড়ের মধ্য হতে একজন বললো “আপনার তো কোন উচ্চাকাঙ্খাই নেই নেতা ।”

এক লোক ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক প্রাইভেট ফার্মে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করলেন। নাম ঠিকানা জিজ্ঞেসের পর প্রশ্ন করলেন—

ম্যানেজার : আচ্ছা, বলুন তো একটা গ্লাস ভাংলে কত টুকরা হয়?
ইন্টারভিউ দাতা : স্যার কোন গ্লাস?
ম্যানেজার : কাঁচের গ্লাস।
ইন্টারভিউ দাতা : (সামনে রাখা একটি কাঁচের গ্লাস মেঝেতে ছুড়ে মেরে) এই বার গুনে দেখুন স্যার।
2+2
এক লোক একদিন, রাস্তা দিয়ে গান গেয়ে যাচ্ছে। পথচারী একজন তার গান শুনে বলল আহ্, আপনি তো দারুন গাইছেন। আপনার গানের অনুপ্রেরণা কে? লোকট বলেন, আমাদের বাথরুম।
মানে পথচারী বললেন ।

লোকটি বললেন আমাদের বাথরুমের দরজা নেই তো, তাই আমরা বাথরুমে গিয়ে গান গাই এবং গান শুনে বুঝতে পারি কেউ বাথরুমে আছেন।
এক লোক একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে পত্রিকা অফিসে এলো—
ভদ্রলোক : আমার ছোট ভাই হারিয়ে গেছে।

আমি আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিকে একটা হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে চাই
বিজ্ঞাপন ম্যানেজার : অবশ্যই অবশ্যই। তবে প্রতি বারের জন্য ৫০০ টাকা লাগবে। ভদ্রলোক : বলেন কী, এত টাকা?
বিজ্ঞাপন ম্যানেজার : ঘাবড়াচ্ছেন কেন? আরে এটা তো মিনিমাম চাই, আপনার কত ইঞ্চি লাগবে?
ভদ্রলোক : সর্বনাশ! আমার ভাই তো ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা।

এক লোক টয়লেটে ঢুকে দেখে সামনে লেখা ডানে তাকান। ডানে তাকাল, সেখানে লেখা বামে তাকান, বামে তাকাল, সেখানে লেখা ওপরে তাকান। ওপরে তাকিয়ে সেখানে লেখা টয়লেটে পানি না থাকার জন্য দুঃখিত’।
এক ছেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাত খাচ্ছে দেখে পাশে বসা ভদ্রলোক বললেন, বাবা : তুমি দাঁড়িয়ে খাচ্ছ কেন? এত সুন্দর চেয়ার আছে।

আরাম করে বসে খাও । ছেলে : জবাব দিল, চাচা, বসা যাবে না। কথায় বলে না, বসে খেলে রাজার ভাণ্ডার ফুরিয়ে যায়। হঠাৎ একটি কাক ছো মেরে ছেলেটির প্লেট হতে মাছের টুকরাটি নিয়ে গেল। তখন ছেলেটি বলতে লাগলো-
চাচা এখন দেখি দাঁড়িয়ে খেয়েও ধন ওড়ে যায়।

এক অফিসে ফাই নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে, এই টেবিল থেকে ওই টেবিল দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হয়ে অবশেষে এক অফিসারকে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললেন-
ক্লায়েন্ট : স্যার, আপনার টেবিলে আমার ফাইলটা বেশ কিছু দিন যাবত আটকে
আছে।

অফিসার : তাই নাকি! ঠিক আছে আপনি আগামী সপ্তাহে আসুন। ক্লায়েন্ট : স্যার, কিছু মনে করবেন না, আপনি ঘুষ খান?
অফিসার : তার আগে বলুন, এটা কি প্রশ্ন, না অফার ।
এক পরিচালকে বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ উঠেছে অশ্লীল ছবি তৈরীর। একদিন এক সাংবাদিক ঐ পরিচালকের মুখোমুখি হলেন—
সাংবাদিক : অশ্লীল ছবি তৈরির জন্য আবারও আপনাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

dhadha bangla question and answer

পরিচালক : আমি বিশ্বাস করি না।
সাংবাদিক : তাহলে আপনার সর্বশেষ ছবিটা সেন্সরশিপ পেলনা কেন?
পরিচালক : সেন্সরশীপ দেয়া হয়নি বললে সেটা ভুল হবে। আসলে ওরা আমার ছবিতে ভাল কোন দৃশ্য খুঁজে পায়নি তো তাই ।

এক বদ্‌মেজাজি লোক মেজাজ খারাপ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময় এক পথচারি যাচ্ছিল পাশ দিয়ে-
পথচারী : এই যে ভাই, কয়টা বাজে?

বদমেজাজি : প্রচণ্ড ঘুষি মারে, একটা। (ঘুষি খেয়ে পথচারি লোকটিতে হাসতে দেখে) পথচারী : এটা আনন্দের হাসি, এক ঘণ্টা পূর্বে যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতাম, কয়টা বাজে, ওপরে বাপ, অনেক বেঁচে গেছি ।

এক ব্যক্তি চাকুরির জন্য একটি অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গেছে— অফিসার বড় সাহেব তাকে প্রশ্ন করা শুরু করলেন—

বড় সাহেব : আচ্ছা বুলন তো চত্র এর অর্থ কি? চাকুরিপ্রার্থী : ছত্র এর অর্থ হ্যাঁ
বড় সাহেব : এবার বলুনতো Wha : এর অর্থ কি?
চাকুরি প্রার্থী : এরকম প্রশ্ন করলে উত্তর দিব কি?

এক ভদ্রলোক ফল কিনতে গিয়ে ঠোংগা দেখে বললেন, এ কি ব্যাপার, মাধ্যমিকের ফল বেরোবার পূর্বেই উত্তরপত্র ঠোংগা হয়ে গেছে।
ফলওয়ালা বললে, তাতে কি হয়েছে, স্যার আপনাকে তো ফল ঠোংগাতেই দিচ্ছি।
এক ভদ্রলোক তার চারিত্রিক সার্টিফিকেট আনতে কমিশনারের অফিসে গেলেন ।
ভদ্রলোক : কমিশনার সাহেব আছেন?

পিয়ন : কেন?
ভদ্রলোক : আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট প্রয়োজন ।
পিয়ন : তিন মাস পরে আসেন। উনি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন ।
এক মাছে বিক্রেতা তার চাচাত ভাইকে পাশে বসিয়ে রেখে মাছ বিক্রি করছে? এক
সময় একজন বিদেশী এসে দোকানে জিজ্ঞাসা করলেন ।

বিদেশী : হাউ মাচ (বলদ)
মাছ বিক্রেতা : হাউ মাচ না স্যার ইলিশ মাছ ।
বিদেশী : ওকে (মপ)
মাছ বিক্রেতা : ওকে স্যার চিনবেন না, ও আমার চাচাতো ভাই।

এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সুন্দরী ক্যাশিয়ার এক সপ্তাহের ছুটির দরখাস্ত করল
ম্যানেজারের বরাবর-

ম্যানেজার। হঠাৎ এক সপ্তাহের ছুটি চাইছেন যে।
ক্যাশিয়ার : আমার চেহারা ইদানীং খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই এ কদিন আমি বাসায় বসে রূপচর্চা করব।
ম্যানেজার। হঠাৎ এ চিন্তা মাথায় এলো কীভাবে?

ক্যাশিয়ার : ইদানীং লক্ষ করছি কাস্টমাররা টাকা ফেরত নিতে ভাংতি শুনে দেখে।
একজন লোক : লোকটা সিংহের মুখের মাথায় কেন? অন্যজন : বোধ হয় দেখে সিংহের মুখে কয়টা দাঁত আছে? একজন লোক : আর যদি সিংহ মুখটা বন্ধ করে দেয়? অন্যজন : মানুষের কাঁধে কয়টা মাথা আছে বুঝতে?

একজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত অপরাধীকে ফায়ারিং স্কোয়াডের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী। সেদিন একঘেয়ে বৃষ্টি, শনশনে হাওয়া ফল চারিদিকে প্যাচপ্যাচে কাদা। মরার জন্য আজকে খুবই খারাপ দিন ।
ফিরতে হবে। জেলার : কিন্তু আপনি আমার কষ্টটা দেখছেন না। আমাদের আবার এর মধ্য দিয়ে
শুনে টুনে গোয়ালা বললো ।

একজন সাইকেল বিক্রেতা এক গোয়ালাকে সাইকেলের গুনগুন বোঝাচ্ছিলেন। সব ঐ টাকা একটা গরু কিনলে তোর বেশি লাভ ।
কিন্তু কোথাও যেতে আসতে হলে। গরুর পিঠে চেপে যদি আপনি রাস্তায় বেরোন তাহলে লোক হাসবে না। তা হাসবে, কিন্তু তার চেয়েও হাসবে যদি আমি সাইকেল দুয়ে দুধ করার চেষ্টা করি।

মন্ত্রী আর সচিবের মধ্যে কথা হচ্ছে—
মন্ত্রী : আচ্ছা, ধরুন ব্যাপার যদি উল্টা হয় মানে তুমি মন্ত্রী আর আমি সচিব?
সচিব : অসম্ভব স্যার! এটা হতেই পারে না ৷
মন্ত্রী : কেন? মন্ত্রী হওয়া কি খুবই খারাপ?

সচিব : না, তবে আপনার সচিব না হওয়াই ভালো।
মালিক : বাড়ির সব কাজ করতে হবে, কত মাইনে হলে চলবে?
চাকর : জ্বী, তিনশত টাকা দিবেন, আর বাজারটা যদি করতে হয়, তাহলে একশ টাকাই দিলে চলবে-

যানবাহনে সয়লাব একটা চৌরাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে একজন ভদ্রলোক ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানতে চাইলেন, “সরকারী হাসপাতালে যাব কী করে?” ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ উত্তর দিল। “যেখানে আছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন, ঠিকই পৌঁছে যাবেন।”

রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে একটি ছেলে গান গাচ্ছে—রূপে আমার আগুন জ্বলে যৌবন ভরা অঙ্গে। এমন সময় ছেলেটি পাশের দোতলা থেকে এক ব্যক্তি এক গ্লাস পানি ছেলেটির পায়ে ঢেলে দিল। ছেলেটি রেগেমেগে বলল এই যে ভাই ‘আপনি আমার গায়ে পানি ফেললেন কেন?’ লোকট হেসে বললো না ভাই, পায়ে তো ফেলিনি, আপনার আগুনটা নিভিয়ে দিলাম ।

কার বুদ্ধি কত উপরে তা নিয়ে আলাপ করছিল দুই বন্ধু-
প্রথম বন্ধু : বলতে পারিস বুদ্ধির বিচারে কোন প্রাণী সবার উপরে?
দ্বিতীয় বন্ধু : কেন জিরাফ্ ।

গ্রামের মাতাব্বর : শুনেছি, তিরিশজন লোক তোমার নীচে কাজ করে। তার অর্থ তুমি অনেক বড় চাকুরি করো।
শহুরে চাকুরিজীবী : ঠিক তা নয়, আমি দোতলায় বসিতো, একতলায় তিরিশজন বসেন। গ্রীষ্মকাল, চারিদিকে পানির খুবই অভাব। একটা কচ্ছপ নদীর দিকে এগোচ্ছিল। রাস্তায় বকের সঙ্গে দেখা। বক বলল, শুধু শুধু নদীর দিকে যাচ্ছ। একটুও পানি নেই । কচ্ছপ উত্তর দিল, জানি, আমি যখন পৌঁছাব তার আগেই কিন্তু বর্ষা নেমে যাবে।

ভিখারি ও পথচারীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
ভিখারি : স্যার, আমাকে একটা টাকা দিন, আমি দুদিন যাবত কিছু খাইনি।
পথচারী : তোমাকে দেখে তো ভিখারি মনে হয় না। এই নাও দশ টাকাই দিলাম । এখন বলো তোমার এই অবস্থা হলো কীভাবে?
ভিখারি : আপনার মতোই আমারও একটা দোষ ছিল, আমি খুব বেহিসাবি ছিলাম ।

শিলা : ওমা! দিগন্ত, তুমি কত বদলে গেছ। ছোট বেলায় তুমি কেমন রোগাটে পড়তে না । ছিলেন, এখন বেশ মোটা হয়েছ। কোঁকড়া চুল খাড়া হয়ে গেছে, আগে তো চশমা
অচেনা ছেলে : আর আমার নাম ছুটন্ত দিগন্ত নয় ।
শিলা : বা: নামটাও বদলে ফেলেছ, দেখছি।

Scroll to Top